ক্যালিফোর্নিয়ায় আমেরিকান লীগ অব বাংলাদেশের তৎপরতা সম্পর্কে প্রতিবেদন

<৪,১৪১,২৫৭-২৫৯>

অনুবাদকঃ ওমর বিন কিবরিয়া

শিরোনাম সূত্র তারিখ
১৪১। ক্যালিফোর্নিয়ায় আমেরিকান লীগ অব বাংলাদেশের তৎপরতা সম্পর্কে প্রতিবেদন বাংলাদেশ লীগ অব আমেরিকার দলিলপত্র  

মে, ১৯৭১

 

 

আমেরিকান লীগ অব বাংলাদেশ

৪১৬, সিঙ্কলেয়ার এভিনিউ

গ্লেন্ডেল। ক্যালিফোর্নিয়া-৯১২০৬

ইউ.এস.এ.

টেলিফোনঃ (২১৩) ২৪৫-২৭০৯

 

প্রিয় জনাব মুহিথ,                                                                                                         মে ১২, ১৯৭১

আপনার বিজ্ঞপ্তি নং২ যথাসময়েই পেয়েছি। যেহেতু আপনি অবহিত, পশ্চিমের রাষ্ট্রগুলোতে আমাদেরকেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রতিষ্ঠার ব্যাপার আমাদের এতটাই ব্যাস্ত রেখেছিল যে আমরা আপনাকে এতদিন লিখতে পারিনি।

আপনি যেহেতু আমাদের মূল সংস্থার নেতা, আমাদের সংস্থার উন্নয়নের জন্য ব্যবহৃত এখানে প্রস্তুতকৃতপ্র য়োজনীয় ব্যাপারগুলোর একটি কপি সাথে কিছু বাম্পারস্টিকার আমি আপনাকে সংগ্রথিত করছি।আমেরিকান লীগ অব বাংলাদেশের জন্য ক্যালিফোর্নিয়া এবং পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলোতে তে কাজের কতটুক অগ্রসর হয়েছে এ ব্যাপারে এটি আপনাকে একটি ধারনা দিবে।

আমাদের সংস্থার বাম্পার স্টিকার ধারনাটি লাভজনক হবে। এটি আমাদের অর্থ উত্তোলনে সহায়তা করবে এবং একই সময়ে একটি বিস্তৃত প্রচারণাও দিবে। একটি স্টিকারের জন্য ন্যূনতম দান হবে এক ডলার।আমি বিশ্বাস করি যে এ দেশের প্রায় যে কেওই কোন রকম কষ্ট ছাড়াই এক ডলার যোগাতে পারবে।আমি আশা করি এই ন্যূনতম কিংবা তার চেয়ে বেশি অর্থ সংগ্রহ করতে কারো কোন সমস্যা হবে না।

এ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ লোকদের অনেকগুলো সাড়ার মধ্যে, বাংলাদেশ সংক্রান্ত আমাদের কর্মীদের, ১৯৭২ সালের জন্য ইউ.এস. রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী, মেইনের সিনেটর এডমন্ড এস. মুস্কাই এর একটি চিঠির কপি এর সাথে আরও এই ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি এবং ইউ.এস. সিনেট কে উল্লেখ করে তার একটি বিবৃতির কপিও আমি আপনাকে পাঠাচ্ছি। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ জন বিশিষ্ট অধ্যাপকেরলেখা “কনফ্লিক্ট ইন ইস্ট পাকিস্তান” নামক একটি পুস্তিকার মুল্যবান কপিও পাঠানো হচ্ছে।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার পথনির্দেশের জন্য। জয় বাংলা।

 

আপনার একান্ত,

আমেরিকান লীগ অব বাংলাদেশ

এসডি/

                                                                                                                                  (এস.এম.এস. দোহা)

সভাপতি

এডমন্ড এস. মুস্কাই

মেইন

 

যুক্তরাষ্ট্র সিনেট

                                           ওয়াশিংটন, ডি.সি. ২০৫১০

                                                 এপ্রিল ২৩, ১৯৭১

 

এস.এম.এস. দোহা, সভাপতি

বাংলা লীগ অব আমেরিকা

৪১৬ সিঙ্কলেয়ার এভিনিউ

গ্লেন্ডেল, ক্যালিফোর্নিয়া ৯১২০৬

প্রিয় জনাব দোহা,

পূর্ব পাকিস্তানের বর্তমান অবস্থা সংক্রান্ত আপনার মতামত প্রকাশের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।আমি এই ব্যপারে আপনার থেকে শুনে উপলব্ধি করি।

 

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে পূর্ব পাকিস্তানে সংঘটিত হওয়া এই ট্র্যাজিক ঘটনার ব্যপারে আপনার উদ্বেগ আমি জানিয়েছি। আপনি এটা জানতে আগ্রহী হবেন যে  আমি একটি একটি প্রস্তাবযোগ করেছি যেটিহল সংঘর্ষের পুনসমাধান না হওয়া পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানকে সামরিক সহযোগিতা সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখতে হবে। আমি আপনাকে আমার এই ব্যাপারের উপর সম্প্রতি দেওয়া একটি বিবৃতি কপি আপনাকে পাঠাচ্ছি, আমি আশা করি যেটি আপনার কাছে আগ্রহের হবে।

শুভ কামনা রইল।

একান্ত,

এডমন্ড এস.মুস্কাই।

সিনেটর যুক্তরাষ্ট্র।

 

মহাসভা সংক্রান্ত বিবরণ

৯২ কংগ্রেস এর সভার কার্যবিবরণী এবং আনুষ্ঠানিক আলোচনা, প্রথম পর্ব

ওয়াশিংটন, বুধবার, এপ্রিল ১৪, ১৯৭১।

 

ভল.১১৭.  নং.৫১.

