নয় নেতার বিবৃতিঃ শাসনতন্ত্র অকেজো, নতুন শাসনতন্ত্রের দাবী

<2.26.173>

নয়জন জাতীয় নেতা বললেন বর্তমান সংবিধান অকার্যকর

নতুন ড্রাফট তৈরির জন্যে স্পেশাল বডি নির্বাচিত করতে হবে

(স্টাফ করাসপন্ডেন্ট মারফত প্রাপ্ত)

 

জনাব হামিদুল হক চৌধুরী, জনাব নুরুল আমিন, জনাব আবু হোসাইন সরকার, জনাব আতাউর রহমান খান, জনাব মাহমুদ আলী, শেখ মুজিবর রহমান, জনাব ইউসুফ আলী চৌধুরী (মোহন মিয়া), সৈয়দ আজিজুল হক এবং পীর মোহসেনউদ্দিন আহমেদ (দুদু মিয়া) গতকাল যে সব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তার বিরোধিতা করে বলেছেন “দ্রুত একটা স্পেশাল বডি নির্বাচিত করে দেশকে একটা শাসনতন্ত্র দেয়া যাতে এর গ্রহনযোগ্যতা জনগনের কাছে প্রশ্নবোধক না হয়”।

 

গণনা করা একটি জরুরী গুনাবলী যা শাসনতন্ত্রকে শক্তিশালী করে। পূর্ব পাকিস্তানের নয় জনের মাঝে ছয়জন নেতা বলেছিলেন যে “বর্তমান সংবিধানের মৌলিক আইন সন্নিবেশন করার মত জনপ্রিয় ঐক্যমত এর মত প্রধানতম শক্তির অভাব আছে’ জনপ্রতিনিধিরা মেন্ডেট এর মাধ্যমে নির্বাচিত হন”।

 

বক্তব্যে বলা হয়-বর্তমান শাসনতন্ত্র গঠিত হয়েছিল জনপ্রিয় উইলকে অবিশ্বাস করে, যাই হোক যুক্তি পেশ করা হল।

নবনির্বাচিত সংসদসভাকে অকার্যকারী বলে ঘোষণা দেওয়া হয় এভাবে: “আনুমানিক তিনসপ্তাহ বয়সী এই মন্ত্রীসভা ইতিমধ্যেই কার্য সমাধানে অক্ষম বলে প্রমানিত হয়েছে যদিনা এটা সম্পূর্ণ নতূন রূপে সংস্কার করা হয়।”

অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে নতুন সংবিধান প্রনয়নের আগে পূর্বের সংবিধানকেই ঈষৎ পরিবর্তিত করে যোগ্য নেতাদের দ্বারা কাজ চলিয়ে নেবার মতো করে নিতে বলা হল।

এরমধ্যে একটা নির্দেশ  ছিল ১৯৫৬ সালের সংবিধানে প্রনীত নাগরিক অধিকার আইনকেই বর্তমান সংবিধানের মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করে দেওয়া। এটা কেবল মাত্র “প্রেসিডেন্সিয়াল অর্ডারে”ই সম্ভব।

বিবৃতিটিতে এটাও উল্লেখ্য ছিল যে দুটো শাখাতেই অর্থনৈতিক ভারসাম্যহীনতা রয়েছে। এখানে এমন নির্দেশনাও ছিল যে, সত্যিকারের গনতন্ত্রের পরিবেশ আনয়নের লক্ষে রাজনীতিচর্চার পথে বাধাগুলোকে অপসারণ করতে হবে।

নেতারা এটাই বলেছেন যে রাজবন্দীদের শর্তহীনমুক্তি এবং অভিযুক্ত রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের বিচারকাজ বাতিল করাই কেবল দেশে সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে পারে।

নয় নেতার মূল বক্তব্যের সারাংশ এ রকমই ছিল:

সামরিক শাসনের অবসান হয়েছে। ধোয়াশাচ্ছন্ন দীর্ঘ ৪৫ মাসের অবসান হয়েছে।

গণতন্ত্রের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।

<2.26.174>

 

