২০২. ২৭ নভেম্বর সংগ্রামী জনসাধারণের দায়িত্ব

কম্পাইলারঃ শাহজালাল

<৬,২০২,৩৫১>

শিরোনাম সংবাদপত্র তারিখ
সংগ্রামী জনসাধারণের দায়িত্ব সংগ্রামী বাংলা

১ম বর্ষঃ ২য় সংখ্যা

২৭ নভেম্বর , ১৯৭১

 

সংগ্রামী জনসাধারণের দায়িত্ব

পুরাকাল থেকে আজ পর্যন্ত যুদ্ধে বিপ্লবে বা রাজনৈতিক বিদ্রোহে কতিপয় পবিত্র নিয়ম ও ধর্মীয়নীতি পালিত হয়ে আসছে নিষ্ঠার সঙ্গে-

১) নারী, শিশু, বৃদ্ধ রুগ্ন কাউকে হত্যা করতে নেই।

২) নিরাপরাধ কাউকে বা একের অপরাধে অপরকে হত্যা করা ঠিক নয়।

৩) শত্রু আত্মীয় হলেও তাকে ক্ষমা করা যায় না।

৪) চুরি, ডাকাতি, লুটপাট, নারী হরণ বা নারী ধর্ষণ গুরুতর অপরাধ।

৫) স্কুল কলেজ, হাসপাতাল, মন্দির, মসজিদ, গীর্জা, কলকারখানা ( এখানে কলকারাখানা), লাইব্রেরী পুরাকীর্তি, ঐতিহাসিক কীর্তি, যাদুঘর, চিড়িয়াখানা, বাগান, ক্ষেত খামার, গৃহপালিত  জীব ধবংস করা জাতীয় সম্পদ নষ্ট করার সামিল।

৬) আশ্রিত বা অতিথি বা আত্মসমর্পণকারীকে হত্যা করা ধর্মনীতি বিরোধী।

৭) সেবা প্রতিষ্ঠানের কর্মী, স্থপতি, ডাক্তার, শিল্পী, সাহিত্যিক, বৈজ্ঞানিক, দার্শনিক, সাংবাদিক, বিদেশী বা রাষ্ট্রদূত  অবাধ্য ( অবধ্য)

৮ ) কারো বাড়ীঘরে আগুন দেওয়া অন্যায়, কেননা একজনের অপরাধে, অন্য কয়েকজন নির্দোষ ব্যক্তি গৃহহারা হতে পারে।

৯) ব্যক্তিগত শত্রুতার জন্যে বিপ্লবের সুযোগে কাউকে হত্যা করা বা তার সম্পত্তির ক্ষতি করা বিরাট অপরাধ।

১০) বিষ, রোগজীবাণু দ্বারা কাউকে হত্যা করা বা কারো সঙ্গে অঙ্গ প্রত্যঙ্গ হানি করা অন্যায়।

১১) নিরপেক্ষ সরকারী কর্মচারী বা কোন নিরপেক্ষ লোককে হত্যা করা অন্যায়।

( সাধারণতঃ মহাযুদ্ধে, বিদ্রোহের বা গৃহযুদ্ধে এসব নিয়ম কদাচিত পালিত হয়।)

Scroll to Top