 

সিনেট

পূর্ব পাকিস্তান

জনাব প্রেসিডেন্ট মুস্কাই, পূর্ব পাকিস্তানে বর্তমানে ঘটে যাওয়া ট্র্যাজিক ঘটনার উপর দৈনিক সংবাদপ্রতিবেদনগুলো আমি বাড়তি উদ্বেগ এবং আশঙ্কার সাথে পড়েছি। সাম্প্রতিক মাসগুলতে এই দুর্ভাগ্যজনক অঞ্চলে এটি ২য় বৃহত্তর প্রাণ হারানোর ঘটনা। যখন এই চিত্রটি পরিষ্কার ছিলো না, আমি বিশ্বাস করি যে এটি পরিষ্কার করতে প্রত্যেক দিকে এই ট্র্যাজেডি সম্পর্কে আরো যথেষ্ঠ তথ্য আছে যাতে উদ্বেগ গ্রস্থআমেরিকানদের মুখ খোলা উচিত।আমাদের অর্থনৈতিক সাহায্য এবং পাকিস্তানের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক এবং সামরিক উন্নতির মধ্যকার সম্পর্কআমার কাছে একটি উদ্বেগের ব্যাপার।

 

গত সপ্তাহে, এই ব্যাপারে, আমি এবং আমার সাথে মিন্নেসটার সিনেটর (জনাব মন্ডেল), ম্যাসাচুসেটসেরসিনেটর (জনাব ব্রুক), এবং অরেগনের সিনেটর (জনাব হ্যাটফিল্ড) রাষ্ট্রের সচিবের নিকট চিঠি পাঠিয়েছি।সেই চিঠিতে আমরা আমেরিকার সম্পৃক্ততার ব্যাপ্তি সম্পর্কে ব্যাখা দেওয়ার অনুরোধ করেছি, প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ, পাকিস্তানে হত্যাকাণ্ড এবং কোন্দলের। আমরা একটি উত্তরের জন্য অপেক্ষা করছি।

নিউ জার্সির বিশিষ্ট প্রবীণ সিনেটর ( জনাব কেস) দ্বারা প্রস্তাবিত ইউ.এস. সামরিক বাহিনীর পাকিস্তানকেসহযোগিতার প্রস্তাব আমি সমর্থন করি। ১৯৫০ সালের মধ্যবর্তী সময় থেকে ইউ.এস. সরকার পাকিস্তানের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে আছে।এরকম প্রতিবেদন আছে যে কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা পূর্ব পাকিস্তানের শহর এবং গ্রামাঞ্চল উভয়তে ব্যবহৃতবিমান, ট্যাংকস, অস্ত্র, এবং অন্যান্য সামগ্রী আমেরিকা সরবরাহ করেছিলো।

জনাব সভাপতি, আমেরিকার জন্য সময় হয়েছে স্পষ্টভাবে এবং শীঘ্রই তাঁদের পাকিস্তান সরকারকে ধ্বংসাত্মক অস্ত্র সরবরাহেরপরিকল্পনা বাতিল করার । এই পরিস্থিতিতে অস্ত্রগুলো কেবল শুধু হত্যাকাণ্ড এবং দুশ্চিন্তা কে আরও উত্তেজিত করবে। পাকিস্তান সরকারকেসামরিক সহযোগিতা অবিলম্বে বাতিল করা উচিত। ভারত এবং পাকিস্তানকে প্রাণঘাতী উপাদানগুলো বিক্রির উপর “ওয়ান-টাইম এক্সেপসন” ১৯৬৫ বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা, সম্মত হয়েছিলো ১৯৭০ এর অক্টোবরে, সাঁজোয়া কর্মী, জেট, এবং বি-৫৭ বোম্বারস এর সরবরাহ প্রস্তাবিত হয়েছিলো। এই সরবরাহ সম্পন্ন হওয়া উচিত হবে না।

এই বিশ্বের দুশ্চিন্তা এবং সংঘর্ষ কমাতে কাজ করার জন্য আমাদের একটি দায়িত্ব আছে।  যেখানে আমরা নিজেদেরকেইন্দোচায়না সংঘর্ষ থেকে পৃথক হউয়ার জন্য উপায় খুঁজছি, সেখানে কি আমরা সামরিক সহযোগিতা দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দুশ্চিন্তা বাড়ানো মেনে নিতে পারি ?

আমি বলি আমাদের উচিত হবে না। আমি এই ব্যাপারের প্রস্তাব সমর্থন করি এবং ইহাকে সহযোগিতা করতে যোগদান করে আমি গর্বিত।

Scroll to Top