<2.62.308>
শিরোনাম | সূত্র | তারিখ |
সার্জেট জহরুল হকের বিরুদ্ধে ফর্মাল চার্জশীট | সরকারী | ১৯শে জুন, ১৯৬৮ |
ফর্মাল চার্জ
[ দুই প্রধান সহ ]
[মামলার বিবরণী হচ্ছে, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিদের তালিকা’ শিরোনামে সেইসব ব্যক্তিদের নাম রাখা হয়েছে যারা উল্লেখ্য অভিযোগের চেষ্টা করেছে এবং ‘সূচী ক’ তালিকায় সেইসব দুষ্কর্মের সহোযোগীদের নাম যাকে ক্ষমাপত্র দাখিল করা হয়েছে, তাদের তালিকা এই চার্জ-শীটে সংযুক্ত করা হয়েছে এবং সভার কার্যবিবরণীতে প্রকাশ করা হবে।]
পাক/৭২৩২৪, সার্জেন্ট জহুরুল হক, ১৭ নং আসামি, নিম্নরূপে অভিযুক্তঃ
প্রথমতঃ সেই ব্যক্তি, ১৯৬৪ সালের শুরু হতে ১৯৬৭ সালের শেষ পর্যন্ত যিনি ষড়যন্ত্রে তার সহকারী আসামির সাথে, যার নাম ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিদের তালিকা’তে যুক্ত করা হয়েছে এবং যার নাম ‘সূচী-ক’ তালিকায় উল্লেখ করা আছে, একই সাথে কিছু ভারতীয় নাগরিকের নাম আছে, পাকিস্থানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জারি এবং স্বাধীন পাকিস্থান হতে এর একটি অংশ মূলতঃ পূর্ব পাকিস্থান প্রদেশ বিচ্ছিন্ন করার জন্য প্রধাণত অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং তার ভারতীয় সহ-ষড়যন্ত্রকারী দ্বারা প্রাপ্ত তহবিল দিয়ে ফৌজদারী শক্তির মাধ্যমে সশস্ত্র বিদ্রোহ সংগঠিত করেছেঃ
এবং সেই অনুযায়ী পূর্বোক্ত ষড়যন্ত্রের অগ্রগতি ও এর সহায়তায়,তিনি তা করেছেন এবং বলেছেন তাকে যে অভিযোগে দায়ী করা হয় তা একই সাথে যুক্ত হয়েছে,তাতে সেই সময় এবং স্থান উল্লেখ করা হয়েছে;
এবং যার ফলে পাকিস্থান দন্ডবিধির ধারা ১২১-ক’য়ের অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
দ্বিতীয়তঃ তিনি তার কর্ম ও বলার দ্বারা তার সহ-অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে “লিস্ট-এ” উল্লেখ করা হয়েছে,যারা আর্মি,নেভি বা পাকিস্তান বিমানবাহিনীর সদস্য তাদের দ্বারা এবং যে বিদ্রোহের সংগঠনের সাহায্য করে যে তিনি তাদের আনুগত্য ও কর্তব্য থেকে বিচ্যুত করার চেষ্টা করছেন তা উল্লেখিত সেই সময় ও স্থানে এই অভিযোগ তাকে দায়ী করা হয়;
এবং যার ফলে পাকিস্থান দন্ডবিধির ধারা ১৩১য়ের অধীনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
এবং যেহেতু সেইসব ব্যক্তি যাদের সাথে তিনি অপরাধ সংগঠনে নিযুক্ত ছিলেন যা সেবা আইনের সাপেক্ষে হলেও অন্য কিছুতে নয়, তাই তিনি এই ধরনের অপরাধের জন্য ফৌজদারি আইন সংশোধিত (স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল), অধ্যাদেশ, ১৯৬৮য়ের ধারা ৩য়ের অধীনে এই মাননীয় ট্রাইব্যুনালের দ্বারা বিচারাধীন।
<2.62.309>
[এই অভিযোগের সমর্থনের অভিপ্রায়ে যে সাক্ষীদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে তা ফৌজদারি আইন সংশোধিত (স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল) অধ্যাদেশ, ১৯৬৮য়ের ধারা ৫য়ের জন্য আবশ্যক হিসেবে জমা দেওয়া হয়েছে। উপরন্তু, যেসব দলিল ও দস্তাবেজ সমূহ এই অভিযোগের সহায়ক হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে তাও জমা দেওয়া হয়েছে। এই তালিকাগুলো যথাক্রমে “প্রত্যক্ষদর্শীরা তালিকা”, “ডকুমেন্টস তালিকা” এবং “প্রবন্ধ তালিকা” শিরোনামে আছে, যা এনেস্ক টি’তে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সম্পূরক তালিকা পরবর্তীতে জমা দেওয়া হতে পারে।]*
