বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের রিপোর্ট

শিরোনাম। সুত্র তারিখ
বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরের রিপোর্ট বাংলাদেশ সরকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ৬-১৫ জুন, ১৯৭১

 

মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানাব .এইচ.এম. কামারুজ্জামান সাহেবের উত্তরবঙ্গ সফরের রিপোর্ট: হতে ১৫ জুন .

 

মাননীয় মন্ত্রী মুরশিদাবাদ, মালদা, দিনাজপুর, জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি ও কোচবিহার জেলায় সফরে গেলেন, সঙ্গে জনাব প্রসুন মজুমদার মুক্তিবাহিনীর সহায়ক সমিতি, জনাব খালেক আহমেদ আই.জি. বাংলাদেশ, জনাব আব্দুর রউফ চৌধুরী, এম.পি.এ. (কুষ্টিয়া) অনুষঙ্গী হিসেবে সফরে ছিলেন, প্রতিটি জেলায় যথোপযোগী সংগঠন গড়ে তোলার লক্ষ্যে এবং বিভিন্ন ট্রানজিট প্রশিক্ষণ ক্যাম্পও পরিদর্শন করতে, ক্যাম্পগুলোর বিভিন্ন সমস্যা সচক্ষে দেখবেন এবং ভিন্ন ভিন্ন এম.পি.এ. ও এম.এন.এ.দের নির্দিষ্ট কার্যক্ষেত্রের দায়িত্ব বণ্টন করবেন।

 

মুরশিদাবাদ: ৬ষ্ঠ৭ম, ১৫তম। .

 

ডি.এম., এস.পি. এবং স্থানীয় এম.পি.এ.-দের এবং এম.এন.এ.-দের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। বহরমপুর থেকে প্রায় ৩০মাইল শেখপুরা পরিদর্শন। সেখানে অবস্থিত দুটি ক্যাম্প পরস্পর ৬ মাইল দূরত্বে রয়েছে, উপস্থিত জনবল যথাক্রমে ৮৮+৮১ জন। মো: হাদী হলেন সূর্যসেন ভারতী শিবিরের ভারপ্রাপ্ত আর তিতুমীর বি.এস. এর ভারপ্রাপ্ত ডাঃ আলাউদ্দিন, সম্প্রতি উভয়েই ২০০জন পাঠিয়েছেন উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্যে যার ভিতর ১০ জন শারীরিক পরীক্ষায় প্রত্যাখ্যান হয়ে ফেরৎ এসেছে। আবাসন সমস্যা গুরুতর, এজন্য আরও সৈন্য নিয়োগ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। খাদ্য ব্যবস্থা কিন্তু অপ্রতুল হলেও এটি বিস্ময়কর যে এটা নিয়ে ছেলেদের মধ্যে কোন অসন্তোষ নেই। বেশীরভাগ ছাত্রের বয়স ১৬ হতে ২১ বছর। অস্ত্রের অভাবের অভিযোগটি সার্বজনীন। সর্বাধিক ছেলেদের কোন জুতা ও ইউনিফর্ম ছিল না এমনকি গার্ড অব অনার দেবার সময়ও। . জেলার রাজনৈতিক সমন্নয়ক নির্বাচিত করা হয়: জনাব আব্দুস সালামকে। . ফিরতি পথে, ১৫.৬.৭১ তারিখ লালগোলার অপারেশন ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। জনবল ২৫০জন, বেশিরভাগ ইপিআর, ১০ জন M, ১৫ জন A, কমান্ডো ৩১ জন, বিস্ফোরকে ৫০ জন, ৪৯ জন প্রশিক্ষণ এর জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ক্যাম্পটি বেশ ভালো, এর সাথে রয়েছেন ক্যাপ্টেন রশিদ দাপ্তরিক এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে ক্যাপ্টেন গিয়াসউদ্দিন। ডিএম, জনাব অশোক চট্টোপাধ্যায় অবহিত করেন যে ইয়ুথ ক্যাম্প ভবনের কাজ জুনের শেষ নাগাদ শেষ হবে। কাজ ইতিমধ্যে দ্রুত এগোচ্ছে। মালদহ: ৭ম ৮ম, ১৩। সার্কিট হাউজে কর্মী ও নেতাদের সাক্ষাত। জনাব হাফিজ উদ্দিন, এম.এন.এ. হচ্ছেন রাজনৈতিক সমন্বয়ক। মেহেদীপুর ক্যাম্প ডাঃ মায়নুদ্দিন এম.পি.এ.এর অধীনে, আদমপুর জনাব — (হাসনু) এর অধীনে এই সব হচ্ছে অপারেশন ক্যাম্প। এনায়েতপুর ক্যাম্প ডাঃ মেজবাউল হক এম.পি.এ. এর অধীনে। সবল ছাড়া কোন দূর্বল প্রশিক্ষণার্থীর যেনো না হয়, মন্ত্রী ফেরার পথে তাদের পরিদর্শনের সময় নিয়োগক্ষেত্রে যাতে তারা তাকে ভাল ফলাফল দেখাতে পারে। . এ. হান্নান চৌধুরী, পূর্ব দিনাজপুরের জেলা জজ মালদা শহরে অবস্থান করে এবং ভাল কাজ করছেন। মন্ত্রী তাকে কলকাতায় নিতে চাইছিলেন, কলকাতার সরকারী বিচারিক কাজের জন্য সে প্রস্তাবের উত্তরে জানান তিনি যেখানে আছেন সেখানেই থাকতে চান।

