বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্রের ১৫তম খণ্ডের ২৪৮ নং পৃষ্ঠায় মুদ্রিত ৩৩ নং দলিল থেকে বলছি…
অধ্যাপক মোহাম্মদ শামসুল হক
স্বাধীনতা যুদ্ধ আরম্ভ হবার প্রাক্কালে আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক ছিলাম। সত্তরের নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে পাক-সামরিক জান্তার ক্রিয়াকলাপ অনেকের মতো আমার মনেও সন্দেহ জাগিয়ে তোলে। জাতীয় পরিষদের প্রথম অধিবেশনের তারিখ পরিবর্তন করা হয় এবং ঢাকার বৈঠকে যোগদানের ব্যাপারে ভুট্টোর অনীহা প্রকাশের ফলে বৈঠক অনিশ্চিত হয়ে পড়লে সারা দেশ ক্ষোভে উত্তেজনায় ফেটে পড়ে। এই পটভূমিতে ১৬ মার্চ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত ইয়াহিয়া-ভুট্টো ও সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভকারী আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে যে আলোচনা চলে স্বভাবতই তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিয়ে তা আমরা অনুসরণ করছিলাম। আমার ধারণা ছিল এই চরম সংকট ও অচলাবস্থা নিরসনে তাঁরা হয়তো একটা সমঝোতায় উপনীত হবেন।
অন্যদিক সারাদেশে প্রতিদিনই ইয়াহিয়ার সামরিক তৎপরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা ডাকা হচ্ছিলো। ২৩ মার্চ বিকেলে চট্রগ্রাম শহরে ছাত্র শিক্ষক জনতার একটি প্রতিবাদ মিছিল বের হয় ও প্যারেড গ্রাউন্ডে গিয়ে মিলিত হয়। এই জনসভায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছাত্র-শিক্ষক অনেকে গিয়েছিলাম। সভা চলাকালে খবর পেলাম, চট্রগ্রাম বন্দরে বাঙালি শ্রমীকরা জাহাজ থেকে অস্ত্র নামাতে অস্বীকার করায় পাক বাহিনীর জোয়ানরা গোলাবর্ষণ করেছে। এরপর সভা মূলতবী হয়ে যায়। চট্রগ্রাম শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফিরে আসার সময় এক অভুতপূর্ব স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিরোধ প্রত্যক্ষ করি। তরুণ ও যুবকরা সেচ্ছাসেবকের প্রতীক নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড সৃষ্টি করেছে। দেখে মনে হলো তারা পাক সামরিক অভিযান বাঁধা দিতে অকুতোভয়। ক্যাম্পাসের দিকে এগুতে পারিনি। গ্রামের ভিতর দিয়ে পায়ে হেটে পথ খুঁজে নিয়ে আমাদের ক্যাম্পাসে পৌঁছতে অনেক রাত হয়েছিলো।
দেশের এই ক্রান্তিকালে যে কোন মুহূর্তে নতুন কোন ঐতিহাসিক অধ্যায়ের উন্মোচন হতে পারে এরূপ একটা অবস্থায় গভীর ঔৎসুক্য নিয়ে প্রতিদিন বেতারে খবর শুনতাম। ২৬ মার্চ সকালে রেডিও খুলতেই হঠাৎ অস্বাভাবিক অবস্থা মনে হলো। ভারী কণ্ঠ যা কোনো বাঙালির মনে হয়নি। ঘোষণা শুনতে পেলাম। ঢকাতে কারফিউ জারি হয়েছে, পরবর্তী ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করুন। সেই মুহুর্তে ঢাকায় কি ঘটেছে তা জানা যায়নি। তবে সাংঘাতিক কিছু একটা হয়েছে তা আঁচ করা যাচ্ছিলো।
দ্বিপ্রহরের পর থেকে আকাশবাণীর খবরে ঢকার কিছু কিছু সংবাদ পেলাম। ইপিআর ও পুলিশ ক্যাম্প আক্রমণ করেছে পাক সেনারা, নিরীহ জনসাধারণের উপরও তারা ভারী অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে চড়াও হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অনেক পরিচিতজনের নিহত হবার কথাও শুনলাম। ঠিক সেই মুহুর্তে চট্রগ্রামে আমরা কি করবো তা স্থির করতে পারি নি।
