(১) স্বাধীনতার ঘোষণা প্রসঙ্গে(২) চট্টগ্রামের প্রতিরোধ(৩) চট্টেশ্বরী রোডে অপারেশনঃ(৪) ২৯শে মার্চ আসকের দীঘি অপারেশনঃ(৫) ৩০শে মার্চ বাকুলিয়া গ্রাম অপারেশনঃ(৬) চট্রগ্রাম কালুরঘাটের যুদ্ধঃসাক্ষাৎকারঃ ক্যাপ্টেন শমসের মুবিন চৌধুরী

<৯, ২.৩, ৪১-৪৪>

ক্যাপ্টেন শমসের মুবিনের

দৃষ্টিতে চট্টগ্রামের প্রতিরোধ

সাক্ষাৎকারঃ ক্যাপ্টেন শমসের মুবিন চৌধুরী

২০-১০-১৯৭৩

(বাংলা একাডেমির দলিলপত্র থেকে সংকলিত)

 

মার্চের ২২ তারিখে ক্যাপ্টেন হারুন (এসিস্ট্যান্ট উইং কমান্ডার, ইপিআর) কাপ্তাই এসে আমাকে বললো যে আমাকে মেজর রফিকের (এডজুট্যান্ট, ইপিআর) বাসায় যেতে হবে। ২২শে মার্চ রাতে আমি, ক্যাপ্টেন হারুন, মেজর খালেকুজ্জামান, ক্যাপ্টেন অলি মিলে মেজর রফিকের বাসায় গেলাম।

জনাব কায়সার এমপিএ এবং ডাক্তার মান্নান, এই দুজন আওয়ামী লীগ কর্মীও সেখানে ছিলেন। আমরা স্থির করলাম যে, এখানে আলাপ-আলোচনা করা নিরাপদ নয়, তাই আমরা চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে গেলাম। যাবার সময় আমরা খুব সতর্ক ছিলাম যে, কেউ আমাদের অনুসরণ করছে কিনা।

আমরা আওয়ামী লীগ কর্মীদের তাদের পরিকল্পনা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তারা বললেন যে, শেখ সাহেব রাজনৈতিক সমাধানের আশা করছেন। আমরা বললাম যে, আমরা আপনাদের সাথে আছি। আপনাদের পক্ষ থেকে যদি ঠিক সময়ে কোনো সাড়া বা আভাস পাই তাহলে আমরা কিছু একটা করতে পারি।

আমরা বুঝতে পারলাম যে তাদের কোনো প্রস্তুতি নেই। আমরা বললাম যে আমরা মানসিক দিক থেকে প্রস্তুত আছি। আপনারা ঢাকা থেকে খবরাখবর নিয়ে অমাদের জানাবেন।

২৩শে মার্চ মেজর রফিক আমাদের প্রস্তুত থাকতে বললেন। কিন্তু কিছু একটা হবে কিনা তিনি তখনো জানেন না। আমাদের আলাপ-আলোচনার কথা মেজর জিয়াউর রহমানকে জানালাম। তাকে আমরা আবার আশ্বাস দিলাম যে আমরা সবসময় তার সাথে থাকবো। এর আগে লেঃ মাহফুজকে পরিস্থিতি অবগত করানোর জন্য মেজর জিয়াউর রহমান আমাকে বলেছিলেন। আমি তাকে পরিস্থিতি বুঝিয়ে বললাম যে আমাদেরকে পাকিস্তানীরা সন্দেহ ও অবিশ্বাসের চোখে দেখছে। আমরাও তাদেরকে বিশ্বাস করতে পারছি না। মেজর জিয়াউর রহমান বলেছেন যে ‘সিটিং ডাক’-এর মতো না থেকে নিরস্ত্র করতে আসলে তা প্রতিহত করবেন। মাহফুজ বললো যে পরিস্থিতি এতো মারাত্মক আকার ধারণ করেছে কিনা? তারপর সে বললো যে আচ্ছা ঠিক আছে।

২৪শে মার্চ মেজর রফিক আমাকে বললো যে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তাদের কোনো সিদ্ধান্ত এখনো আমাদেরকে জানান নি। ২৪শে রাতে খবর পেলাম যে জনগণ রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড তৈরী করছে। ‘এমভি সোয়াত’ থেকে অস্ত্রশস্ত্র খালাস করতে জনগণ বাধা দিচ্ছে। জেটি থেকে সেনানিবাস পর্যন্ত রাস্তায় ব্যারিকেড সৃষ্টি করা হয়েছ যাতে সেনাবাহিনীর লোকজন চলাফেরা করতে না পারে। এ খবরটা আমি জিয়াউর রহমান সাহেবকে পাঠালাম।

