এ সত্য রুধিবে কে?

এ সত্য রুধিবে কে?

২৫ নভেম্বর, ১৯৭১

(একটি ঝোপের আড়ালে গভীর আঁধারে নারায়ণ পজিশন নিয়ে বসে আছে। দূরে মর্টার ও মেশিনগানের ক্রমাগত শব্দ শোনা যাচ্ছে। একটু কাছে সামান্য একটি শব্দ হোল-সঙ্গে সঙ্গে সে চ্যালেঞ্জ করে উঠলো)

নারায়ণঃ  হল্ট। হু কামস দেয়ার?

মাইকেলঃ      ফ্রেণ্ড।

নারায়ণঃ       পাস ওয়ার্ড।

মাইকেলঃ      বুলেট পিলেট মর্টার, পিলেট পিলেট মর্টার।

নারায়ণঃ       ও. কে.

মাইকেলঃ      তারপর এদিককার খবর কি নারায়ণ?

নারায়ণঃ       খুব চলছে অর্থাৎ খুব চালাচ্ছে জানোই তো, খান-সেনারা এখন হাওয়ায় গুলি ছোড়ে, আমরা ছুড়ি হয়তো একটা, আর ওরা ছুড়বে এক ধামা।

মাইকেলঃ      উদ্দেশ্য?

নারায়ণঃ       উদ্দেশ্য অতি, পরিষ্কার, যেন আমরা আর কাছেই না যাই। তা না হলে কখনো শুনেছ কোন সেনাবাহিনী হাঁটু কাঁপায় আর এলোপাতাড়ি আকাশের দিকে গুলি ছেড়ে?

মাইকেলঃ      না, তবে অপূর্ব চীজ এই খান বাবাজীদের কল্যাণে তাও এ জীবনে দেখে যেতে হোল। যাক সে কথা, শ্রীমতী বড়ুয়া কি ফিরেছে?

নারায়নঃ       কে, শান্তি? না এখনও তো ফিরলো না। কথা ছিল ডক্টর সিদ্ধার্থ বডুয়ার কাছ থেকে কিছু ঔষধ কথা। এদিকে তো রীতিমতো সুবিধে একেবারে তৈরী হয়েই আছে, খালি একবার ঘোড়া টানার অপেক্ষা।

মাইকেলঃ      এতো ব্যস্ত হয়ো না। রহমান ভাই এখনই এসে পড়বেন। আসলে কি একটা জরুরী ব্যাপারেই নাকি তাকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।

নারায়ণঃ       আমিও তাই শুনেছি। আমার মনে হয় চরম আঘাত হানার সময়-হল্ট, হু কান্স দেয়ার? রহমান ও

শান্তিঃ ফ্রেণ্ড।

নারায়ণঃ       পাস ওয়ার্ড। রহমান ও

শান্তিঃ বুলেট পিলেট মটার, পিলেট পিলেট মর্টার।

নারায়ণঃ       ও. কে.

মাইকেলঃ      কে, রহমান ভাই? তোমার দেরী দেখে আমরা ব্যস্ত হচ্ছিলাম। নাও চলো, যা দেখে এসেছি তাতে এখনই হানাদারদের আঘাত হানতে হবে। গোটা পচিশেক যা ফট ফট করছে তা একবারেই সাবার হয়ে যাবে।

রহমানঃ        না মাইকেল, এখন আর পচিশ-পঞ্চাশের ব্যাপার নয়, এখন হাজারের ব্যাপার শুরু হয়েছে।

নারায়ণঃ       অর্থাৎ?

রহমানঃ        অর্থাৎ চরম মুহুর্ত এসে গেছে।

মাইকেলঃ      হ্যাঁ, চরম মুহুর্ত। ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলার কাজ আমরা শেষ করে এনেছি। এবারে শুক্রর ওপর হানবো আমরা চরম আঘাত। (নেপথ্যে ক্ষীণ ক্রমাগত গুলির শব্দঃ সেই সঙ্গে দ্বিতীয় বাক্যের সঙ্গে সঙ্গে মুজিবের কণ্ঠস্বরঃ প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল, তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে ……ইত্যাদি)

নারায়ণ ও মাইকেলঃ চালাও কিস্তি ডাঙ্গা দিয়ে! এই তো চাই।

রহমানঃ        হ্যাঁ এবার কিস্তি ডাঙ্গা দিয়েই চলবে। এবার মানুষের শত্রু  সভ্যতার শত্রু জানবে কটা ধানে কটা চাল। এবার তারা জানবে অন্যায়ের দ্বারা, অত্যাচারের দ্বারা ন্যায়কে, সত্যকে, মানবতাকে হত্যা করা যায় না। শান্তি!

