<2.212.777>
ক্ষমতা হস্তান্তরে কোন আইনি বাধা নেই- ব্রোহি
মার্শাল ল তুলে নেয়ায় এবং জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে কোন আইনি বাধা আছে কিনা- সে বিষয়ে জনাব এ এম ব্রোহি তার লিখিত মতামত দিয়েছেন; এই সত্য মাথায় রেখে যে, এখন সংবিধান প্রণীত হবে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা যাদের এখনও কোন অস্তিত্ব নেই।
উপর্যুক্ত প্রশ্নের উত্তরে দেয়া জনাব ব্রোহির বিবৃতি নীচে উদ্ধৃত হল-
“আমাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল মার্শাল ল তুলে নেয়ায় এবং জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে কোন আইনি বাধা আছে কিনা। আইনি দৃষ্টিতে প্রশ্নটির উত্তর হচ্ছে, কোন বাধা নেই। প্রেসিডেণ্ট ইয়াহিয়া খান, যিনি বর্তমানে দেশের সার্বভৌম ক্ষমতার প্রতিনিধিত্ব করেন এবং যে বলে বর্তমান সংবিধান প্রশাসনকে বৈদেশিক বিষয়ে বিধান প্রদান করে, তিনি এই কাজ আর করবেন না ঘোষণা করার তার যোগ্যতা আছে।
ভারতীয় স্বাধীনতা আইনে এই বিষয়ের ঐতিহাসিক নজির আছে। এটা স্মরণ করা কঠিন কিছু নয় যে, স্বাধীনতা আইনের পূর্বে, ব্রিটিশরাই বৈদেশিক বিষয়ে প্রশাসনকে সাংবিধানিক নির্দেশ দিত। স্বাধীনতার অব্যবহিত পূর্বে ব্রিটিশরা স্বাধীনতা আইন প্রণয়ন করে ভারত এবং পাকিস্তান দুই অংশের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। এবং সেই স্বাধীনতা আইনে এই নীতি ছিল যে, পরবর্তীতে দু’জন গভর্ণর জেনারেল এবং রাজ্যের আইনসভার দ্বারা দেশ পরিচালিত হবে।
যতদিন না নতুন সংবিধান প্রণীত হয়, ততদিন পর্যন্ত চালু আইন গুলো বহাল থাকবে এ বিষয়েও বিধান ছিল। আমরা যদি সেই আইনের দিকে তাকাই এবং ব্রিটিশ পাওয়ারকে মার্শাল ল পাওয়ার দ্বারা প্রতিস্থাপিত করি- তাহলে দেশে উদ্ভুত সমস্যা সম্পর্কে একটা ধারন পাব। যদি ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়ে কোন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে থাকে, তবে মার্শাল ল শেষ হতে হবে এবং প্রেসিডেণ্ট ইয়াহিয়া খান এই মর্মে একটা ফরমান জারি করতে পারেন যাতে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা যায়।