১২০। ১০ ডিসেম্বর সম্পাদকীয়ঃ তোমার স্বপ্ন সফল , তোমার বাংলা স্বাধীন

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক

<৬,১২০,১৯৯>

শিরোনাম সংবাদ পত্র তারিখ
সম্পাদকীয়

তোমার স্বপ্ন সফর তোমার বাংলা স্বাধীন

বাংলার মুক

১ম বর্ষঃ ১২ তম সংখ্যা

১০ ডিসেম্বর ১৯৭১

 

সম্পাদকীয়

তোমার স্বপ্ন সফর

তোমার বাংলা স্বাধীন

জয় নব অভ্যুত্থান

 

       জয় বাংলাদেশ, জয়বাংলার সাড়ে সাতকোটি সংগ্রামী নরনারীর ত্যাগ, তিতিক্ষা, অশ্রু আর রক্তের। জয় বিম্বের স্বাধীনতা সংগ্রামী জনগণের। বঙ্গবন্ধু বাংলার যে স্বপ্ন দেখেছেন, যে স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য আত্মত্যাগ করেছেন তা আজ সফল

 

       ভারত আর ভুটানকে বাংলাদেশের স্বীকৃতির জন্যে, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র এবং সর্বোপরি মানবতার জন্যে আত্মত্যাগ এবং চরম বলিস্টতার জন্যে বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষ জানাচ্ছেন অন্তরের গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা। সাম্রাজ্যবাদ গোষ্ঠী, মানবতা বিরোধীদের শেষ গোরস্তান আজ বাংলাদেশ।

 

       সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালীর আশা আকাঙ্খার স্বাধীন দেশ পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিবাহিণীর হানাদার সেনা নিধনের অভিযান সাফল্যের দারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে।মুক্তিবাহিণীর সাথে ভারতীয় বাহিনীর যোগদানে যুদ্ধ পরিস্থিতির বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছে। মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনীর যুক্ত আক্রমনে হানাদার পাকসেনাদের ঘাঁটিগুলোর পতন ঘটেছে এবং হানাদার সেনারা পিছু হটে যাচ্ছে।

 

       মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনীর মিলিত আক্রমনের মুখে বহু হানাদার পাকসেনা আহত ও নিহত হয়েছে এবং বিভিন্ন অংশে অনেক হানাদার পাকসেনা আত্মসমর্পণ করেছে।

 

       পাকিস্তান বিশ্ব সভ্যতার সব রকম ণীতিমালাকে অস্বীকার করে ভাতের বিভিন্ন অংমে বিমান আক্রমন চালিয়ে উপমহাদেশের শ্বান্তিপূর্ণ অবস্থার মধ্যে সংকটের সৃষ্টি করেছে।

 

       পাকিস্তানের সামরিকচক্র আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্নকে ধুলিস্যাত করবার জন্যে ভারত আক্রমন করেছে। আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ তথা ঈঙ্গ – মিার্কিন সাম্রাজ্যবাদী শক্তি হস্তক্ষেপের মাধ্যমে অামাদের স্বাধীনতা সংগ্রামকে বানচাল করবার জন্যে এক আন্তর্জাতিক সমস্যা সৃষ্টিতে লিপ্ত হয়েছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ যে স্বাধীনতার মন্ত্রে উদ্দিপ্ত তা আন্তর্জাতিক চক্রান্তের জাল ছিন্ন করে বিশ্বের দরবারে যে মর্যাদা অর্জন করেছে তা রক্ষা করতে বদ্ধ পরিকর। জনগণ মুক্তিবাহিনী ও ভবারতীয় বাহিনীকে সর্বাত্মক সাহায্য দিয়ে চলেছে।

 

       মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় বাহিনীর আক্রমনে পূর্ব রণাঙ্গনে ফেনি, লাকসাম, সিলেট শত্রুকবলমুকাত হয়েছে। উত্তর এবং উত্তর পশ্চিম রণাঙ্গনেও ব্যাপক সাফল্য লাভের খবর পাওয়া গিয়েছে। যশোর ক্যানটনমেন্ট এবং বিমানবন্দরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পতন ঘটেছে।

 

       এছাড়া চট্টগ্রাম জেলার রামগড়, কক্সবাজার, বান্দরবনও শত্রুকবলমুক্ত হয়েছে।

Scroll to Top