মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাঙালিদের তৎপরতা সংক্রান্ত তথ্য

<৪,১৫২,২৯০-২৯৩>

অনুবাদকঃ মুশাররাত আলম মৌ

শিরোনাম সুত্র তারিখ
১৫২। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাঙালিদের তৎপরতা সংক্রান্ত তথ্য বাংলাদেশ ডিফেন্স লীগের মুখপাত্র “বাংলাদেশ নিউজ লেটার’ নং ৪ ১ জুলাই,১৯৭১

 

বাংলাদেশ নির্ভর করছে তোমাদের উপর

বাংলাদেশে বর্বর সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর তিন মাস অতিবাহিত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে হাজার লক্ষ বাঙালি মুক্তি ও ন্যায়ের পতাকাতলে তাদের জীবন উৎসর্গ করেছে। একটি সংরক্ষিত অনুমান হচ্ছে যে, পাকিস্তানি সৈন্যদের হাতে যারা নিহত হয়েছে তাদের সংখ্যা প্রায় পাঁচ লক্ষের কাছাকাছি। প্রায় ষাট লক্ষ মানুষ তাদের ঘর ছাড়তে এবং নিরাপত্তা ও আত্মরক্ষার জন্য সীমান্তের ওপারে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। প্রতিদিন আরও হাজার লক্ষ মানুষ সৈন্যদের বর্বরতা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, হত্যার কাহিনী নিয়ে ভারতে পাড়ি জমাচ্ছে। ক্লান্তি ও অবসাদে হাজার হাজার মানুষ যাওয়ার পথে মৃত্যুবরণ করছে। আরও হাজার মানুষ কলেরা ও অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়ে ভারতের জনাকীর্ণ শিবির গুলোতে মৃত্যুবরণ করছে এবং এই সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এই মানব প্রস্থানের মাত্রা মানব ইতিহাসে নজিরবিহীন। ভারত সরকার ও জনগন তাদের নিজস্ব সীমাবদ্ধতার মাঝেও লাখো অসহায় শরনার্থীদের দেখাশোনা করার মাধ্যমে অতিমানবিক কাজ করেছেন। আমাদের এই গভীর সংকটের সময় তাদের আমাদের প্রতি এই সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য আমরা তাদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বাঙালিরা তাদের জীবন উৎসর্গ করছে এটি নিশ্চিত করার জন্য যাতে আমরা ভবিষ্যৎ সময়ে মুক্ত ও গর্বিত বাঙালি হিসেবে বাচতে পারি। তাদের বীরত্ব ও সংকল্পের কাহিনী প্রতিদিন সংবাদমাধ্যম গুলোতে প্রচারিত হচ্ছে।

কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রয়োজনের সময় আমরা আমাদের মাতৃভূমির জন্য কি করছি? আমরা যারা পাশ্চাত্য জীবনের আরাম ও আয়েশে বসবাস করছি, যারা মৃত্যু, ধ্বংস ও দুর্যোগের দৃশ্যপট থেকে সরে এসেছি তারা নিজেদের প্রশ্ন করতে পারিঃ আমরা কি দেশের স্বার্থে আমাদের সর্বোচ্চ দিয়েছি? ব্যক্তিগতভাবে এবং সমষ্টিগত ভাবে, পাকিস্তানে প্রেরিত সকল সহায়তা বন্ধ করার জন্য আমাদের নিজেদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ পরিমান চাপ প্রয়োগ করতে হবে এবং পাকিস্তানে সহায়তা পাঠানোর বিরুদ্ধে শক্ত জনমত সৃষ্টির জন্য সকল সম্ভাব্য কার্যাবলি গ্রহণ করতে হবে।

দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশে এখন বৈদেশিক মুদ্রার খুবই প্রয়োজন। একটি ডলার আমাদের লক্ষ্য পুরণে অনেকখানি সহায়তা করতে পারে। আমাদের অঙ্গীকার হোক যে, আমাদের বেতনের কিছু অংশ আমরা অতীব প্রয়োজনের জন্য রাখব এবং বাকি অংশ থাকবে বাংলাদেশের সহায়তার জন্য। আমরা কি এর বাইরে কিছু করার সামর্থ্য রাখি?

