অনুবাদঃ মেহেদী হাসান চৌধুরী
<৬,৭৯ ,৭২২>
.
শিরোনামঃ বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিশ্বশান্তির জন্য হুমকিস্বরূপ
সংবাদপত্রঃ বাংলাদেশভলিউম ১ : নং. ৪
তারিখঃ ২৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১
.
বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিশ্বশান্তির জন্য হুমকিস্বরূপ
ইউ থান্ট-পডগোর্নি-গিরি-জহির শাহ
রাজনৈতিক সমাধান চান
.
বাংলাদেশের পরিস্থিতি বিশ্বশান্তির জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব, ইউ থান্ট, সোভিয়েত রাষ্ট্রপতি নিকোলাই পডগোর্নি, ভারতীয় রাষ্ট্রপতি ভি.ভি. গিরি এবং আফগান রাজা মোহাম্মদ জহির শাহ, এশিয়ার শান্তির লক্ষ্যে বাংলাদেশে দ্রুত রাজনৈতিক সমঝোতা আহবান করেছেন।
.
ইউ থান্ট
গত সপ্তাহে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মহাসচিব, ইউ থান্ট, পুনর্ব্যক্ত করেন যে, বাংলাদেশের পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য বিরাট হুমকি। বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে দেওয়া তার ২০ জুলাই এর স্বারকলিপির প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা পরিষদ কোনো পদক্ষেপ গ্রহন না করায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি আরও মনে করেন, স্থিতিশীল অবস্থা পুনরুদ্ধার না হলে, ভারত থেকে অধিকাংশ শরণার্থীদের ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই।
.
পডগোর্নি
সোভিয়েত রাষ্ট্রপতি নিকোলাই পডগোর্নি দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি রক্ষার্থে বাংলাদেশে “দ্রুত রাজনৈতিক সমঝোতা”আহবান করেন। ১৪ ই সেপ্টেম্বর আফগান রাজা মোহাম্মদ জহির শাহের আগমনে ক্রেমলিনে আয়োজিত এক ভোজসভায় তিনি এই বক্তব্য রাখেন। সোভিয়েত রাষ্ট্রপতি বলেন, “সম্প্রতি এশীয় উপমহাদেশের পরিস্থিতিতে অবনতি পরিলক্ষিত হয়েছে। তিনি মনে করেন, শরণার্থীদের সমস্যাগুলো বাংলাদেশের চলমান ঘটনাবলীর সাথেই উদিত হচ্ছে।
.
জহির শাহ
সোভিয়েত রাষ্ট্রপতির ভোজসভার বক্তব্যের জবাবে আফগান রাজা বলেন, “আমাদের মতে বিরোধ সমাধানে যে কোন সামরিক চাপ সৃষ্টি ভয়াবহ পরিণতির দিকে নিয়ে যাবে। মানুষ ও জাতির অবিচ্ছেদ্য অধিকার নিশ্চিত করেই সকল বিরোধ রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে…।”
.
ভি.ভি. গিরি
ভারতের রাষ্ট্রপতি ভি.ভি. গিরি গত সপ্তাহে সিঙ্গাপুরে এক বক্তব্যে বলেন যে, আট লক্ষের অধিক উদ্বাস্তুর অন্তঃপ্রবাহ ভারতের জন্য বিশেষ সমস্যার সৃষ্টি করছে। তিনি তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট করেন যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি বিশ্বাস থেকে, যতদিন না উদ্বাস্তুরা নিজের দেশে নিরাপত্তা ও সম্মানের সাথে ফিরে যেতে পারছে ততদিন ভারত তাদের সাময়িক আশ্রয় দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, অভীষ্ট অর্জনে প্রয়োজনীয় পরিবেশ তৈরী করা সেসময়ে জরুরী ছিল।