সিনেটর কেনেডীকে লিখিত পাক রাষ্ট্রদূত আগা হিলালীর চিঠি

৭.৩৪.৭৬-৭৯

শিরোনাম সূত্র তারিখ
৩৪। সিনেটর কেনেডিকে লিখিত পাক রাষ্ট্রদূত আগাহিলালীর চিঠি ওয়াশিংটন দূতাবাসের দলিলপত্র ৪ জুন, ১৯৭১

 

পাকিস্তান দূতাবাস, ওয়াশিংটন ডি.সি. ২০০০৮

৪ জুন, ১৯৭১

প্রিয় সিনেটর কেনেডি:

 

আমি ২ জুনে ভারতে আমাদের রিফিউজি সমস্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কংগ্রেশনাল রেকর্ডে আপনার দেয়া বিবৃতি পড়লাম। আমি আপনাকে আশ্বাস দিয়ে লিখছি  পূর্ব পাকিস্তান থেকে এই বহিঃপ্রবাহ বন্ধে আমার সরকার ভারতের সরকারের মতই উদ্বিগ্ন এবং গত কয়েক দিনে শুধুমাত্র দেশ ছাড়তে চাওয়া ব্যক্তিদের থামানোরই উদ্যোগ নেয় নি, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরে আসার জন্য তাদের প্ররোচিত করার সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

এতদপ্রসঙ্গে,আমি এই ব্যাপারে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে ২১ মে তারিখে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পূর্ব পাকিস্তানে অস্থিতিশীল অবস্থার জন্য যে সকল পাকিস্তানের নাগরিক ঘরবাড়ি ছেড়েছেন তাদের দেশে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন। পাকিস্তানের রেডিও নেটওয়ার্ক এবং পাকিস্তানের সকল ধরনের প্রেসে এই আহ্বান প্রকাশিত হয়েছে যাতে করে রিফিউজিরা যেখানেই থাকুক তারা যেন এটা জানে এবং ফিরে আসে।

তাঁর প্রকাশ্য আবেদনের তিন দিন পর রাষ্ট্রপতি ২৪ মে করাচিতে এক সংবাদ সম্মেলনে  যারা অস্থির পরিস্থিতি, হুমকি, ভয়ে বা সত্যিকারভাবেই বিভ্রান্ত হয়ে দেশত্যাগ করেছে তাদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন।  প্রেসিডেন্সিয়াল ঘোষণার বাস্তবায়নের জন্য  তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয়া হয়।  পূর্ব পাকিস্তানের এগারোটি সীমান্ত জেলায় কুড়িটি অভ্যর্থনা কেন্দ্র  খোলা হয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে শরণার্থীদের অধিকাংশ পূর্ব পাকিস্তানে ফিরে আসতে পারে। এই কেন্দ্রগুলি রাষ্ট্রপতির সাধারণ নির্দেশনার  অধীনে চালিত হয় “এখানে পাকিস্তানের সব আইনানুগ নাগরিকদের তাদের নিজ নিজ বাড়িতে  ফেরত আসতে অনুমতির প্রশ্নই ওঠে না।” সেন্টারে মোতায়েন বেসামরিক কর্মীরা সম্ভাব্য সব উপায়ে, বাড়িতে ফিরতে, কর্মসংস্থান এবং জীবন পুনরায় শুরু করতে উদ্বাস্তুদের সাহায্য করবে। আমরা বুঝতে পারি যে কিছু শরণার্থী ফিরতে শুরু করেছেন, কিন্তু আমরা রাষ্ট্রপতির আবেদনের বিপরীতে পূর্ণ সাড়ার জন্য অপেক্ষা করছি এবং তাদের প্রত্যাবর্তন ও পুনর্বাসনের সুবিধার জন্য সরকার কর্তৃক ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে। আমরা মনে করি যে উপরে বর্ণিত ব্যবস্থা বর্তমানে পরিস্থিতির চাহিদা পূরণ করতে পারে, যদি না আমাদের প্রতিবেশী দেশের কর্তৃপক্ষ পাকিস্তানকে পরাজিত করার রাজনৈতিক হাতিয়ারস্বরূপ রিফিউজিদের দেশে প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে কোনো ধরণের বাধা আরোপ না করে। আমরা আশাবাদী যে এই কাজটিতে আমরা সব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাহায্য ও সহানুভূতি প্রাপ্ত হব, যাতে আমরা একটি মানবিক সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করতে পারি।

