কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সদস্য শাজাহান সিরাজের বক্তৃতা

<৪,২১৩,৪৬৭-৪৬৯>

অনুবাদক: তুলি, জিহাদ

শিরোনাম সূত্র তারিখ
২১৩। কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সদস্য শাজাহান সিরাজের বক্তৃতা বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের দলিল ২৫ জুন,১৯৭১

 

কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ

BANGLADESH CENTRAL STUDENT’S ACTION COMMITTEE

বাংলাদেশের মুক্তিকামী ভাই-বোনেরা,

বিশ্বের ইতিহাসের জঘন্যতম গনহত্যাকারী, রক্তলোলুপ, খুনী, লম্পট, মদখোর, পিশাচ ইয়াহিয়া ও তার পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বুলেট,বেয়নেট,ট্যাংক, কামান আর পাশবিক অত্যাচারে বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষের গনজীবন আজ সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত| বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও তাঁর প্রানের চেয়ে প্রিয় বাংলাদেশ ও বাঙালী জাতিকে পৃথিবীর ইতিহাস থেকে নিশ্চিহ্ন করার জঘন্য ষড়যন্ত্রকারী খুনী ইয়াহিয়া ও তার হানাদার বাহিনী বিনা নোটিশে বাংলার নিরস্ত্র মানুষের উপর সশস্ত্র হামলা চালিয়াছে|যুদ্ধের সশস্ত্র আইনকানুন উপেক্ষা করে ২৫শে মার্চ রাতের অন্ধকারে ঘুমন্ত বাংলার শহর,বন্দর, গ্রামের নিরস্ত্র মানুষের উপর অতর্কিতে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে| হানাদার বাহিনীর সৈন্যরা আজও জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছাড়খার করছে গ্রামের পর গ্রাম,বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল-কলেজ,মসজিদ-মন্দির,হাট-বাজার,দোকানপাট | বাংলাদেশের একের পর এক তল্লাশি করে সক্ষম যুবকদের মেশিনগানের শিকার পরিনত করেছে|লক্ষ লক্ষ নিরীহ পরিবারকে করেছে গৃহহারা | বর্বর সেনাবাহিনীর অত্যাচার এখানেই শেষ নয়| বাংলাদেশের মা-বোনেরাও রক্ষা পায়নি তাদের পাশবিক অত্যাচারের হাত থেকে| পিতার সামনে যুবতী মেয়েকে,স্বামীর চোখের সামনে স্ত্রীকে নিয়ে পাশবিক অত্যাচার চালাচ্ছে | শত শত মা-বোনকে ধরে নিয়ে তাদের ইজ্জত নষ্ট করে তাদেরকে উলঙ্গ করে ফেলে রাখছে পথে -প্রান্তরে | প্রতিদিন শত শত যুবকের রক্ত নিয়ে মৃতদেহ নদীতা ভাসিয়ে দিচ্ছে|এই বর্বরতা নিয়ে রেহাই পায়না দুধের শিশু আর বৃদ্ধরাও|

কিন্তুু মাতাল ইয়াহিয়া বাহিনীর এই পাশবিক অত্যাচার পারেনি বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামকে স্তব্ধ করতে|২৫শে রাতে গ্রেফতারের আগে স্বাধীন বাংলার জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব”স্বাধীন গনতান্ত্রিক বাংলাদেশ ” ঘোষণা করেছেন| নেতার নির্দেশে বাংলার প্রতিটিআনাচে-কানাচে পৌঁছানোর সাথে সাথে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ই পি আর বাহিনী,পুলিশ,আনসার,মুজাহিদ ও মুক্তিবাহিনী এক হয়ে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীকে বাংলার মাটি থেকে নিশ্চিহ্ন করতে সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছে|বাংলার সাড়ে সাত কোটি কৃষক, শ্রমিক, বুদ্ধিজীবী, মেহনতি মানুষও পাকিস্তান উপনিবেশবাদের শৃঙ্খল থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করার নিয়েছে এক ইস্পাতকঠিন শপথ| পৃথিবীর যে কোন বৃহৎ শক্তিকেই বাংলার এক মুক্তিসংগ্রামের কাছে মাথা নত করতে হবে|কারন এ সংগ্রাম বাঙালি জাতির বাঁচার সংগ্রাম,এ সংগ্রাম সত্যের সংগ্রাম |দিনের পর দিন জনতার মুক্তিমিছিল এগিয়ে চলেছে সাফল্যের স্বর্নশিখরের দিকে| আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা বীরবিক্রমে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে প্রতিহত করে চলেছে | প্রতিদিন মুক্তিযোদ্ধা ও গেরিলাদের আক্রমনে শত শত পাকিস্তানি হানাদার শত্রু নিহত হতে চলেছে|ইতিমধ্যে প্রায় বিশ হাজার পাকিস্তানি শত্রুসেনাকে খতম করা হয়েছে|

