শিরোনাম | উৎস | তারিখ |
৯৯। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের অটোগ্রাফ | সাপ্তাহিক ‘রোববার’ ঢাকা ২৩ মার্চ, ১৯৮০ | অক্টোবর, ১৯৭১ |
ট্রান্সলেটেড বাইঃ Aparajita Neel
<১১, ৯৯, ৬৩১– ৬৩৯ >
অনেকেই জানেন না বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম অফিসারদের কথা। যুদ্ধের মধ্যে দিয়েই এইসব অফিসারদের জন্ম। এইসব অফিসারের পরম গৌরব যে, মাতৃভূমি হানাদারমুক্ত করার জন্যে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছেন – অনেকে জীবন দিয়েছেন। ৯ অক্টোবর ১৯৭১-এ সব অফিসারদের সামরিক ভাষায় ‘পাসিং আউট’ হয়। তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম অফিসারদের সালাম গ্রহণ করেন এবং তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন।
৯ অক্টোবর এসব তরুণ অফিসার সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ার মুহুর্তে ওয়ালীর এক ছোট ডায়েরীতে তাদের “অটোগ্রাফ” দিয়েছেন। সাথে লিখেছেন দু’এক ছত্র কথা কবিতা। ওয়ালী ছিলেন প্রথম কমিশনপ্রাপ্ত অফিসারদের একজন। সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসাবে তাকে ৮ম বেঙ্গল রেজিমেন্টে পোস্টিং দেয়া হয়।
ডায়েরিতে স্মৃতি হয়ে রয়েছে তরুণ ৬১ জন অফিসারদের “অটোগ্রাফ”। কালের সাক্ষী ডায়েরী থেকে সেসব কথা কাহিনীর কিছু কিছু কথা তুলে ধরা হলো।
১।
“আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা রইলো।”
– শওকত
২।
“বাঙ্গালী মরে একবার। দুইবার নয়।”
– ফারুক
– ২ লেফটেন্যান্ট
৩।
“ওলি,
বিশ্ব কবির সোনার বাংলা
নজরুলের বাংলাদেশ,
জীবনানন্দের রূপসী বাংলা
রুপের যে তার নেইকো শেষ।
এই সোনার বাংলাকে যারা শ্মশানে পরিণত করেছে-তাদেরকে পরাজিত করে পবিত মাতৃভূমিকে মুক্ত করাই হোক তোমার আমার সবার জীবনের শেষ ব্রত। তিতুমীর, সূর্যসেনের শৌর্যবীর্যের ঐতিহ্যে ভরা বাংলার প্রতিটি ধুলিকণা-সেই ঐতিহ্য সমৃদ্ধ হোক আমাদের বীরত্বে। জীবন দিয়ে হলেও আমরা দেশকে স্বাধীন করবো।
জয় বাংলা”
সেক্টর – ১ প্রীতিমুগ্ধ
২৪শে আশ্বিন ১৩৭৭ বাবুল
সেঃ লেঃ মনসুরুল আমিন
৪।
“প্রিয় অলি,
আপনার চারিপাশ সবসময় উৎসবমুখর থাকুক এবং আপনি একজন বীর সৈনিকের মত দেশপ্রেমের সর্বোচ্চ উচ্চতায় এগিয়ে যাবেন, আমি সেই প্রত্যাশা করছি।
সবশেষে আমি আপনার জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে সাফল্য কামনা করছি।”