আমাদের সৈনিকদের মাঝে একটা আতংক দেখতে পেলাম। কি হবে? কি করতে হবে না হবে? বাইরের ঘটনাবলীতে সৈনিকরাও যথেষ্ট উদ্বগ্ন ছিলো। আমি সারারাত সজাগ ছিলাম। ২৪শে মার্চ পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর দুইজন মেজর জেনারেল চট্রগ্রামে ইবিআরসি-তে এসেছিলেন। ঐদিন জানতে পারলাম দু’জনের সাথে করে ব্রিগেডিয়ার মজুমদারকে (ইবিআরসি-কমান্ডার মার্শাল ল এডমিনিসট্রেটর) ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ খবরটা জিয়াউর রহমানকে জানাই। আমাদের সি,ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল জানজুয়া বললেন যে ব্রিগেডিয়ার মজুমদারকে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয় নি। তিনি বার বার বলেছিলেন যে ব্রিগেডিয়ার মজুমদারকে ঢাকা নিয়ে যাওয়া হয় নি। ব্রিগেডিয়ার মজুমদারের জায়গায় ব্রিগেডিয়ার আনসারীকে সামরিক প্রশাসক নিযুক্ত করা হয়।

২৫শে মার্চ ব্রিগেডিয়ার আনসারী আমাদের সিও’কে নির্দেশ দিলেন যে আমরা যেনো ব্যারিকেড পরিস্কার করি। “অল ব্যারিকেড মাস্ট বি ক্লিয়ার এ্যাট এনি কস্ট”-এটা ব্রিগেডিয়ার আনসারীর মেসেজ ছিলো। ‘এ্যাট এনি কস্ট’ শব্দটার উপর আমাদের সিও খুব এ্যামফ্যাসিস করছিলেন। ষোলশহর রেলক্রসিং এর উপর ওয়াগন দিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করা হয়েছিলো। ঐ ব্যারিকেড সরাতে পুরো একটা কোম্পানী ডিটেইল করা হলো। সুবেদার খালেককে বললাম যে, এই ট্রেনের ওয়াগন যেনো বিকেল চারটার আগে সরানো না হয়। কমান্ডিং অফিসার আমাদের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদেরকে ডেকে ঐ ওয়াগনগুলোর চাকা ব্রেক করতে শুরু করলেন। জনসাধারণ খুব হৈ হুল্লোড় করছিলো। বিকেল পর্যন্ত ঐ ব্যারিকেড সরানো হলো। বায়েজীদ বোস্তামি পর্যন্ত সমস্ত ব্যারিকেড পরিস্কার করতে নির্দেশ দেয়া হলো। আমরা আশা করেছিলাম যে আওয়ামী লীগ হাই কমাণ্ড থেকে কোনো নির্দেশ পাবো। আমি মেজর রফিকের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করি। তিনিও বললেন যে কোনোনির্দেশ তিনিও পাননি। তিনিও প্রস্তুত আছেন।

আমরা ব্যারিকেড পরিস্কার করতে গেলাম। ২৫শে মার্চ রাত ৯টা নাগাদ সমস্ত ব্যারিকেড পরিস্কার করা হলো। জনসাধারণ আমাদেরকে খুব বাধা দিচ্ছিল। ” আপনারা এসব করবেন না। আপনাদেরই ক্ষতি হবে।” জনসাধারণ এসব বলছিলো। আমরা বললাম যে আমাদের নিজেদের ইচ্ছায় কিছু করছি না। আমরা শুধু নির্দেশ পালন করছি। তদুপরি আমরা অন্য কোনো নির্দেশও পাচ্ছি না। কমান্ডিং যে কোনো উপায়ে হোক ব্যারিকেড ক্লিয়ার করার নির্দেশ দিচ্ছিলেন।

ষোলশহর থেকে বায়েজীদ বোস্তামী পর্যন্ত ডিউটি দেবার জন্য আমাদের উপর নির্দেশ দেয়া হলো। আমরা যখন ডিউটি করছিলাম তখন বেলুচ রেজিমেন্টের ৫টা গাড়ি আমাদের সামনে দিয়ে ক্যান্টনমেন্টের দিকে চলে গেলো। ঐসব গাড়িতে গোলাবারুদ ও এমুনিশেনও ছিলো।

রাত সাড়ে এগারোটায় লেফটেন্যান্ট কর্নেল জানজুয়ার সাথে দেখা হয়। তিনি আমাকে মেজর জিয়াউর রহমানকে চট্টগ্রাম পোর্টে ডিউটি করার জন্য খবর দিতে বললেন। তিনি জিয়াউর রহমানের স্ত্রীকে বলতে বললেন যে ভয়ের কোনো কারণ নেই। জিয়াউর রহমান ২৬শে মার্চ সকালে চলে আসবে।

