পাকিস্তান ভারত যুদ্ধ

শিরোনাম সূত্র তারিখ
৮৭। পাকিস্তান- ভারত যুদ্ধ ইভনিং স্টার ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

 

Nijhum Chowdhury

<১৪, ৮৭, ২১২-২১৩>

 

দ্যা ইভনিং স্টার (ওয়াশিংটন), সেপ্টেম্বর ৩০,১৯৭১

পাকিস্তানের বিশৃঙ্খলা ভারতের প্রান্ত যুদ্ধের নিকটতম

  • ক্রসবি এস.নজেয়

 

বিগত সবদিনের সাথে, একটি রাজনৈতিক সমঝোতায় পৌঁছানোর সুযোগসমূহ,পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে হ্রাস পেয়েছে এবং পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে। ইসলামাবাদ সরকারের দাবি সত্ত্বেও, পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক অবস্থা যাইহোক কিন্তু নিয়ন্ত্রণে আছে।বাঙ্গালীর আন্দোলন ভেঙ্গে স্বায়ত্তশাসন করতে আর্মির দমন মূলক প্রচেষ্টা যা শুরু হয় ২৫ শে মার্চ।আজ,প্রতিবেদন অনুযায়ী, সব গ্রাম ধারাক্রমে ধ্বংস প্রাপ্ত। এবং প্রত্যেক সময়ই তারা ধ্বংস করেছে। অন্যসব গ্রামবাসী পরিত্যক্ত, তাদের নিবাস শরনার্থীর মহাপ্লাবনে ভারতে পালাচ্ছে।আবার। পশ্চিম পাকিস্তানের দাপ্তরিক দাবি সত্ত্বেও, পশ্চিম প্রদেশের সরকার প্রশাসন ফলত উপস্থিতি স্থগিত করেছে। তত্ত্বমতে, একটি নিযুক্ত অসামরিক সরকার কয়েক সপ্তাহের জন্য স্থাপিত হয়েছে ডা. এ.এম মানিকের নেতৃত্বে।প্রকৃতপক্ষে, আর্মি হল বিদ্যমান একমাত্র কর্তৃপক্ষ, মার্শাল’ল কর্তৃক সর্বত্র সারাদেশে বল প্রয়োগ করেছে।

 

এদিকে,গেরিলা প্রতিরোধ আন্দোলন বাড়ছে আকারে ও কর্মকান্ডে  ভারতের সরবরাহ কৃত আশ্রয় ও সমর্থনের সাথে, ‘মুক্তিবাহিনী’ অথবা মুক্তিফৌজ, মুক্তবাংলা আন্দোলন সরকারি বলে পদে পদে হয়রানির শিকার হচ্ছে এবং হামলা নৈমিত্তিক বাড়ছে।  নিরস্ত্ররা প্রতিহিংসা হানার শিকার” বেসামরিক লোকেরাই শুধু বিষয়টিকে আরো খারাপ দিকে নেয়,শরণার্থী দের বরাবর মুক্তিযোদ্ধা তৈরি হচ্ছে। ভারতে অবস্থাটি দ্রুতগতিতে অসহ্য হয়ে উঠছে। এটা এখন অনুমেয় যে ৮ মিলিয়নের বেশি পূর্ব পাকিস্তানি, বেশিরভাগ হিন্দু,সীমান্ত ঘেষে শরণার্থী শিবিরে ভীড় করছে। ভারতের সমস্যাগুলোর সাথে যুক্ত অতিশয় স্বাভাবিক অস্থিতিশীল এবং পশ্চিম সীমান্ত অঞ্চল অশান্ত। সমস্ত শরনার্থীদের নিছক সংখ্যা সপ্তাহে ৫০,০০০ হারে বাড়ছে আশাহীন বোঝা চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে ভারতে। এবং পূর্ব পাকিস্তানের দুর্ভিক্ষের বিস্তার সম্ভাবনার সাথে, শরণার্থী খাবার, যদি কোনোকিছু, আসছে মাসের মধ্যে বাড়ার প্রত্যাশা।

 