বাংলার প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রী ভাই-বোনদের মনে রাখতে হবে শেখ মুজিব আমাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে নাই| ইচ্ছা করলে তিনি বাংলার স্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে কুচক্রী ইয়াহিয়ার সাথে হাত মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন |কিন্তুু তা তিনি করেন নি| জালেম ইয়াহিয়ার কাছে মাথা নত করেননি বলেই ২৫শে মার্চের সেই নারকীয় বিভীষিকার রাতে জেল,জুলুম আর মৃত্যুকে হাসিমুখে বরন করে সরাসরি বাংলার স্বাধীনতাপৃষ্ঠা -৪৬৮বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিল: চতুর্থ খন্ডঘোষণা করেন| নেতা আজ নরখাদক ইয়াহিয়ার কারাগারে কোথায় কিভাবে আছেন তা আমরা জানিনা| কিন্তুু বঙ্গবন্ধুর মহান আদর্শ ও তাঁর বজ্রকন্ঠ আজ প্রতিটি বাঙালির মনে সদাজাগ্রত| যুব সমাজের উপর যে বিশ্বাস স্থাপন করে তিনি স্বাধীনতা ঘোষনা করেছেন আমরা যুবকেরা যেন তা ভুলে না যাই,আমরা যেন বিশ্বাসঘাতকতা না করি,

ভাই-বোনেরা আমার মনে রাখতে হবে আমাদের সকল পরিচয় আজ একটি আমরা মুক্তিযোদ্ধা| অতীতের বিদ্বেষ ভবিষ্যতের মোহ সবকিছু বিসর্জন দিয়ে আজ আমরা লক্ষ লক্ষ যুবক যদি প্রতিটি পাকিস্তানি ফৌজ খতম করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই,পৃথিবীর কোন শক্তিই বাংলার স্বাধীনতাকে রুখতে পারবেনা| বঙ্গবন্ধুকেও আমরা কারাগার থেকে ছিনিয়ে আনতে পারব| আজ তাই যুবকের যেখানেই যে আছেন নিকটবর্তী ট্রেনিং ক্যাম্পে ট্রেনিং নিন| ইতিমধ্যে লক্ষাধিক যুবক ট্রেনিং ক্যাম্পে ভর্তি হয়ে হানাদারদের বাংলার মাটি থেকে নিশ্চিহ্ন করার কলাকৌশল শিক্ষা গ্রহণ করছে,কিছু দিনের মধ্যেই হানাদার বাহিনীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদের নিশ্চিত হত্যা করবে|

কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি ভাইয়েরা বাংলাদেশর শতকরা ৮০ জন আপনারা কৃষক ও শ্রমিক |আপনাদেরও আজ শত অত্যাচারের মুখে বাংলার এই মুক্তিযুদ্ধে অংশীদার হতে হবে| আপনাদের সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া এ যুদ্ধে জয়লাভ করা সম্ভব নয়| আপনারা আজ নিরস্ত্র | শত্রুর মোকাবিলা করার মত অস্ত্র আজ আমাদের হাতে নেই|কিন্তুু বুলেট বেয়োনেটের চাইতেও আমাদের বড় অস্ত্র আপনাদের হাতে রয়েছে|অসহযোগ ও আত্ননির্ভরশীলতাই আজ আপনাদের বড় অস্ত্র |ইয়াহিয়া সরকারের কোন আইন আপনারা মানবেন না|বাংলাদেশর উপর কোন আইন প্রয়োগ করার অধিকার তাদের নেই|খাজনা,ট্যাক্স দেওয়া সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিন|যদি কেউ খাজনা নিতে আসে তবে তাকে ধরে শাস্তি দিন| আমাদের অর্থ দিয়ে আমাদের ধ্বংস করার গুলি যাতে না কিনতে পারে তার জন্য পশ্চিম পাকিস্তানের সকল প্রকার দ্রব্যসামগ্রী কেনা বন্ধ করুন| বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারে এমন দ্রব্যাদি যেমন পাট,চা,চামড়া ইত্যাদির উৎপাদন সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিন| প্রত্যেকটি গ্রামে আজ সম্পূর্ণ আত্ননির্ভরশীল সমাজ গড়ে তুলুন|খাদ্যের অভাব যাতে দেখা না দেয় তার জন্য ধানের চাষ বৃদ্ধি করুন|মনে রাখতে হবে পরনির্ভরশীলতাইই আপনাদের বড় শত্রু |