আপনার একান্ত,
এইচ. মস্তফা কামাল
কেয়ার/অফ. জনাব জামাল উদ্দিন
২, পি. সি. ব্যানার্জি রোড
ঢাকা-১
৫।
“জীবন সংগ্রামে তিমিরাচ্ছন্ন রাতের আঁধারে যে পথে পা বারিয়েছো, সে পথে খোদা যেন সদা তোমার সহায় হোন এবং এ রাতের অবসানে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে তোমায় যেন আবার আমাদের মাঝে ফিরে পাই।”
রাকিব,
চাটগাঁ
১২ই অক্টোবর ১৯৭১
৬।
“বন্ধু তোমার ছাড়ো উদ্বেগ,
সুতীক্ষ্ণ করো চিত্ত,
বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি
বুঝে নিক দুর্বৃত্ত।
শত্রুনিপাতে তোমার বিজয় কামনা করি।”
মাসুদ
১-১০-৭১
৭।
“শুভানুধ্যায়ী,
তোমার সাথে কাটানো ১০৫ দিন আমি চমৎকারভাবে উপভোগ করেছি। কত প্রিয় এবং অপ্রিয় ঘটনা ঘটেছে এই সময়ের মাঝে। কিন্তু তোমার আনন্দিত চেহারা কখনো ভুলবো না।
পশ্চিম পাকিস্তানি বেজন্মাদের খুন করতে করতে তোমার জীবন আনন্দে ভরে উঠুক, আমি এই কামনা করছি।
সবশেষে আমাদের মধ্যকার আনন্দের ঘটনাগুলোর স্মৃতি মনে করে বিদায় নিচ্ছি। তোমার জন্য রইলো শুভকামনা।”
২য় লেফটেন্যান্ট
মঞ্জুর আহমেদ
ডাওকি।
৮।
“পরিচিত হয়ে ভালো লাগছে। যুদ্ধের জন্য রইলো শুভকামনা।”
শ্রদ্ধা রইল
এ। মতিন চৌধুরী
৯।
“তোমার জন্য রইল শুভকামনা”
দিদার
১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট
আগরতলা
১০।
“গত ১৫ সপ্তাহ ধরে আমি আপনাকে একজন ভালো বন্ধু হিসাবে কাছে পেয়েছি। আশা করছি তেমনভাবে মৃত্যুর আগপর্যন্ত পাবো। আপনি ভালো থাকুন এবং মাথা ঠান্ডা রাখুন, কারণ আপনাকে ঢাকায় না যাওয়া পর্যন্ত বেঁচে থাকতে হবে। আমি আপনার সর্বাঙ্গিন সফলতা কামনা করছি।”
ভালোবাসা রইলো,
সামাদ*
৯/১০/১৯৭১
[*লেঃ সামাদ স্বাধীনতার সূর্যকে দেখে যেতে পারেননি। যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে ৬ নং সেক্টরে পাকিস্তানীদের সঙ্গে এক ভয়াবহ সম্মুখ সংঘর্ষে তিনি শহীদ হন।]
১১।
“প্রিয় ওলি,
তোমার জন্য রইলো শুভকামনা। এবং আশা করছি তুমি যেন পাঙ্গাবী সৈন্যদের ………”
মিজান
১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট
আগরতলা
১২।
“বাংলাদেশের স্বাধীনতায় তোমার দান চির স্মরণীয় হয়ে থাকুক।”
আব্দুল্লাহ খোকন
১৩।
মনের দীপশিখা রেখো অনির্বাণ।
মুহাম্মদ আবুল হোসাইন।
সিদ্ধিরগঞ্জ, ঢাকা।
১৪।
“বন্ধুবর,
জীবন্দের এই কঠিন সংগ্রামে কৃতকার্য হও, এই কামনা করি।”
