অনুবাদঃ শিহাব শারার মুকিত
<৬, ৫০, ৬৬৮-৬৬৯>
শিরোনাম | সংবাদপত্র | তারিখ |
বাংলাদেশ দূতের ভাষণ, বি ডি এল সভাপতির সফর | বাংলাদেশ নিউজলেটার,
শিকাগোঃ ০৭ |
২০ আগস্ট, ১৯৭১ |
ডেট্রয়েটের সভায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের ভাষণ প্রদান
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই জনাব এম আর সিদ্দিকি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রবাসী বাঙ্গালিদের সাথে পরিচিত হওয়ার জন্য। তিনি ইতোমধ্যেই ওয়াশিংটন ডিসি, নিউইয়র্ক, কানেক্টিকাট, বোস্টন ও ডেট্রয়েটের বাঙ্গালি সম্প্রদায়ের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন।
১৫ আগস্ট ডেট্রয়েটের সভার আয়োজন করেছিল মিশিগানের বাংলাদেশ সমর্থক গোষ্ঠী (বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা মৈত্রী)। বিডিএল এর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং মধ্যাঞ্চল থেকে কিছুসংখ্যক সদস্য এই সভায় উপস্থিত ছিলেন।
তাঁর ভাষণের শুরুতেই তিনি আমেরিকায় বসবাসরত সকল বাঙ্গালিদের অভিনন্দন জানান মার্কিন জনগণের সাহায্য ও সহমর্মিতা অর্জনের জন্য কাজের জন্য। তিনি আরও বলেন “আপনারা যা অর্জন করেছেন তা আমাদের অনেক সামনে এগিয়ে নিয়েছে।”
বিডিএল সভাপতির ওয়াশিংটন, ফিলাডেলফিয়া ও নিউইয়র্ক সফর
বিডিএল সভাপতি ১০ আগস্ট ওয়াশিংটন ডিসিতে এম আর সিদ্দিকি এবং অন্যান্য বাঙ্গালি কূটনীতিক যারা পাকিস্তানের পক্ষত্যাগ করে এসেছেন তাদের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং তারা যুক্তরাষ্ট্রের বাঙ্গালি সম্প্রদায় এবং নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ মিশনের সম্প্রীতি রক্ষার বিষয়ে আলোচনা করেন। পরে তিনি বাংলাদেশ তথ্য কেন্দ্র পরিদর্শন করেন বিডিএল এবং তথ্য কেন্দ্রের মাঝে চলমান সমঝোতা সম্পর্কে আলোচনা লরার উদ্দেশ্যে।
সন্ধ্যায় বিডিএল সভাপতি ফিলাডেলফিয়া সফর করেন এবং পূর্ব বাংলার বন্ধু সদস্য ও বৃহত্তর ডেলাওয়ার উপত্যকার বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের সাথে সাক্ষাৎ করেন। এই দুটি সংগঠন ও বিডিএল এর মধ্যে সরাসরি পারস্পরিক যোগাযোগ রক্ষার বিষয়ে আলোচনা হয়। এই তিন সংগঠনের মধ্যে সকল ধরণের যোগাযোগ রক্ষার বিষয়ে ঐক্য সিদ্ধান্ত হয়েছে। একজনকে বিডিএল এর পরিচালনা পরিষদে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
১১ আগস্ট বিডিএল সভাপতি নিউইয়র্ক সফর করেন এবং আমেরিকার বাংলাদেশ লীগের একটি সভায় অংশগ্রহণ করেন যেখানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন এবং ভাষণ প্রদান করেন।
২৬শে জুলাই সেইন্ট জন স্টোরহাউজের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রথমবারের মত বাংলাদেশের কোন নীতিনির্ধারককে লন্ডনের হাউজ অফ কমন্সে সম্মান প্রদর্শন করা হয় যখন বৃটিশ সরকারের ডাক যোগাযোগ মন্ত্রী এবং বাংলাদেশের দূত বিচারপতি আবু সাইদ চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্রে ২৩,০০০ ডলারের অধিক মূল্যমানের ডাকটিকিট উদ্বোধনের দিনেই ইংল্যান্ড জুড়ে বিক্রি হয়ে যায়।
ডাকটিকিটগুলোর ডিজাইন করেন বাঙ্গালি শিল্পী বিমান মল্লিক যিনি ১৯৬৯ সালে ব্রিটেনের গান্ধী টিকিটের ডিজাইন করেছিলেন। সেগুলো ফরম্যাট সিকিউরিটি প্রিন্টার্স লিমিটেড কর্তৃক ইংল্যান্ডে ছাপা হয়েছিল।
বাংলাদেশের ডাকমাসুল টিকিটগুলো নিজস্ব ও বাইরের চিঠি আদান প্রদানে ব্যবহৃত হয়। বাংলাদেশে মুক্ত অঞ্চল গুলোতে ডাকঘর চালু আছে। বাংলাদেশের টিকিটযুক্ত চিঠি ভারত সরকার গ্রহণ করে এবং পরবর্তিতে চালান করে দেয়। (১৮৮১ থেকে ১৯৫৯ পর্যন্ত ঠিক একইভাবে নেপালের টিকিটযুক্ত বার্তা ভারত সরকার গ্রহণ করে চালান করে দিত।)