<৪,১৪৩,২৬৪>
অনুবাদকঃ তন্দ্রা বিশ্বাস
শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
১৪৩। আমেরিকায় বাংলাদেশের দুটো মিশন খোলা সম্পর্কে জনাব রেহমান সোবহান ও বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর পরামর্শ সম্পর্কে অবহিত করে লেখা চিঠি | ইষ্ট পাকিস্তান লীগ অফ আমেরিকার দলিলপত্র | ২৯ মে,১৯৭১ |
আমেরিকা পূর্ব পাকিস্তান লীগ,ইনকর্পোরেটেড
২৬৬৭ ব্রডওয়ে,নিউইয়র্ক,এন.ওয়াই.১০০২৫.
২৯মে,১৯৭১
প্রিয়বন্ধু,
আমি আপনাকে যুক্তরাজ্যে এবং যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা জনাব রেহমান সোবহান এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি বিচারপতি জনাব আবু সাঈদ চৌধুরীর সাথে, যাঁরা উভয়েই মে মাসের শেষ অর্ধাংশে এখানে ছিলেন ,আমাদের সাম্প্রতিক আলোচনা সম্পর্কে অবহিত করার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত।
একটি সভায় জনাব সোবহান আমাদের কার্যনির্বাহী পরিষদের সাথে নিম্নলিখিত পরামর্শ দেন:-
১।যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ মিশন খুলতে হবে,বিশেষ করে দুইটি মিশন,একটি ওয়াশিংটন এবং অন্যটি নিউইয়র্কে।এই মিশনগুলোতে একটি সংরক্ষনশীল হিসাব অনুযায়ী প্রতিমাসে আনুমানিক পাঁচ হাজার ডলার খরচ হবে যা ঐচ্ছিক অনুদান দ্বারা বহন করা হবে।
২। লীগের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি কার্যদর্শী বা জাতীয় সমন্বয়সাধন পরিষদ থাকতে হবে।
৩।মিশন বিভিন্ন পর্ব,পরিষদ ও বাংলাদেশের সরকারের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে।মিশনের অন্যান্য কার্যাবলী ইউ.এস. সিনেট,প্রতিনিধিদের আইনসভা,বিশ্বব্যাংক,আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল,জাতিসংঘের সদস্য ইত্যাদিও প্রজ্ঞাপন এর পরিমণ্ডলের মধ্যে হবে।
জনাব বিচারপতি চৌধুরী তাঁর ব্যক্তিগত মতামত প্রদান করেন যে যদি তহবিল অনুমতি দেয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্রে দুইটি মিশন আমাদের উদ্দেশ্যের প্রতি আরো ভাল সেবা দেবে।তাঁর মতানুসারে মিশনের প্রধান কাজ হবে পাকিস্তানে সকল সম্ভাব্য উৎস থেকে সহযোগীতা বন্ধ করা।
জনাব বিচারপতি চৌধুরীর কিছু সাক্ষাৎকার থাকায় তিনি ইউরোপে গেছেন।যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিউইয়র্কে ফিরে আসার জন্য আমরা তাঁকে অনুরোধ করেছি।১২ জুনের র্যালি তে বক্তব্য দেয়ার জন্য যথাযথ সময়ে তিনি ফিরে আসবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করি। প্রত্যাগমনে তাঁর সাথে বিশদ আলোচনার আশা করি।
বিষয়টির উপর সিদ্ধান্ত নেয়ার লক্ষ্যে ২৬ জুন অনুষ্ঠিতব্য বার্ষিক সাধারন সভায় আপনার পূর্বোল্লিখিত বিষয় সংক্রান্ত মতামত বিবেচনা করা হবে।
জয় বাংলা
মিঃ এনায়াতুর রহিম আপনার অনুগত
সভাপতি এসডি/-
(কাজী এস. আহমেদ)
সভাপতি