তোমার তাহের
সেক্টর – ১১
১৫।
“জীবনের সকল ক্ষেত্রে তোমার সফলতা কামনা করছি।”
আজিজ*
৯/১০/৭১
৯ বি, আগরতলা
[*লেঃ আজিজ আজ নেই। যুদ্ধের চরম পর্যায়ে পাকিস্তানীদের সঙ্গে সম্মুখ সংঘর্ষে শহীদ হন তিনি।]
১৬।
“এদেশের মানুষের স্বাধিকার আদায়ের জন্য সালাম, বরকতসহ আরও নাম না জানা অনেকে যেভাবে বুকের তরতাজা রক্ত দিয়ে গিয়েছে – আমি মনে করই, আমার বন্ধু হিসাবে তুমি তাদের রক্তের ঋণ অবশ্যই পরিশোধ করবে।”
তোমারই
জহির
সিলচর
সেক্টর – ৪ (চার)
১৭।
“প্রীতিবরেষু,
একগুচ্ছ সোনা-ঝরা দিন আমাদের স্মৃতি মণিকোঠায় চির ভাস্বর হয়ে থাক। আগামী দিনের প্রতিটি সংগ্রামী পদক্ষেপে তুমি অর্জন করো চরম সাফল্য।
আমাদের আন্তরিক বন্ধন হোক শাশ্বত।”
শুভেচ্ছার অসীমতায়
জামিল আহসান
৯/১০/৭১
১১ বেঙ্গল, আগরতলা।
১৮।
“আশা করছি ঢাকায়, সম্পূর্নরুপে স্বাধীন বাংলাদেশের একজন অফিসার হিসাবে আবার দেখা হবে।”
শাহরিয়ার হুদা
২৩২/লালমোহন সাহা রোড
ঢাকা
১০/১০/১৯৭১
১৯।
“আমি আশা করছি তুমি …………… পাকিস্তানীদের …………ব্রিটিশ”
সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট সেলিম হাসান*
[*লেঃ সেলিম হাসান স্বাধীন বাংলার মাটিতে ১৯৭২-এর ৩০ জানুয়ারি মিরপুরের পাকিস্তানী হানাদারদের আকস্মিক আক্রমণে শহীদ হন।]
২০।
“বিজয়কে যদি সুনিশ্চিত করতে চাও, এই মুক্তিসংগ্রামকে গণযুদ্ধে রূপ দাও।”
আনিস হাসান
৯ অক্টোবর, ১৯৭১
২১।
‘সংগ্রামে আমাদের জীবন শুরু, সংগ্রামেই যেন শেষ হয়। ‘
সৈয়দ আবু সাদেক
২২।
“প্রতিশোধের রক্তে ধুয়ে বাংলা মা কে মুক্ত, পবিত্র করার পর আবার দেখা হবে।”
নজরুল
১১-১০-৭১
২৩।
“আল্লাহকে ছাড়া কাহাকেও ভয় করিও না।”
কবির
২৪।
“আমি যুদ্ধের ময়দানে তোমার সফলতা কামনা করি।”
তোমার প্রিয় বন্ধু
ওকাত হাসান
শীলচর
২৫।
“বিদেশের এই ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের সোনাঝরা দিনগুলোর অবসানে যেন আমাদের আত্মিক সম্বন্ধ বিশ্লিষ্ট না হয়। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তোমার নেতৃত্ব ইতিহাস সৃষ্টি করুক। আমাদের বন্ধুত্ব চির অম্লান-অক্ষয় অব্যয় হউক।”
জয় বাংলা
মমতাজ হোসেন
১১-১০-৭১
৪র্থ তলা
আগরতলা
২৬।
“আঘাত যদি করে তারা
ফিরিয়ে দেব আঘাতটাই
বাংলা ভাষা,
বাংলা মাতা
আমার দেশের স্বীকৃতি চাই।”
মাহবুবার রহমান
১১-১০-৭১
২৭।
“Keep your mouth shut and bowels open.”
