<৪,২,৪-৭>
শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
২। ইস্ট পাকিস্তান লিবারেশন ফ্রন্টের মুখপাত্র ‘বিদ্রোহী বাংলা’-র প্রকাশিত তথ্যাবলী | ইস্ট পাকিস্তান লিবারেশন ফ্রন্ট | ২১ মার্চ, ১৯৭১ |
বিদ্রোহী বাংলা
বিদ্রোহী বাংলা: পাক্ষিক পত্রিকা: ৩য় সংখ্যা: বার্মিংহাম-রবিবার, ২১ মার্চ, ১৯৭১
আটজন বাঙ্গালী সৈন্যের নির্মম মৃত্যু
চট্টগ্রাম ৮ই মার্চডেইলি টেলিগ্রাফে প্রচারিত আটজন বাঙ্গালী সৈন্যকেফায়ারিং স্কোয়াডকর্তৃক গুলি করিয়া হত্যা করা হয়। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, চট্টগ্রামে বিক্ষোভ মিছিলের উপর গুলি চালাইতে বলা হইলে ৮জন অল্প-বয়স্ক অফিসার গুলি চালাইতে অস্বীকার করে। তাহারা বলে যে নিরস্ত্র জনসাধারণের উপর গুলি চালান সৈনিকের কাজ নয়। তাদের কাজ বৈদেশিক আক্রমণ থেকে দেশকে রক্ষা করা। উক্ত প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিশেষ সামরিক কর্মকর্তা তাদেরকে প্রকাশ্য ময়দানে গুলি করিয়া মারার হুমকি দেয় এবং অনতিবিলম্বে পাঞ্জাবী ফায়ারিং স্কোয়াডের সৈন্যগণ তাদের গুলি করে হত্যা করে। পৃথিবীর ইতিহাসে এ ধরনের নজির আর কোথাও দেখা যায় না। এই শহীদ সেনানীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা ছাড়া বাঙ্গালিদের আর কিছুই গ্রহণযোগ্য নয়।
পাকিস্তানি ব্যাংকগুলির দুষ্কৃতি
পুঁজিপতি শোষকদের সবচেয়ে মারাত্মক শোষণ-যন্ত্র হিসাবে কাজ করে যাচ্ছে পশ্চিম পাকিস্তানি ব্যাংকগুলি। ইদানিং পূর্ব পাকিস্তানের উপর অত্যাচার, হয়রানী ও হত্যার প্রতিবাদে ও আমানত খেয়ানতের ভয়ে বাঙালীগণ তাদের নিজের জমা ব্যাঙ্ক থেকে তুলতে গেলে পশ্চিম পাকিস্তানি তথা পাঞ্জাবিগণ (উচ্চ এবংনিম্নপদস্থসমবায়ে) তাদের সঙ্গে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যভাবে ব্যবহার করে এবং রীতিমত বিদ্বেষভাব প্রদর্শন করে শুধু তাই নয়, যাও অল্পসংখ্যক (নিম্নপদস্থ) বাঙালী কর্মচারী সে সমস্ত প্রতিষ্ঠানেকাজ করে তাদেরকে পরোক্ষভাবে নাজেহাল করে তাদের জীবন দুর্বিষহ করে তোলে।
এক্ষেত্রে সকল বাঙালিরই উচিত এই সমস্ত কুখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলোকে যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা এবং তাদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যে অসহযোগ করা। সবচেয়ে মজার বিষয় এই যে এর মধ্যে দু’-একজন বাঙালি তাঁবেদার এখনও সেই সমস্ত প্রতিষ্ঠানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। মীরজাফর এখনও জন্ম নিচ্ছে। সাবধান, এদের কথায় যেন ভুল করবেন না।
আর কত দিন?
