স্বাধীনতা সংগ্রামের বিভিন্ন দিকের সংবাদসহ প্রকাশিত ‘শিখা’

<৪,১৫৫,২৯৮-৩০১>

অনুবাদকঃ জয়ন্ত সেন আবীর

শিরোনাম সূত্র তারিখ
১৫৫। স্বাধীনতা সংগ্রামের বিভিন্ন দিকের সংবাদসহ প্রকাশিত ‘শিখা’ নিউইয়র্কের বাংলাদেশ লীগ অফ আমেরিকার মুখপাত্র ‘শিখা’ ভলিউম-১, নং-৫ ১ আগস্ট, ১৯৭১

 

শিখা
ভলিউম-১, নং-৫

বাংলাদেশ লীগ অফ আমেরিকার মুখপাত্র
সম্পাদনা পরিষদঃ বমনদাস বসু-চেয়ারম্যান, মনোয়ার আলী-সদস্য  
ঐক্যবদ্ধ হলেই আমরা শক্তিশালী

       প্রথমে বাঙ্গালিদের স্বায়ত্তশাসন ও পরে স্বাধীনতার আন্দোলনকে অবদমিত করতে পাকিস্তানী আর্মি ২৫ মার্চ থেকে রক্তাক্ত অভিযানের সূচনা করে তার পরে বেশ কিছু সময় অতিবাহিত হয়েছে। সাধারণভাবে বাঙালিদের, বিশেষ করে বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকাণ্ড চলেছে; ৭০ লক্ষ ভয়ার্ত মানুষ শরণার্থী হয়েছে। বিশ্বজুড়ে বিবেকবান জনগণ তা দেখে ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন, পাকিস্তান সরকারের মধ্যযুগীয় এই বর্বরতার নিন্দা জানিয়েছেন তারা। কিন্তু হিটলারের পর থেকে সংঘটিত গণহত্যাগুলোর মাঝে ভয়াবহতম এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞের ব্যাপারেঅল্প কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া তথাকথিত বিশ্বশক্তিগুলো, বড় অথবা ছোট, তাদের নীরবতা বজায় রেখেছে। নিজেদের জনগণের শোরগোল ক্ষমতার রাজনীতির দুরাতিক্রম্য বাধা অতিক্রম করে তাদের কাছে পৌঁছাতে পারে নি। ব্যতিক্রম ছিল ভারত, ইউএসএ এবং চায়না।৭০ লক্ষ শরণারথীর দেখভালের পাহাড়সম দায়িত্ব নেবার পাশাপাশি ভারত বাংলাদেশের জনগণের সংগ্রামে জনসম্মুখেই সমর্থন জানিয়েছে। অন্যদিকে বাঙালিদের জন্য একটি রাজনৈতিক অবস্থান গঠিত হবার আগে পাকিস্তানকে কোনোরূপ সামরিক সাহায্য না দেবার সিদ্ধান্ত নিতে প্রচণ্ড অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক চাপের মুখোমুখি হয়েও আমেরিকা রক্তপিপাসু পাকিস্তানী সামরিক জান্তাকে সামরিক উপকরণ পাঠিয়ে যাচ্ছে। চীন, যারা এখনো পর্যন্ত আগ্রাসণকারী এবং তাদের পালিত কুকুরদের বিপক্ষে সবচেয়ে সচেষ্ট সমালোচক ছিল তারাই পাকিস্তানী আগ্রাসনের পক্ষ নিয়ে সেই একই ক্রীতদাসসুলভ আচরন করছে। আর এসবের মাঝে বাংলাদেশের রক্ত ঝরছে, অঝোরে ঝরেই যাচ্ছে।

       এ থেকে পাওয়া শিক্ষা হলঃ আমাদের, অর্থাৎ বাংলাদেশের জনগণকেনিজেদের যা কিছু আছে কেবলমাত্র তা নিয়ে এসব বৈশ্বিক শক্তির এমনকি নৈতিক সমর্থন ছাড়াই “সোনার বাংলা” কে লড়াই করে মুক্ত করতে হবে। এর অর্থ হল মুক্তি বাহিনী এবং অধিকৃত বাংলাদেশের অভ্যন্তরের কর্মীরাই আমাদের একমাত্র রক্ষক।