দিপু
১১/১০/৭১
সেক্টর – ৭
রায়গঞ্জ, ওয়েস্ট দিনাজপুর।
২৮।
“তোমার সফলতা কামনা করছি।”
কায়সার হক
সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট
রায়গঞ্জ, ওয়েস্ট দিনাজপুর।
২৯।
“তোমার সফলতা কামনা করছি।”
শেখ কামালুদ্দিন
৯.১০.৭১
৮, থিয়েটার রোড
কোলকাতা
৩০।
“জীবনের সর্বক্ষেত্রে সাহস ও বীরত্বের পরিচয় দাও- এই কামনা করি।”
আমিনুল ইসলাম
সেক্টর-৭
৩১।
“তোমার আন্তরিক শুভেচ্ছাসহ-”
খোন্দকার নুরুন নবী
৯-১০-৭১
সেক্টর-৮
৩২।
“তোমার সর্বাঙ্গিন সফলতা কামনা করছি।”
আপনার আন্তরিক
সৈয়দ আহমেদ
৩৩।
“তোমার সাফল্য কামনা করি’
মনসুরুল ইসলাম মজুমদার
২য় বেঙ্গল, আগরতলা।
৩৪।
“ছাতি ভাঙবে মাথা ফাটবে, তবু খেলা ছেড়ে হটব না।”
তাহের উদ্দিন আখঞ্জি
সেক্টর নং–৫, ডাউকি, সিলেট
৩৫।
“রাতের অন্ধকারের বুক চিরে নতুন প্রভাতের প্রদীপ্ত উজ্জ্বল শিখায়, সোনালী আলোয় উদ্ভাসিত সূর্যকে ছিঁড়ে এনে বাংলার মাটিকে করবো আমরা উদ্দীপ্ত। বাংলার মাটি, বাংলার আকাশ আর বাংলার নিগৃহীত লাঞ্ছিত মানুষ আবার হেসে উঠবে-গাইবে বন্দনা, গাইবে আবাহনী।”
জয় বাংলা
এস এম খালেদ
পটিয়া, চট্টগ্রাম
৩৬।
“তোমার জন্য রইলো শুভকামনা আর তোমার সর্বাঙ্গিন সফলতা কামনা করছি।”
ওয়াকিউজ্জামান
১১-০৭-৭১
৩৭।
“বাংলা মায়ের এ-দুর্যোগ মুহুর্তে বর্বর ইয়াহিয়ার দস্যু বাহিনীর বিরুদ্ধে আমাদের রাইফেল অব্যর্থ হউক, আজিকার এ-বিদায় ক্ষণে অশ্রুসজল নেত্রে পরম করুণাময়ের নিকট এই প্রার্থনা করি।”
ইতি-
নিরঞ্জন ভট্টাচার্য
৪ নং সেক্টর, সিলেট
৩৮।
“সংগ্রামী শুভেচ্ছা রইল। বাংলাকে স্বাধীন কর। এই কামনা করি।”
সেকেন্ড লে গিয়াস আহমেদ
১১-১০-৭১
৩৯।
“কামনা করি বিধাতার নিকট তুমি যেন বেছে নিতে পারো স্বাধীনতা সংগ্রামী শহীদ ততুমির, সূর্যসেন ও ক্ষুদিরামের পথ। বন্ধু, যুদ্ধ শেষে দাওয়াত রইল।”
জয় বাংলা
মুরাদ জালালাবাদী
সেক্টর–৪, শিলচর (আসাম)
৪০।
“বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমীর সমাপনী অনুষ্ঠানে সেকেন্ড লেফটেণ্যান্ট হিসাবে আমি আপনার সর্বাঙ্গিন সফলতা কামনা করছি।
অনেক শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা রইলো।“
আপনার আন্তরিক,
সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট মোহাম্মাদ মোস্তফা
সেক্টর ৮, যশোর
৪১।
“সূর্য পূর্বদিকে বাদ দিয়ে পশ্চিম দিকে উদিত হলেও আমি বিশ্বাস করি আল্লাহতাআলার অশেষ রহমতে আমরা অবশ্যই স্বাধীনতা অর্জন করে আনব।
সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করুন। আশা করছি যুদ্ধক্ষেত্রে কুখ্যাত শত্রুবাহিনীর বিপক্ষে আপনি সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করে যাবেন।”
সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট মোঃ আবদুল জলিল।
হবিগঞ্জ, সিলেট
বাংলাদেশ
৪২।
“সংগ্রামী শুভেচ্ছা রইল।“
ফজলু
২য় বেঙ্গল রেজিমেন্ট
আগরতলা
৪৩।
