শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীসভা গঠন | দি টাইমস অফ ইন্ডিয়া –নয়াদিল্লী | ১৩ এপ্রিল, ১৯৭১ |
বাংলাদেশের যুদ্ধকালীন মন্ত্রীপরিষদ প্রধান মুজিব
১৩ এপ্রিল , ১৯৭১ এর সংবাদপ্রতিবেদন
আজ বাংলাদেশে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ছয়-সদস্য বিশিষ্ট যুদ্ধকালীন মন্ত্রীপরিষদ গঠিত হয়েছে যখন তার স্বাধীনতা বাহিনীর ঘাঁটিতে পশ্চিম পাকিস্তানীরা সর্বাত্নক আক্রমণ শুরু করেছে ।
বাংলাদেশের কোনো এক স্থানে আওয়ামীলীগের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ঘোষণা করেছেন যে, নজরূল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং দলীয় সাধারণ সম্পাদক, জনাব তাজউদ্দীন আহমেদকে প্রধানমন্ত্রী করে গঠিত সরকার স্বাধীনতা যুদ্ধের দিকনির্দেশনা ও সমন্বয় করবে ।
২৫ মার্চেযখন সামরিক বাহিনী শেখকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে পূর্ববাংলার উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো, শেখ মুজিবুর রহমান কতৃক বাংলাদেশকে সার্বভৌম গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র দাবী করাকে আজকের ঘোষণা আনুষ্ঠানিক রূপ দিলো ।
ঘোষণা অনুসারে সরকারের পররাষ্ট্র সচিব জনাব খন্দকার মোশতাক আহমেদ।
সরকারের অন্যান্য সদস্যরা হলেন ক্যাপটেন মনসুর আলি এবং জনাব এ এইচ এম কামরুজ্জামান।
গনপরিষদ সদস্য এবং শীর্ষ আওয়ামীলীগ নেতাদের এক সভায় দীর্ঘ আলোচনার পরে এই সরকার গঠিত হল ।
বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগীজনাব তাজউদ্দীন আহমদবিগত মাসের বিফল সাংবিধানিক আলোচনা চলাকালে উপদেষ্টা-পর্যায়ের বৈঠকে আওয়ামী লীগ দল এর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন .;
তিনি এবং জনাব কামরুজ্জামান, উভয়ই আওয়ামী লীগ এর সাধারন সম্পাদক ছিলেন ।
একইসাথে জনাব কামরুজ্জামান গণ পরিষদে আওয়ামী লীগ দলের সম্পাদক ছিলেন ।
জনাব খন্দকার মোশতাক আহমেদকে গন পরিষদের এর স্পিকার পদে আওয়ামী লীগ মনোনয়নপ্রাপ্ত বলে ধারনা করা হয়েছিল যা পরবর্তীতে হয়নি।
পাবনার জনাব মনসুর আলী ছিলেন প্রাদেশিক পরিষদে আওয়ামী লীগ দলের নেতা।
সদ্য প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে সরকার গঠনের ঘোষণা সম্প্রচার করা হয় এবং প্রেসিডেন্ট রহমান এর প্রেস উপদেষ্টা তা নিশ্চিত করেছেন ।
বেতারে বলা হয় নবগঠিত সরকারের আনুষ্ঠানিক শপথগ্রহন আগামীকাল সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হবে।
মুক্ত অঞ্চল চুয়াডাঙ্গা হবে স্বাধীন বাংলা সরকারের সদর দপ্তর।
বেতারে বলা হয় মন্ত্রী পরিষদ পরবর্তীতে পরিবর্ধিত হবে ।
আরও বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের ভিত্তি হবে সমষ্টিগত দায়িত্ববোধ নীতি।
জনাব তাজউদ্দিন আহমেদ এর মন্ত্রীসভার সহকর্মীদের কার্যভার আগামীকাল ঘোষিত হবে আশা করা যায় ।