       নিজেদের ইতিহাসের এই গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দাঁড়িয়ে আমাদের প্রয়োজন এক সার্বজনীন একতা-সকল রাজনৈতিক দল এবং যুদ্ধরত শক্তির মাঝে একতা। এরই সাথে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবস্থানরত জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে, নির্দেশনা দিতে হবে। আমাদের মতে এ ব্যাপারকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা উচিৎ কারণ গেরিলা যুদ্ধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ। বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনগণ হাতে অস্ত্র তুলে নিলেই কেবলমাত্র সামরিক জান্তার তৈরি প্রাসাদ ভেঙ্গে পড়বে। নিঃসন্দেহে বলা যায় বাংলাদেশের জনগণের নিরঙ্কুশ সমর্থন আওয়ামী লীগের পক্ষে রয়েছে। কিন্তু ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি এবং অন্যান্য যেসব দল স্বাধীনতার সংগামে সমর্থন ব্যক্ত করেছে তারাও কিছু কিছু অঞ্চলে প্রভাবশীল। ৭০,০০০ সদস্যের সুপ্রশিক্ষিত পেশাদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে দলগুলোর তাদের রাজনৈতিক এবং সামাজিক মতবাদের ভিন্নতাসমূহকে দূরে ঠেলে একত্রিতভাবে একটি বিস্তৃত ‘লিবারশন ফ্রন্ট’ গঠন করাটা অত্যাবশ্যকীয়। যত বেশি সময় আমরা অপেক্ষা করব আমাদের উপর পশ্চিম পাকিস্তানী রক্তচোষাদের করাল গ্রাস আরো শক্তিশালী হতে থাকবে এবং তাদের উৎখাত করাও কঠিন থেকে কঠিনতর হতে থাকবে।

আমেরিকার ভেতরে এবং চারিপাশের কর্মকাণ্ড
কানাডায় আলী চৌধুরী

       একটি সংবাদ সম্মেলনে জনাব হামিদুল হক চৌধুরী এবং জনাব মাহমুদ আলী বলেন“গৃহযুদ্ধ, গণহত্যা, শরণার্থীদের পলায়ন এবং কলেরা মহামারীর ব্যাপারে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক সংবাদগুলো মিথ্যা; যা শক্তিশালী অর্থনৈতিক গোষ্ঠীদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে”, আর সে সময় ন্যাশনাল প্রেস ভবনের বাইরে জনা পনের নারী-পুরুষ প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিলেন। বিক্ষোভকারীরা “বাংলাদেশ দীর্ঘজীবী হোক”, “বিশ্বাসঘাতকেরা নিপাত যাক”, “আলী-চৌধুরী দেশে ফিরে যাও” প্রভৃতি স্লোগান দিচ্ছিলেন।

       এই জনবিরল সংবাদ সম্মেলনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বক্তার ভূমিকা পালন করা জনাব চৌধুরী ভারতে পালিয়ে যাওয়া শরণার্থীদের ব্যাপারে সাধারণভাবে উল্লেখ হয়ে আসা ৬৫,০০,০০০ সংখ্যাটাটিকে চ্যালেঞ্জ জানান। তিনি এও অস্বীকার করেন যে ইয়াহিয়া খানের সৈনিকেরা গণহত্যার নীতি অনুসরণ করছে।

       বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জনাব চৌধুরী সরাসরি প্রশ্নের জবাবে মূল বিষয় থেকে বহু দূরবর্তী ব্যাপারে দীর্ঘ বক্তৃতার অবতারণা করেন। বেশ কয়েকবার হতাশ প্রতিবেদকেরা তাকে মুল বিষয় থেকে সরে না যাবার আহ্বানও জানান।

       একজন প্রতিবেদক যিনি ৭ এবং ৮ মার্চ ঢাকায় অবস্থান করছিলেন যখন ঢাকাকে সেসব দিনে শান্ত হিসেবে বর্ণনা করেন তখন জনাব চৌধুরী বলেন “এটা আপনার মতামত। আপনার সংবাদপত্র পড়তে হবে।”

       বেশিরভাগ সময় নিশ্চুপ থাকা জনাব আলী, যাকে দেখতে একজন কঠোর প্রকৃতির মানুষ বলে মনে হয় তিনি একসময় ডেস্কের ওপর ভর দিয়ে এগিয়ে আসেন এবং জোর দিয়ে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে বলে উঠেন “ যদি দেশের অখণ্ডতা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়, সেনাবাহিনীর কর্তব্য তা রক্ষা করা……… যখনই দরকার হবে সেনাবাহিনী এবং পুলিশকে ব্যবহার করা হবে” (দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল, টরেন্টো, জুলাই ২২, ১৯৭১ এ ক্লেয়ার বেলফৌর এর প্রতিবেদন থেকে)।

       টরেন্টো থেকে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ কানাডার সভাপতি জনাব সারোয়ার আলম খান বলেনঃ

টরেন্টোর তথাকথিত “পাকিস্তান সংহতি পরিষদ” অন্টারিও কলেজের শিক্ষা মিলনায়তনে ১৮ জুলাই, ১৯৭১ এ একটি সভার আয়জন করে যাতে বক্তা হিসেবে ছিলেন বিশ্বাসঘাতক মাহমুদ আলী।

