৭.৩৬.৮২
শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
৩৬। দেশত্যাগী নাগরিকদের প্রত্যাবর্তনে নিরাপত্তা বিধান সম্পর্কিত একটি সরকারী প্রেস রিলিজ | ওয়াশিংটনস্থ পাক দূতাবাসের দলিলপত্র | ৯ জুন, ১৯৭১ |
প্রেস রিলিজ
জুন ৯, ১৯৭১
ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত পাকিস্থানের দূতাবাস কর্তৃক ইস্যুকৃত
১. পাকিস্তান সরকার, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের আপিল সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, যেখানে পূর্ব পাকিস্তানি শরণার্থীদের তাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর তাদের পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় সুবিধা দেওয়া হবে, এখন জাতিসংঘের হাইকমিশনকে পূর্ণ সহযোগিতার অঙ্গীকার করেছে উদ্বাস্তুদের সুরক্ষিতভাবে পূর্ব পাকিস্তানের শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তন করার জন্য।
২. জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার, প্রিন্স সাদরুদ্দিন ইসলামাবাদ এ যান এবং প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান, তাঁর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা জনাব এম এম আহমেদ (যিনি সম্প্রতি ওয়াশিংটন পরিদর্শন করে এসেছেন) এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ পাকিস্তানী কর্মকর্তাদের সাথে জুনে এর ৬ এবং ৭ তারিখে বৈঠক করেন, ভারতে অবস্থিত পূর্ব পাকিস্থানী শরণার্থীদের পাকিস্তানে প্রত্যাবর্তন এবং পূনর্বাসন ব্যবস্থার ব্যাপারে কথা বলার জন্য।
পাকিস্তানের সরকার ইসলামাবাদে একটি বিজ্ঞপ্তি তে জানান যে প্রিন্স সাদরুদ্দিন কে তাঁর কাজের জন্য পূর্ণাঙ্গ সহায়তা দেবার ব্যাপারে আশ্বস্ত করা হয়েছে। পাকিস্তান সরকার তাদের দেশের নাগরিক দের পূর্ব পাকিস্তানে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করার ব্যাপারে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ছিলেন এবং জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার পাকিস্তান সরকারের অনুরোধে ইসলামাবাদ পরিদর্শন করেন এ ব্যাপারে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা করার জন্য।
৩. এটা স্মরণ করা হবে যে, পাকিস্তান সরকার পূর্ব পাকিস্তানের সব সীমান্ত জেলায় বেসামরিক সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত বিশটি রিসেপশন সেন্টার স্থাপন করেছে, যেগুলো দ্রুত আবাসন সংকট পূরণ করবে ফিরে আসা উদ্বাস্তুদের জন্য, যেটা রাষ্ট্রপতি ইয়াহ ইয়ার নির্দেশের ফলোআপ হিসেবে, যেটা সে প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষকে দিয়েছিলো যাতে করে শরনার্থীদের যথাসম্ভব সাহায্য গ্রহন ও প্রদান করা হয়।
৪. ইতিমধ্যেই কিছু প্রতিবেদন আমরা পেলাম, সেখানে যুদ্ধ হচ্ছে পুরোদমে। যেখানে বলা হয়েছে, পূর্ব পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে ভারতের সীমান্ত দ্বারা নিগৃহীত শরনাথীদের জামিন দেয় যারা সীমান্ত পার হতে চায় তাদের নিজেদের দেশ পাকিস্থানে ফিরে যাবার জন্য।