পূর্ব পাকিস্তানে ২ হতে ২৫ মার্চ পর্যন্ত আওয়ামি লীগের নৈরাজ্য এবং সহিংসতার জন্য যে অস্থিতিকর পরিস্থিতির তৈরি হয়েছিল তা শেষ হওয়ার পর এবং আইন শৃঙ্খলার পুনর্প্রতিষ্ঠার পর পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনীতি এখন আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে।

সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে যোগাযোগ মাধ্যম পুনঃস্থাপনের জন্য , যাতে প্রদেশের দুর্গত এলাকাসমূহে যতো দ্রুত সম্ভব খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা যায়। সাহায্য প্রদানের আন্তর্জাতিক প্রস্তাব কৃতজ্ঞতার সঙ্গে গ্রহণ করা হয়েছে এবং জাতিসংঘ খাদ্যশস্য ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি যা অদূর ভবিষ্যতে ক্ষতিগ্রস্তদের  জন্য ত্রাণ হিসেবে প্রয়োজন হতে পারে তার একটি তালিকা দিয়েছে। ইউ এন এর মহাসচিব ইতোমধ্যে পূর্ব পাকিস্তানের তাঁর প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন।

আপনি দাবি জানিয়েছেন যে বিভিন্ন সরকার ও জাতিসংঘের শক্তিশালী প্রচেষ্টা করা আবশ্যক  আমাদের কেন্দ্রীয় সরকার এবং আপনার বর্ণিত “পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক শক্তির”  মধ্যে রাজনৈতিক অবস্থান সহজতর করার। যে রাজনৈতিক ইস্যু  পূর্ব পাকিস্তানের সাম্প্রতিক অশান্তি সৃষ্ট করেছে সেটি জনসাধারণের প্রতিনিধিদের নিকট থেকে এই ব্যাপারে একটি স্পষ্ট ম্যান্ডেটবিহীন প্রশ্ন ছাড়া আর কিছুই ছিল না। পূর্ব পাকিস্তানে যে আন্দোলন দমন করা হয়েছিল, সেটার উদ্দেশ্য ছিল একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলকে সমগ্র জনগোষ্ঠী হতে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা, একচ্ছত্র ক্ষমতা প্রদর্শন নয়, এবং কারো এটা মনে করা উচিত নয় যে, একটা বিশ্বাসঘাতকদের বিচ্ছিন্ন করে ফেলার কাজটি যখন দেশেই করা হয়, তখন তা বিদেশ হতে নিয়ন্ত্রিত হতে পারে।   যেই নেতাদের হুকুমে তাদের সংগঠকদের দ্বারা ম্যান্ডেট ছড়ানো হয়েছে তারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে এবং রাজনৈতিক দলটির নেতৃত্বকে বেআইনী ঘোষণা করা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণরূপে একটি অভ্যন্তরীণ ব্যাপার তাদের জন্যে যারা এখন পথভ্রষ্ট হয়েছে কিন্তু দেশে রয়ে গেছে এবং যারা ছেড়ে যায় নি কিন্তু বিচ্ছিন্নতা  চায়নি এবং  দেশের বাকি লোকদের সঙ্গে, যেটিকে পশ্চিম পাকিস্তান বলা হয় তাদের সাথে আপস করে প্রদেশের ভবিষ্যত নির্ধারন করতে চেয়েছিল। এই সমস্যা এখন আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে এবং পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট বলেছেন যে তিনি প্রদেশের জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য আগামী দুই বা তিন সপ্তাহের মধ্যে তাঁর পরিকল্পনা ঘোষণা করবেন। এই স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে অন্য সরকারগুলো বা সংগঠন  দ্বারা কোন প্রচেষ্টার মাধ্যমে (এমনকি যদি ভাল উদ্দেশ্য থাকে)হস্তক্ষেপ করা ইউ এন সনদ বিধানাবলীর বিপরীত হবে যা সম্পূর্ণই আমাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য। সুতরাং আমরা বিস্মিত না যে ভারত সবচেয়ে সক্রিয়ভাবে বিভিন্ন দেশের রাজধানীতে মন্ত্রিসভার অনেক সদস্য পাঠিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে। আমরা পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে ত্রাণ সংক্রান্ত কার্যক্রমের গুরুত্ব সম্পর্কে আপনার উদ্বেগের প্রশংসা করি। তবে বর্তমানে সাধারণ আমেরিকান অর্থনৈতিক সাহায্যের কোন প্রয়োজন নেই, কারণ সেই সহায়তা হবে আমাদের পূর্ববর্তী কার্যক্রমের একটি প্রতিফলন মাত্র, যা ত্রাণ কার্যক্রমের ওপর অধিকতর গুরুত্বারোপের শর্তাধীন।  আমাদের নিজস্ব মানুষের জীবন রক্ষা করার জন্য সম্ভাব্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার আমাদের দিতে হবে, এবং ইতিমধ্যে দিচ্ছি। আমেরিকান অর্থনৈতিক সাহায্যের ওপর অপ্রয়োজনীয় শর্ত আরোপ করার প্রচেষ্টা শুধুমাত্র নিঃস্বার্থ লক্ষ্যসমূহ হতে বিচ্যুতই করবে, এবং  আমি নিশ্চিত , এই দেশের মহান মানুষজন পৃথিবীর উন্নত দেশসমূহ হতে উন্নয়নশীল দেশসমূহে সহায়তার প্রবাহ নিশ্চিত করতে চায়।