__________ _____ ___ _______ _____ __

দেখে মনে হচ্ছে কেবল শুরু কিন্তু গণতন্ত্র এখনও আসেনি। ফিল্ডমার্শাল আইয়ুব খান কর্তৃকজারিকৃত সংবিধানটিতে কিছুটা হলেও আশা আছে।*

 

এখনকার দিনে যে জিনিসটা জনগনের মনে সর্বপ্রথম প্রশ্ন জাগায় সেটি হল দেশটির সংবিধান।

এটাই ছিল নির্বাচন পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে প্রধান আলোচ্য বিষয়। যদিও সেই নির্বাচনটা প্রহসনের নির্বাচন ছিল।

মূলত সকল প্রার্থীই গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। নির্বাচন শেষ হয়ে যাওয়ার ছয় সপ্তাহের মধ্যে ই সত্যিকারের একটি কার্যকরী সংবিধান প্রনয়নের জোড়ালো দাবী উঠলো। আমরা ক্রমান্বয়েই আমাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হব, যদিনা আমরা সেই বিশেষ বিষয় (সংবিধান বাস্তবায়ন) সংক্রান্ত প্রশ্নের সম্মুখীন হই। আমরা বিশ্বাস করিযে এই প্রশ্নটাই এখন সারাদেশে প্রধান আলোচ্য বিষয়।

 

পরিবর্তনই প্রগতির সাক্ষর:

পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেলেই কেবল একটি দেশে সত্যিকারের উন্নতি আসতে পারে আর এটাকে লা তখনই সম্ভব যেখানে মুক্তভাবে বিতর্ক এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা আছে একটি গ্রহযোগ্য স্থায়ী সংবিধানই কেবল একটি জাতীকে একতাবদ্ধ এবং দৃঢ় রাখতে সাহায্য করে

সরাসরি জনগণের প্রতিনিধি ছাড়া অন্য কোন পুরাতন কোন খসড়া সংবিধান থেকে নতুন কিছু স্থায়ী হবেনা, এটা আমরা বুঝতে পেরেছিলাম। জনগণের মধ্যে থেকেই প্রতিনিধি আসতে হবে। আমরা এজন্য এটা বলছি যে, যে রকম সংবিধানই এটা হোক না কেন, এটা সবদিক থেকেই গণতান্ত্রিক হতে হবে। কারণ গণতন্ত্রে জনগনের হাতেই থাকে সর্বভূত ক্ষমতা।

নেতৃত্ব অবশ্যই জনগণের দিক থেকে আসতে হবে। দীর্ঘস্থায়ী ও দৃঢ় কোন ব্যবস্থা করতে হলে জনগনের ইচ্ছাকে সর্বাগ্রে প্রাধান্য দিতে হবে। এবং এটা অবশ্যই সামষ্টিক চিন্তা চেতনাকে প্রতিফলিত করবে। কোন প্রকার লুকোছাপা ছাড়াই জনগনের মনের কথা বলবে।

 

সকল শর্তাবলী মেনে সংবিধান:

 

সংবিধান সাধারণত বানানো হয় এমনভাবে দূরদর্শীতার সাথে ও সুপরিকল্পিতভাবে যেন এটা অতীতের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে সম্ভাব্য সকল প্রকার উত্থান-পতন সামাল দিতে পারে। সংবিধান এমনভাবেই বানানো হয় যাতে এটা চিরস্থায়ী হতে পারে। আইনকে এতোটাই সূক্ষভাবে প্রয়োগ করা হয় যাতে এটা সময় বা অবস্থার প্রয়োজনে আরো সূক্ষতর ভাবে ব্যবহার করা যায়।

সংবিধান চিরস্থায়ী হওয়ার একটাই শর্ত-  যে এটাতে সকল শ্রেনীর জনগণের মতামত, সম্মতি এবং চিন্তাধারার স্বাক্ষর থাকতে হবে।

আইনকে এমন ভাবে সুসংগঠিত করা হয় যে এটা নিজেই পরবর্তী প্রজন্মের নিকট গ্রহণযোগ্য হয়ে কাছে টেনে আনে।