গত ১৬ই মার্চ ঢাকা থেকে প্রাপ্ত খবরে প্রকাশ, “ইয়াহিয়া-মুজিব” আলোচনার প্রাথমিক পর্যায়ে কোন প্রকার সমঝোতায় এখনও পৌঁছতে পারেননি। ইয়াহিয়ার সঙ্গে আলোচনার পর প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে আসার পথে সাংবাদিকগণ “জয় বাংলা” ধ্বনি করিয়া শেখ মুজিবকে সংবর্ধনা জানায়। কিন্তু শেখ মুজিবকে তাতে খুব প্রফুল্ল দেখায়নি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি শুধু “আমাকে এখন জিজ্ঞেস করবেন না” বলে গাড়িতে উঠে পড়েন। গাড়ি চলতে শুরু করলে বাঙালি সাংবাদিকগণ ঘন ঘন “জয় বাংলা” ধ্বনি করিয়া শেখ মুজিবকে বিদায় সংবর্ধনাজ্ঞাপন করেন। সেনাবাহিনীর জনৈক উচ্চপদস্থ কর্মচারী জয় বাংলা ধ্বনি করিয়া ১০ বৎসরের সশ্রম কারাদণ্ডের ভয় দেখান। কিন্তু সাংবাদিকগণ তাতে মোটেই কর্ণপাত করেননি। দু’দিন আগেই হোক আর পরেই হোক জোড়াতালির পাকিস্তান আর কয়দিন।
আপোষ না সংগ্রাম (সম্পাদকীয়)
পূর্ব বাংলার জনসাধারণের এই অসহযোগ আন্দোলন নিয়ে এসেছে এক গণবিপ্লবের জয়জয়কার। এ গণবিপ্লব শুধু বাংলাদেশ আর পাকিস্তানই নয়, ভারত এবং দুরপ্রাচ্যে গণবিপ্লবের এক নতুন অধ্যায় খুলে ধরেছে।
মার্শাল এবং মিলিটারি নির্যাতন সত্ত্বেও বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলন যে গতিতে এগিয়ে চলেছে তাকে রোধ করা পাকিস্তানি পুঁজিপতি কেন সারা পৃথিবীর সাম্রাজ্যবাদীরা মিলেও রোধ করতে পারবে না।
গত ২৩ বছরের শোষণ নির্যাতন এবং বিড়ম্বনা আজ যতটা নগ্ন হয়ে পড়েছে তা বাঙালি কোনদিন কোনক্রমেই ক্ষমতা করতে পারবে না। তাই বাংলা মায়ের যোগ্য সন্তানেরা অকাতরে ঢেলে দিয়েছে তাদের তাজা কাঁচা তরুণ লাল রক্ত। তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে রূপায়িত করার জন্য বাংলার আনাচে-কানাচে আজ ধ্বনিত হচ্ছে “জয় বাংলা” বজ্রনিনাদ। বাংলার কিশোরেরা প্রস্তুত হচ্ছে মিলিটারিদের সঙ্গে লড়াই করারজন্য।তীর ধনু আর বাঁশের লাঠি নিয়ে বেরিয়ে পড়ার জন্য সার সার কাতারবন্দি হয়ে আছেনব বাংলার নতুন ক্ষুদিরাম আর তোরাব আশরাফ। কৃষাণ তৈরী হচ্ছে লাঙল রেখে, শ্রমিক আসছে কারখানা ছেড়ে, ছাত্রেরা বেরিয়ে এসেছে বিদ্যালয় থেকে। এরা সম্মিলিতভাবে আজ আওয়াজ তুলছে জুলুমের বিরুদ্ধে। এই শ্রেণিযুদ্ধে সাধারণের জয় অনিবার্য।
শোষক শ্রেণী বুঝতে পারছে তাদের পরাজয়ের কাল-কুক্ষণ থেকে দূরে নয়। আজ আমাদের এই বলিষ্ঠ পদক্ষেপকে বানচাল করার জন্য আপোষের বায়না নিয়ে হাজির হয়েছে কুচক্রী “ইয়াহিয়া”। এক্ষেত্রে আপোষ করা হবে বিপ্লবের এবং জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা এবং তরুণদের আত্মবলির অপমৃত্যু। তাই আজ আমাদের কর্তব্য অচল-অটলভাবে আমাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া। কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র ও আপামর জনসাধারণের শ্রেণীশত্রুদের নিঃশেষ ও নিশ্চিহ্ন না করা পর্যন্ত চালিয়ে যেতে হবে বিপ্লবী সংগ্রাম। সংগ্রামই মুক্তির একমাত্র পথ। “মুক্তির একই নাম-সংগ্রাম”।
________________________
সবুজ বাংলা লাল হলো
আজিজ আল মোজাহিদ