আপনি একটি দাবি জানিয়েছেন যে ভারতে যে সকল রিফিউজি সাময়িক ভাবে আছে তাদের সহায়তা প্রদানের ব্যয় নির্বাহের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ কর্তৃক ভারতকে সহায়তা করতে হবে যতোদিন পর্যন্ত তারা ভারতের সীমানায় বসবাস করছে। আমরা আপনার মতামতকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করি এবং আপনার সরকারকে একই সাথে জাতিসংঘসহ অন্যান্য সংস্থাকেও আমরা এটি জানিয়েছি।

ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমানোর ব্যাপারে আমরাও আপনার সাথে সমভাবে উদ্বিগ্ন। রিফিউজিদের ফিরিয়ে আনা এবং ভারত অথবা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যাপারে আমাদের সরকার কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপগুলো আমি আগেই উল্লেখ করেছি। মিঃ সিনেটর, আমি আশা করি আপনিও এ ব্যাপারে একমত হবেন যে আমাদের প্রতিবেশী অথবা বন্ধু দ্বারা এমন কোন কিছু বলা বা করা উচিত হবে না যা বর্তমান সমস্যাকে আরো উস্কে দেয় অথবা আরো নতুন সমস্যা যোগ করে।

এই ব্যাপারে আমি অত্যন্ত দুঃখের সাথে নির্দেশ করতে চাই যে বর্তমানের উত্তপ্ত পরিস্থিতিকে উস্কে দিতে এমন কোন দিন নাই যে ভারত সরকার কিছু না কিছু করছে না। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। ইতিমধ্যে উপমহাদেশে একটি গুরুতর অবস্থা তৈরি হয়েছে এবং  ভারত যদি এভাবেই আমাদের বর্তমান দুরবস্থার  সুযোগ নেওয়া অব্যাহত রাখে, সেখানে একটি বিরুদ্ধ ব্যবস্থা না নিলে বিপদ বাড়বে। আমাদের রাষ্ট্রবিরোধী মনোভাবকে আরো উস্কে দেয়ার জন্য তাদের জাতীয় দৈনকগুলোকে সর্বোচ্চভাবে আন্তর্জাতিকক্ষেত্রে ব্যবহার করে, পূর্ব পাকিস্তানের দুর্ভাগ্যজনক অস্থিতিশীলতার সুযোগ নিয়ে এবং খোলাখুলিভাবে আমাদের ভূমিতে অনুপ্রবেশ করেছে সকল প্রকার আন্তর্জাতিক আইন ও কানুনকে অগ্রাহ্য করে, তাদের সেনাবাহিনীকে পূর্ব পাকিস্তানের সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় এনেছে এবং সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রেখেছে।  যুদ্ধাভাবাপন্নতার একটি ধুয়া তুলে ভারতীয় নেতারা এবং প্রেস একসঙ্গে প্রকাশ্যে দাবী তুলেছে শরণার্থী সমস্যা  সমাধান করা উচিত  “স্থানিক ক্ষতিপূরণ” এর মাধ্যমে। বলপ্রয়োগ করার এই ভারতীয় হুমকি এখনও পর্যন্ত আমার সরকার দ্বারা শান্তভাবে গ্রহণ করা হয়েছে এবং আমরা পরম সংযম চর্চা করেছি। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান তাঁর ২৪মে তারিখের সংবাদ সম্মেলনে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে মিসেস গান্ধী যুদ্ধের মাধ্যমে কোনো সমস্যার সমাধান করার কথা চিন্তা করছেন না। কিন্তু এই ধরনের মারমুখো চাপের শুধুমাত্র একটাই ফলাফল হতে পারে, যুদ্ধ, যা এই অঞ্চলের শান্তির জন্য হুমকিস্বরূপ। সবচেয়ে খারাপ হলো, এই ধরনের হুমকি কোনো শরণার্থীকে দেশে ফিরে আসতে বা পুনর্বাসনের ব্যাপারে সাহায্য করবে না। বরং এগুলো তাদের ভয় ও উদ্বিগ্নতা বাড়াবে যা প্রকৃতপক্ষে তাদের পাকিস্তানে ফিরে যাওয়ার প্রক্রিয়াটিকে  নিরুৎসাহিত করার মাধ্যমে বিলম্বিত করবে। ভারত  এই শরণার্থীদের লালন পালনের বোঝা হ্রাস করতে পারে শুধুমাত্র যদি ‘সে হুমকি দেওয়া বন্ধ করে আমাদের এবং জাতিসঙ্ঘের সংস্থাসমূহকে সহযোগিতা করা শুরু করে যাতে করে শরণার্থীদের পূর্ব পাকিস্তানে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে গৃহীত উপরোক্ত ব্যবস্থাসমূহ (যেগুলো উন্নততর)কার্যকর করা যায়। যদিও আমি এই পরিস্থিতির প্রতি আপনার প্রতিক্রিয়া আন্দাজ করতে চাই না, তবে আমি এই ব্যাপারে জোর দিতে চাই যে, যদি পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক পর্যায়ে আনতে হয় এবং রিফিউজিদেরকে তাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে আনতে হয়, আমাদের পাকিস্তানের অধিবাসীদের অনেক বেশি সময় ও সমঝোতা এবং কম উদ্বিগ্নতা ও চাপ প্রয়োজন। 