পশ্চিম উপকুলের বাংলাদেশ দলের জন্য সমন্বয়ক পরিষদ

বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরুর সাথে সাথে সকল বাঙ্গালির স্বতস্ফুর্ত প্রতিক্রিয়া সমন্বয় ও বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে দেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। কার্যকরী যোগাযোগ ও সমন্বয়ের জন্য কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে পৌঁছানর জন্য, সান ফ্রান্সিসকোতে ২২ মে, ১৯৭১ একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল যাতে লস অ্যাঞ্জেলস, বার্কলে, সটানফোর্ড ও সান ফ্রান্সিসকো এর বাঙালি অধিবাসীদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় নিম্নলিখিত সিদ্ধান্তসমুহ গ্রহণ করা হয়েছেঃ

১। প্রধান সমন্বয়ক দল লস অ্যাঞ্জেলসে অবস্থান করবে এবং পশ্চিম উপকুলের বার্কলে, সান ফ্রান্সিসকো, সটানফোর্ড, সান ডিয়েগো, সান্টা বারবারা, ডেনভার (কলোরাডো) এবং টাসকন (অ্যারিজোনা) এর অন্যান্য দলগুলোর সাথে যোগাযোগ রক্ষা করবে। হাওয়াই, ডালাস এবং পিটসবার্গ (কানসাস) এর আরও দলসমুহের সাথে সমন্বয় স্থাপন করার উদ্যোগ গ্রহণ করবে।

২। নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন, শিকাগো ও মিশিগানের দলসমুহের সাথে প্রধান সমন্বয়ক দল কার্যকরী যোগাযোগ রক্ষা করবে এবং বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে গৃহীত সকল নির্দেশনাসমুহ পশ্চিম উপকুলের অন্যান্য সকল দলসমুহের কাছে পৌঁছে দেবে।

৩। সকল দলসমুহ জরুরি তথ্য সমূহ নিজেদের মধ্যে বিনিময় করবে এবং সকল স্থানীয় সদস্যদের কাছে সরবরাহ করবে।

৪। মোট সংগ্রহের ৫ শতাংশ অর্থ পশ্চিম উপকুলের দলসমুহ প্রচার ও অন্যান্য সমন্বয় খরচের উপরি ব্যয় বহন করার উদ্দেশ্যে লস অ্যাঞ্জেলসের দলের কাছে প্রেরন করবে।

৫। সাধারণত প্রতিটি দল আমাদের ভুমিতে সংঘটিত পাকিস্তানী সৈন্যদের নির্মমতা ও পাশবিকতার উন্মোচনের জন্য প্রচারনা অব্যাহত রাখবে এবং বাংলাদেশের পুর্ণ স্বাধীনতার বৈধ দাবিকে আমেরিকার সাধারণ জনগন ও বিশেষত আমেরিকান প্রতিনিধিদের মাঝে প্রচার করবে।

৬। তহবিল সংগ্রহের বিবরণী লস অ্যাঞ্জেলসে জমা দিতে হবে।

৭। সকল অধিবাসী ও সহানুভূতিশীলদের প্রধান তালিকা প্রস্তুত করবে এবং সকল দলের প্রধান সমন্বয়ক এমন ব্যক্তিদের নাম ও ঠিকানা লস অ্যাঞ্জেলসের সমন্বয়কদের কাছে প্রেরণ করবে।

জনসভা

বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন, রাত ৮ টায় ফ্রেন্ডস মিটিং হাউস, ফোর্থ এন্ড আর্ক ষ্ট্রীট, ফিলাডেলফিয়া, পেনসিলভানিয়াতে একটি জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। যার উদ্দেশ্য ফ্রেন্ডস অফ ইস্ট বেঙ্গল নামক একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা যার কাজ হবে ১। আমেরিকার জনগণকে পুর্ব বাংলার ঘটনাবলী সম্পর্কে অবহিত করা ২। ত্রাণ কার্যাবলিতে সহায়তা প্রদান ৩। পাকিস্তানে আরও সহায়তা প্রদানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আবেদন যতদিন না তারা পুর্ব বাংলায় তাদের ত্রাসের রাজত্বের সমাপ্তি ঘটাচ্ছে। এই জনসভার আয়োজন করেছেন  প্রফেসর চার্লস কাহ্ন ( ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভানিয়া), রেভারেন্ড রিচার্ড এল কিচ ( সেন্ট্রাল ব্যাপিস্ট চার্চ, ওয়েন) এবং অন্যান্যরা। সকলকে যোগদানের জন্য অনুরোধ করা হল।