শান্তিঃ রহমান ভাই।

রহমান         ঃ     তোমার ওপরে যে আদেশ এসেছে তা বুঝতে পেরেছ?

শান্তি   ঃ     হ্যাঁ, রহমান ভাই।

রহমান         ঃ     তুমি প্রস্তুত?

শান্তি   ঃ     সম্পূর্ণ প্রস্তুত রহমান ভাই…হল্ট ও কামস দেয়ার?

জনৈক ঃ     (কাঁপা গলায়) ফ্রেণ্ড।

শান্তি   ঃ     পাস ওয়ার্ড।

জনৈক ঃ     পিলেট বুলেট মর্টার, বুলেট বুলেট মর্ডার (সঙ্গে সঙ্গে শান্তির হাতের ষ্টেনগান গর্জে ওঠে, একটি আর্ত চিৎকার। সবাই ছুটে

এগিয়ে যায়।)

মাইকেল       ঃ     কে লোকটি রহমান ভাই?

রহমান         ঃ     রাজাকার দেখছি। পকেটে পাওয়া কাগজই তার সাক্ষী। গোয়েন্দাবাজি করতে এসেছিল।

শান্তি   ঃ     আহা, বেচারা গতকালকার পাসওয়ার্ড সম্বল করে এসেছিল দালালী করতে, ও হয়তো জানতো না সত্যের প্রহরীরা সদা

জাগ্রত।

রহমান         ঃ     তোমায় ধন্যবাদ শান্তি, তুমি সময়মতো ধরে ফেলেছিলে। যাক যা বলছিলাম। চরম মুহুর্ত এসে গেছে। এতদিন

আমরা কেবল গেরিলা পদ্ধতিতে যুদ্ধ করেছি। সারা বাংলাদেশের রাস্তাঘাট অকেজো করে দিয়েছি, ব্রিজ উড়িয়েছি, রেললাইন ধ্বংস করেছি। এবং সুযোগ পেলেই শত্রু কে আঘাত করেছি। আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল এটা দেখিয়ে দেওয়া যে খালি হাতে শুরু করলেও আমরা তাদের কাপুরুষোচিত অতর্কিত আক্রমণে নিশ্চিহ্ন হবার পদার্থ নই, আমরা এক মরে বহু হই। আমরা শত্রুর সমস্ত পথ বন্ধ করে দিয়েছি, সে ইচ্ছা করলেই সামনে-পিছনেডাইনে-বাঁয়ে তাড়াতাড়ি পালাতে পারবে না। সর্বত্র আমাদের ঘাঁটি, সবখানে আমাদের দুর্গ। হানাদাররা এখন যশোরে, রংপুরে, সিলেটে, কুমিল্লায়, ঢাকায়, চট্টগ্রামে আলাদা হয়ে আছে, বন্দী হয়ে আছে। কথায় কথায় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় তাদের আর যেতে হবে না; একখানে দাঁড়িয়েই তাদের দেখে যেতে হবে সত্য কিভাবে অসত্যের ওপর জয়লাভ করে।

নারায়ন        ঃ     তাহলে এখন আমাদের কর্তব্য কি?

রহমান         ঃ     এখানেই বসে থাকা। আর আধঘণ্টার মধ্যেই আমাদের মুক্তিবাহিনী এখান দিয়েই যাবে, এগিয়ে যাবে সামনে। সবুজ গ্রাম,

অর্থাৎ হেডকোয়ার্টার থেকে আমাদেরকে বলা হয়েছে এখান থেকেই সরাসরি মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে মিলিত হতে। এইবার

আমরা চারদিক থেকে হানাদারদের আক্রমণ করবো। আমরা দেখিয়ে দেবো বাংলার মাটি দুর্জয় ঘাঁটি।

নারায়ন        ঃ     রহমান ভাই, আজ আমার বারবার মনে পড়ছে ঢাকার সেই ভয়াবহ পঁচিশে মার্চ, সেই হাহাকার, সেই আর্তনাদ। আমি এখনও

যেন শুনতে পাই খান-সেনাদের বুলেটে ঢলে পড়া আমার মায়ের সেই শেষ আদেশঃ খোকা তুই প্রতিশোধ নিবি, প্রতিশোধ

নিবি তোর মায়ের, তোর দেশের

(নেপথ্যে ঢাকার হাহাকার, মায়ের আর্তনাদ ও শেষ আদেশ দূর থেকে ভেসে আসবে)

মাইকেল       ঃ     আমিও ভুলিনি নারায়ণদা আমার বোনের হাহাকার। আমি এখনও শুনতে পাই আমার বোন মেরীর- তার বান্ধবী রাবেয়া,