১৩.৬.৭১. তারিখ ফেরববার পথে, এনায়েতপুর পরিদর্শন করেন। জনবল ১১০, এম-৩জন, এ-১জন, ইপিআর-১জন এবং বাকি সবাই ছাত্র। এপর্যন্ত ১১১জন প্রশিক্ষণার্থী পাঠিয়েছে। আবাসন ২০০জনের হয়তো ২৫০জন পর্যন্ত বাড়ানো যায়। ডি.এম. সয়াম্ভূ দে আর বি.ডি.ও. খুব সক্রিয়। . মেহেদীপুর অপারেশন ইউনিট (১৬১জন)-৮০জন ইপিআর, ১৯জন প্রশিক্ষিত সি., বাকিরা এ. ও এম.। আবাসন ভাল। বিএসএফ থেকে রেশনের ব্যবস্থা। . সম্প্রতি শুরু করা আদমপুর ইউনিট সীমান্তবর্তী এলাকায় (৪২জন) রয়েছে। সীমান্তের অপর প্রান্তে: ভোলাহাট। . উপরে দুই জেলায় স্থানীয় সংগ্রাম সহায়ক সমিতি অত্যন্ত সহযোগিতা পূর্ণ। .

 

জলপাইগুড়ি, ৯.৭.৭১

 

