শিরোনাম | উৎস | তারিখ |
৩৮। মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক কর্নেল এম এ জি ওসমানীর একটি চিঠি | ১ নং সেক্টরের দলিলপত্র | ১৫ নভেম্বর ১৯৭১ |
ট্রান্সলেটেড বাইঃ Saniyat Islam
<১১, ৩৮ , ৪৮৭>
IN LIEU OF NSCTORM
ওপিএস: তাৎক্ষণিক
হতে: ইস্টসিওই জি এস (এক্স) DTG – 151400 (গোপনীয়)
প্রতি: ডেল্টা সেক্টর এ- ১০১৫
ইনফো: আলফা ব্রাভো চার্লি একো একো ওয়ান ফক্সট্রট জুলিয়েট সেক্টরস ওপিএস শাখা (হাতে প্রেরিত)
সি-ইন-সি হতে ক্যাপ্টেন গাফফার (কমান্ড ইস্ট বেঙ্গল ৪) এর জন্য – তাকে কমান্ড ‘কে’, ‘এস’, ‘জেড’ এবং সকল ইস্ট বেঙ্গল কমান্ড এবং বাংলাদেশ সেক্টর কমান্ড (সিও এস) থেকে প্রত্যাহার করা হচ্ছে। “(১) সালদা নদী উত্তর অংশে খুব অল্প ক্ষতিসাধনে (নিহত ১, আহত ৭), আপনারা শত্রুর (নিহত ৩০ পাঞ্জাব সেনা সদস্য) পাল্টা আক্রমনের জবাবে আপনাদের বীরচিত যুদ্ধ জয়লাভে আমার হৃদয়গ্রাহী অভিনন্দন গ্রহণ করুন। আপনাদের এই প্রচেষ্টা বজায় রাখুন। এই বার্তা সকলের কাছে পৌছে দিন এবং বিশেষ কুরিয়ারের মাধ্যমে বীরত্ব পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পাঠিয়ে দিন। (২) আমি এটাও মনে করিয়ে দিতে চাই যে জয়ের খুব ক্ষীন সম্ভাবনার মধ্যেও এটিই আপনার প্রথম বিজয় নয় বরং এর আগেও প্রতিপক্ষের এয়ার ফোর্সকে প্রতিহত করে আপনি আপনার যুদ্ধ পরিচালনায় মেধা এবং নেতৃত্বের পরিচয় দিয়েছেন এবং এর স্বীকৃতিস্বরূপ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার আপনাকে বীরত্বের (তাৎক্ষণিক প্রযোজ্য) উচ্চ পর্যায়ের খেতাবে ভূষিত করছে। (৩) (শুধুমাত্র কে ফোর্সের জন্য প্রযোজ্য) অভিনন্দন। আইজিরো১৫এ ৩০(৩০) জুলাই ৭১ অনুযায়ী অতি সত্ত্বর কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ মানপত্র প্রিন্টেড ফর্মে পাঠাবেন যারা এই পুরস্কারে জন্য প্রযোজ্য / অন্য স্বীকৃতির জন্যও প্রযোজ্য। (৪) (এটি সকল বাংলাদেশ কমান্ড এবং বিএনএস ইস্টবেঙ্গলের জন্য প্রযোজ্য ) আপনাদের সকলের কাছ থেকে এরকম শত্রুজয়ের সুখবর আশা করছি।বীরত্ব পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন পাঠিয়ে দিন (জেড ফোর্স কমান্ড ৩ এবং ৪ নম্বর সেক্টর এই পুরস্কারের আওতা বহির্ভূত থাকবে)। বিশেষ কুরিয়ারে মাধ্যমে এই কাজ তরান্নিত করুন।” (জ্যাকপট সেক্টরের জন্য প্রযোজ্য) সকল ঠিকানায় এই বার্তার প্রাপ্যতা সুনিশ্চিত করুন।
এম এ জি ওসমানী
কমান্ডার-ইন-চিফ
১০১৫ এ, ১৫ নভেম্বর ১৯৭১