শিরোনামঃ বঙ্গভঙ্গ প্রস্তাব সম্পর্কিত দলিল
সুত্রঃ স্ট্রাগল ফর ফ্রিডমঃ আর.সি.মজুমদার, পৃষ্ঠা-২০
তারিখঃ ১৯শে জুলাই,১৯০৫
বঙ্গভঙ্গ
বাংলার আসাম, ঢাকা, চট্টগ্রাম আর রাজশাহী বিভাগ নিয়ে আলাদা একটি অঙরাজ্য গঠিত হবে, এখবরটি প্রথম কোলকাতা প্রেস-এ প্রকাশ পায় ১৯০৫ সালের ৬ই জুলাই। পরদিন এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে সিমলা থেকে।
এর ফলে বাস্তবিক কী কী পরিবর্তন আসবে তার বিবরণ ঘোষণাটির অনুচ্ছেদ ৭ তুলে ধরা হলো: “৭। সম্মতিক্রমে প্রস্তাবের ফলে যে সকল পরিবর্তন তার বিবরণ নিম্নরূপ:
আসামের বর্তমান প্রধান কমিশনারকে প্রতিনিধি গভর্নর করে বাংলার চট্টগ্রাম, ঢাকা এবং রাজশাহী বিভাগ, মালদহ জেলা এবং পার্বত্য ত্রিপুরা রাজ্য নিয়ে নতুন একটি রাজ্য গঠিত হবে। দার্জিলিং বাংলার সাথে থাকবে। উভয় অঞ্চলের গুরুত্ব বিবেচনা করে সমন্বয়ের জন্য রাজ্যের নাম হবে পূর্ববঙ্গ ও আসাম। এর রাজধানী হবে ঢাকা আর অধীনস্থ কিছু হেডকোয়ার্টার হবে চট্টগ্রামে।
১,০৬,৫৫০ বর্গমাইলের ও ৩ কোটি ১০ লাখ জনগোষ্ঠীর এই অঞ্চলে, ১ কোটি ৮০ লাখ মুসলিম এবং ১ কোটি ২০ লাখ হিন্দু বসবাস করে। এর অধীনে একটি আইন সভা থাকবে। রাজস্ব বোর্ডের দুই সদস্য এবং কোলকাতা হাইকোর্টের কর্তৃত্ব অবিঘ্নিত থাকবে।
বিদ্যমান বাংলা প্রদেশ পূর্ব দিকের এই বিশাল অঞ্চল এবং ছোট নাগপুরের পাঁচটি হিন্দু রাজ্য ছেড়ে দেয়ায় আয়তনে ছোট হলেও সম্বলপুর ও উরিষ্যার পাঁচটি পূর্ববর্ণিত রাজ্যের অধিগ্রহণ করবে। ৫ কোটি ৪০ লাখ জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৪ কোটি ২০ লাখ হিন্দু এবং ৯০ লাখ মুসলিম অধ্যুষিত এর মোট আয়তন হবে ১,৪১,৫৮০ বর্গ মাইল।
সংক্ষেপে বাংলা ও আসামের বর্তমান অঞ্চলসমূহ দুটো অখণ্ড এবং সার্বভৌম প্রদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে। প্রতিটির মধ্যেই ব্যাপক সমরূপী অঞ্চল রয়েছে, যারা সুনির্দিষ্ট সীমানা দ্বারা পৃথককৃত, সম্পদে স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং উন্নত প্রশাসনিক ব্যবস্থায় সজ্জিত।”
পাদটীকা: পুনর্বিবেচিত এই বিভাজনের পরিকল্পনা ১৯শে জুলাই সরকারী ঘোষণা হিসেবে জনসমক্ষে আসে, ২০শে জুলাই কোলকাতা প্রেস থেকে তা প্রকাশিত হয়।
(ঘোষণার পূর্ণ বিবরণ দিয়েছেন বাংলা, ওপি.সিআইটি অ্যাপ. জিপিএল)