জাতিসংঘ ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছেঃ
পাকিস্তানী সামরিক জান্তাদের দ্বারা সংঘটিত বাংলাদেশের জনগণের উপর চালানো গণহত্যা থামাতে জাতিসংঘের ব্যর্থতা বিশ্ব বিবেককে অন্যসব কিছুর চেয়ে বেশি মর্মাহত করেছে। লক্ষ লক্ষ নিপীড়ত মানুষ নিরর্থক অাশায় ছিলো জেনারেল সেক্রেটারী উ থান্ট অন্ততপক্ষে সদলবলে লুটপাটরত ফ্যাসিস্ট জান্তাদের নিবৃত করবে কারণ ইয়াহিয়ার আওতার নির্বাচনে শেখ মুজিবকে ভোট দেওয়া ছাড়া রাজনীতিতে নূন্যতম সম্পর্ক ছিলো না নির্যাতিত নির্দোষ নারী পুরুষ ও শিশুদের। শুধুমাত্র উপ-মহাদেশে না, বরং সমস্ত এশিয়ার শান্তির জন্য হুমকি মোকাবেলায় নিরাপত্তা পরিষদকে সক্রিয় করতে জাতিসংঘের ভারতীয় প্রতিনিধিদল উ থান্টকে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করানোর জন্য যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালিয়েছে। আর্ত পীড়িত মানুষের জন্য উ থান্টের মানবিক সাহায্যের প্রস্তাব ব্যতিত আর কোনো পদক্ষেপ গৃহিত হয়নি তাও ঐ সাহায্য আসত কেবল যদি ইয়াহিয়া খান সেটা চাইতেন। কিন্তু সাহায্য আনয়নের কোনো উদ্দেশ্য ইয়াহিয়ার ছিলো না।
*প্রতিবেদনগুলি আলমগীর কবির রচিত
.
সেক্রেটারি জেনারেল ইউ এন অফিসিয়াল দের কাছ থেকে গনহত্যার সব খোজ খবর পেয়েছিলেন যাদের মার্চ মাসে তাদের পদ থেকে অব্যহতি দেয়া হয়নি। তিনি একে ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য তম হত্যাকান্ড হিসাবে চিহ্নিত করেন। ইউ এন এর উপর সারা বিশ্বের এক রকম চাপ ছিল বাংলাদেশে দখল দারিত্তের ব্যাপারে , ব্রিটিশ ও আমেরিকান সংবাদ মাধ্যম গুলো ও এই ব্যাপার টিকে অনেক গুরুত্ব দিয়েছিল।
যদিও সেক্রেটারি জেনারেল কাউন্সিল এর সব মেম্বার দের একত্রিত করতে পারছিলেন না মিটীং এ বসার জন্য, কিন্তু আমেরিকা ও ব্রিটেন এর পাশাপাশি সোভিয়েত ইউনিয়ন ও মনে করছিলেন বিষয়টি এত সহজ না। ইউ এন হাল ছেড়ে দিক বা না দিক , বাংলাদেশের সাধারন মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীনতার সংগ্রামে শুধু নিজেদের উপর ই ভরসা করেছিল। ইউ এন তাদের তেমন কোনো ভরসা যোগাতে পারেনি।
আফ্রিকার ব্যাপারে অনেকবার হস্তক্ষেপ করলেও তা তেমন ফলপ্রসূ হয়নি। আমরা কঙ্গো ও আফ্রিকার দিকে তাকালে বুঝতে পারব, বাংলাদেশে তাদের হস্তক্ষেপ বরং পরিস্থিতি কে আরো ঘোলাটে করে তুলতে পারে। তখন বহিরাগত শক্তি আমাদের উপর আরো বেশি নাক গলানোর সুযোগ পাবে। বাংলাদেশের একমাত্র মুখপাত্র ও নেতা শেখ মুজিবর রাহমান মার্চ মাসে বাংলাদেশের কথা বলেছিলেন যখন U thant তার লোক দের বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। ইউ এন এর জন্য এটি আরেকটি বড় সুযোগ সৃষ্টি করেছিল।
কিন্তু এগুলো এখন সব ইতিহাস । বাঙ্গালীরা তাদের গভীর ক্ষত থেকে বের হয়ে এসে একতা বধ হয়েছে পাকিস্তানী হানাদার বাহীনীর বর্বরতার বিরুদ্ধে। জয় আমাদের হাতের কাছেই চলে এসেছে। এখন শধু দরকার একতা ও সাহস ও ধৈর্যের ।