সংবিধান নির্মানে সততা এবং আবেগের সংমিশ্রণ একে শক্তভাবে ঠেকিয়ে রাখে এবং দূর্ভেদ্য করে গড়ে তোলে। জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন যেখানে নেই, সেটা একটুকরা কাগজ বই কিছুই নয়।

 

 

 

<2.26.175>

 

বর্তমান সংবিধানের কিছু মারাত্মক ত্রুটি আছে:
বর্তমান প্রচলিত সংবিধানটি বিভিন্ন দিক থেকে অসম্পূর্ণ, এমন সব আদেশ-নিষেধে পরিপূর্ণ যেখানে জনগণের প্রতিনিধির প্রতি কোন আস্থানেই।এছাড়াও এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই সংবিধানটি তৈরীই করা হয়েছে জনগণের অনাস্থা নিয়ে এবং বিশেষ জনগোষ্ঠীকে সমস্যাগ্রস্থ ফেলার জন্যে।

৮০০০০ নির্বাচকের একটি দল কাজটি করেছে ৮ কোটির ও বেশি জনগণের উপর কর্তৃত্ব ফলানো হবে।

 

সংসদকে আসলে কোন ক্ষমতাই দেয়া হয়নি:

 

 

এমনভাবে সাংসদ নির্বাচন করা হয়েছিল যাতে সাংসদদের কোন ক্ষমতাই না থাকে। প্রেসিডেন্টের ইশারা ছাড়া এরা কিছুই করতে পারবেনা। এমনকি প্রেসিডেন্ট নিজেই সাংসদদের কোন হস্তক্ষেপ ছাড়াই রাষ্ট্র চালাতে পারে। গত তিন সপ্তাহের দেশ চালানোর ভংগি দেখেই এটা বোঝা হয়ে গেছে যে সংবিধান টি সম্পূর্নভাবে গোড়া থেকে সংস্কার না করলে এটা দিয়ে দেশ চালানো অসম্ভব।

এই মুহুর্তে সাংসদ এবং সরকারের মধ্যে সত্যিকারের কোন যোগাযোগের লক্ষন চোখে পড়ছেনা।

সাংসদদেরকে তাদের গুরুত্ব বোঝানো হচ্ছে যে তাদের কে তো সরকারের সমালোচনা করার সুযোগ দেয়া হয়েছে অথচ সত্যিকারের কোন কাজ করার ক্ষমতা তাদের ছিলনা। সরকারের প্রতি অনাস্থা ই সরকারের জনপ্রিয় তা কমিয়ে দিল। স্বাধীন সক্ষম মানুষের রাজনীতিতে যোগ দেয়ার ইচ্ছা এবং অধিকার সরকারী কূটনৈতিক কৌশলের কারনে কমে যেতে লাগল। তার পরপরই আমরা প্রবলভাবে তাড়না অনুভব করলাম জনগণের হাতে একটি গ্রহণযোগ্য সুষ্ঠ সংবিধান তুলে দিতে।

 

মাত্র ৬ মাসেই গ্রহণযোগ্য সংবিধান সম্ভব:
গত ১৫ বছরের প্রয়োজনীয় বিষয়াদি বিবেচনা করে বলা যায়, আগামী ৬ মাসেই নতুন গ্রহণযোগ্য সংবিধান প্রণয়ন সম্ভব।

তবে আমরা এখনও নিশ্চিত না যে এই নতুন সংবিধান টা কি প্রেসিডেন্ট কেন্দ্রিক হবে নাকি সাংসদীয় হবে। আমরা খুব ভালোমত ই জানি সাংসদীয় সংবিধানের অনুকূলে যে কারন গুলো থাকবে তার মধ্যে ঐতিহাসিক ভাবে কার্য সমাধানে পারদর্শী তার কারণই প্রধানতম হয়ে থাকবে। একইভাবে এই প্রশ্নও আসবে, আমরাজানি,  যে সংবিধানটি ঐকিক হবেনা কি ফেডেরাল। এইপ্রশ্নটাও অবান্চিত নয়। কমবেশি সবরকম সমাধানই গ্রহনযোগ্য কারণ এই দুপ্রকার সংবিধানই আমাদের সাতন্ত্র ভৌগলিক অবস্থার সাথে খাপ খায়।