       ইয়াহিয়া খানের এই প্রোপাগান্ডা কৌশলের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ কানাডা (টরেন্টো) মিলনায়তনটির সামনে একটি শান্তিপূর্ণ সমাবেশের আয়োজন করে। শুধুমাত্র ‘পাকিস্তানী’ দের আমন্ত্রণ জানানোয় আমরা সভাটি সম্পূর্ণরূপে বয়কট করি।

       আমাদের পক্ষ থেকে কোনোরূপ প্ররোচনা ছাড়াই বর্বর পশ্চিম পাকিস্তানিরা এই শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ওপর লাফিয়ে পড়ে এবং শারীরিক আক্রমণ শুরু করে। এহেন পরিস্থিতিতে আমরাও তাদের বাধা দিই এবং তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। সেই মুহূর্তে পুলিশ এসে পৌঁছায় এবং তাদের মিলনায়তনের ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়। সভাটি সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয় বলে জানা যায়।

 

জাতিসংঘের সামনে সমাবেশ

জুলাই এর ২৪ তারিখে প্রায় ৫০ জন বাঙালি এবং আমেরিকান সমব্যথী জাতিসংঘের সামনে একটি সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন। তারা “মুজিবকে অনতিবিলম্বে মুক্তি দাও”, “ইয়াহিয়ার বিচার কর, মুজিবের নয়” এরূপ প্ল্যাকার্ড বহন করছিলেন। বাংলাদেশ লীগ অফ আমেরিকা, নিউ ইয়র্ক;মৃত্যুদণ্ড সম্ভব এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে শেখ মুজিবের বিচার হওয়া সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতি ইয়াহিয়ার সাম্প্রতিক এক বিবৃতির প্রতিবাদে এই সমাবেশের আয়োজন করে।

       পরে বাংলাদেশ লীগ অফ আমেরিকা শেখ মুজিবের বিচারিক হত্যাকাণ্ড ও গণহত্যা রোধ এবং একটি আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের অধীনে গণহত্যার পরিকল্পনাকারীদের বিচার করতে পাকিস্তানী কর্তৃপক্ষের সাথে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে সেক্রেটারি জেনারেল ইউ থান্টের হাতে একটি স্মারকলিপি তুলে দেয়।

 

বিশ্বশক্তিগুলোর কাছে ইসকো এর আবেদন

       ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টস কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন (ইসকো), নিউ ইয়র্ক; যাতে জার্মানি, পোল্যান্ড, আমেরিকা, ভারত, ইরান, সুদান এবং আরো অনেক দেশ থেকে আসা সদস্য রয়েছে; একটি অনন্যসাধারণ সভায় অনতিবিলম্বে বাংলাদেশ থেকে সকল হানাদার পাকিস্তানি সৈন্য সরিয়ে নেবার দাবি জানায়। তারা তাদের ভাতৃপ্রতিম সংস্থাগুলোর কাছে বাংলাদেশের জনগণের গণতন্ত্র ও স্বশাসনের দাবীর পক্ষে সমর্থন দেবারও আহ্বান জানায়।

       চেয়ারম্যান বাবু সুধাংশু বি. কর্মকার জানান যে সংস্থাটি জাতিসংঘের দূত, প্রধান কর্তাব্যক্তি এবং বিভিন্ন দেশের প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের কাছে, যাদের মাঝে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী চৌ-এন-লাই ও রাষ্ট্রপতি নিক্সন, আবেদন জানিয়েছে যেন অনতিবিলম্বে গণহত্যা বন্ধ করে সকল খুনীকে বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নিতে পাকিস্তানি সামরিক জান্তার ওপর তারা তাদের প্রভাব ব্যবহার করেন।

       জানা যায় এ আহ্বানের উত্তরে ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ ইসরাইলি স্টুডেন্টস বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে তাদের পূর্ণ সমর্থন ব্যক্ত করে।

 

জাহাজে করে অস্ত্র চালানের বিরুদ্ধে পিকেটিং

       সেভ ইস্ট বেঙ্গল কমিটি, ফ্রেন্ডস অফ বাংলাদেশ, কোয়েকারস এবং অন্যান্য পিস গ্রুপের সদস্যরা সম্মিলিতভাবে ইউনাইটেড স্টেটস থেকে পশ্চিম পাকিস্তানি সরকারের কাহচে জাহাজের মাধ্যমে অস্ত্র চালানের বিরুদ্ধে ২৩ জুলাই নিউ ইয়র্কের ইস্ট রিভারের পিয়ার নং ৩৬ এ পিকেটিং করে।

       খবরে প্রকাশ এই পিয়ারটিতে নোঙ্গর করে রাখা পাকিস্থানী লাইন জাহাজ সুতেজ সামরিক সরঞ্জাম বহন করছে।