রাস্তায় ছেলেরা একটা গর্ত করেছিলো। আমাকে সেই গর্তটা ভরাট করতে বলা হলো। আমি জিয়াউর রহমানের স্ত্রীকে এ খবর দিলাম। জিয়াউর রহমানকেও এ খবর জানালাম।

রাত বারোটায় আমি ষোলশহর ক্যান্টনমেন্টের গেটে গেলাম। সেখানে গিয়ে গুলির আওয়াজ শুনতে পেলাম। বৃষ্টির মতো গুলি হচ্ছিলো। ক্যাপ্টেন অলিকে টেলিফোনে জানালাম যে ক্যান্টনমেন্টের ভিতরে ভীষণ গোলাগুলি হচ্ছে। আমি বুঝতে পারছি না সেখানে ঠিক কি হচ্ছে। ক্যাপ্টেন অলি আমাকে সঠিক খবর নেবার চেষ্টা করতে বললেন এবং তাকে জানাতে বললেন। এমন সময় কিছু বাঙালি সৈন্যকে গেটের দিকে আসতে দেখলাম। তারা আমাকে বললেন যে, স্যার বেলুচ রেজিমেন্ট আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে এবং আমাদের অনেককে মেরে ফেলেছে। কর্নেল এমআর চৌধুরীকেও (ইবিআরসি চীফ ইন্সট্রাক্টর) মেরে ফেলেছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে গাড়িতে উঠালাম এবং আমার সাথে ষোলশহরে এইটথ বেঙ্গলে নিয়ে আসলাম।

এইটথ বেঙ্গলে এসে শুনলাম যে, সমস্ত পশ্চিম পাকিস্তানী অফিসারদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেজর জিয়াউর রহমানের নির্দেশে এটা করা হয়েছে। মেজর জিয়াউর রহমানের সাথে আমার দেখা হয়। তিনি বললেন যে, এখন থেকে তিনিই হচ্ছেন ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার। তিনি আরো বললেন যে, গোলাগুলির খবর তিনি শুনেছেন। এখবর শোনার পর তিনি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লেঃ কর্নেল জানজুয়াসহ অন্যান্য পশ্চিম পাকিস্তানী অফিসারদের গ্রেফতার করেছেন। পরে ওদের সবাইকে মেরে ফেলা হয়েছিলো। তারপর মেজর জিয়াউর রহমান আমাকে ব্যাটালিয়নের সবাইকে এক জায়গায় একত্রিত করতে বললেন। সবাইকে এক জায়গায় একত্রিত করা হলো। তারপর মেজর জিয়াউর রহমান টেবিলের উপরে উঠে বক্তৃতা দিলেন। তিনি বললেন, “আজ থেকে আমি অষ্টম বেঙ্গল রেজিমেন্টের অফিসার হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার সংকল্প ঘোষণা করলাম। এবং আমার নির্দেশেই সবকিছু চলবে। আপনারা সবাই আমার সাথে থাকবেন। এখন এখানে থাকা আমাদের জন্য নিরাপদ নয়। আমরা সবাই কালুরঘাটের দিকে যাবো, সেখানে গিয়ে আমরা সবকিছু রিঅর্গানাইজ করবো এবং আমাদের পরবর্তী কর্মস্থল নির্ধারণ করবো।”

২৬শে মার্চ ভোরে আমরা কালুরঘাটের আরেকটু দুরে গিয়ে পৌঁছালাম। সেখানে আমরা বিশ্রাম নিলাম এবং রিঅর্গানাইজেশন করলাম। ২৬শে মার্চ এভাবে কেটে গেলো।

২৭শে মার্চ সন্ধ্যার সময় মেজর জিয়াউর রহমান চট্রগ্রাম বেতার কেন্দ্রে গেলেন এবং ভাষণ দিলেন। ভাষণে তিনি বললেন যে, আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধে লিপ্ত আছি। আপনারা যে যেখানে আছেন, সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেন। তিনি বিশ্বের শান্তিকামী দেশগুলোর সাহায্য এবং সহযোগীতা কামনা করলেন। দেশবাসীকে যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে বললেন।

২৮শে মার্চ সারাদিন আমি ঐ ভাষণ বেতার কেন্দ্র থেকে পড়ি।

 

চট্টেশ্বরী রোডে অপারেশনঃ

পাকিস্তানী সেনাবাহিনী আমাদের এ্যামবুশ করেছিলো। আমরা দশ জন ছিলাম। আমরা ওদের কাউন্টার এ্যামবুশ করেছিলাম।