 

<2.26.176>

 

আন্তঃশাখায় সমন্বয়হীনতা:

 

দেশের দুঅঞ্চলের মধ্যে অর্থনৈতিক অসামঞ্জস্যতা ছিল চোখে পরার মত, যেটা পরবর্তীতে সবচে আলোচিত ইস্যুতে পরিণত হয়। আমরা বিশ্বাস করতে শুরু করলাম এখন আর পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের কারোরই কারোর প্রতি পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ নেই। পূর্ববর্তীতে অর্থনৈতিক ভাবে পিছিয়ে পড়া যে সব অঞ্চল সমূহকে মাথা উচু করে দাড়াতে সহযোগিতা করার কথা ছিল, তারা তাদের প্রাপ্য সুবিধা পেলনা।

 

জনগনের নীতি নির্ধারণে অংশ নেয়ার কোন অবকাশই ছিলনা:  

 

দুই অঞ্চলের মধ্যে অসামন্জস্যপূর্ণ অগ্রগতির পিছনে ছিল সংকীর্ণমনা অভিপ্রায় যেকারণে কিনা সাধারণ জনগন খুব কমই অংশ নিতে পারত নীতি নির্ধারণে। একবার জনমত গড়ে উঠেছিল অবশ্য কিন্তু সেটা বিশেষ সুবিধাভোগী গোষ্ঠীর মদদে পিছিয়ে পড়েছিল।

বিভিন্ন কারণে পাকিস্তানের দুই শাখার ভিতরে অসামনঞ্জস্য লক্ষনীয় হয়ে উঠলো, এর মূল কারণটাই ছিল পূর্বপাকিস্তানের অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারনী প্রকৃয়ায় অংশ নেওয়ার মত রাজনৈতিক ক্ষমতা ছিলনা আর অর্থনৈতিক ভাবে স্বচ্ছলতা বের করে নিয়ে আসার মতন সামগ্রিক অবস্থাও ছিল খুব কম বা ছিলনা বললেই চলে।

আরেকটা বিষয় হল, স্বাধীনতার পর থেকেই সকল প্রকার রাজনৈতিক ক্ষমতা মুষ্টিমেয় লোকের হাতে বন্দী। এখন পর্যন্ত এমন কোনও নির্বাচন হয়নি যেখানে জনগনের মতের প্রকাশ ছিল।

অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে কি করা হবে সেটাই ছিল সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

 

প্রশাসন হওয়া উচিৎ জনগনের জন্যে সহজলভ্য:

 

সামরিক শাসন তুলে ফেলায় যে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছিল সেটিকে আরো প্রলম্বিত করতে এরকম আর ও কিছু কাজ করনীয় ছিল। কোন অবস্থাতেই প্রশাসনের সাথে সাধারণ জনগনের যোগাযোগে বাধা থাকা উচিৎ ছিলনা। এটা ছিল রাষ্ট্রপতি আইয়্যুব খানের প্রতি একটা বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের জনগনের দ্বারা দেখানো প্রক্রিয়ায় স্থায়ী সংবিধান নির্মান  করা ছিল সময়ের দাবী। এমনকি অন্তর্বর্তী কালীন সময়ে ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা দরকার ছিল কিন্তু সরকার সেগুলোকে ছাড়াই ভালোই চালিয়ে যাচ্ছিল

 

 

মৌলিক অধিকার হলএকটি অবিচ্ছেদ্য অংশ:

 

এটা সত্যি যে নতুন সংবিধানে ১৯৫৬ সালের সংবিধানের ছায়া থাকা আবশ্যক ছিলকিন্তু সেগুলো হওয়া উচিৎ ছিল সত্যিকারের গ্রহণযোগ্য, কেবলচাপিয়ে দেওয়া আইনহওয়ার কথা ছিল না

