নোবেল
<৬,১৩৯,২২৭>
সংবাদপত্রঃ জন্মভূমি ১ম বর্ষঃ ১৬শ সংখ্যা
তারিখঃ ৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১
সম্পাদকীয়
.
মার্কিন ষড়যন্ত্র ব্যর্থ
পাকিস্তানী জঙ্গীশাহীর নির্বিচারে গণহত্যায় যখন বাংলাদেশের মানুষ দিশেহারা, তখন বিশ্বের মানবিকতা বিমথিত আমেরিকা, চীন ও বৃটেন কোথায় ছিল। পাকিস্তানের একতরফা যুদ্ধ ঘোষণার পরে ভারত যখন আত্মরক্ষার্থে, শরনার্থী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতাপ্রিয় মুক্তিবাহিনীর স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধবাজ উন্মাদ পাকিস্তানী জঙ্গীশাহীকে নিশ্চিহ্ন করার মত তখন চীন, বৃটেন বিশেষ করে সাম্রাজ্যবাদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বস্তি পরিষদে যুদ্ধ বিরতি ও সইন্যাপসারণের প্রস্তাবের উপর ভেটো দিয়েছে রাশিয়া। বলেছে ভারত-পাক যুদ্ধের উৎস কোথায়? বাংলাদেশে গণহত্যা কে চালিয়েছে, কে শরনার্থী সমস্যার সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশে সত্যিকারের প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। চক্রান্তকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হৃৎপিণ্ডে আঘাত লেগেছে। যে মার্কিন সরকার পাকিস্তানকে গোপনে স্বাধীনতাপ্রিয় জননী বাংলার বীর সন্তানদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য অস্ত্র দিয়েছে আজকে সেই শান্তির দূত সাজতে চায়।
.
আজকের এই লড়াই বাংলাদেশ ও ভারতের শান্তির লড়াই, মানবতার লড়াই, গণতন্ত্রের লড়াই, বাঁচার লড়াই। এ লড়াই বৃহৎ শক্তিগুলির তল্পিবাহক রাষ্ট্রসংঘের কলমের খোঁচায় বন্ধ হয়ে যাবে না। যে পর্যন্ত না স্বৈরাচারী ঔপনিবেশিক, সাম্রাজ্যবাদী পাকিস্তানের কবর হবে সে পর্যন্ত এ যুদ্ধ চলবে। চালিয়ে যাবে বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী ও সহযোগী ভারতীয় জওয়ানরা তাদের ভবিষ্যৎ বংশধরদের জন্য।