<৪,৮১,১৪০-১৪১>
অনুবাদকঃ মাহীন বারী
শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
৮১। লন্ডনে ১১ই অক্টোবর অনুষ্ঠিত কনভেনশন প্রশ্নে ভিন্নমতালম্বীদের সভার প্রস্তাবাবলী | এ্যাকশন কমিটির দলিলপত্র | ১১ অক্টোবর, ১৯৭১ |
এস এম আইয়ুবের সভাপতিত্বে ১১ই অক্টোবর লন্ডনে কনয়ে হলে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সক্রিয় কর্মীদের সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত সমুহঃ
১/ বাংলাদেশ একশন কমিটির আন্দোলনকারীদের এই সভা সুস্থ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ আন্দোলনের বিষয়ে ওয়াকিবহাল। একশন কমিটির অধুনা প্রকাশিতব্য জাতীয় কনভেনশনে যে সকল বিষয়ে আলোচনা আহ্বান করা হচ্ছেঃ
ক) যথাযথ মূল্যায়নের সাথে কার্যকরী কমিটির সিদ্ধান্ত উল্লেখ করতে হবে; যদিও অ্যাকশন কমিটির
সংস্থানিক কাঠামো ও কার্যপ্রণালী ঠিক করতে অতিশয় দেরি হয়ে গেছে কিন্তু তারপরেও অ্যাকশন কমিটি
কার্যকরী কমিটিকে প্রস্তাব করছে পূর্ণ সমর্থনের যাতে করে যতটুকু পারা যায় অধিবেশনকে সফল করার
ব্যাপারে।
খ) আঞ্চলিক কমিটিতে পেশ করবার জন্য কনভেনশন কমিটির সিদ্ধান্ত সত্যায়িত করা।
২/ সেন্ট্রাল বডির গঠন সংক্রান্ত প্রস্তাবনার উপরে গুরুগম্ভীর আলোচনা যেকোনো উপায়ে মিটিং এ রাখা হবে । এরই সাথে এর গঠনপ্রণালী ও কার্যকরণ প্রক্রিয়া বিষয়েও আলোচনা করা হবে।
৩/ এই সভা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, অধিবেশনের যেকোনো সিদ্ধান্তে ভোট প্রদানের অধিকার কেবল
তাদেরই আছে যারা যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ কম্যুনিটিতে আছেন এবং যারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে হয় অর্থ
সংক্রান্ত বিষয়ে নয়ত সরাসরি সংগঠিত হতে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁদের সংখ্যা এবং গঠন জনসংখ্যার
ঘনত্বকে প্রকাশ করতে পারে আবার নাও পারে। এরই প্রেক্ষিতে আমরা বলব যে, সকল অ্যাকশন কমিটিকে কমপক্ষে দু’জন প্রতিনিধিকে পাঠাবার জন্যে আমন্ত্রণ জানানো যাচ্ছে। এর সাথে যুক্তরাজ্যে স্বাধীনতা আন্দোলনে সাধারণ মানুষের সংশ্লিষ্টতা বিষয়ক দৃঢ় ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আসবার জন্য বলা হয়েছে।
৪/ সভা মনে করে অ্যাকশন কমিটির কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষকে দু’টি ভাগে ভাগ করা প্রয়োজন। প্রথম ভাগ কেবল অ্যাকশন কমিটির গঠন সংক্রান্ত ব্যাপারগুলো ধারণ করবে। এর জন্যে অধিবেশন কমিটিকে অবশ্যই অতিশীঘ্র গঠন সংক্রান্ত খসড়া অ্যাকশন কমিটিকে প্রদান এবং এ সম্পর্কে তাদের মতামত আহ্বান করতে হবে। আলোচনা অ্যাকশন কমিটির দলিল পত্র ১১ অক্টোবর ১৯৭১
ও সমালোচনার আলোকে গৃহীত মতামত কনভেনশন কমিটি গ্রহণ করবে যা তাদের চূড়ান্ত খসড়া প্রস্তুতকরণে সহায়তা করবে। চূড়ান্ত খসড়া অবশ্যই প্রথম অধিবেশনে যোগদানকারী অ্যাকশন কমিটির প্রতিনিধিদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে নির্ধারণ হবে।
৫/ প্রস্তাবিত অ্যাকশন কমিটিগুলোর কেন্দ্রীয় সংস্থার গঠন গৃহীত হয়ে গেলে ডকুমেন্ট কালবিলম্ব না করে
প্রণীত হবে এবং সকল অ্যাকশন কমিটিকে গঠনপ্রণালী অনুযায়ী নিজেদেরকে পুনরসজ্জিত করবার জন্য বলা হবে। পুনর্গঠিত অ্যাকশন কমিটিগুলো তাদের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ জানাবে, যাতে করে জাতীয় অধিবেশন পর্যায়ে গঠনপ্রণালীর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এগিয়ে নেওয়া যায়। এটি অ্যাকশন কমিটিগুলোর জন্য একটি কার্যকরী অনুষ্ঠান গ্রহণ করবে। এরই সাথে খ) অধিবেশন কর্তৃক গৃহীত অনুষ্ঠান ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের তাগিদে জাতীয় অধিবেশনে কর্মচারী ও পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হবে।
৬/ তদুপরি এই সভা মনে করে যে, বর্তমান অধিবেশন কমিটির নিকট জাতীয় অধিবেশন আয়োজনের ঝক্কি-ঝামেলা পোহাবার মতন যথেষ্ট উপযুক্ত মানব সম্পদ নেই। এই প্রেক্ষিতে অধিবেশন কমিটিকে ছাত্র,
ডাক্তার এবং মহিলাদের সমন্বয়ে গঠিত অ্যাকশন কমিটির সাথে সহযোগী হয়ে বিস্তার লাভ করতে বলা হচ্ছে। প্রয়োজনে কনভেনশন কমিটিকে বিশেষ বিশেষ কাজের জন্য উপ কমিটি গঠনের জন্যও বলা হচ্ছে।
৭/ এগুলোর পাশাপাশি সভা অ্যাকশন কমিটিগুলোর জাতীয় অধিবেশনের জন্য দশ সদস্য বিশিষ্ট আয়োজক কমিটি নিয়োগ দিয়েছে এবং সকল আঞ্চলিক কমিটিকে একই ধরনের উদ্যোগ কার্যকরী কমিটিকে প্রেরণ করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। যাতে করে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ আন্দোলন একটি সুস্থ ও গণতান্ত্রিক রূপ পায়, এজন্য আয়োজক কমিটির প্রতি সমর্থন ও পরিচর্যার আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।
অ্যাকশন কমিটিগুলোর জাতীয় অধিবেশন আয়োজনের নিমিত্তে আয়োজক কমিটির পক্ষে এস এম আইয়ুব কর্তৃক ইস্যুকৃত, ৩৩ ডাগমার রোড, লন্ডন এন ২২ (০১-৮৮৯—–৪৪৭৪)