২৬ মার্চ রাত বারোটার দিকে উপাচার্য ডঃ আজিজুর রহমান মল্লিক আমাকে ডেকে পাঠান এবং বলেন আরো যাকে পান সঙ্গে নিয়ে আসবেন। গিয়ে দেখি অনেক ইপিআর(তদানীন্তন ইষ্ট পাকিস্তান রাইফেল)-এর লোকজন রামগড় ও সন্নিহিত সীমান্ত এলাকায় তাদের স্থান ছেড়ে ক্যাম্পাসে এসে জড় হয়েছে। এদের খাওয়ার ব্যবস্থা করাই ছিলো সেই মুহুর্তের সবচেয়ে জরুরী কাজ। আমাকে সেই দায়িত্ব দেয়া হলো। অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে গেলাম। চাল ডাল তরকারী ইত্যাদি সংগ্রহ করে তাদের খাওয়ার আয়োজন করা হলো। এ অবস্থায় তারা কি করবে এ নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়। চট্রগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট আক্রমণ যায় কিনা এবং কি উপায়ে তা করা যাবে এ ব্যাপারে অনেক কথাবার্তা হলো। উল্লেখ্য যে, এদের মধ্যে অফিসারের সংখ্যা ছিলো কম।
ডঃ মল্লিক বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। অবস্থা মোকাবেলার জন্য তার গোপন নির্দেশে আমরা মলোটভ ককটেল জাতীয় কিছু বোমা তৈরী করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম। এ ব্যাপারে তিনি আমাকে সাহায্য করার জন্য সিএসআইআর-এর ডঃ আবদুর হাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। রসায়ন বিভাগের ডঃ মেসবাহউদ্দিন ও পদার্থ বিঞ্জান বিভাগের এখলাস উদ্দিনের সহায়তায় চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরীতে আমরা এ ধরনের কিছু হাতবোমা তাৎক্ষণিকভাবে বানাতে সক্ষম হই এবং সেগুলো পরীক্ষামূলক ব্যবহার করি।
২৭ তারিখ কালুরঘাট স্বাধীনবাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র হতে মেজর জিয়া কর্তৃক স্বাধীনতার ঘোষণা শোনা যায়। ঐ ঘোষণার প্রথমে তিনি নিজেকে প্রেসিডেন্ট বলে উল্লেখ করেছিলেন পরে তা সংশোধন করে শেখ মুজিবের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা সম্প্রচার করেন। তার নেতৃত্বে ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের জোয়ানরা কালুরঘাটে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে বলেও আমরা খবর পাই। ডঃ মল্লিক কালুরঘাট স্টেশনের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের ব্যবস্থা করেন।
এই বেতার ঘোষণার পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করা আমাদের কারো পক্ষে আর নিরাপদ ছিলো না। মল্লিক সাহেব ক্যাম্পাসে অবস্থানরত মহিলা ও শিশুদের আগে সরাবার ব্যবস্থা করেন। ৩০ মার্চ সকালের দিকে অন্যান্যদের সঙ্গে আমার পরিবার কুন্ডেশ্বরী বালিকা বিদ্যালয় হোস্টেলে আশ্রয় নেয়। অপরাহ্নে আমরাও মিলিত হই তাদের সঙ্গে। নিরাপত্তার আশংকা আমাদের তাড়িয়ে নিয়ে চলছিলো সর্বত্র। ফজলুল কাদের চৌধুরীর লোকেরা সেখানে আমাদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে শুরু করে। আমরা সত্ত্বর সে স্থান ত্যাগ করে নাজিরহাটে চলে যাই। এখানে মল্লিক