আপনাদের আজ সর্বপ্রথম কর্তব্য-যে সকল জামাত-মুসলিম লীগের দালালেরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে সাহায্য করছে,যারা আপনাদের ধন সম্পদ লুট করছে,যারা শত্রুসেনাদের কাছে খবরাখবর আদান-প্রদান করছে তাদের হত্যা করা| তাদের নামের তালিকা করে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে দিন| মুক্তিযোদ্ধারা আপনাদের আশেপাশেই আছে|ইতিমধ্যেই শত শত দালালদের হত্যা করা হয়েছে|

প্রত্যেকটি গ্রাম থেকে যাতে মুক্তিযোদ্ধারা অনায়াসে শত্রুসেনাদের আক্রমণ করতে পারে তার জন্য আপনারা প্রত্যেকটি গ্রামবাসি মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয়,খাওয়া ও যোগাযোগের সম্পূর্ণ ব্যবস্থা করে দিন|

কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি ভাইয়েরা মনে রাখবেন এ যুদ্ধ শুধু বাংলার ভৌগলিক স্বাধীনতাই এনে দেবেনা|এ যুদ্ধের ফলশ্রুতি হিসাবে আপনাদের জন্য প্রতিষ্ঠিত হবে এক শোষণহীন সমাজব্যবস্থা |

পাকিস্তানি কুকুর বাহিনীর নৃশংস তাড়নায় বাংলাদেশর ৬০লক্ষ মানুষ আজ ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন|শরনার্থী ভাই বোনদের একটি কথা মনে রাখতে হবে|আপনারাও শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন|তাই আপনারাও এ যুদ্ধের অংশীদার |আপনাদের যে সমস্ত ঘরবাড়ি,ধনসম্পদ ফেলে এসছেন তা আবার ফিরে পাবেন|পাকিস্তানি হানাদারদের দয়ার উপর নয়,কোন বৃহৎ শক্তির চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে নয়-হাতে আমরা অস্ত্র নিয়েছি, রক্ত আমরা দিতে জানি তাই যুদ্ধ করেই শত্রুর মোকাবেলা করে বাংলাদেশের মাটিতে আপনাদের ফিরিয়ে নেব|পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাথে বাংলাদেশের যে দালালরা আপনাদের ধনসম্পদ কেড়ে নিয়েছে,মনে রাখবেন আপনাদের চোখের সামনেই তাদের একমাত্র শাস্তি

হবে মৃত্যুদন্ড। শরনার্থীদের মধ্যে ঢুকে কেউ যাতে কোন প্রকার সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ সৃষ্টি করতে না পারে তার জন্য আপনারা অবশ্যই সজাগ থাকবেন। ৬০ লক্ষ শরনার্থীর প্রতি ভারত সরকার ও ভারতের জনগণ যে মানবতাবোধ দেখিয়েছেন বিশ্বের মুক্তিকামী মানুষ ও বাংলার জনগণ তা চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। বাংলাদেশে পৈশাচিক ইয়াহিয়ার নরহত্যা আজ যখন পৃথিবীর ইতিহাসকে স্তব্ধ করে দিয়ে এক নতুন কলঙ্কের ইতিহাস সৃষ্টি করেছে তখন বিশ্বের বৃহৎ শক্তিবর্গ নীরব ভূমিকা পালন করছে। বিশ্বের কোন কোন বৃহৎশক্তি আজ পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে সাহায্য করছে। আমরা সেইসব বৃহৎশক্তিবর্গকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই আমরা আজ বাংলার স্বাধীনতার যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছি, কোন প্রকার আপসের মাধ্যমে এর সমাধান করা যাবে না কারণ স্বাধীনতা কোন আপস মানে না। স্বাধীনতা ভিক্ষা করে আসে না। আমরা তাই কারো কাছে ভিক্ষা চাই না। তবে আমাদের এই মুক্তিসংগ্রামের বিরোধিতা যারা করবেন, বিশ্বের জাগ্রত বিবেকের সামনে লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করে একটি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করছে দেখেও যারা নীরব আছেন, ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না, ইতিহাসের পাতায় তাদেরকেও পাকিস্তানী জালেমশাহীর সমান কলঙ্কের বোঝা বহন করতে হবে, মানবতার শত্রু হয়ে চিহ্নিত থাকতে হবে।

