৪৪। ১৩ জুন আড়াই ডিভিশন পাঞ্জাবী ফৌজ বাংলার স্বাধীনতা রুখতে পারবে না

কম্পাইলারঃ সৌ রভ

<৬,৪৪,৮৫>

আড়াই ডিভিশন পাঞ্জাবী ফৌজ বাংলার স্বাধীনতা রুখতে পারবে না

অচিরেই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে যাচ্ছে। পৃথিবীর মানচিত্রে সংযোজিত হচ্ছে নদীমাতৃক বাংলাদেশ, একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসাবে।

.

ইদানীং ইয়াহিয়া জঙ্গী সরকারের বেতার বার্তায় প্রচারিত হয়েছে যে বাংলার বিদ্রোহ দমন করতে আরও আড়াই ডিভিশন (৩৫ হাজার) খান সেনা বাংলায় পাঠান হচ্ছে। এখন স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে তবে আগের ৩ ডিভিশন পাঞ্জাবী গেল কোথায় ? তারা কি বাড়ী যেয়ে ছুটি যাপন করছে ? না, বাঙ্গালী বীরেরা তাদেরকে পাতালপুরীতে নিমন্ত্রণ খাওয়াতে নিয়ে গেছেন ? স্বাধীন বাংলার বেতার কেন্দ্রের ঘোষণা ও বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া খবর হতে স্পষ্টই বুঝা যাচ্ছে যে, বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রাম শুরু হওয়া থেকে আজ পর্যন্ত কমপক্ষে ২৫০০০ (পঁচিশ হাজার) পাক সেনা নিহত ও বহু আহত হয়েছে।

.

যুদ্ধবাজ টিক্কা খাঁ যে বাংলাদেশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আয়ত্তে আনবেন- আজ ৪৮ ঘণ্টার স্থলে ৮০ দিন অর্থাৎ ১৯২০ ঘণ্টা বিলীন হয়ে গেল, এর মদ্যে না পারলেন বাংলাদেশকে দমন করতে না পারলেন ২৫০০০ খান সৈন্যের জীবন রক্ষা করতে। বর্তমান হালে আর পানি পাচ্ছে না পাঞ্জাবীদের। অবস্থা বেগতিক দেখে সামরিক কর্তৃপক্ষ সাধারণ ক্ষমা প্রদর্শন করেছেন দেশবাসীকে এবং তারাও দেশবাসীর নিকট হতে ক্ষমা চেয়েছেন। কথাটি ঠিক মানানসই হল না কার কাছে। বাংলা বাসীকে প্রশ্ন করি তারা কি কার করুণার পাত্র হতে চান অথবা ক্ষমা করতে চান জালেম, অগ্নিসংযোগকারী, লুণ্ঠনকারী, লক্ষ লক্ষ নিরস্ত্র নরনারী, বৃদ্ধ, শিশু হত্যাকারী মা-ভগিনীর ইজ্জত বিনষ্টকারী ইয়াহিয়ার পশু পাঞ্জাবী সেনাদেরকে? কিন্তু এর উত্তর বাংলা বাসী বহু পূর্বেই দিয়েছেন কোন “আপোষ নেই” নেই কোন রাজনৈতিক সমাধান।

.

এর একমাত্র সমাধান “অস্ত্র” অথবা বাংলার “স্বাধীনতা”। ওয়াদা খেলাপ কারীদের আজ আর কোনও কথায় বিশ্বাস নেই। দেশকে স্বাধীন আমরা করবোই। লক্ষ লক্ষ রক্তস্রোত বৃথায় যেতে দিবো না। আজ পূর্বের আকাশে রাঙা প্রভাতের বিজয় কেতন নিয়ে ধীরে জেগে উঠেছে সোনার সূর্য। ওই শোনা যায় জয়ভেরির নিনাদ “স্বাধীন বাংলা’

Scroll to Top