সাহেব, ডঃ আনিসুজ্জামান, সৈয়দ আলী আহসান এবং আরো অনেক শিক্ষক অবস্থান করছিলেন। ডঃ মল্লিক চট্রগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা হান্নান সাহেব ও অন্যান্য রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছিলেন। তারা সীমান্ত অতিক্রম করার নির্দেশ দেন। সকলে চলে যাবার পর আমরা আরো প্রায় এক সপ্তাহ সেখানে কাটাই। এ সময় মুক্তিবাহিনীর তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। বিভিন্ন স্থানে সেতু উড়িয়ে তারা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে থাকে। এ অবস্থায় আমরা কয়েকটি পরিবার নৌকায় করে রামগড় টি এস্টেটে চলে যাই। সেখানে এক রাত কাটানোর পরই হানাদার বাহিনীর অভিযানের সংবাদ ও গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাই। অতি সত্ত্বর আমরা নদী পার হয়ে ভারতের সাবরুমে একটি প্রাইমারী স্কুলে এসে পৌঁছি। এখানে সপ্তাহখানেক অবস্থান করি। স্কুলের একেকটি কামরায় প্রায় ১০টি করে পরিবারকে এই ক’দিন কোনমতে থাকতে হয়েছিলো।
এরপর আগরতলায় এসে ডঃ মল্লিক ও বাংলাদেশ থেকে আগত অনেকের সঙ্গে দেখা হয়। এখানে বেশ কিছুদিন অবস্থান করি। একটি টেকনিক্যাল স্কুলের পরিত্যক্ত হোস্টেলে সপরিবারে আশ্রিত হই। মে মাসের প্রথম দিকে ডঃ মল্লিক কোলকাতায় যান। সৈয়দ আলী আহসানও তার পরপরই চলে যান।
আগরতলায় শরণার্থীদের জন্য ক্যাম্প খোলা হয়েছিলো। এসব ক্যাম্পে বাংলাদেশ থেকে আগত যুবক ও ছেলেদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। আমি এসব ক্যাম্পে যাতায়াত করেছি এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়েছি। এখানে মেজর জিয়া, ক্যাপ্টেন আকবর হোসেন, মেজর মীর শওকত আলী প্রমুখ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সামরিক ব্যক্তিবর্গের সঙ্গেও মাঝে মাঝে আমার দেখা সাক্ষাৎ হতো। মেজর নুরুজ্জামান আমাদের খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে সহায়তা করেছিলেন।
ইতিপূর্বে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করা এবং শরণার্থী শিক্ষকদের নানাভাবে সহায়তা করার উদ্যেশ্য নিয়ে ‘কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ সহায়ক সমিতি’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান সংগঠিত হয়েছিলো। এই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ থেকে আগত শিক্ষকদের ঠিকানা ও বিবরণ চেয়ে পাঠানো হয়েছিলো যাতে তারা ভারতে কোথাও কোনোভাবে আশ্রয় নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করতে পারেন। তাদের এই আহবান অনুযায়ী আমি আমার বায়োডাটা পাঠিয়েছিলাম। কিছুদিন পর কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর আগরতলা এসে আমাদের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি ছিলেন অনেক বয়োজ্যেষ্ঠ। আমাকে বললেন, “তুমি তো বোঝই আমাদের এখানে চাকরির অনেক অসুবিধা। তবে তোমার জন্য বোধ হয় একটা ব্যবস্থা করা যাবে।“ আমি কোলকাতা প্রেসিডেন্সী কলেজের প্রাক্তন ছাত্র ছিলাম এবং সে সময় চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর পদে উন্নীত হয়েছিলাম। তাই তিনি বোধ হয় আমাকে এই আশ্বাস দিয়েছিলেন। তিনি আমাকে কোলকাতা যেতে আহবান জানান এবং বিমানের টিকিট পাঠিয়ে দেন।
