জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে জেনারেল ইয়াহিয়ার উত্তর -পত্র

৭.৮৭. ১৮৯

শিরোনামঃ ৮৭। জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে জেনারেল ইয়াহিয়ার উপর – পত্র

সূত্রঃ জাতিসংঘ দলিলপত্র উদ্ধৃতিঃ বাংলাদেশ ডকুমেন্টস

তারিখঃ ২২ অক্টোবর, ১৯৭১

 

জাতিসংঘ মহাসচিবের ২০ অক্টোবর, ১৯৭১ ইং প্রেরিত চিঠির জবাবে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের প্রত্যুত্তর – ২২ অক্টোবর, ১৯৭১

 

আমার রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে আপনার ২০ অক্টোবর,১৯৭১ ইং প্রেরিত চিঠি আজকে হাতে পেয়েছি।

পাক-ভারত সীমান্তে চলমান অবস্থার অবনতি বিষয়ে আপনার সদয় বিবেচনার ব্যাপারে আমি সম্পূর্ণ একমত। শান্তি আনয়ন এবং উভয় দেশের দুর্দশাগ্রস্থ অবস্থা,যা মানুষের জন্যে শুধু দুর্যোগ বয়ে আনে,সেটি দূর করার জন্যে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ইতোমধ্যে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে বোমা হামলায় শত শত পুরুষ,নারী ও শিশু নিহত হয়েছে এবং অনেক লোকজন বাস্তুহারা হয়েছে।

দুঃখের বিষয় হলো, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ১৯ অক্টোবর, ১৯৭১ তারিখে নয়াদিল্লীতে এক প্রেস কনফারেন্সে দুই দেশের সীমান্ত থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। সীমান্তের সাথে ভারতের যোগাযোগ পাকিস্তানের চেয়ে ভাল – এটিই এর মূল কারণ।

পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্তান সীমান্তে অস্ত্রশস্ত্রসহ সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে আমি কোনো মতানৈক্য চাই না। যুদ্ধবিরতি চলাকালীন উভয় পাশে দশজন করে সৈন্য থাকবে। একই সাথে পূর্ব পাকিস্তান সীমান্তে সশস্ত্র অনুপ্রবেশ এবং বোমা হামলা বন্ধ করতে হবে।

জাতিসংঘ পর্যবেক্ষক দল যাতে সীমান্তের উভয় পাশে অবস্থান করে সৈন্য প্রত্যাহার পর্যবেক্ষণ করে এবং শান্তি প্রক্রিয়া পরিচালনা করে সে ব্যাপারে ও সুপারিশ করছি। শুধুমাত্র আগের মত স্বীকৃত সীমান্তরক্ষীরা সীমান্তে অবস্থা করবে।

এখানে আপনার মধ্যস্থতার বিষয়টিকে স্বাগত জানাই এবং সৈন্য প্রত্যাহারের ব্যাপারে আলোচনা করার জন্যে খুব শীঘ্র ভারত এবং পাকিস্তান সফর করবেন বলে আশা রাখছি।আমি নিশ্চিত এটি একটি প্রশংসনীয় এবং কাঙখিত প্রভাব ফেলবে এবং শান্তির পথে এগিয়ে নিবে।

১৯ অক্টোবর ভারতীয় নেতারা লাহোর এবং শিয়ালকোট সীমান্তের শহরসমূহ দখল করার যে হুমকি দিয়েছেন,তার গুরুত্ব বিবেচনা করে  আপনার ভারত ও পাকিস্তান সফরের বিষয়ে একটি ঘোষণা আশা করছি।

পরিশেষে, এই শান্তি প্রক্রিয়ায় আমার দেশের বিভিন্ন অংশে আপনাকে পূর্ণ সহযোগিতার নিশ্চয়তা দিচ্ছি।

মহোদয়,অনুগ্রহ করে,আমার পূর্ণ বিবেচনার নিশ্চয়তা গ্রহণ করুন।

Scroll to Top