অবধারিতভাবে, ভারতে সরকারের উপর চাপ কিছু নিষ্পত্তিকারক উদ্যোগ গ্রহণ করতে প্রক্রিয়াধীন।এখন পর্যন্ত, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সংবরণে অগ্রসর হয়েছেন, সাবধানে যেকোনো আন্দোলন উপেক্ষা করছেন,যেমন বাংলাদেশের স্বীকৃতি (বাঙ্গালি জাতি) যে হয়ত ঘটিয়েছেন একটি যুদ্ধের তৃতীয় টি পেতে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে।  ভারত তাদের সামরিক ধারণক্ষমতার ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী যদি পাকিস্তানের যুদ্ধ বিস্ফোরিত হয়, তাদের বিশ্বাস তারা এটা জিতবে এবং তারা বিশ্বাস করেন যে স্বার্থের সাথে প্রধান ক্ষমতা রাশিয়া অঞ্চলের মধ্যে। চায়না এবং যুক্তরাষ্ট্রের এক্ষেত্রে না জড়ানোই উত্তম হবে। কিন্তু যখন এটা যুদ্ধ থেকে আসে আপনি পারেন অথবা পশ্চিম পাকিস্তান তারা কম আত্মবিশ্বাসে ভালো কারবার করে। পশ্চিম পাকিস্তানে একটি অধোগামী রাজনৈতিক অবস্থার স্পষ্ট চিহ্নিত ভারতীয় রা কোনো স্বান্তনা নিচ্ছে না।

 

 

ইসলামাবাদ সরকার, বাঙ্গালি দ্রোহকে তাৎক্ষণিক দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে,সামরিক ফোর্সের অভিভূত করার মতো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে,  এখন মনে হয় খুব অনিশ্চিত কিভাবে এখানে থেকে অবস্থার সাথে মোকাবিলা করতে হয়।সামরিক সরকার ইয়াহিয়া খানের প্রতি নিন্দা বাড়ছে।এবং পশ্চিম পাকিস্তানের বেসামরিক ব্যক্তিত্বের নেতৃত্ব, জুলফিকার আলী ভূট্টো,প্রকাশ্যে কথা বলছেন একটু বিপ্লবের ব্যাপারে অথবা দেশের অভ্যন্তরে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে একটি আতে ঘাঁ।এই জটিলতায় এবং অত্যন্ত বিপদজনক অবস্থায়,আর কেউ নেই যে বোধগম্য ভাবে একটি মীমাংসা আনতে পারেন যা উদ্দিগ্ন প্রধান দলগুলোর জন্য মহামারির চেয়ে কিছু কম।তিনি শেখ মুজিবুর রহমান, বর্তমানে পূর্ব পাকিস্তানের নিষিদ্ধ দল আওয়ামীলীগ এর প্রধান যার দল ডিসেম্বর এ দেশের জাতীয় নির্বাচনে একটি স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জিতেছে।

 

২৫ শে মার্চ আর্মির কঠোর অবস্থা থেকে,শেখ মুজিবুর রহমান পশ্চিম পাকিস্তানে গ্রেপ্তার হয়েছেন।বিশ্বাসঘাতকতায় অভিযুক্ত, তিনি গোপনে সামরিক কোর্ট দ্বারা চেষ্টা করতেন।রায়ে, যা মৃত্যু পরোয়ানার হুমকি বহন করে, ঘোষিত হয়নি।

শেখ মুজিবুর রহমান বাঙ্গালির একমাত্র  নেতা হিসেবে বিশ্বস্ত হয়েছেন,তার সম্মানের সাথে এবং ব্যক্তিগত অনুসরণে,যে ক্ষতিগ্রস্ত পূর্ব পাকিস্তানে বিশৃঙ্খলার বিপরীত দিকে চলতে সক্ষম ছিলেন। এমনকি তিনি দারুণ কঠিন অবস্থায় তার অনুসারী দের পরিপূর্ণ স্বাধীনতার চেয়ে কম যেকোনো লক্ষ্যে রাজনৈতিক সমাধান দিতেন। কিন্তু তাকে ছাড়া,কোনো সমাধানই আসলে অনুমেয় নয়।এটা সন্দেহগ্রস্থ,নিশ্চিত হতে, যে পশ্চিম পাকিস্তান সরকার শেখকে নির্দোষ প্রমাণ করতে, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ এবং গম্ভীর আলাপচারিতায় প্রবেশ  যথেষ্ট বুদ্ধিমান। প্রয়োজনীয় বিষয়টি এই যে,প্রত্যয় কর্তৃক বন্ধু হওয়ার আগে সম্ভাব্যতা উচিত নয় এবং  বাঙ্গালি নেতার সম্ভাব্য ফাঁসি। যুক্তরাষ্ট্র, যে পাকিস্তানে অবিরত সাহায্য পাঠিয়েছে কিছু নিরোধক প্রভাব জাহির করতে ০০১ ইসলামাবাদ সরকার,উদ্দেশ্য সাধনের উচিত যাইহোক ব্যবহার করা উচিত এটা উপশম করতে হবে যে দুঃখজনক ব্যাপার।

 

Scroll to Top