       ১৫ জুলাই বাল্টিমোর সিটি পোর্টে পাকিস্তানী ফ্রেইটার পদ্মা-তে অস্ত্র বোঝাই এর বিরুদ্ধে একই রকম ঘটনার অবতারণা হয়েছিল। সাতজন কোয়েকারকে সেদিন গ্রেপ্তার করা হয়।

       ফ্রেইটার পদ্মা অস্ত্র বোঝাই শেষে ১৮ জুলাই বাল্টিমোর ত্যাগ করে। বন্দরের কাজে নিয়োজিত দুজন ব্যক্তি জানান তারা জাহাজটিতে কামান দেখেছেন।

 

 

গালাঘার বিলকে সমর্থন প্রদান করুন

       নিউ ইয়র্কে বা তার আশেপাশে বসবাসরত পূর্ব বাংলায় জন্ম নেয়া আমেরিকান নাগরিকেরা কংগ্রেস সদস্যদের কাছে চিঠি ও টেলিগ্রাম পাঠিয়ে আহ্বান জানান তারা যেন তাদের সবরকম প্রভাবপাকিস্তানের প্রতি সকল প্রকার সাহায্য বন্ধ করাবার পেছনে কাজে লাগান। চেয়ারম্যান জনাব গালাঘারের অধীন এশিয়ান এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় স্থায়ী কমিটির ছাড়পত্র পাওয়া বিলটিকে সমর্থন প্রদানের জন্যেও তাদের আহ্বান জানান হয়। তাদের চিঠিসমূহে তারা আরো আহ্বান জানান যেন যখন স্যাক্সবি-চার্চ অ্যামেন্ডমেন্ট #এস-১৬৫৭ উত্থাপিত হবে তখন সেটার পক্ষেও যেন কংগ্রেস সদস্যরা নিজেদের সমর্থন ব্যক্ত করেন।

 

বাংলাদেশ তথ্য কেন্দ্র

       ওয়াশিংটন ডিসি-তে বাংলাদেশ তথ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই দপ্তরটি হবে কঠোরভাবে নির্দলীয় এবং সকল বাংলাদেশ গ্রুপ ও সহমর্মীদের জন্যে নিকাশ ঘর। অস্থায়ী ভিত্তিতে যেসকল স্বেচ্ছাসেবক বর্তমানে এখানে কাজ করছেন তারা হলেনঃ এম. সিদ্দিক, এম. ইউনুস, এফ. ফয়সাল, ডব্লিউ. গ্রিনোউ, ডি. নলিন (খণ্ডকালীন), এ. টেইলর (পূর্ণকালীন)।

       তথ্যকেন্দ্রটি তার সংবাদনামার প্রথম ইস্যুটি প্রকাশ করেছে। আরো বেশি তথ্যের জন্য লিখুনঃ

বাংলাদেশ তথ্য কেন্দ্র
৪১৮ সিউয়ার্ড স্কয়ার, আপার্টমেন্ট ৪
ওয়াশিংটন ডিসি ২০০০৩
অথবা ফোন করুন (২০২) ৫৪৭-৩১৯৪

ঘোষণা! ঘোষণা!

       বাংলাদেশ লীগ অফ আমেরিকা, নিউ ইয়র্কের জেনারেল সেক্রেটারি ঘোষণা দিয়েছেন যে ৮ আগস্ট, রবিবার ১৪৫ ব্লিকার স্ট্রীট, নিউ ইয়র্কের গুলস্তান রেস্তোরাঁয় সকাল ১১টায় সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। লীগের কর্মকাণ্ড সম্বন্ধে সাধারণ আলোচনা ছাড়াও এতেনির্বাচনের দিন উত্থাপিত সংবিধানের সংশোধনীগুলোর ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত হবে। নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর স্ট্যানলি প্লাস্ট্রিক এদিন তার বক্তব্য পেশ করবেন। সকলসদস্য এবং আগ্রহী ব্যক্তিবর্গকে এই সভাটিতে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হল।

  *    *   *   *   *   *   *   *   *   *   *   *   *   *   *   *

“…… নিশ্চয়তার সাথে বলা যায় যে যদি আজই এ ব্যাপারে কোনো ভোটাভুটির আয়োজন করা হয় তবে জার্মানির সমস্তজনগণ সভ্য সমাজ থেকে পাকিস্তানকে বিতারণের পক্ষে ভোট দেবে”।
                                  – ডাই যেইত, পশ্চিম জার্মানি

 

 

 

‘শিখা’ বাংলাদেশ লিগ অফ আমেরিকা, ২৬৬৭ ব্রডওয়ে, নিউ ইয়র্ক, এন. ওয়াই. ১০০২৫ থেকে প্রকাশিত

Scroll to Top