এগুলো অতি সহজে প্রেসিডেন্সিয়াল অর্ডারিং বা সংবিধানের অনুচ্ছেদ অনুসারেই গ্রহনযোগ্যকরন হওয়া যেত।

সংসদ বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে:

যেটা এখন বেশি প্রয়োজন সেটা হল, বর্তমান সংবিধান মতে আপাতত একটা ভরসা করার মত সংসদ দাড় করাতে হবে। লোভ লালসার উর্ধমূখী হয়ে সংসদটি তৈরী করা হয়েছে কিনা সেটা পরীক্ষা করতে হবে। তা নাহলে সংসদটির স্বাধীনতা যা আছে সেটাও যাবে। আস্থাই কেবল আস্থা ডেকে নিয়ে আসে সেটা ভুলে যাওয়া চলবেনা।

 

রাজবন্দীদের মুক্তি দিতে হবে:

বিচারহীন ভাবে বন্দী থাকা রাজনৈতিক কয়েদিদের আইন মেনেই মুক্তি দিতে হবে যা দেশের সার্বভৌমত্বের আত্নবিশ্বাস বাড়ানোর পরিবেশ নিয়ে আসবে।

 

রাজনীতিতে শৃঙ্খলা আনতে একাধিক পার্টির প্রয়োজন:

রাজনৈতিক ভিন্নমতের দলের উপস্থিতিই হল গনতন্ত্রের প্রমাণ। নিঃশ্বাস ছাড়া যেমন বেঁচে থাকা যায়না তেমনি একাধিক যোগ্যও বৈধপ্রার্থী ছাড়া নির্বাচন সংঘটিত হতে পারেনা। পার্টি মানেই শৃংখলা। একটি প্রতিনিধি দল কখনোই এমন কারো প্রতিনিধিত্ব করতে পারেনা যাদের মধ্যে পূর্বে থেকে কোন সম্পর্কই নেই। নিজের কোন ইচ্ছা ছাড়া কোন পার্টি সংসদ বা পার্টি সদস্যকে বাধ্য করতে পারেনা।

সবশেষে, নিয়মিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়াই পারে পার্টিগুলোর ভেতরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে। তাই রাজনৈতিক দল সমূহকে লালন করার ক্ষেত্রে সকল বাধা সমূহ দূর করতে হবে। অন্তত সত্যিকারের গনতন্ত্রের সূচনা হওয়ার আগ পর্যন্ত। তারপরও আমরা চেষ্টা করে দেখব এই দেশটির প্রত্যেকটি লোকের, সে হোক যে কোন পেশার- তাকে এই বিশাল ঘটনার এক অংশীদার করে রাখতে।

 

জাতীয় ঐক্যের জন্যেও সাদৃশ্য দরকার:

শেষমেষ স্বীকার করতেই হচ্ছে আমরা অনেক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। এটার শিকার আমরা শুধু একাই না আর এটা অস্বাভাবিকও না। আমরা চাই, রাষ্ট্রযন্ত্রের সব অংগ প্রত্যংগ একসাথে কাজ করুক। একে অন্যকে বুঝুক যাতে সুবিধা হয় সম্ভাব্য অলংঘনীয় সকল পরিনতিকে মেনে নেওয়াতে।

ভাগ্য নিজ হাতে যাদের ঘাড়ে রাষ্টের দায়িত্ব তুলে দিয়েছে, তাদের উপর এখন দায়িত্ব হল শান্তি নিয়ে আসা। সবাই একসাথে সমস্যা মোকাবেলা করার জন্যে কাধে কাধ মিলিয়ে দৃঢ় পায়ে দাড়াবে। আমরা নতুন সংবিধান বানানোর কাজটা যত দ্রুত সম্ভব শেষ করব যাতে আমরা যে দায়িত্ব নিজের কাধে তুলে নিয়েছি সেটা যেন সূচারূরুপে পালন করে যথাযথ ভাবে শেষ হয়।

Scroll to Top