শিলিগুড়িতে ৮ম রাত কাটানোর পর মন্ত্রী মহোদয় সীমান্ত অতিক্রম করে ১০০বর্গ মাইল মুক্তাঞ্চলের মধ্যে যেখানে তেঁতুলিয়া ক্যাম্প অবস্থিত সেখানে যান। ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম ও সাব সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন নজরুল। জনবল ২৯২জন, এদের ভিতর কয়েকজন A এবং M বাকিরা ইপিআর এর। মুক্তিবাহিনীর এই সদস্যদের পরিবারদের জন্য আবাসন নির্মাণের কাজ মুক্তাঞ্চলের সীমান্তে শুরু হয়েছে। রেশন স্থানীয় BDM SS দ্বারা সরবরাহকৃত হচ্ছে। ১০০০ রিক্রুটের জন্য আরেকটি ক্যাম্প সীমান্তে নির্মিত হচ্ছে যার রেশন সরবরাহ শিলিগুড়ি BDMSSS. দ্বারা ব্যবস্থা করা হবে। ইপিআর ক্যাম্পের রিক্রুটমেন্ট এর জন্য অবশ্যই আমাদের কাছে জমা হবে। . একই দিনে আমরা তেঁতুলিয়া হতে ফুলবাড়ীতে যাত্রা করা হয় যেখানে নেতা-কর্মীদের এক সভায় ডাকা হয়েছে। উপরন্তু জনাব এস ইসলাম এর দায়িত্ব জনাব মাসরাফ হোসেইন, এম.এন.এ. কে দেওয়া হয়েছিল সমন্নয়ক (শিলিগুড়ি) হিসেবে এবং জনাব কামরুদ্দীন মুখতার এম.পি.এ. কে জলপাইগুড়িতে ছাত্রলীগের নেতা রউফ সাহায্য করতে অনুরোধ করা হয়েছে। . যেহেতু কিছু মানুষের খতমের সম্পর্কে বিতর্ক ছিল, তাদের গুপ্তচর বলে মনে করা হয়, অত:পর এটা নির্দেশ দেয়া হয় যে এম.পি.এ. এবং এম.এন.এ.-দের পরিষদ দ্বারা সর্বসম্মত সিদ্ধান্তক্রমে প্রস্তুত একটি তালিকা করে ব্যবস্থা নিতে। আমরা জলপাইগুড়ি শহরে গেলাম কিন্তু বৃষ্টি আমাদের চলাচল আটকে দিলো। .

 

কুচবিহার, ৯.৬.৭১

 

দেওয়ানগঞ্জ শিবির পরিদর্শন করা হয়। প্রায় ১০০ জন ছাত্র খোলা আকাশে তাঁবুর মধ্যে থাকে, নিকটতম নির্মাণাধীন এলাকা ৬মাইল দূরত্বে, খাদ্য সঙ্কট প্রকট, চাপাচাপি করে থাকবার ব্যবস্থা, কিন্তু এসব সত্বেও শিক্ষার্থীদের নৈতিক মনোবল খুব প্রখর। . ১০.৬.৭১ তারিখ, কোচবিহার শহরে অবস্থিত সংখ্যায় প্রায় ২১০জন জনবলের একটা গুদামঘর যার বায়ু চলাচলের অবস্থা খারাপ এমন একটি ক্যাম্প পরিদর্শন কারা হয়। স্থানীয় সংগ্রাম সহায়ক সমিতির দ্বারা পরিচালিত হচ্ছেনা কারন BDMSSS এর কেন্দ্রীয় কার্যালয় স্বীকৃতি দেয়নাই। এ উৎস হতে কোনপ্রকার সাহায্য নেই, থাকার ব্যবস্থা অমানবিক, খাদ্য সংকট প্রকট, যথেষ্ট খালী জায়গা রয়েছে। ক্যাম্প ভারপ্রাপ্তঃ . এক সংগঠন সেখানে লিবারেশন কাউন্সিল নামে চলছে। তাদের রাজনৈতিক সমন্নয়ক মতিউর রহমান।. কোচবিহার ব্যবসায়ী সমিতি ও সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছে।. ৮ থেকে ১১ তারিখ আমাদের সাধারণ সম্পাদক শ্রী অরুন মৈত্র আমাদের সঙ্গে ছিলেন। . পরবর্তী পরিদর্শন করলাম সাহেবগঞ্জ অপারেটিং ইউনিট, জনবল ৮০০জন, আমরা পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস কর্মী শ্রী রাজেন চট্টোপাধ্যায় এর সাথে সমস্যাদি নিয়ে আলোচনা করলাম। তিনি অন্যায্য সীমান্ত-বানিজ্যের সংবাদ দিলেন। তিনি এছাড়াও সংবাদ দিলেন যে ৬জন ছেলেকে শক্তি প্রদর্শন করে বাধ্য করা হয়েছে কোচবিহার টাউন ক্যাম্প ছেড়ে সীমান্তের ওপার চলে যেতে।

