গেরিলা যুদ্ধ করার নিয়ম সহ একটি বেনামি লিফলেট

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্রের ২য় খণ্ডের ৭১০ নং পৃষ্ঠায় মুদ্রিত ১৮১ নং দলিল থেকে বলছি…

শিরোনাম সূত্র তারিখ
গেরিলা যুদ্ধ করার নিয়ম সংক্রান্ত একটি বেনামী লিফলেট —– ৮ মার্চ, ১৯৭১

 

“…গতানুগতিক যুদ্ধের মাঝে অগতানুগতিক যুদ্ধের উদ্যোগ…”

.

*সম্ভাব্য সকল মাধ্যম ব্যবহার করে নূন্যতম সময়ে শত্রুকে পরাজিত করতে হবে।

.
*যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোঃ
.

*স্বাধীনতার প্রয়োজনীয়তা সবাইকে অবশ্যই অনুভব করতে হবে।
.

*গতানুগতিক যুদ্ধ সংঘটিত হয় একধিক দেশের মাঝে এবং গেরিলারা হিংসাত্মক ও অহিংস দু’টি উপায়ই অবলম্বন করে (সশস্ত্র এবং নিরস্ত্র)
.

*লক্ষ্য অর্জন করতে একজন গেরিলা সম্ভাব্য সকল পন্থা ব্যবহার করবে।

.

*শত্রুরা গেরিলা সম্পর্কে জানবে না। গেরিলারা ধীর গতিতে মেধা ও অস্ত্র ব্যবহার করে বিস্ময়করভাবে শত্রুকে আক্রমণ করবে।

.

*একজন গেরিলা অবশ্যই সাধারণ মানুষের কথা মনে রাখবে। সাধারণ মানুষের আত্মবিশ্বাস অর্জনের লক্ষ্যে তাদের অবশ্যই একটি শক্ত এবং অভিনব চরিত্র থাকবে।

.

*শত্রুর প্রধান সংস্থান ধ্বংস করতে গেরিলারা সকল সম্বল ব্যবহার করবে। এর বেশিরভাগই মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ।

.

পুরুষের প্রতিজ্ঞাঃ যে লড়ে, সেই পুরুষ। আমরা লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রতিজ্ঞার শেষটুকু দিতে প্রস্তুত এবং আমরা জয় করব। আমরা দুর্গের মত থেকে শত্রুর মনোবল ভেঙ্গে দেব।

Scroll to Top