<৪,৯,১৪>
শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
৯। বাংলাদেশে গণত্যার প্রতিবাদ ও স্বাধীনতার প্রতি সমর্থনের জন্য চার্চসমুহের প্রতি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন, স্কটল্যান্ড সভাপতির আহ্বান | প্রচারপত্র | এপ্রিল,
১৯৭১ |
চার্চসমুহের প্রতি নিবেদন
বাংলাদেশ ( প্রাক্তন পূর্ব পাকিস্তান) থেকে প্রেরিত সকল প্রত্যক্ষ প্রতিবেদন স্বনামে নিশ্চিত করেছে যে, পরিস্থিতি সেখানে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। হাজার হাজার মানুষ পশ্চিম পাকিস্তানি সেনাদের হাতে নিহত হয়েছে এবং লাখ লাখ মানুষ অনাহারে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে। পূর্ব পাকিস্তানে ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত সহায়তার জন্য বৃটিশ ত্রাণ সমন্বয়ক ইয়ান ম্যাকডোনাল্ডের মতে,
“পনের লাখ মানুষ বর্তমানে অনাহারে রয়েছে (অথবা বলা যায় যে, তারা সপ্তাহ খানেকের মধ্যে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়বে যদিনা বাহিরের দেশ থেকে সাহায্য তাদের কাছে না পৌঁছায়)। এরাহল সেই সম্পূর্ণ নিঃস্ব মানুষরা, যারা গত বছরের ঘূর্ণিঝড় থেকে বেঁচে ফিরেছিল এবং যারা সম্পূর্ণভাবে বাহিরের ত্রাণের উপর নির্ভরশীল যখন দেশের বাকি অংশের শস্য নষ্ট হয়ে যায়, আরও ত্রিশ লাখ মানুষ এই দুর্দশাপুর্ণ অবস্থার মুখে পড়বে। তারাও সম্পূর্ণ রূপে বাহিরের ত্রাণের উপর নির্ভর করতে শুরু করবে এবং এই ত্রাণ তাদের কাছে পৌছাতে ব্যর্থ হলে তারাও কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসের মধ্যে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়বে.”……… (দ্য পিস নিউজ, এপ্রিল ২৩, ১৯৭১)
পাকিস্তানি সামরিক শাসকদের এই পরিস্থিতি সমাধানের জন্য কোন উদ্দেশ্য নেই। আন্তর্জাতিক রেড ক্রসকে বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতিও দেয়া হয়নি। পাকিস্তান সরকার কি অনাহারের মাধ্যমে নতি স্বীকার করানোর চেষ্টা করছে? সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণ সে কথাই বলছে।
সুতরাং, আমাদের সবার জন্য একমাত্র সমাধান হল একটি আন্তর্জাতিক ত্রাণ উদ্যোগ স্থাপন করা যা পাকিস্তানি সরকার আপত্তি করবে না বা করার সাহস করবে না। কোন সন্দেহ নেই যে, আপনাদের তত্ত্বাবধানে চালিত ত্রাণ সংস্থা সবার আগে এগিয়ে এসে এই পরিস্থিতিকে প্রতিহত করবে। কিন্তু সময় ক্ষেপণ করলে অনেক বেশি দেরি হয়ে যাবে।
আমরা আশাবাদী যে, আপনাদের সংগঠনের প্রত্যেক সদস্যের একটি তড়িৎ প্রচেষ্টা বাংলাদেশের জনগণকে ভয়াবহতা ও মৃত্যু থেকে বাঁচাতে সক্ষম হবে।
১৫ এল্ডনস্ট্রীট
গ্লাসগো,সি ৩
টেলিফোনঃ ০৪১-৩৩-৬৫৭৯
সভাপতি
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন
স্কটল্যান্ড