সামরিক আইনের দুটি বিধি জারী

অনুবাদঃ রাইসা সাবিলা

<৭, ৩, ১৯-২০> ৫০১৪-৫০১৫

শিরোনাম সূত্র তারিখ
৩। সামরিক আইনের দুটি বিধি জারিঃ (রাজনৈতিক তৎপরতা নিষিদ্ধ ও সংবাদপত্রের উপর কঠোর সেন্সরশীপ) পাকিস্তান অবজার্ভার উদ্ধৃতিঃ ডন( করাচী, ২৬ মার্চ) ২৯ মার্চ, ১৯৭১

 

সিএমএলএ কর্তৃক প্রচারিত এমএলআর নং ৭৬ এবং ৭৭

 

করাচী,মার্চ ২৭
সিএমএলএ আজ সামরিক আইনের  ৭৬ এবং ৭৭ ধারা জারি করে।
উক্ত ধারাটি মূলত রাজনৈতিক কার্যক্রম এবং সংবাদ প্রচারণা নিয়ন্ত্রন সম্পর্কিত।
নিম্নলিখিত সামরিক আইনটি পাকিস্তান সিএমএলএ কতৃক গতকাল প্রচার করা হয়।  

সিএমএলএ, পাকিস্তান কর্তৃক জারি কৃত এমএলআর, ধারা নং৭৬

প্রকাশ্যে কোন ধরনের সভা বা ধর্মীয় সমাবেশ অথবা কোন ধরনের শোভাযাত্রা বা মিছিল এমনকি বিবাহ শোভাযাত্রা কিংবা শবযাত্রা আয়োজন করা যাবেনা।

কেউ এমন কোন সভা, শোভাযাত্রা অথবা মিছিলে অংশগ্রহন বা যোগদান করবেনা যা উল্লেখিত

১ নং বিধিমালা লঙ্ঘন করে।

ব্যাখ্যাঃ এখানে প্রকাশ্যে বলতে যে সকল স্থানের কথা বোঝান হয়েছে সেগুলো হলঃ

       ) কোন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মিল, কারখানা, হাসপাতাল, ক্লাব অথবা অন্য কোন স্থান যেখানে সাধারন মানুষ নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে অথবা বিনামুল্যে প্রবেশ করতে পারে।
       ) সভা অথবা শোভাযাত্রা আয়োজনের উদ্দেশ্যে নির্মিত কোন তাবু অথবা অস্থায়ী কোন ধরনের স্থাপনা।
       ) নির্মাণাধীন ভবন কিংবা ছাদবিহীন কোন স্থাপনার বেষ্টনী অথবা প্রাঙ্গন। 

সিএমএলএ কর্তৃক সামরিক আইনের ধারা নং-৬০ এবং ৬১ বাতিল করা হল। 

উক্ত বিধিমালা লঙ্ঘন এর সর্বোচ্চ শাস্তি ৬ বছর সশ্রম কারাদণ্ড.

এ এম ইয়াহিয়া খান
প্রধান জেনারেল কমান্ডার
পাকিস্তান সামরিক বাহিনী এবং সিএমএলএ
স্থানঃ করাচি।
তারিখঃ ২৬ মার্চ, ১৯৭১।

উল্লেখিত সামরিক আইনটি গতকাল করাচীতে সিএমএলএ, পাকিস্তান কতৃক জারি করে।

 

সিএমএলএ কর্তৃক প্রচারিত এমএলআর, ধারা নং ৭৭

কোন ব্যক্তি অথবা সংবাদপত্র কোন অবস্থাতেই এমন কোন তথ্য অথবা বিশেষ প্রবন্ধ ছাপানো অথবা প্রচার করবে না

       ) যা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অথবা বিশেষ কোন উদ্দেশ্যে, পাকিস্তানের অখণ্ডতা ও সংহতির ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ণ করে।   
       ) যা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সামরিক আইন জারি, কার্যক্রম বা ধারাবাহিকতার সমালোচনা করে।

       ) যা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জনগনের জন্য সতর্কতা বা নিরাশা সৃষ্টি করে বা করবে বলে বিবেচিত হয়।
       ) যা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জনগনের মধ্যে সামরিক বাহিনী, পুলিশ কিংবা সরকারের কোন প্রতিনিধির প্রতি অসন্তোষ সৃষ্টি করে বা করবে বলে বিবেচিত হয়।
       ) যা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পাকিস্তানের নাগরিকদের কোন নির্দিষ্ট সম্প্রদায়, গোষ্ঠী অথবা শ্রেণীর প্রতি বিরোধিতা, বিরাগজনিত উত্তেজনা, বিদ্বেষ অথবা ঘৃণা সৃষ্টি করে বা করবে বলে বিবেচিত হয়।
       ) যা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ইসলাম ধর্মের প্রতি আক্রমণাত্মক বলে বিবেচিত হয়।
       ) যা প্রত্যক্ষভাবে কায়েদ-ই-আজম এর প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করে। 

কোন ব্যক্তি অথবা সংবাদপত্র কোন অবস্থাতেই এমন কোন তথ্য অথবা বিশেষ প্রবন্ধ ছাপানো অথবা প্রচার করবে না

       ) যা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পাকিস্তানি কোন রাজনৈতিক দল, নেতা অথবা সদস্যের প্রতি বিদ্বেষ অথবা ঘৃণা সৃষ্টি করে বা করবে বলে বিবেচিত হয়।

       ) এমন কোন রাজনৈতিক বিষয়ে সংবাদ অথবা তথ্য প্রকাশ অথবা প্রচার করবেনা যা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জনগনের মধ্যে কোন আন্দোলন, উত্তেজনা, হুজুগ, সতর্কতা বা নিরাশা সৃষ্টি করে বা করবে বলে বিবেচিত হয়। এধরনের লিখিত তথ্য বা সংবাদ প্রথমে প্রাদেশিক সরকারে নিয়োজিত উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবেচনার জন্য দাখিল করতে হবে এবং উক্ত কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে বিবেচনা পরবর্তী ছারপত্র আদায় করতে হবে।

সিএমএলএ কর্তৃক জারিকৃত এমএলআর নং ৬, ১৭ এবং ১৯ হতে “লিখিত” এবং “লিখিতভাবে” শব্দসমুহ বাদ দেওয়া হল।

সিএমএলএ কর্তৃক জারিকৃত এমএলআর নং ৫১ নাকচ করা হল।

৫। উক্ত বিধিমালা লঙ্ঘন এর সর্বোচ্চ শাস্তি ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড।

 

এ এম ইয়াহিয়া খান
 জেনারেল কমান্ডার ইন চীফ
পাকিস্তান আর্মি এবং সিএমএলএ
স্থানঃ করাচী
তারিখঃ ২৬শে মার্চ, ১৯৭১

Scroll to Top