অনুবাদঃ তামীম
<৬, ৩০৮, ৫৩১>
শিরোনামঃ মুজিবের বিচারঃ বাংলাদেশের আইনজীবীদের নিন্দা
সংবাদপত্রঃ দি নেশন ভলিউম ১ নং ১
তারিখঃ ২৪ সেটেম্বর, ১৯৭১
.
গত সপ্তাহে বাংলাদেশের মুক্তাঞ্চলের আইনজীবীরা একটি সংগঠন তৈরি করেন মুজিবনগরে। প্রবীণ বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ কফিলউদ্দিন চৌধুরী সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক নির্বাচিত হন। আইন ও সংসদব বিষয়ক মন্ত্রী খন্দকার মুশতাক নির্বাচিত হন প্রেসিডেন্ট পদে।
এই সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা হলেনঃ কাজি আবদুল খালেক (সেক্রেটারি), শাহ মোয়াজ্জেম হোসাইন, এমপিএ, আবু বকর সিদ্দিকি এবং শাহ জামাল বিশ্বাস ( ভাইস প্রেসিডেন্ট), চিত্তরঞ্জন গুহ এবং কাজি আব্দুস সালাম ( জয়েন্ট সেক্রেটারি), আবদুল হক (কোষাধ্যক্ষ) এবং সমরেশ চন্দ্র ঘোষ ( অফিস সেক্রেটারি)
সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো হলোঃ
১। এই সভা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনৈতিক সাজার জন্য পাক মিলিটারি জান্তা কে অভিযুক্ত করে এবং সমগ্র বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ ও আইনজীবীদের অনুরোধ করে তাঁদের দেশের সরকার যেন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়।
২। এই সভা জাতিসংঘের সদস্য দেশ গুলোকে আহবান জানায় বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার।
৩। এই সভা শান্তিকামী বিশ্ববাসীকে অনুরোধ করে ইয়াহিয়া খান, টিক্কা ও ভুট্টোকে অমানবিক গণহত্যা, মানবাধিকার লঙ্ঘন, দমন ও ধর্ষণ এর দায়ে বিচারের কাঠগড়ায় দাড়া করাতে।
৪। এই সভা সমগ্র বিশ্বের সকল নির্যাতিত ও নিপীড়িত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পূর্ণ সহায়তার সিদ্ধান্ত নেয়।
৫। এই সভা যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করে সরাসরি পাকিস্তানি সামরিক জান্তাকে অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করার জন্য, যারা সরাসরি মানবাধিকার লঙ্ঘনে এবং গণহত্যায় নিয়জিত। এই সভা যুক্তরাষ্ট্রের আইনজীবীদের আহবান জানায় তাঁদের সরকারের অস্ত্র সরবরাহ ও অর্থনৈতিক সহায়তায় তৎক্ষণাৎ বন্ধ করতে।
৬। জনপ্রিয় বাঙ্গালি সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় এর করুন মৃত্যুতে এই সভা তিন মিনিট নীরবতা পালন করে।