মার্চ মাসের ৩ তারিখ বুধবার জাতীয় পরিষদের সম্মেলন শুরু হবার কথা। ১২ বছরের মিলিটারি শাসনের অবসান, উৎপীড়ন ও শোষণ শেষ হবে। জনসাধারণের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ভার নেবে জাতীয় বিভিন্নমুখী সমস্যা সমাধানের। গণতান্ত্রিক নিয়মে নির্ধারিত হবে দেশের ভবিষ্যৎ।
হঠাৎ করে পশ্চিম পাকিস্তানি নেতা ভুট্টো সাহেব ঘোষণা করলেন, তিনি অসহযোগ করবেন জাতীয় পরিষদের প্রথম বৈঠকে। কারণ ইসলামী ভ্রাতৃত্বের নামে কায়েমী স্বার্থবাদী শোষণ বোধ হয় আর সম্ভব হয়ে উঠবে না।
তাই ইয়াহিয়াকে তিনি কানে কানে বুঝালেন। বাঙালিরা এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ। নিয়মতান্ত্রিক ভিত্তিতে এগুতে গেলে বাঙালির জয় হবে সুনিশ্চিত। বাঙালিরা ২৩ বছর থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে তাদের ন্যায্য দাবীদাওয়া এবং পাওনা থেকে।
তাই এবার তাদের পাওনা আদায় করবে কড়ায়-গন্ডায়।
শেখ মুজিব তার ছ’দফা ভিত্তিক দাবী আদায় না করে ছাড়বেন না। তাতে পাঞ্জাব রাজের শোষণনীতি ব্যাহত হয়ে পড়বে। ধসে পড়বে ঔপনিবেশিক শোষণের পথ, বন্ধ হয়ে যাবে পশ্চিম পাকিস্তানের দালান, ইমারত রাস্তাঘাট ও ড্যাম নির্মাণের কাজ।তাই যেমন করেই হোক বাংলাকে তার দাবী থেকে হঠাতে হবে বন্দুক দেখিয়ে। আর বন্দুকের বাহক পাঞ্জাবী মিলিটারির সাহায্যেচলতে থাকবে অবাধ শোষণ। ইয়াহিয়া খান ভাবলেন কথা মন্দ নয়। নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে দিয়ে যে ভুল করা হয়েছে তাকে শোধরাতে হলে এই একমাত্র পথ।
নির্বাচনের পূর্বে যে মনোভাব নিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুযোগ দিয়েছিলেন, তা আর হয়ে উঠে নি। আশা ছিল মৌদুদী সাহেবকে দিয়ে ইসলামের দোহাই দিয়ে নির্বাচনে জয়ী হবেন। তাদের পাক্কা ২৩ বছরের অভিজ্ঞতা, বাংলার মানুষের মুখ বন্ধ রাখার একমাত্র উপায় ইসলাম। তা এবারে আর হয়ে ওঠেনি। মৌদুদীর “ইসলাম ডুবে গেল” কথার অর্থ যে কি, বাংলার জনসাধারণ তা পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বুঝে নিয়েছে। ফল হলো সম্পূর্ণ উল্টো। জয়ী হলো বাংলার ছ’দফা। ছাই পড়লো বুর্জোয়া মিলিটারিগোষ্ঠী ও শোষণকারী পুঁজিপতিদের মুখে।
হেন অবস্থায় কি করা যায়? ‘পাঞ্জাব রাজ’ যে ডুবে যায়!তাই হুট করে বুদ্ধি নিলেন বন্দুক হাতে নেওয়ার। বন্দুক দেখলে বাঙালি হয়তো আর এগুবে না।
তাই বিমান ভর্তি করে আমদানি করা হলো পাঞ্জাবি মিলিটারি। পূর্ব বাংলার পথে-ঘাটে, শহরে-বন্দরে বেরিয়ে পড়ে খুনী রক্তপিপাসু নরঘাতকের দল। নারী-শিশু-পুরুষ নির্বিশেষে চালিয়ে গেল আমেরিকান বুলেট। হাজার হাজার বাঙালি রুখে দাঁড়ালো মৃত্যুভয়কে তুচ্ছ করে। সবুজ বাংলার শান্তিপ্রিয় সন্তানরা এবার বিপ্লবী হুংকারে বেরিয়ে এল রাজপথে। বিপ্লবীদের রক্তে লাল হয়ে গেল বাংলার মাটি। সবুজ বাংলা লাল হলো মিলিটারির গুলিতে। এ লালের লেলিহান রক্তিম আভায় লাল হয়ে উঠবে শুধু বাংলা নয়, সমগ্র দুরপ্রাচ্য।তা প্রতিরোধ করার চেষ্টায় ধ্বংস হয়ে যায় শোষণকারী পুঁজিপতি আর তাদের পদলেহী মানবতার শত্রু বুর্জোয়া শয়তানের দল।
হত্যার প্রতিবাদে
গত ৫ই মার্চ শুক্রবার পূর্ব পাকিস্তান লিবারেশন ফ্রন্টের সদস্যগণ পূর্ব পাকিস্তানে মিলিটারি নির্যাতন ও নৃশংস হত্যার প্রতিবাদে লন্ডনস্থিত পাকিস্তান হাই কমিশন ভবনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। হাই কমিশনের দেওয়ালে দেওয়ালে “জয় বাংলা” “স্বাধীন বাংলা” ইত্যাদি শ্লোগান লাল কালিতে লিখে দেন।