 

২৯শে মার্চ আসকের দীঘি অপারেশনঃ

 

প্রায় ১২ ঘন্টা এখানে পাকিস্তানী বাহিনীর সাথে আমাদের গোলাগুলি বিনিময় হয়।

৩০শে মার্চ বাকুলিয়া গ্রাম অপারেশনঃ

 

এখানে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর দুটো গেরিলা কমান্ডোকে হত্যা করা হয়।

এপ্রিল মাসের এগারো তারিখে কালুরঘাট ব্রীজে অপারেশন চালানো হয়। এখানে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী আমাদের আক্রমণ করে। এই যুদ্ধে আমি গুরতররুপে আহত হই। আমি পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়ি। তারপর আমাকে ঢাকা নিয়ে আসা হয়। বন্দী শিবিরে রাখা হয়এবং অশেষ নির্যাতন করা হয়। প্রত্যহ আমাকে মারধোর করা হতো। ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে আমাকে রাখা হয়।আমার সাথে আরো অনেক বন্দী ছিলো। এদের বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জুন মাস পর্যন্ত আমার উপর অত্যাচার চলে। নভেম্বর মাসে আমার বিরুদ্ধে চার্জশীট আনা হয়। বলা হয়েছিলো আমাকে কোর্ট মার্শাল করা হবে। কিন্তু ডিসেম্বরের ১৬ তারিখে পাক বাহিনী আত্মসমর্পন করে। আমি মুক্ত হয়ে যাই।

এখানে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, কালুরঘাটে এসে গ্রামে আমরা শপথগ্রহণ করলাম। শপথবাক্য পাঠ করেছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান- বাংলাদেশ স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত আমরা লড়াই চালিয়ে যাবো। এমনকি যদি প্রয়োজন হয় দেশের জন্য আমরা প্রাণ দেবো।

আমাদের ব্যাটালিয়নের হেডকোয়ার্টার ছিলো গ্রামে। ৩০শে মার্চ বাকুলিয়া গ্রামে অপারেশন চালিয়ে আমরা দুজন কমান্ডোকে হত্যা করি।

চকবাজারে আমরা প্রতিরক্ষা ব্যুহ তৈরী করি। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ট্যাংক আক্রমণের মুখে টিকতে না পেরে আমরা পিছু হটে যাই।

চট্রগ্রাম কালুরঘাটের যুদ্ধঃ

 

১১ই এপ্রিল সকাল আটটার সময় পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভীষণ আর্টিলারি ফায়ার শুরু করে। আমি এবং মেজর হারুন আমাদের অবস্থান পর্যবেক্ষণ করছিলাম। আমাদের সৈন্য সংখ্যা ছিলো প্রায় ৩৫ জন। ওদের সংখ্যা ছিলো ১০০-এর উপরে। আমাদের একজন সিপাহী এই যুদ্ধে মারা যায়। মেজর হারুন ব্রীজের উপর আহত হন। আহত হবার পর অতিকষ্টে তাকে পুলের অপর দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। পাকিস্তান বাহিনীর তীব্র আক্রমণের মুখে টিকতে না পেরে পিছু হটতে নির্দেশ দিলাম। আমাকে একজন সৈন্য বললো চলে যেতে। আমি বললাম যে, আমি আসছি। আমি রয়ে গেলাম। হঠাৎ আমি নিজেকে পাকিস্তান বাহিনী কর্তৃক ঘেরাও অবস্থায় দেখলাম। অন্য সবাই পুলের অপর পারে চলে যেতে সক্ষম হয়। আমি ট্রেঞ্চ থেকে বের হয়ে চারিদিকে চাইনিজ স্টেনগান দিয়ে গুলি ছুড়তে থাকলাম। তারপর একটা গুলি এসে আমার কোমরে লাগে এবং আমি গুরুতর আহত হয়ে পুলের উপর পড়ে গেলাম। আমি ভাবতে লাগলাম যে, শত্রুরা আমাকে ধরে ফেলবে। আমি ওদের হাতে ধরা পড়ার চেয়ে আত্মহত্যা করে মৃত্যুবরণ করাকে শ্রেয় বলে স্থির করলাম। কিন্তু স্টেনগানটা দুরে ছিলো। তাই এটা সম্ভব হলো না। আমি ভাবছিলাম ওরা আমাকে ধরে মেরে ফেলবে কিন্তু শত্রুরা আমাকে ধরে নিয়ে যায় এবং বন্দী করে রাখে। তারপর আমাকে ঢাকা পাঠিয়ে দেয়।

স্বাক্ষরঃ

শমসের

বাংলাদেশ আর্মি

Scroll to Top