কম্পাইলারঃ সৌ রভ
<৬,৪২,৮২>
.
শিরোনাম:ঢাকা আমাদের
সংবাদপত্র”: জয় বাংলা(১ম বর্ষঃ ৩৩শ সংখ্যা)
তারিখ:১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১
.
[মহানগরীর সরকারী বেসরকারি ভবনে স্বাধীন বাংলার পতাকা বঙ্গবন্ধু দীর্ঘজীবী হোন ধ্বনিতে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত]
.
আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেলে ঢাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী আত্মসমর্পণ করেছে। অগ্রসরমান মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় জোয়ানদের সম্মিলিত অভিযানে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা নগরী মুক্ত হয়েছে এবং সকল সরকারী বেসরকারি ভবনে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড্ডীন হয়েছে। মুজিব নগর থেকে শীঘ্রই স্বাধীন বাংলার প্রশাসনিক সদর দপ্তর স্থানান্তরিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। তাবেদার গভর্নর মালেকের পদত্যাগের পর সেনারা নিজেরাই যুদ্ধ বিরতির আর্জি জানায়।
.
আজ বাংলাদেশের বীর মুক্তিবাহিনীর ও ভারতীয় জোয়ানগণ পাকিস্তানী ও হানাদারদের পশ্চাৎধাবন করে মহানগরী ঢাকায় প্রবেশ করলে বিরান ও ধ্বংসস্তূপ নগরী আবার সজীব হয়ে ওঠে এবং জয় বাংলা ও বঙ্গবন্ধু দীর্ঘজীবী হোক, বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী স্থায়ী হোক ধ্বনিতে ঢাকার আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। খান সেনারা এবং তাদের তাবেদারেরা সদলে আত্মসমর্পণ করেছে। আত্মসমর্পণের পর তাঁরা জেনারেল মানেক শ’র কাছে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব জানালে ভারতের সেনাপতি তাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
.
ঢাকা শহর মুক্ত হওয়ার খবরে অশ্রুজল কণ্ঠে আমাদের অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট এক বানীতে বলেছে, আমাদের বিজয় লাভ সম্পূর্ণ হল। এখন আমাদের সামনে আরো কঠিন কাজ বাকী। তা হল ধ্বংসস্তূপের মধ্যে একটা জাতির পুনর্বাসন এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক পূর্ণগঠন।
.
প্রধানমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন, স্বাধীন বাংলাদেশ বিশ্ব নিপীড়িত ও লাঞ্ছিত মানবতার একটি অকৃত্রিম বন্ধু জাতি হিসেবে গড়ে উঠবে। আমরা দেশ ও জাতিকে মুক্ত করার সংগ্রামে জয়ী হয়েছি। কিন্তু এখন জাতির পিতাকে মুক্ত করার সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে হবে।