শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
২৫। বিভিন্ন সেক্টরে চিকিৎসা যোগাযোগের তৎপরতা | বাংলাদেশ একাডেমীর দলিলপত্র | ১৯৭১ |
<১০, ২৫, ৫২৮>
সাক্ষাৎকারঃ মেজম এম. এইচ. বাহার
২০-০১-১৯৭৪
আগরতলা থেকে আমি রামগড়ে চলে আসি। সেখানে তখন মেজর জিয়ার নেতৃত্বে শুভপুর পুলের কাছে যুদ্ধ চলছিল। আমি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু যন্ত্রপাতি এবং প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত লোকের অভাবে সেটা সম্ভবপর হয়নি। আমি আবার আগরতলায় চলে আসি। সেখানে আমাদের সিগনালের কিছু লোক একত্রিত হয়েছিল। সেখানে তাদের জন্য একটা ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। এই ব্যাপারে বি-এস-এফ-এর কর্নেল বানার্জী আমাকে অনেক সাহায্য করেছিলেন। সেখানে আমি সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, ইপিআর, এবং পুলিশের প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত লোকের সাহায্যে আগরতলা থেকে চারটি সেক্টরের সাথে রামগড়, মেলাঘর, তেলিয়াপাড়া, এবং করিমগঞ্জে বেতার যোগাযোগ স্থাপন করি। সেক্টর থেকে সাবসেক্টর পর্যন্ত বেতার ও লাইন যোগাযোগের বন্দোবস্ত করা হয়।
আগরতলা থেকে আমি জুলাই মাসে কলিকাতার ৮নং সেক্টর থিয়েটার রোডে অবস্থিত মুজিব নগরে চলে যাই পশ্চিম দিকে যোগাযোগ ব্যাবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য। তখন বিদেশ থেকে আমেরিকা, ব্রিটেন, দুবাই এই সমস্ত দেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাঙ্গালীরা উন্নতমানের যোগাযোগ ব্যাবস্থার যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করে মুজিবনগরে পাঠাতে শুরু করেন। এই সমস্ত যন্ত্রপাতি আমাদের অনেক কাজে এসেছিল।
মুজিবনগরে স্থানাভাব হেতু আমি আমার লোকজন, যন্ত্রপাতি নিয়ে ৮ নং সেক্টর হেডকোয়ার্টার কল্যানী (নদীয়া জেলা) চলে গেলাম। ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ঐখান থেকে আমি কাজ চালিয়েছি।
স্বাক্ষরঃ এম. এইচ. বাহার
মেজর
২০-১-৭৪