নিউইয়র্কে বাংলাদেশ র‍্যালি

বাংলাদেশের সমর্থনে ১২ জুন, ১৯৭১ নিউইয়র্কে একটি বিশাল র‍্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র‍্যালিতে কানাডা ও ইউনাইটেড স্টেট এর বিভিন্ন জায়গা থেকে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্বকারী গোষ্ঠী সমূহ ও বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে প্রায় ২০০০ জন যোগদান করেছিলেন। বাংলাদেশে সংগ্রামী লক্ষ মানুষের জন্য প্রবাসে বসবাসকারী বাঙালিদের অসাধারণ উদ্বেগের প্রতিচ্ছবি ছিল এই র‍্যালি।

অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে সফল করার জন্য প্রয়োজনে যে কোন আত্মত্যাগের প্রত্যয় ব্যক্ত করে। বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের স্বাধীনতার বৈধ দাবিকে সমর্থনের জন্য আমেরিকান জনগণকে এগিয়ে আসার নিবেদন করে।

ইন্ডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম কমিটি ও আমেরিকান ফ্রেন্ডস অফ বাংলাদেশের সহায়তায় এই র‍্যালির আয়োজন করে বাংলাদেশ লীগ অফ আমেরিকা। সকলের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা করেন জনাব ইকবাল আহমেদ ( পশ্চিম পাকিস্তানী পণ্ডিত ) এবং জনাব জয়প্রকাশ নারায়ণ (ভারতীয় সর্বোদয় নেতা)

বিস্তারিত সংবাদসমুহঃ

বাংলাদেশের উপর একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ইউনিভার্সিটি অফ উইন্ডসর, কানাডা তে জুলাই ৭, ১৯৭১ তারিখে সন্ধ্যা ৭ টায়। সম্মেলনের আলোচ্য বিষয় হল  দ্য কেস ফর বাংলাদেশ। বক্তাদের মধ্যে আছেন প্রফেসর রন ইন্ডেন, ডিপার্টমেন্ট অফ হিস্ট্রি, ইউনিভার্সিটি অফ শিকাগো, প্রফেসর র‍্যালফ নিকোলাস, ডিপার্টমেন্টঅফ অ্যান্থ্রোপোলোজি, মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটি, প্রফেসর পিটার বারটোক্কি, ডিপার্টমেন্ট অফ অ্যান্থ্রোপোলোজি এন্ড সোশিয়লজি, অকল্যান্ড ইউনিভার্সিটি, মিশিগান, আজিজুল হক খন্দকার, ডেট্রয়েট  থেকে আগত বিডিএল ডিরেক্টর। সভার স্থান হল দ্য রুম, অ্যাসাম্পশন কলেজ, ৪০০ হুরন লাইন, উইন্ডসর, কানাডা। সকলে সভায় যোগদান করার জন্য আমন্ত্রিত।

বাংলাদেশ ডিফেন্স লীগের বোর্ড অফ ডিরেক্টরদের আগামী সভা অনুষ্ঠিত হবে ম্যাডিসন, উইসকনসিন এ শনিবার ৩ জুলাই ১৯৭১ তারিখে দুপুর দেড়টার সময়। বিডিএল এর সকল সদস্য এবং সকল শুভানুধ্যায়ীদের এই সভায় যোগদানে স্বাগতম জানানো হল। যদি আপনি আসার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন তবে অনুগ্রহ করে যোগাযোগ করুন বিডিএল,৪০৮ ভার্জিনিয়া টেরেস, ম্যাডিসন, উইসকনসিন। (ফোনঃ ৬০৮-২৩৩-০২৫৩)

বাংলাদেশ তথ্য কেন্দ্র ওয়াশিংটনে স্থাপিত হয়েছে যার দায়িত্বে আছেন জনাব আব্দুর রাজ্জাক খান। এই দপ্তর সকল ওয়াশিংটন ডি সি তে তদবিরজনিত সকল কার্যক্রম সমন্বয় করবে। যদি আপনার তদবির জনিত কাজে কোন নির্দেশনা দরকার হয় তবে যোগাযোগ করুন জনাব খান (৭০৩৯৩১-২৯৯৭)