মরিয়ম, লক্ষ্মীর চীৎকার। তারা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বার বার বলেছেঃ প্রতিশোধ চাই, প্রতিশোধ চাই। আমরা মরে যাচ্ছি-তোমরা বেঁচে থাকবে, প্রতিশোধ নেবে। প্রতিশোধ (নেপথ্যে মহিলাদের চীৎকার ও সংলাপ ক্ষীণভাবে ভেসে আসবে)

শান্তি   ঃ     সত্যিই কি আমরা বেঁচে আছি মাইকেল? সত্যিই কি আমরা তাদের শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে পেরেছি? সত্যিই কি আমরা

বৃদ্ধ বাবার আদেশ আমি পালন করতে সক্ষম হয়েছি? আমাদের আমার বাবা বাধা দিতে চাইলেন, বেয়োনেট দিয়ে তারা

হত্যা করলো তাঁকে। আমরা ঝোপের আড়াল থেকে লুকিয়ে দেখলাম বাবার বুক দিয়ে গল গল করে রক্তের নদী নামছে।

বাবা বলতেন কাউকে ঘৃণা করতে নেই, কারুর প্রতি হিংসা করতে নেই। কিন্তু, কিন্তু যে মানুষ নয়, যে পশুরও অধম, যে

মানুষেরই শত্রু তাকেও কি ঘৃণা করবো না? (নেপথে-মার ঢালো বাঙালীকা)

রহমান ঃ    তুমি আমি ঘৃণা না করার কে? যারা গুলি খেয়ে মরেছে, যে নারী লাঞ্ছিতা হয়েছে, যে শিশু আগুনে পুড়ে মরেছে তাকে

জিজ্ঞেস করো ঘৃণা করা উচিত কিনা। যে মানুষ, তার বিরুদ্ধে তো আমাদের কোন যুদ্ধ নেই-কিন্তু যে অমানুষ, যে মানুষের

শক্রতাকে আমরা ধ্বংস করবোই।

শান্তি   ঃ     ঠিকই বলেছ রহমান ভাই। আচ্ছা রহমান ভাই, চট্টগ্রামে আমরা যে দুভাগ্যের মুখে পড়েছিলাম তাতো বললাম, কিন্তু তুমি

তো কিছুই বললে না তোমার কথা।

রহমান         ঃ     আজ আমাদের ব্যক্তিগত কোন সংবাদ তো নেই শান্তি। আমাদের জিজ্ঞাস্য একটিঃ বাংলাদেশ কেমন আছে। আমাদের

ব্যক্তিগত ও সমষ্টিগত জীবনের একমাত্র নাম হচ্ছে বাংলাদেশ। আর সে জন্যেই তোমরা সবাই নিজেদের কথা বলোনি,

বলোনি কি দুঃখের পাহাড় বুকের মধ্যে প্রতিদিন বহন করছো।

নারায়ণ        ঃ     বলিনি এই জন্যে যে, বলার সময় নেই আমাদের। চূড়ান্ত জয় না হওয়া পর্যন্ত সময় নেই আমাদের। তবু আজ এই মুহুর্তে

সেইসব বেদনার কথা আমাদের মনে পড়ে গেল যা স্মরণে এলে হৃদয় চূর্ণ হয়ে যায়। তাই জানতে বড় ইচ্ছা আমাদের

তোমার কথা, তোমার ব্যক্তিগত কথা।

রহমান         ঃ     (করুণ কষ্ঠে) কমরেড, তোমরা আমার জীবনের মরণের বন্ধু। তোমাদের বলতে আমার বাধা নেই। কুষ্টিয়ায় ছিলাম আমরা।

এই হতভাগ্য আমি বাদে আমাদের আর সবাই হারিয়ে গেছে অনন্তে। তাদের হাত-পা বেঁধে আমাদেরই ঘরে পুড়ে আগুন

লাগিয়ে দেয় নরপশুরা। (নেপথ্যে ক্ষীণ শব্দঃ বাঁচাও-বাঁচাও)

সবাই ঃ     আহা! (দূর থেকে ক্ষীণ মার্চের শব্দ ভেসে আসবে)

রহমান         ঃ     ঐ শোন, মুক্তিবাহিনী এগিয়ে আসছে। বন্ধুগণ, প্রত্যেক জাতির জীবনে একটি রচম সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় আসে। তখন তাকে

স্বাধীনতা ও পরাধীনতা, মুক্ত আকাশ ও বদ্ধঘর- এর যে

কোন একটি বেছে নিতে হয়। তাকে বলতে হয় সে সম্মান চায়, না অসম্মান চায়? জীবন ও মৃত্যুর মাঝখানে দাঁড়িয়েই তাকে