“সৈন্যদের সেরাটা পাওয়া যায় যুদ্ধক্ষেত্রে। আশা করছি লক্ষ্য অর্জনে সৃষ্টিকর্তা তোমার সহায় হবেন।”
মইনুল ইসলাম
সেক্টর-২, তোড়া
৪৪।
“আমরা বাঙ্গালী। বাংলার স্বাধীনতার জন্য আমরা সংগ্রামে নেমেছি। আমাদের আদর্শ আমাদের কার্যাবলি আমাদের অগণিত দেশ প্রেমিক ভাইদের অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে। সুতরাং আমাদের আদর্শ দৃষ্টান্তস্বরূপ হওয়া উচিৎ। আপনার, আমার – সবার সহযোগিতায়ই তা সম্ভব। আপনার সাফল্য কামনা করি।”
ইতি
মোঃ আসাদুজ্জামান
সেক্টর-১১
৪৫।
প্রিয় ওয়ালী,
অতীত দুঃখ নিয়ে বেশী চিন্তা করবেন না কারণ তা সাফল্যর দিকে আপনার কার্যক্রমকে ব্যাহত করবে। অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
মোঃ মিজানুর রহমান
সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট, সেক্টর ১১,
৪৬।
“তোমার মহান কর্তব্যে তুমি সফলকাম হও। বাংলাদেশ আবার আমাদের সকলের বাংলাদেশ হোক।”
মোহাম্মদ আলি
৯-১০-৭১
বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী
৪৭।
‘অন্ধকারের বিরুদ্ধে আমাদের এই বিদ্রোহ’
এহসান
৯-১০-৭১
৪৮।
“আমরা একদিন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যে স্বাধিকার আন্দোলন শুরু করেছিলাম তা আজ আত্মোৎসর্গের মহান ইতিহাস হয়ে গ্রাম বাংলার পথে প্রান্তরে ছড়িয়ে পড়েছে। জাতির পিতা শেখ মুজিবের অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষিত শহীদ তিতুমির ও সূর্যসেনের উত্তরসূরি বংশধর স্বাধীন ও স্বার্বভৌম বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মৃত্যুঞ্জয়ী নওজোয়ান আজ দুর্জয় আক্রোশে রুখে দাঁড়িয়েছে।
আমাদের বিজয় আগামী দিনের জ্বলন্ত সূর্যের মতোই সত্য, ভাস্বর এবং অবশ্যাম্ভাবি।
বন্ধু তোমার ছাড়ো উদ্বেগ
সুতীক্ষ্ণ করো চিত্ত
বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি
বুঝে নিক দুর্বৃত্ত।”
রফিকুল ইসলাম
১১-১০-৭১
৪৯।
“ভাই অলিউর,
তোমার কথা আমি চিরদিন স্মরণ করি।
তুমি আমায় ভুলও না-”
শচিন কর্মকার
সেক্টর ৯, হাসনাবাদ, ২৪ পরগনা
৫০।
‘আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা রইল’
ফিরু ভাই
১২-১০-৭১
৫১।
“বন্ধু তোমার জন্য রইল বিপ্লবী অভিনন্দন।”
শাহ মোহাম্মদ ফজলে হোসেন
৩য় বাংলা বাহিনী
শিলং
৫২।
“আমাদের দ্বিধাহীন ত্যাগে আবার সজীব হয়ে উঠুক বাংলার পবিত্র মাটি।”
আনিস
৫৩।
“তোমার যাত্রাপথ হোক আলোয় উদ্ভাসিত।”
অলিক গুপ্ত
৯-১০-৭১
৮ নং সেক্টর
৫৪।
‘আপন গতিপথ থেকে ফসকে পড়া একটি উল্কার মত যখন আমার অবস্থা ঠিক সেই সময় মুক্তি ক্যাম্পে তোমার সাথে আমার পরিচয়। গত ১৫ টি সপ্তাহ তোমাদের সাথে কাটাতে পেরে আমি গর্ব বোধ করছি। আজ আবার কর্তব্যের অমোঘ টানকে অগ্রাহ্য করতে না পেরে সবাই সবাইকে ছাড়তে হচ্ছে। কিন্তু না, এ বিচ্ছেদ নয়, এ হল গন্তব্যস্থলের উদ্যেশ্যে বিভিন্ন পথ ধরে এগোবার পালা শুধু। আজ হোক কাল হোক আবার তোমাদের সঙ্গে দেঝা হবে। ‘
মোঃ আব্দুর রউফ
৯-১০-৭১