চূড়ান্ত লড়াই ও আখাউড়ার যুদ্ধ

চূড়ান্ত লড়াই ও আখাউড়ার যুদ্ধ

নভেম্বরের ২০ তারিখের পরে যুদ্ধের তীব্রতা বেড়ে গেল। যশোরের কাছে পাকিস্থান স্যাবর জেটগুলো ভারতীয় সীমানা অতিক্রম করায় আকাশযুদ্ধে ভারতীয় বিমান আক্রমণে ৩টি পাকিস্থানী স্যাবর জেট ভূপাতিত হয়। এতে যুদ্ধের তীব্রতা মারাত্মক আকার ধারণ করে। মুক্তিবাহিনীর প্রচণ্ড আক্রমণে এ সময়ের যশোরের চৌগাছার পতন হয়। এবং তারা যশোর ক্যাণ্টনমেণ্ট দখল করার জন্য পাকিস্তানী সৈন্যর সঙ্গে মরণপণ সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়।

নভেম্বরের এই সময়টাতে আমরা আখাউড়ার শত্রুসৈন্যের সঙ্গে যুদ্ধে অবতীর্ণ হই। শত্রু বিরুদ্ধে এবার আমরা পুরোপুরি আক্রমণাত্মক ভূমিকা গ্রহন করি। আমাদের আক্রমণও একই রকম তীব্র ও প্রচণ্ড। এ সময় “এস” ফোর্সের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল শফিউল্লাহর অধীনে ছিল পুরা দুই ব্যাটালিয়ন পদাতিক সৈন্য। এই দুই ব্যাটালিয়নই ছিল যাবতীয় সমরাস্ত্রে সুসজ্জিত। এ-ছাড়াও ছিল কয়েকটা কোম্পানী যাকে আমরা সেক্টর ট্রুপস বলতাম।

কর্নেল শফিউল্লাহ ‘এস’ ফোর্সের ২নং ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেণ্টের কমান্ডিং অফিসার মেজর মঈন এবং ১১ নং বেঙ্গল রেজিমেণ্টের কমান্ডিং অফিসার মেজর নাসিমকে এই মর্মে নির্দেশ দিলেন যে, মেজর মঈনের ব্যাটালিয়ন আখাউড়ার দিকে আক্রমনাত্বক অভিযান চালাবে এবং তাদের সাথে থাকবে সেক্টর ট্রুপস, আর মেজর নাসিমের ব্যাটালিয়ন (১১ নং বেঙ্গল রেজিমেন্ট) আগরতলার উত্তর দিকে ধর্মঘরের ওখানে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেবে যাতে করে সিলেট থেকে মনতলা হয়ে পাকবাহিনী পেছন থেকে আমাদের বাহিনীর উপর আক্রমণ করতে না পারে। লেঃ কর্নেল শফিউল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী আমরা ধর্মঘরকে সামনে রেখে মোহনপুর – আগরতলা রোডে প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান গ্রহণ করি। এ সময় আমি একটি কোম্পানীর নেতৃত্বের ভার নেই। শত্রু যাতে মোহনপুর – আগরতলা রোড ধরে অগ্রসর হতে না পারে সে উদ্দেশ্যেই আমরা আখাউড়া যুদ্ধের আগেই প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। উল্লেখ করা যেতে পারে যে, সে সময় আমি যে কোম্পানীর পরিচালনার নেতৃত্ব নিয়েছিলাম সেটি হল বি-কোম্পানী।

ওদিকে তখন আখাউড়ায় কি ঘটছিল তার কিছুটা বিবরণ, আমি যা সংগ্রহ করতে পেরেছি, দেওয়া যাক। ২৭ নভেম্বর কর্নেল শফিউল্লাহ মেজর মঈনকে মেরাসানি, নিরানসানি, সিঙ্গারবিল রেলওয়ে স্টেসনে, সিঙ্গারবিল ঘাঁটি, রাজাপুর, আজমপুর ইত্যাদি এলাকা দখল করতে নির্দেশ দেন। উল্লেখযোগ্য যে, এইসব এলাকা আখাউড়া রেলওয়ে জংশনের কাছাকাছি। কর্নেল শফিউল্লাহ মেজর মঈনকে ৩০শে নভেম্বর এবং ১লা ডিসেম্বর তারিখ রাতে রাতে এইসব এলাকায় আক্রমণ চালাবার আদেশ দিয়েছিলেন।

মেজর মঈন দ্বি-ধারা আক্রমণ চালালেন। প্রথম আঘাত হানলেন নভেম্বর-ডিসেম্বর ৩০/১ তারিখ রাত ১টার সময়। প্রথম পর্যায় দখল করলেন সিঙ্গারবিল রেলওয়ে স্টেশন ও সিঙ্গারবিল ঘাঁটি। শুনেছি, সে রাতে লড়াই চলছিল ভোর পাঁচটা পর্যন্ত।