 

    খুনী ইয়াহিয়া-জানি লক্ষ লক্ষ মানুষের রক্ত নিয়েও তোমার পিপাসা আজও মেটেনি। কিন্তু তুমি জেনে রাখ, যেসব পাঞ্জাবী, পাঠান, বেলুচ, সিন্ধী সেনাবাহিনীকে দিয়ে তুমি বাংলার লক্ষ লক্ষ নিরপরাধ, নিরস্ত্র নারী-পুরুষকে নির্বিচারে হত্যা করে চলেছ বাংলাদেশকে পুড়ে ছারখার করছ, তাদের একটিকেও আমরা বাংলাদেশ থেকে ফিরে যেতে দেব না। একটি একটি করে তাদের হত্যা করব। বঙ্গোপসাগরের তীরে দাঁড়িয়ে স্বচক্ষে প্রতিটি পাকিস্তানী সেনার লাশ তোমাকে দেখতে হবে। জানি বাংলাদেশ থেকে তুমি অনেক দূরে আছ। বাংলাদেশ থেকে তোমার পশ্চিম পাকিস্তানে গিয়ে তোমাকে আর তোমার সেনাবাহিনীকে খতম করব। তোমার সাধের পশ্চিম পাকিস্তানকে ভেঙে চুরমার করে পৃথিবীর ইতিহাস থেকে পাকিস্তানের নাম নিশানা মুছে ফেলবো।

 

    আমরা যারা মুক্তিযোদ্ধা তাদের একটি দৃঢ় আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। স্বাধীনতা আমাদের ভোগ করার জন্য নয়। আমাদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের উত্তরসূরীদের জন্যই এ স্বাধীনতা। আমরা মায়ের কাছ থেকে শেষ বিদায় নিয়ে এসেছি। হয়তো আমরা কেউ আর মায়ের কোলে ফিরে যাব না কিন্তু যারা আমার বোনের ইজ্জত নষ্ট করেছে, যারা লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করছে তাদের প্রতিশোধ যদি আমরা নিতে না পারি তাহলে ইতিহাসের পাতায় আমাদের মীরজাফর হয়ে বেঁচে থাকতে হবে- আজীবন পাঞ্জাবের গোমাল হয়ে থাকতে হবে। পিঠে বুলেট খেয়ে আমরা যেন বিশ্বাসঘতকতা না করি। আমরা প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধা বুকে বুলেটবিদ্ধ হয়ে শহীদ হব। এতে যদি একটি একটি আমাদের সবাইকে শহীদ হতে হয় তাহলেও সে রক্ত বৃথা যাবে না। শহীদের রক্তে রঞ্জিত প্রতিটি ধূলাকণা সেদিন এক একটি বুলেট হয়ে শত্রুদের খতম করবে। বাংলাদেশের মায়েরা-জানি তোমাদের কোল আজ খালি হয়েছে। নিষ্ঠুর হানাদার বাহিনী লাখ লাখ সন্তানকে তোমাদের কোল থেকে কেড়ে নিয়ে হত্যা করেছে। আমাদের দৃঢ়বিশ্বাস, বাংলার এই স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধে যে মায়ের সন্তান শহীদ হয়েছে সে মা কাঁদবে না, সে মায়ের চোখের অশ্রু হবে বারুদ- যে বারুদ পুড়ে ছারখার হবে ইয়াহিয়া ও তার সেনাবাহিনী। বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ থেকে লাখ লাখ সালাম ও শ্রদ্ধা জানাই বীর শহীদদের। জয় আমাদের হবেই। জয় বাংলা।

শাজাহান সিরাজ

সাধারণ সম্পাদক,

ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদ সদস্য

স্বাধীন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ।

Scroll to Top