সাহিবগঞ্জের ভিতরে বি এস এফ এর ভারপ্রাপ্ত মেজর নাজেশ মাত্র ৫০০ জনের পচা রেশন সরবরাহ করেছেন।এইগুলো দিয়ে ৮০০ জন এর খাবার চাহিদা নির্বাহ করা অত্যন্ত কষ্টকর।সশস্ত্র বাহিনীর টাকা জমা রাখার জন্য প্রত্যেক ইউনিটে একটি করে বাংলাদেশ ব্যাংক খোলার জন্য মেজর পরামর্শ দিয়েছেন।তাদের একজন চিকিৎসকও প্রয়োজন।একজন চিকিৎসক সহকারী ইতিমধ্যেই সেখানে আছেন তাকে নিয়োগ দেয়া উচিত। প্রয়োজনীয় দ্রব্যের তালিকা জমা দেয়া হয়েছিল।

১০-৬-৭১ মাড়ওয়ারির গুড্ডিতে রাত্রীকালীন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল,এটি বাংলাদেশীদের কাছে এখন কারিয়ালা নামে পরিচিত।বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন এলাকার নেতৃবৃন্দ যথারীতি সেখানে উপস্থিত ছিলেন।স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক দলের নেতারা মন্ত্রীর সাথে আলাদা ভাবে কাল সকালে সাক্ষাৎ করবেন।১১ তারিখ রাত শিলিগুরিতে থাকা হবে।

দিনাজপুর, ১২জুন-১৩জুন

ইসলামপুর ১২ তারিখে আমরা যে ক্যাম্পটি পরিদর্শন করেছিলাম সেটি একটি বিভিন্ন বাহিনী-ছাত্রদের সমন্বয়ে তৈরি একটি ক্যাম্প।এ.এম. ই পি আর-১০০ এবং এস-১০০।.  Camp  in  Charge Fazlul  Mia  finds  his  authority  questioned  by  the  BSF-EPR clique. সে ক্যাম্প এলাকায় থাকতে ভয় পাচ্ছে। প্রশিক্ষনার্থীরা তাদের গরু চড়াতে হয় বলে অভিযোগ করেছে। রান্নাঘর ক্যাম্প থেকে আধামাইল দূরে অবস্থিত।. Money inflow from across the border reported . কিন্তু সেখানে তাদের লোকবল ৫০০ এর বেশি বাড়ানোর বিধান রয়েছে।

একই দিনে রায়গঞ্জ (মালোনি) পরিদর্শন করা হয়েছিল, যেখানে ১ মাইল দূরত্বে দুটি ক্যাম্প আছে।আজিজুর রহমান দুটি ক্যাম্পেরই দায়িত্বে আছেন যার অপারেশন ক্যাম্প এর জন্য  এম ৫৪, ই পি আর ৬১ এবং টি এস ১০ বন্দোবস্ত করা হয়েছে এবং অন্যটির জন্য  এস ১২৫ যেটি অধিকাইংশই হিন্দু কলেজ ছাত্র (৬০%) দ্বারা ছোট একটি স্থানে গঠন করা হয়েছে।

১৩-৬-৭১ তারিখে আমরা কুরমাইল ক্যাম্প পরিদর্শন করেছিলাম যেটি সম্ভবত আমাদের দেখা সেরা ক্যাম্প।এর যোদ্ধা সংখ্যা ৭০০ জন।এর মধ্যে প্রায় ৪০০ জন গার্ড অফ অর্নারে অংশ নিয়েছিল এবং প্রচন্ড বৃষ্টিতে ভিজেও তারা মন্ত্রী উৎসাহ মূলক ভাষন শুনেছিল।ইতিমধ্যেই ১০০০ জনকে তাদের প্রশিক্ষনের জন্য পাঠানো হয়েছে।(২২৮+৩০০+৪০০)।প্রশিক্ষক ই পি আর।তাদের কোন রেশনে ছিল না অন্য জায়গা থেকে চাল এনেছিল।অপারেশন এখান থেকে পরিচালিত হচ্ছে।রাইফেল ৭-৮ শত।ক্যাপ্টেন বিস্ফোরক প্রশিক্ষক।একই সাথে  প্রধান প্রশিক্ষক।ক্যাম্পের দায়িত্ব প্রাপ্ত অধ্যাপক আবু সাইদ অত্যন্ত কার্যকর ভুমিকা রাখছেন।