সিদ্ধান্ত নিতে হয়। আমরা সেই চরম অবস্থায় এসে পৌছেছি। আমরা ছাব্বিশে মার্চেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি- প্রাণ দেবো, কিন্তু

স্বাধীনতা চাই। সেই সিদ্ধান্ত আজ আমরা চূড়ান্তভাবে কার্যকরী করার কাজে লিপ্ত কাজ যখন শেষ হবে তখন আমি নিজে

আর আমরা অনেকেই বেঁচে থাকবো না। কিন্তু আমাদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না, আমাদের দেশ স্বাধীন হয়ে বেঁচে থাকবে,

বেঁচে থাকবে আমাদের দেশের শান্তিপ্রিয় মানুষ। আমরা সেই উদ্দেশ্যেই যুদ্ধ করছি, প্রাণ দিচ্ছি।

শান্তিঃ          আমরা যুদ্ধ করছি শোষণের বিরুদ্ধে। একজন মানুষ যাতে আরেকজন মানুষকে শোষণ করতে না পারে, সেজন্যেই আমরা প্রাণ দিচ্ছি। (মার্চের শব্দ আরো কাছে চলে আসবে)

মাইকেলঃ      বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবও তাই বলেছেন। তিনি বলেছেন সবাই সমান অধিকার পাবে, কেউ কাউকে শোষণ করতে পারবে না, মানবিক অধিকারের উপর প্রতিষ্ঠিত একটি সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থাই কায়েম করতে হবে।

নারায়ণঃ       আমাদের দেশের সাধারণ মানুষও তাই চায়। তারা চায় কেউ যেন আর তাদের ঠকাতে না পারে, চব্বিশ বছর ধরে যে শোষণ তা যেন আর না হয়। কেউ যেন বলতে না পারে আমি শোষিত, বঞ্চিত।

রহমানঃ        বন্ধুগণ বঙ্গবন্ধুর সেই মহান ঘোষণার কথা পুনরায় বলেছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দীন আহমদ। তিনি ও অন্যান্য নেতৃবর্গ দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেনঃ এদেশের সম্পদ সবাই সমানভাবে ভাগ করে নিতে হবে। দেশের মানুষকে করার কথাই তাঁরা বারবার বলেছেন। আমাদের বীর মুক্তিবাহিনীর সেই মহান লক্ষ অর্জনের পথে চলেছে। তাদেরকে কোন অন্যায় অত্যাচারী শক্তি বাধা দিতে পারবে না।

(মার্চ আরো কাছে চলে এসেছে)

শান্তিঃ আমরা সত্যের সৈনিক , আমরা অজেও । দেশের মাটি আমাদের বন্ধু, দেশের মানুষ আমাদের সহায়। আমরা যতুই সাফল্যের দিকে

এগিয়ে যাব, দেশের মানুষ ততই আমাদের সাহায্য করবে; তারপর এক সময় সবাই মিলে ঝাঁপিয়ে পড়বো শত্রু র উপর। এভাবে চারপাশ

থেকে শত্রুকে আমরা ঘিরে ধরবো-পিষে মারবো তাকে।

(মার্চের শব্দ কাছে)

রহমানঃ        বন্ধুগণ, আমরা জনতার প্রতিনিধি, জনতার অংশ, জনতার বন্ধু। আমরা ন্যায়ের পথিক,আলোর পথিক, মানবতার প্রতীক। ন্যায়ের প্রতিষ্ঠায়, মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমরা প্রান দেবো, জয়ী আমরা হবোই। পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ মানুষ জন্মায়, মরে যায়, আবার জন্মায়, আবার মরে যায়- জীবনের প্রবাহ এভাবেই চলে আসছে, চলে আসছে আদিকাল থেকে। সাধারণভাবে একজনের জীবন আর একজনের জীবনের চেয়ে কি বেশী মূল্যবান?

না, তা নয়। কিন্তু যে জীবন মানুষের মঙ্গলের জন্য বিসর্জিত হয়, যে জীবন ন্যায়ের জন্য বিসর্জিত হয়, সে জীবনের ক্ষয় নেই।

সে জীবন অব্যয় অক্ষয় অমর। আজ আমরা মানুষের দাঁড়াবো অন্ধকারের সঙ্গে। কে আমাদের জয়কে ঠেকাবে? কে আমাদের

পথ রোধ করবে? কে বাধা দেবে ইতিহাসকে? সত্যকে? ন্যায়কে?

(মোহাম্মদ আবু জাফর রচিত)

Scroll to Top