জাতিসংঘ সাধারন পরিষদে পাকিস্তানী প্রতিনিধি আগা শাহীর বিবৃতি

৭.৭০.১৪৭

শিরোনামঃ ৭০। জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদে পাকিস্তানী প্রতিনিধি আগাশাহীর বিবৃতি পয়েন্ট অব অর্ডার

সূত্রঃ বাংলাদেশ ডকুমেন্টস

তারিখঃ ২৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

.

জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদে পাকিস্তানী প্রতিনিধি আগাশাহীর বিবৃতি পয়েন্ট অব অর্ডার

২৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

জনাব আগাশাহীর প্রথম পয়েন্ট অব অর্ডার স্টেটমেন্ট

 

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে গত ১০ মিনিট ধরে অযথা খোঁচাখুঁচি করেছেন। তিনি আমার দেশের বৈশিষ্ট্য নিয়ে কথা বলেছেন সবাই এটা জানেন যে, পাকিস্তানের দুটি অংশ ভারতের প্রায় ১০০০ মাইল সীমান্ত দিয়ে বিভক্ত, তিনি পাকিস্তানের নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন, তিনি পাকিস্তানের দুই অংশে সম্পদ বণ্টন নিয়েও কথা বলেছেন।

জাতিসংঘের সদস্য রাষ্টের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানো বা প্রত্যেকটি দেশের বৈষম্য নিয়ে খোঁচাখুঁচি করা কি অনুমোদিত? মি. প্রেসিডেন্ট, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে এত গভীরে গিয়ে নাক গলানোর কি অনুমতি আছে? আমি এজন্য আপনার কাছে রুলিং দাবি করছি।

 

সেকেন্ড পয়েন্ট অব অর্ডারঃ

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী প্রসিডিউর-১ এর কোন নিয়ম অনুসারে পয়েন্ট অব অর্ডার উত্থাপিত হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন। আমি সহজ করে এটা বলতে পারি যে, প্রসিডিউরের রুলগুলো জাতিসংঘের চার্টার রুলের অধীনস্ত রুল এবং একটি দেশের অভ্যন্তরীণ বিচার ব্যাবস্থা অ্যাসেম্বলিতে আলোচনা করার অনুমতি নেই। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের  অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলিয়েছেন বলেই আমি পয়েন্ট অব অর্ডার উত্থাপন করেছি, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাথাব্যাথার কোন প্রয়োজন নেই। একটি সদস্য রাষ্ট্র কি ধরণের সামাজিক ব্যবস্থা প্রচলিত, দেশটি কি গণতান্ত্রিক নাকি স্বৈরাচারশাসিত, সংসদীয় নাকি রাষ্ট্রপতি শাসিত, দেশটির ভিন্ন দুটি অংশে উন্নয়নের ভারসাম্য আছে নাকি নেই, বিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্য ছয়দফার প্রয়োজন নাকি এলাকাভিত্তিক সায়ত্ত্বশাসন দরকার তা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাথাব্যাথার কোন প্রয়োজন নেই। এগুলো সম্পূর্ণরূপে পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ বিচারব্যাবস্থার বিষয়। তাই মি. প্রেসিডেন্ট শান্তিপূর্ণ যৌক্তিক বিতর্কের খাতিরে আমি আপনার কাছে আবারও আবেদন করছি, আপনি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে এ ঘটনার আন্তর্জাতিক ফলাফল কি হতে পারে তা নিয়ে নিজেকে নিয়োজিত রাখার উপদেশ দিন। সেক্রেটারি জেনারেলের পর্যবেক্ষণকে যদি তিনি তার বাৎসরিক রিপোর্টে প্রাধান্য দেন তাহলে তাকে অর্ডারের আওতায় আনা হোক।

এগুলো আন্তর্জাতিক প্রাক্ষাপটের জন্য সমস্যার কারণ হতে পারে, কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে ব্যাপারগুলো উত্থাপন করেছেন তার সাথে কোন সম্পর্ক নেই। এগুলো সম্পূর্ণরূপে পাকিস্তানের বিচার ব্যাবস্থার আভ্যন্তরীণ ব্যাপার।

Scroll to Top