এই অভিযান আমাদের পক্ষ থকে অংশ নিয়েছিল মুক্তিফৌজের প্রায় এক ব্যাটালিয়ন। শত্রুপক্ষের সৈন্যসংখ্যা ছিল প্রায় এক ব্যাটালিয়নেরও বেশী। এই যুদ্ধে শত্রুসেনারা আর্টিলারী, মর্টার, মেশিনগান ইত্যাদি ছোটবড় সব অস্ত্রশস্ত্রই ব্যবহার করে। আমাদের পক্ষেও সেদিনকার লড়াইয়ে আর্টিলারী এবং মর্টারের সাপোর্ট ছিল। সেক্টর ট্রুপসের কাছেও ছিল মেশিনগান।

এখানে উল্লেখযোগ্য যে, সে রাতগুলো ছিল খুবই অন্ধকার এবং ডিসেম্বরের শীত-রাত্রির কুয়াশায় আচ্ছন্ন। কিন্তু এই অন্ধকার ও কুয়াশার বাধা আমাদের জওয়ানদের পারেনি বিন্দুমাত্র হতোদম্য করতে। একটা পর একটা স্থান দখলে আসাতে তারা ক্রমে মানসিক দিক থেকে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠেছিল এবং নব উন্মাদনায় দ্বিগুণ শক্তিতে শত্রুদের আঘাত হেনে পর্যুদস্ত করছিল। আখাউড়ার এক যুদ্ধে হতোদ্যম পাকিস্তানী সেনারা পশ্চাদপসরণে বাধ্য হয় এবং তাদের প্রচুর লোকসান স্বীকার করতে হয়। একজন শত্রুসেনা জীবিত অবস্থায় বন্দী হয় এবং ২০ জন হয় নিহত। এছাড়া মুক্তিফৌজের হস্তগত হয় হানাদার বাহিনীর প্রচুর পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র, রেশন, পোশাক-পরিচ্ছদ, ডিফেন্স স্টোর  ( প্রতিরক্ষা সামানা )। আমাদের পক্ষ হতে পাকবাহিনীর হাতে এই যুদ্ধে ইয়াসিন খাঁ নামে মুক্তিফৌজের একজন সিপাহী শহিদ হন। তাকে সমাহিত করা হয় সিঙ্গারবিলে। তাছাড়া এই লড়াইয়ে মুক্তিফৌজের সিপাহী আবু জাফর,  সিপাহী হুমায়ূন, সিপাহী আব্দুল লতিফ, হাবিলদার আকতার হোসেন, হাবিলদার মুফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, হাবিলদার নবিউল্লাহ এবং অপর একজন আহত হয়। পর্যুদস্ত শত্রুবাহিনী সাময়িকভাবে পিছু হটলেও ২রা ডিসেম্বরের সকালে আমাদের বাহিনীর উপর পাল্টা আক্রমণ শুরু করে এবং সারাদিন ধরে খণ্ডযুদ্ধ চলতে থাকে। শত্রুবাহিনীর প্রবল আক্রমণের মুখে আমাদের বাহিনী পিছু হটে যেতে বাধ্য হয়। আর্টিলারীর সহাতায় মারাত্মক আক্রমণ চালিয়ে এই এলাকা শত্রুবাহিনী পুর্নদখল করে। প্রচুর ক্ষয়ক্ষতির পর আমাদের বাহিনী সিঙ্গারবিলে গিয়ে জমায়েত হয়। এই যুদ্ধে শত্রুবাহিনীরও অসম্ভব ক্ষতি সাধিত হয়। মুক্তিফৌজের নায়েক সুবেদার আশরাফ আলী শত্রুর হাতে শাহাদৎ বরণ করেণ। অন্যান্য যারা আহত হন তাঁরা হলেন সিপাহী আবদুল আউয়াল, হাবিলদার মাজু মিয়া, নায়েক নাসিরুজ্জামান, নায়েক আবদুস সালাম, সিপাহী মিজানুর রহমান।