ফ্রন্টের সদস্যদের সঙ্গে লন্ডনের কিছুসংখ্যক ছাত্র যোগদান করেন। বিক্ষোভকারীগণ পথচারীদের হাতে তাদের স্মারকলিপি প্রদান করেন। তারপর বিদেশী সংবাদপত্রের সংবাদদাতাদের উপস্থিতিতে ও BBC Television camera-এর সামনে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা এবং ইয়াহিয়া খানের ছবি জ্বালিয়ে এই কথা ঘোষণা করেন যে,বাঙালিদের সঙ্গে পশ্চিম পাকিস্তানিদের কোন সম্পর্ক থাকতে পারে না এবং স্বাধীনতা অর্জন না করা পর্যন্ত কোনমতেই তারা সংগ্রাম থেকে পিছপা হবে না।
লন্ডনে বাঙালিদের বিক্ষোভ
বাংলাদেশে ইদানিং অবিচার, অত্যাচার এবং নরহত্যার যে যজ্ঞ শুরু করা হয় তার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেট ব্রিটেইন-এ বসবাসকারী বাঙালিগণ লন্ডনে এক বিরাট বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেন। এই মিছিল ৭ই মার্চ রবিবার অনুষ্ঠিত হয়।
ধর্ম, দল বা রাজনৈতিক মতামত নির্বিশেষে সকল শ্রেণীর বাঙালি দশ ঘটিকা হতে GREAT BRITAIN-এর সকল প্রান্ত থেকে দলে দলে কোচ, ভ্যান, কার এবং রেলযোগ লন্ডনের হাইড পার্ক কর্নারে সমবেত হয় ও পার্কে পৌঁছবার সঙ্গে সঙ্গে জনতা “স্বাধীন বাংলাদেশ জিন্দাবাদ” “জয় বাংলা” “খুনী ইয়াহিয়ার মুণ্ডু চাই” ইত্যাদি ধ্বনি তুলে পশ্চিম লন্ডনের এই প্রান্তকে প্রকম্পিত করে তোলেন।
বিভিন্ন বক্তা বক্তৃতা করার পর জনতা পরম শৃঙ্খলার সঙ্গে পার্ক লেইন রাজপথ ধরে পাকিস্তান হাই কমিশন অভিমুখে যাত্রা করেন।
এই সময় রাস্তার সমস্ত যানবাহন বন্ধ হয়ে যায় এবং পুলিশের তত্ত্বাবধানে শ্লোগান দিতে দিতে হাই কমিশন অফিস প্রাঙ্গণে সমবেত হন।
ইতিমধ্যে দুরভিসন্ধিমূলক মনোভাব নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানি হাই কমিশনার আগে থেকে পুলিশ ডেকে বাধার সৃষ্টি করেন এবং হাই কমিশন ভবনের প্রবেশের দুই পাশের প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেন। ফলে জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং পরে ‘হাই কমিশনার মহারাজ’ পুলিশ বেষ্টনি থেকে জনতাকে কিছু বলার চেষ্টা করেন।
ক্ষিপ্ত জনতা হাই কমিশনারকে ব্যানারে কাগজ এবং দন্ড ইত্যাদি নিক্ষেপ করে তার এই দুরভিসন্ধি দুষ্কর্মের প্রতিবাদ করেন। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ফলে জনাকয়েক বাঙালি আহত হন এবং একজনকে হাসপাতালে পাঠাতে হয়।
Metropolitan Police সূত্রে জানা যায় যে, ইংল্যান্ডের ইতিহাসে অশ্বেতাঙ্গদের এত বড় বিক্ষোভ মিছিল এই প্রথম।
আনুমানিক দশ হাজারের অধিক বাঙালি এই মিছিলে অংশগ্রহণ করে এই কথা আবার প্রমাণ করে দিলেন যে সুদুর পাঁচ হাজার মাইলের ব্যবধানেও জননী জন্মভূমি বাংলাদেশের ডাকে বাঙালিরা বিপুলভাবে সাড়া দিয়েছে। _______________________________________________________________
বিদ্রোহী বাংলা। পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীনতা ফ্রন্ট কর্তৃক,৭১ রাইট স্ট্রিট থেকে প্রকাশিত।বার্মিংহাম-১০, টেলিফোনঃ ০২১-৭৭২-৮৩২৭ এবং ০২১-৭৭২-৭২৪৮ : সম্পাদক সেলিম আহমাদ, এ.ইসমাইল এবং দিপু।