কুরমাইল হতে ৭ মাইল দূরে বাঙ্গালীপুর অবস্থিত।এখানে আমরা দেখেছিলাম ১৪৩,৭৩ জন কাইগঞ্জ সেনা ক্যাম্প থেকে যোগদান করছে।আরো ৮৯ জন শীঘ্রই ফিরে আসবে।তাদের কাছে ৪ টি গ্রেনেড,১৬ টি রাইফেল এবং ৩ টি স্টেন গান আছে।মোঃ জ্বলিল ক্যাম্পের দায়ীত্বে।তারা তাদের চাহিদাপত্র জমা দিয়েছিল।

 

উল্লেখিত ক্যাম্পগুলো পরিদর্শন এর অভিজ্ঞতা থেকে একটি মোটামুটি সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় যে। যেখানে বাহিনী এবং ছাত্রদের আলাদা করে রাখা হয়েছে সেখান থেকে ভালো একটি ফলাফল দেখা যাচ্ছে।
নিম্নোক্ত পরামর্শগুলো পরিদর্শনের অভিজ্ঞতার আলোকে দেয়া হয়েছে

 

১- ই পি আর , বি এস এফ এবং ছাত্রদের ক্যাম্পগুলো আলাদা করে রাখা উচিত।

২- দ্রুততর সময়ের মধ্যে একটি ইউনিফর্ম এবং ভালো রেশন প্রশিক্ষনার্থিদের দেয়া উচিত।

৩-কুচবিহার নিয়ে বিডিএমএসএস সমিতির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া উচিত।ঐ জেলার বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে দ্রুত কার্যকর ব্যাবস্থা নেয়ার আহব্বান করা হচ্ছে।

পশ্চিম বঙ্গে অবস্থিত ট্রানজিট প্রশিক্ষন ক্যাম্প নিয়ে প্রতিবেদন

ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের পরিচালনা ইউনিট সহ ট্রানজিট ক্যাম্পের মোট সংখ্যা ৪০ এর বেশি হবে না। এর মধ্যে বেশিরভাগের সেনা সংখ্যা

 

<003.026.059>

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ তৃতীয় খন্ড

 

২০০,যদিও এর কোন কোনটিতে আবাসস্থল এর অপ্রতুলতা, রেশনের সহজলভ্যতার উপর বিধিনিষেধ আরোপের কারনে সেনা সংখ্যা অনেক কম আছে।প্রশিক্ষনার্থী সহ যাদের উচ্চতর প্রশিক্ষনের জন্য পাঠানো হয়েছে এর সংখ্যা অনেক বেশি হবে, এর মধ্যে একটি ক্যাম্পে ১৭০০ এর বেশি আছে ( কুরমাইল,দিনাজপুর) এই মুহুর্তে প্রাপ্ত মোট প্রশিক্ষনার্থীর সংখ্যা হবে প্রায় ১০০০০ কাছাকাছি বা ১০০০০।

আমাদের সম্মিলিত অভিজ্ঞতা থেকে(আই.ই প্রসুন মজুমদারের উত্তর বংগের প্রতিবেদন,আমাদের এবং আর.কারলেকারস ২৪ পরগনার অভিজ্ঞতা এবং আমিনুল ইসলাম এর সাথে আমাদের নদীয়া যাবার অভিজ্ঞতা)এটা প্রমানিত যে  প্রশিক্ষন ক্যাম্পগুলো রয়েছে তাতে কোন কার্যকর প্রশিক্ষন বা আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়। In the name of screening the Awami League M.P.A. and M.N.A.s indulge in many vices, fully over the students and if caught at it try to back each other।সেখানে বনগাও সেক্টরের তলিখোলা ক্যাম্প থেকে ৭৫ জন ছেলে বহিস্কার,অথবা কুচবিহার শহরের ক্যাম্প থেকে ৬ জন ছেলে বহিস্কারের কোন যথাযথ প্রতিবেদন নেই।উপরন্তু নদীয়াতে অবস্থিত প্রগতিশীল আওয়ামীলীগ,ছাত্রলীগ এবং ন্যাপের কর্মীদের আলাদা ক্যাম্পগুলোতে হুমকির খবর রয়েছে।

