বাংলার বুদ্ধিজীবী ও গণহত্যার প্রতিবাদে ও স্বাধীনতা সংগ্রামকে সমর্থন করার জন্যে ব্রিটেনের ছাত্র-শিক্ষকদের প্রতি বাংলাদেশ শিক্ষক সম্প্রদায়ের আহ্বান

<৪,১৭,২৭>

অনুবাদকঃ কাজী সাদিকা নূর

শিরোনামসূত্রতারিখ
১৭। বাংলার বুদ্ধিজীবী ও গণহত্যার প্রতিবাদে ও স্বাধীনতা সংগ্রামকে সমর্থন করার জন্যে ব্রিটেনের ছাত্র-শিক্ষকদের প্রতি বাংলাদেশ শিক্ষক সম্প্রদায়ের আহ্বানবাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশান, ডান্ডি প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি

 

২৩ এপ্রিল, ১৯৭১

 

যুক্তরাজ্যের শিক্ষক এবং ছাত্রদের প্রতি একটি নিবেদন

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন,

২০, সাউথ জর্জ স্ট্রিট

(২য় তলা), ডান্ডি

পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঠান্ডা মাথায় এ দেশের বুদ্ধিজীবীদেরকে নিঃশেষ করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ (প্রাক্তন পূর্ব পাকিস্তান) -এর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, তাঁদের পরিবার-পরিজন এবং শিক্ষার্থীদেরকে হত্যার বিষয়ে আমরা আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।টাইমস’(লন্ডন, ৩০ মার্চ, ১৯৭১) পত্রিকায় বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের পুড়তে থাকা লাশ এখনও তাদের বিছানায় পড়ে আছেএকটি গণকবরকে তড়িঘড়ি করে ঢেকে ফেলা  হয়েছে”…একই পাশবিক ঘটনাকে ডেইলি টেলিগ্রাফ’(মার্চ ৩০, ১৯৭১)-এ প্রকাশ করে: বিস্ময়াভিভূত অবস্থায় আকস্মিকভাবে প্রায় ২০০ ছাত্রকে হত্যা করা হয় ইকবাল হলে… তারা ভবনে হানা দেয় এবং মেশিন গান দিয়ে কক্ষে গুলি বর্ষণ করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ইন্নাস আলি এবং ড: কামাল হোসেনসহ ঐ ঘটনার শিকার দুর্ভাগ্যবানদের কথা টাইমস’ (লন্ডন, ০২ এপ্রিল, ১৯৭১) পত্রিকার সেসব প্রতিবেদনসমূহে প্রকাশ করা হয়। গার্ডিয়ানএ ব্রিটিশ প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য অনুযায়ী লেখা হয় কীভাবে হানাদার বাহিনী বিশ্ববিদ্যালয়ের একই বাসভবনে ৯ জন প্রফেসর, তাঁদের পরিবার এবং ২১ জন ছাত্রকে হত্যা করা হয়

আমাদের সাথে একাত্ম হয়ে এই মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রকাশ করার জন্য  আমরা আপনাদের কাছে আবেদন জানাই।

ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীবৃন্দ

এবং সংশ্লিষ্ট কলেজের শিক্ষকবৃন্দ যারা স্কটল্যান্ডে শিক্ষারত আছেন