সান ফ্রান্সিসকোতে সমাবেশ ও পদযাত্রা

আমেরিকান লীগ অফ বাংলাদেশ, সটানফোর্ড শাখা সান ফ্রান্সিসকো বে এরিয়ার অন্যন্য বেশ কিছু সংগঠন ও অন্যান্য লীগ শাখাগুলোর সাথে একত্রে বাংলাদেশী জনগনের সংগ্রামকে সমর্থন দানের জন্য জুন ২ তারিখ, বুধবারে একটি সমাবেশ ও পদযাত্রার আয়োজন করেছে ।

সান ফ্রান্সিসকোতে ইউ এস ফেডারেল ভবনের সামনে পদযাত্রার মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয়। যেখানে বেশ কয়েকজন বক্তা বাংলাদেশের বিয়োগান্তক ঘটনার বর্ননা দেন, এই বিয়োগান্তক ঘটনার প্রতীক হিসেবে একটি কালো কফিন ফেডারেল ভবনের সিঁড়ির উপর রাখা হয়। লোকজন বাহুতে কালো ব্যাজ পরিধান করেছিল এবং প্রচারপত্র বহন করে এই গনহত্যার নিন্দা জানাচ্ছিল এবং এই দুঃখজনক ঘটনায় ইউ এস এর ভুমিকা এই কফিনের চারপাশে একটি নিরব প্রতিবাদ হিসেবে ভুমিকা পালন করছিল। বক্তাদের মধ্যে ছিলেন  বার্কলে, ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার অধ্যাপক ক্লেইন্ডর্ফের,প্যাসিফিক স্টাডিস সেন্টারের মিসেস জুডিথ কার্নয়,   সোশ্যালিস্ট ওয়ার্কারস পার্টির পালো আল্টো, জনাব মার্ক স্নেইডার এবং আমেরিকান লীগ ফর বাংলাদেশের ডঃ রফিকুর রহমান। বক্তারা ইঙ্গিত করেন যে ইউনাইটেড স্টেটস সরকার এখনও পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে গভীর সামরিক ও অর্থনৈতিক সম্বন্ধ রক্ষা করে চলছে এবং পুর্ব বাঙালিদের উপর ভয়ঙ্কর গনহত্যা ও রাজনৈতিক নিপীড়নের বিপক্ষে দাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করেছে।

সমাবেশের শেষে বিক্ষোভকারিদের একটি  বড় অংশ কালো বাহু বন্ধনী পরিধান করে আড়াই মাইল দূরে অবস্থিত পাকিস্তান দুতাবাসে পদযাত্রা করে। এই পদযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অধিকাংশ ছিলেন আমেরিকান। এই পদযাত্রার উদ্দেশ্য বহনকারী প্রচারপত্র পথচারী, দোকান মালিক এবং পদযাত্রার পথে অবস্থিত সকল এলাকার অধিবাসীদের মধ্যে বিতরন করা হয়। পদযাত্রার সময় যারা বাঙালি কৃষকদের পোশাক পড়ে ছিলেন তারা কাধে কফিন বহন করছিলেন। তারা কপালে কৃত্তিম রক্তে রাঙ্গা ব্যান্ডেজ পরিধান করেছিলেন পাকিস্তানী গনহত্যার শিকার বাঙালি জনগনের দুঃখ দুর্দশাকে তুলে ধরার জন্য। স্লোগান যেমন” জয় বাংলা” বা “ বাংলাদশের জয়” পদযাত্রার সময় বারবার উচ্চারন করা হয়েছিল।

পাকিস্তান দুতাবাসে পৌঁছে বিক্ষোভকারিরা দুতাবাস ভবনের সামনে একটি সংক্ষিপ্ত পদযাত্রা করেছিল যেখানে ডঃ রফিকুর রহমান একটি প্রতিবাদ পত্র পাঠ করেছিলেন।

বাংলাদেশ লীগ সম্মেলন

বাংলাদেশ লীগ অফ আমেরিকার জাতীয় সম্মেলন নিউইয়র্কে জুন ২৬, ১৯৭১ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে। সকল বাংলাদেশী সংগঠনের প্রতিনিধিদের সম্মেলনে যোগদানের অনুরোধ করা হল।

 

বাংলাদেশী সাহিত্য,বোতাম ও বাম্পার স্টিকারের জন্য বাংলাদেশ ডিফেন্স লীগ, শিকাগোতে যোগাযোগ করুন।

প্রচারে

বাংলাদেশ ডিফেন্স লীগ

৫২৪৫ এস কেনঊড, শিকাগো, ৩ , ৬০৬১৫

Scroll to Top