 ২৭ মে  মার্কিন সরকার সচিবকে দেয়া আপনার চিঠিতে “পাকিস্তানে বিবৃত প্রয়োজন অনুযায়ী অবিলম্বে পূর্ব পাকিস্তানে ত্রাণ দ্রব্যমূল্য বিতরণের জন্য, খাদ্য ও ঔষধ সরবরাহ এবং জল পরিবহনের প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত” শীর্ষক আপনার মন্তব্য করার জন্য আমরা খুব কৃতজ্ঞ। আমি শুধুমাত্র এই বলতে চাই যে আপনার সরকার ইতিমধ্যে খুব উদার পরিমানেই এই কাজটা করছে এবং আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে  যে আমাদের শরণার্থীদের ফিরে আসা এবং  পুনর্বাসন সুরক্ষিত করতে আমাদের আরও বেশি সহায়তা করা হবে। এখন যেটা দরকার তা হল আপনার মত ভাল বন্ধুর যিনি ভারতে গোলযোগ হ্রাস করতে পারে যেন আমাদের পক্ষে সে কাজটা করা সম্ভব হয় যেটি আপনার ভাষায় “ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা কমাতে” , উত্তেজনা, যেটি আপনি সঠিকভাবে ধরতে পেরেছেন, যা এই অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে এবং দক্ষিণ এশিয়ায় অপ্রয়োজনীয় কিন্তু বড় ধরনের ক্ষমতার দ্বন্ধের সূচনা করতে পারে। যদি আগে বলে থাকি তাহলে আবার বলার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, যখন আমরা জাতীয় বিষয়গুলো নিয়ে মগ্ন, তখন আমাদের প্রত্যাশা যে আমাদের বৈদেশিক শুভাকাঙ্ক্ষীরা ধৈর্য ধরবে এবং বোঝার চেষ্টা করবে যে ফিরে আসা এবং পুনর্বাসনের সকল কাজ সম্পন্ন করতে সময় দরকার কারণ এই সংখ্যা অনেক বড়।

 

আমি আশা করি, জনাব সিনেটর, এই চিঠির কপি অন্যান্য সিনেটরদের এবং লোকসভার সদস্যদের পৌছে দিতে এবং কংগ্রেসনাল রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত করতে আপত্তি করবেন না।

 

 

আপনার একান্ত অনুগত,

 এ। হিলালী

 

মাননীয়

এডওউয়ার্ড এম কেনেডি

ইউ এস সিনেট

রু নং ৪৩১

পুরাতন সিনেট বিল্ডিং

ওয়াশিংটন ডিসি, ২০৫১০

Scroll to Top