কোলকাতা গিয়ে আমি মুজিবনগর সরকারের অফিসে দেখা করি। অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আমার পূর্ব পরিচয় ছিলো। তিনিও আমাকে আশ্বাস দিলেন। ইতিমধ্যে সৈয়দ আলী আহসান সাহেবও শরণার্থী শিক্ষক বুদ্ধিজীবিগণের জন্য বিদেশের একটি সাহায্য সংস্থা হতে কিছু অর্থ সাহায্যের ব্যবস্থা করেছিলেন।
‘বাংলাদেশ সহায়ক সমিতি’ আমার বায়োডাটা পাঠিয়েছিলো পাতিয়ালা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাতে আমার ঠিকানা ছিলো আগরতলার। জুনের শেষের দিকে আমি কোলকাতায় আগরতলা থেকে পুনঃপ্রেরিত পাতিয়ালা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি চিঠি পাই। বিভাগীয় প্রধান ঐ চিঠিতে আমাকে এই বিশ্ববিদ্যালয় ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে যোগ দেবার আহবান জানান। তিনি আরো জানান যে, এজন্য তারা আমাকে এক হাজার রুপী মাসিক বেতন দিতে পারবেন। এই প্রস্তাব আমি সানন্দে গ্রহণ করি এবং জুলাই মাসের ১ তারিখে পাতিয়ালা রওয়ানা। এরপর থেকে আমি বাংলাদেশ শত্রুমুক্ত হওয়ার দিন পর্যন্ত সেখানেই ছিলাম।
পাতিয়ালায় অবস্থানকালে আমি রেডিও মারফত মুক্তিযুদ্ধের খবর ও পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত থেকেছি। সেখানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে বিভিন্ন জায়গায় বক্তৃতা দিয়ে জনমত সৃষ্টির চেষ্টা করেছি। দেশ স্বাধীন হলে বর্তমান নেতৃত্ব সরকার পরিচালনায় সমর্থ হবেন কিনা, আমাদের মুক্তিযুদ্ধকেন্দ্রিক এরূপ নানা সংশয় বিদ্যমান ছিলো স্থানীয় লোকদের মধ্যে। পাক হানাদার বাহিনীর গণহত্যা একটা ব্যাপক প্রোপাগান্ডা হিসেবে অনেকে মনে করতো। শরণার্থীদের ক্ষেত্রেও অনুরূপ ধারণা ছিলো। আমি তাদের যথাসাধ্য বোঝাতে চেষ্টা করেছি। আমি এই ভেবে তাদের ধারণা পরিবর্তনের প্রয়াস পেয়েছি যে, আমরা শিক্ষকরা রাজনীতির সঙ্গে কখনো সরাসরি জড়িত ছিলাম না। তবে কেন আমাদেরকে এভাবে খালি হাতে দেশত্যাগ করতে হলো?
পাতিয়ালায় থাকাকালে ভারতের দূরবর্তী এলাকাসমূহে মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে জনমত গঠনের আরো কয়েকটি প্রক্রিয়া আমি প্রত্যক্ষ করি। যেমন, সিনেমা হলগুলোতে বাংলাদেশে পাক হানাদার বাহিনীর গণহত্যা, শরণার্থীদের অন্তহীন দুর্ভোগ ও দুর্দশা সম্বলিত সংবাদচিত্র প্রদর্শণী, বাংলাদেশ সম্পর্কে নেয়া বিভিন্নজনের সাক্ষাৎকারের ছবি ও কযাপশন প্রদর্শণী ইত্যাদি। এমনকি ইতিপূর্বে আগরতলা প্রবাসকালে ভারতীয় সংবাদপত্র আমার যেসব বিবৃতি ও সাক্ষাৎকার নিয়েছিলো তার কিছু কিছু পাতিয়ালাতেও প্রদর্শিত হয় বলে আমি জানতে পারি।
১৬ ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ শত্রুমুক্ত হবার পর আমি স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করি এবং ২৫ ডিসেম্বর তারিখে চট্টগ্রাম এসে পৌছি।–
-মোহাম্মদ শামসুল হক
(উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)
জুন, ১৯৮৪