৩রা ডিসেম্বর আমাদের বাহিনী নিজেদেরকে পুনর্গঠিত করে পাক বাহিনীর উপর পুনরায় আক্রমণ চালায় এবং আজমপুর স্টেশন ও তার এক হাজার গজ অগ্রবর্তী স্থান দখল করে। এই আক্রমণে শত্রু পক্ষের এগারজন সৈন্য নিহত হয়। আমাদের পক্ষে দু’জন সিপাহী ও একজন নায়েক সুবেদার শহীদ হন। আমাদের বাহিনী যখন যুদ্ধে লিপ্ত এমনি সময়ে আমরা খবর পেলাম পাকিস্তান ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে বিমান হামলা চালিয়ে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করেছে। এবার আর যুদ্ধ কেবল বাংলাদেশ বাহিনী ও পাকবাহিনীর মধ্যে সিমাবদ্ধ থাকল না। পাকিস্থানী বাহিনীর সংগে সংযুক্ত ভারত-বাংলাদেশ বাহিনীর যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল। ডিসেম্বরের ৩/৪ তারিখ রাতে আমাদের বাহিনী পুর্নদখলকৃত এলাকাকে সুরক্ষিত করল। বলা বাহুল্য, মুক্তিফৌজের অবিরাম আঘাতের পর আঘাত, দেশের অভ্যন্তরে গেরিলা মুক্তিবাহিনীর চাতুর্যপূর্ণ অতর্কিত আক্রমণে পাকিস্তান সেনাবাহিনী তখন বেসামাল হয়ে পড়েছিল। এবার তারা সমস্ত দোষ ভারতের উপর চাপিয়ে ভারত আক্রমণ করে বসল।

৩রা ডিসেম্বর যেদিন পাকিস্তান ভারত আক্রমণ করে সেদিন অপরাহ্নে শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী কলকাতার এক বিশাল জনসমাবেশে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। ঐ দিন রাত্রি দ্বিপ্রহরে তিনিও ভারতের জওয়ানদের পাকিস্তানী হামলা প্রতিহত করার জন্য হুকুম দেন।

অতএব মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত হল ভারতীয় সেনাবাহিনীর হাত। সম্মিলিত বাহিনী ভীমবেগে ঝাঁপিয়ে পড়ল বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে, প্রচণ্ড গতিতে আক্রমণ করল অন্যায় যুদ্ধে লিপ্ত পাকিস্থানী সেনাবাহিনীকে। বাংলাদেশের সীমানার চতুর্দিক দিয়ে যৌথ কমান্ডের অধীনস্থ সৈন্যদল ঢুকে পড়ল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে।

এদিকে পাক সামরিক সরকার ভারতের  বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করলে ৪ঠা ডিসেম্বর থেকে ভারতীয় সৈন্য মিত্রবাহিনীর নাম নিয়ে আখাউড়া যুদ্ধে নেমে পড়ে। আক্রমণ চালানো হয়েছিল অতি প্রত্যুষে। উল্লেখযোগ্য যে, এই সময় আমাদের বাহিনীর পক্ষে খুব বেশী আর্টিলারী সাপোর্ট (কামানের সহায়তা) দেওয়া হয়েছিল। সেই সঙ্গে ছিল মর্টারের প্রচুর সহায়তা। এই আক্রমন শুরু করার আগে মেজর মতিনের নেতৃত্ব সেক্টর ট্রুপসের দুই কোম্পানি দিয়ে পাশ থেকে প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। মেজর মতিনের ই-পি-আর কোম্পানী মারাত্মক প্রতিকূল অবস্থার সম্মুখীন হয়েও নিজের অবস্থান থেকে বিন্দুমাত্র নড়েনি। আমাদের সেক্টরে ৪ঠা ডিসেম্বরের যুদ্ধে মুক্তিফৌজের যে বীর সৈন্যরা শাহাদাত বরণ করে তাঁরা হচ্ছেন- লেঃ বদিউজ্জামান, সিপাহী রুহুল আমিন, সিপাহী সিদ্দিকুর রহমান। যাঁরা আহত হন তাঁরা হচ্ছেন- সুবেদার চান মিয়া, হাবিলদার কামরুজ্জামান, কোম্পানী হাবিলদার মেজর নূরুজ্জামান এবং আরো ১৫ জন। এই লড়াইয়ে শত্রুপক্ষের বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়। মুক্তিফৌজ ১৩জন শত্রুসেনাকে হত্যা করে এবং ৪ জন শত্রুসেনা তাদের হাতে বন্দী হয়। মুক্তিফৌজ ছোটবড় হাতিয়ারসহ শত্রুবাহিনীর ৩২টি রাইফেল কবজা করে।

ডিসেম্বরের ৫ তারিখে পাকিস্থান বাহিনী আমাদের বাহিনীর উপর পালটা আক্রমণ চালায়। কিন্তু আমাদের তীব্র প্রতি-আক্রমণের মুখে তারা পিছু হটে যেতে বাধ্য হয়। আখাউড়ায় তুমুল লড়াই চলে। এই লড়াইয়ে মুক্তিবাহিনী ও সংযুক্ত মিত্রবাহিনী অপরিসীম বীরত্ব ও সাহসীকতার সঙ্গে যুদ্ধ করে। অবশেষে ৫ই ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী আখাউড়া দখল করে। ৪/৫ ডিসেম্বরের যুদ্ধে এই এলাকায় শত্রুবাহিনীর প্রায় ১৬০ জন সৈন্য মারা যায়।

আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশনে শত্রু অবস্থান ছিল খুবই সুদৃঢ়। ফলে এখানকার যুদ্ধ হয় ব্যাপক এবং মারাত্মক। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে আখাউড়ার লড়াইয়ের গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। এখানকার যুদ্ধে উভয় পক্ষই সর্বাধিকসংখ্যক আর্টিলারী ব্যবহার করে। কয়েকটি আক্রমন চালিয়ে ২নং ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেণ্টের পাল্টা আক্রমণের মুখে পাঞ্জাবী সৈন্যরা তাদের মনোবল হারিয়ে ফেলে। এমতবস্থায় মিত্রবাহিনী আমাদের বাহিনীর সাথে যোগ দেবার পর সম্মিলিত আক্রমণের মুখে তারা আর দাঁড়াতে পারিনি। বলাবাহুল্য, আখাউড়ার পতনের পর শত্রুবাহিনী আর  কোথাও ভালভাবে অবস্থান নিতে পারেনি।

আখাউড়ার যুদ্ধে কোম্পানী কমাণ্ডার হিসাবে যেসব অফিসার অংশগ্রহন করেন তাঁরা হলেনঃ মেজর মতিউর রহমান, ক্যাপ্টেন মোরশেদ, লেফটেন্যাণ্ট ইব্রাহিম, লেফটেন্যাণ্ট বদিউজ্জামান, লেফটেন্যাণ্ট সলিম (কোম্পানী অফিস)।

এখানে আমি ২নং ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেণ্ট সম্পর্কে সামান্য কিছু আলোকপাত করতে চাই। পাকিস্থান সেনাবাহিনীতে ২নং ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেণ্ট ছিল বেঙ্গল রেজিমেণ্টের অন্যতম পুরনো ব্যাটালিয়ন। হানাদার পাকবাহনী বাংলাদেশে হত্যাযজ্ঞ শুরু করার পর এই ব্যাটালিয়ন তখনকার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মেজর শফিউল্লাহর (বর্তমান কর্নেল এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান) অধীনে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। মুক্তি সংগ্রামে এই ব্যাটালিয়নের অবদান অতুলনীয়।

এখানে আখাউড়ার যুদ্ধে শাহাদাৎপ্রাপ্ত বীর সৈনিক লেফটেন্যাণ্ট বদিউজ্জামান সম্পর্কে কিছু আলোকপাত করে তাঁর শহীদী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে চাই ।

লেফটেন্যাণ্ট বদিউজ্জামান রংপুর মিলিটারী কাস্টোডি থেকে পালিয়ে এসে ১৬ই আগস্ট মনতলায় আমার সাথে যোগ দেন। আমি ১১ নং বেঙ্গল রেজিমেণ্টে যোগদানের আগ পর্যন্ত তিনি আমার অন্যতম প্লাটুন কমাণ্ডার হিসাবে আমার সাথেই ছিলেন। তিনি আমার সাথে বহু অভিযানে অংশ গ্রহণ করেন।

লেফটেন্যাণ্ট বদিউজ্জামান ছিলেন একজন নিবেদিতপ্রান সাহসী সৈনিক। সদা হাসিমুখে এই অসম সাহসী যোদ্ধা যদিও মূলত ছিলেন একজন ক্যাভালরি অফিসার, তবুও একজন ইনফ্যানন্ট্রি অফিসারের চেয়ে কোন অংশ কম ছিল না। যুদ্ধ চলাকালে শত্রুবাহিনীর একটি শেল তাঁকে আঘাত করে এবং সেই আঘাতে তিনি শহীদ হোন। তাঁর মরদেহ আজমপুর রেলওয়ে স্টেশনে একটি মাজারের কাছে সমাহিত করা হয়। সিপাহী রুহুল আমিনের মরদেহও এরই কাছে সমাহিত করা হয়।

২১ বছরের যবুক লেফটেন্যাণ্ট বদিউজ্জামান ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জে জন্মগ্রহন করেন। সদা প্রফুল্লচিত্ত নিরহংকারী বীর সৈনিক মাতৃভূমির স্বাধীনতা সংগ্রামে হাসিমুখে আত্মৎসর্গ করেন। তাই দেশবাসী কৃতজ্ঞতার সঙ্গে চিরদিন তাঁর কথা স্মরণ করবে। আল্লাহ তাঁর আত্মাকে শান্তি দিন।

Scroll to Top