এখন পর্যন্ত রেশনের মান খুব ধীরগতিতে উন্নিত হচ্ছে, সে তুলনায় বিডিএমএসএস কতৃক অতিরিক্ত টাকা দেয়ার ঘটনা রয়েছে,যা ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা ব্যাক্তির কাছে সঞ্চিত রয়েছে।তারা শুধু জনপ্রতি জমাখরচের হিসেব প্রদান করে,নানা কারনে তারা ক্যাম্পে থাকেন না এবং এদের সাক্ষাৎ পাওয়া খুব কঠিন বিষয় যে কারনে বেশিরভাগ দিনই ক্যাম্পের চলতি দায়িত্বে থাকা নেতার শিফট ব্যাবস্থা চালু করতে হয়।যখন তারা,তাদের বন্ধু অথবা আমরা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাই আমরা চা এবং বিস্কুট দ্বারা আপ্যায়িত হই যা এই টাকা থেকেই আসে।ইউনিফর্ম উন্নতমানের রেশন এর অপরিহার্যতা,আলাদা আবাসস্থল এবং ক্যাম্পে আগত দর্শনার্থীদের নিয়ন্ত্রন করা হচ্ছে এখন গুরুত্বপূর্ন বিষয়।

ক্যাম্পে খাবার নেবার সময় বেশিরভাগ নেতা তাদের থালা পরিস্কার করেন না,তারা যে কোন ধরনের হাতের কাজ করতে অস্বিকৃতি জানান, রিলিফের মালামাল এবং তাদের নিজেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে অভিযোগ রয়েছে।ছেলেদের কেবল তাদের দ্বারা সকল কাজ করতে বাধ্যই করান হয় না, তাদের দিয়ে সমস্ত সীমন্ত জুড়ে গরু চড়ানোর মত উদ্ভট কাজও করান হয়।যথোপযুক্ত প্রাথমিক রাজনৈতিক জ্ঞান  এবং ক্যাম্পে থাকার জন্য উদ্বুদ্ধ করার মত গভীর অনুধাবনযোগ্য বিবৃতির অভাব রয়েছে।

 
এই কঠিন সময়ে কেউ ভুল থেকে শিক্ষা নিচ্ছে না।এত বাধা বিপত্তির মধ্যেও যে সকল লোক সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিল এবং ভুলগুলো বুঝতে পেরেছিল তাদের এইগুলো নিয়ে আলোচনা করার আগ্রহকে আবদ্ধ করা হয়েছে।.  Instances  of  harm done  by  strong  attachment  to  a  locality  or  sentimental attachment to places are very commonly heard nevertheless .তাদের এই ধরনের মনোভাব উপেক্ষা করে  যুদ্ধ করার মানসিকতা বাহিনীর মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া প্রয়োজন।২০ শতাংশ বা তার বেশি হিন্দু নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন যদি তারা ফিরে যায়।.  This  means  recruitment  of  Scheduled castes and NAP students since militant Hindus belong to one or the other  সব জায়গাতেই বি এস এফ এবং ই পি আর কে ছাত্রদের থেকে আলাদা করে রাখা উচিত। বি এস এফ কে সড়ানোর পরামর্শ অনেক জায়গা থেকে এসেছেঃসম্প্রতি মুর্শিদাবাদ থেকে  সড়ানোর বিষয়টি বেশ ভালো হয়েছিল।দিনাজপুরে মধ্যে ইসলামপুর (ঠাকুবাড়ি) ক্যাম্পের কাছে ক্যাপ্টেন সুভাষ এর বিষয় এ ধরনের একটি ঘটনা।

Scroll to Top