ভারতে সোভিয়েত অস্ত্রঃ সরকারী মুখপাত্রের তথ্য প্রকাশ

৭.১০৬.২২৮ ২২৯

শিরোনাম সূত্র তারিখ
১০৬। ভারতে সোভিয়েত অস্ত্র: সরকারী মুখপাত্রের তথ্য প্রকাশ দৈনিক পাকিস্তান ২৮ নভেম্বর,  ১৯৭১

 

সরকারী মুখপাত্রের তথ্য প্রকাশ

ভারতে সোভিয়েত অস্ত্র: পাকিস্তান সকলকে অবহিত করেছে

 

রাওয়ালপিন্ডি, ২৭ নভেম্বর, (এপিপি)।  পাকিস্তান ‘সকল উপযুক্ত মহলে’ ভারতের সোভিয়েট ইউনিয়নের অব্যাহত সামরিক সাহায্যের বিষয়টি গোচরীভূত করেছে। আজ সন্ধ্যায় একজন মুখপাত্র এ কথা জানিয়েছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সোভিয়েট ইউনিয়ন কয়েক বছর ধরে ভারতকে অস্ত্র সরবারহ করছে।

এসব সরবারহ এখন ভারতের কাছে দ্রুত গতিতে পৌঁছাচ্ছে। এগুলো পুরোনো অথবা নতুন চুক্তি অনুযায়ী ভারতে আসছে কিনা তা বলা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, আমরা সকল বৃহৎ শক্তি ও অন্যান্য দেশকে বলছি, পাকিস্তান অস্ত্রশস্ত্রে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। পক্ষান্তরে ভারত বিভিন্ন উৎস থেকে সামরিক সরঞ্জাম পাচ্ছে।

এমনকি পাকিস্তানে পাশ্চাত্যের অস্ত্র সরবারহ বন্ধের পরও ভারত তা পাচ্ছে। আমরা আমাদের চাহিদা পূরণের জন্য যা করা সম্ভব সবই করছি। তিনি বলেন, পাকিস্তান সকল বৃহৎ ও বন্ধু দেশকে আরো জানিয়ে দিয়েছে যে, ভারতের প্রতি সোভিয়েটের সামরিক সাহায্য নয়াদিল্লীকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে শত্রুতা করার উৎসাহ যোগাচ্ছে, তার মনোভাব কঠোর করেছে এবং পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে তাকে গভীরভাবে জড়িয়ে ফেলেছে। তিনি বলেন,  মস্কোর পাকিস্তানী রাষ্ট্রদূত জনাব জামসেদ মার্কার এখন ইসলামাবাদে আছেন। তিনি পররাষ্ট্র দফতরের সাথে এই উপমহাদেশে সোভিয়েত নীতির বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে এসেছেন।

সোভিয়েটের পত্র

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,  দুই দিন আগে সোভিয়েট রাষ্ট্রদূত প্রেসিডেন্টের কাছে একটি চিঠি দিয়েছেন। সংক্ষিপ্তভাবে এতে সোভিয়েটের আগের চিঠির বক্তব্যই বলা হয়েছে, তবে ভাষায় খানিকটা বিভিন্নতা থাকতে পারে। ‘এর দ্বারা আমাদের অবস্থানের পরিবর্তন বোঝায় না। সাজ্জাদ হায়দার-শরণ শিং বৈঠক সম্পর্কে মুখপাত্র বলেন, নয়াদিল্লী যে ধারনাই দিক বর্তমান উত্তপ্ত পরিস্থিতি প্রশমনের সমস্যা সমাধানের কোন গঠনমূলক প্রস্তাব দেয়া হয়নি।

তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান আগে উত্তেজনা হ্রাসের সুস্পষ্ট প্রস্তাবে সীমান্ত থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের কথা বলেছেন।

প্রশ্ন: ভারতীয় আক্রমনের বিষয়টি পাকিস্তান কর্তৃক নিরাপত্তা পরিষদে পেশ করার বাধা কোথায়?

মুখপাত্র: কোন বাধা নেই। তবে এটা খুব সহজ ব্যাপার নয়।

 

কতগুলো অবস্থার আলোকে এবং বৃহৎশক্তিগুলোর মতামতের ভিত্তিতে নিরাপত্তা পরিষদ বিষয়টি বিবেচনা করবে। এসব শক্তি সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘ সাধারন পরিষদে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রীর বক্তব্য সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘গনচীন পরিস্থিতি সম্পর্কে নিজস্ব সিদ্ধান্তে পৌছেছে।’ যখন সোভিয়েট অস্ত্র সমানে ভারতে আসছে তখন মস্কো-দিল্লী চুক্তি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নয়- সোভিয়েটের এই অভিমত পাকিস্তান কি করে বিশ্বাস করবে।

জবাবে মুখপাত্র বলেন, ‘আমাদের আগের ধারনা’ পরিস্থিতি আমাদের বিশ্লেষণভিত্তিক ছিল। কিন্তু আমাদের অভিজ্ঞতায় দেখছি চুক্তিটি ভারতকে উৎসাহ যোগাচ্ছে, তারা শত্রুতা বাড়িয়েছে, তারা মনোভাব কঠোরতর করছে।

বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী হীথ পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে মধ্যস্থতার কোন প্রস্তাব করেছেন কিনা তার জবাবে মুখপাত্র বলেন, এ রকম প্রস্তাবের কথা আমি জানি না।

Scroll to Top