ফৌজদারি আইন সংশোধিত (স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল) অধ্যাদেশ, ১৯৬৮য়ের স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের গঠন ইউ/এস ৪ উপর, (২১শে এপ্রিলে এস.আর.ও. ৫৯/আর/৬৮বিজ্ঞপ্তি দ্বারা)।
রাষ্ট্র
বনাম
শেখ মুজিবুর রহমান এবং অন্যরা–অভিযুক্ত।
এইরূপ
প্রসিকিউশন (অতঃপর ইহাতে অভিযোগ হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে) এর পক্ষ থেকে মামলার বিবরণী পূর্বোক্ত অধ্যাদেশের কেন্দ্রীয় সরকার ইউ/এস ৫ দ্বারা,বিনীত নিবেদন এইরূপ যে:
১। পাকিস্থান ভূখন্ডের একটি অংশ কেড়ে নেওয়ার বিদ্যমান ষড়যন্ত্রে প্রাপ্ত গোপন তথ্যানুসারে অস্ত্রশস্ত্র,গোলাবারুদ এবং ভারত কর্তৃক পদত্ত তহবিলের মাধ্যমে সশস্ত্র বিদ্রোহ এবং একই সাথে ভারত কর্তৃক স্বীকৃত একটু স্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য,পাকিস্থান রুলস অফ ডিফেন্সের অধীনে কিছু ব্যক্তি গ্রেফতার হয় এবং অন্যান্যদের ডিফেন্স সার্ভিসের আইনানুযায়ী গ্রেফতার করা হয়।
২। সেইসব ব্যক্তিদের দ্বারা প্রস্তুতকৃত বা উদ্ধারকৃত দলিলে ষড়যন্ত্রে অংশগ্রহণকারী কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সাংকেতিক নাম এবং সেই উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদের বিবরণ ,’ডি’দিবসের আগেই কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশাবলী,’ডি’দিবসের নির্দেশাবলী এবং অন্যান্য স্মারকলিপি বর্ণিত আছে।
৩। কার্যকলাপের মূল পরিকল্পনা ছিলো সামরিক অস্ত্রাগার দখল করা যাতে মিলিটারি অচল হয়ে যায়। কার্যকলাপটি কমান্ডো স্টাইলে সম্পন্ন করা এবং বিস্ময়করভাবে ক্ষতিপূরণের জন্য জনশক্তির অপ্রাতুলতা তৈরী করা।এই কাজ সম্পন্ন করার জন্য যোগসূত্র সংযুক্ত করা হলোঃ
(i) সশস্ত্র অগ্রবাহিনীকে কার্যকরভাবে ধ্বংস করতে সেইসব সশস্ত্র বাহিনীর, প্রাক্তন সশস্ত্র বাহিনীর এবং বেসামরিক লোকদের তালিকা তৈরী করা;
(ii) স্থানীয় উৎস হতে অস্ত্র ও তহবিল নিশ্চিত করা ছাড়াও যেসব উৎস হতে ভারতের তহবিল লাভ নিশ্চিরকরণ;
(iii) অপপ্রচারের মাধ্যমে সাধারণ রাজনৈতিক অসন্তুষ্টি তৈরী করা; এবং
(iv) বল প্রয়োগে ‘ডি’দিবসের কৌশলগত দফাগুলোর দায়িত্ব গ্রহণের মতো সুবিধাজনক মুহূর্ত ঠিক করা।
* ১৯৬৮ সালের ১৯শে জুন আগরতলা মামলা শুরু হয়েছিল।
৪। তাঁদের উদ্দেশ্য সাধনের জন্য, সেই সব প্রতিনিধি যাদেরকে পাকিস্থানে এই অপারেশন চালাতে হবে তাঁদের সাথে সেই সব ভারতীয় প্রতিনিধি যারা তহবিল, অস্ত্র এবং গোলাবারুদের যোগান দিবে, এদের মাঝে একটি মীটিংয়ের আয়োজন করা হয়। এই মীটিং ১৯৬৭ সালের ১২ই জুলাই ভারতের আগরতলায় অনুষ্ঠিত হয়।
৫। এই ষড়যন্ত্রের অগ্রগতিতে আরো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা এবং সেইসব ঘটনার আরো উল্লেখযোগ্য বিবরণ,ব্যাপ্তি অনুসৃত অনুচ্ছেদের দেওয়া হলো। মীটিংয়ের মূল আলোচনা ষড়যন্ত্রের সাধারণ লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বারংবার আলোচিত হলেও,যা বাস্তবিকই প্রতিটি মীটিংয়ে আলোচিত ছিল,তার বেশিরভাগই বাদ দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগ যথাক্রমে ‘লিস্ট এ’,’অভিযুক্ত ব্যক্তিদের তালিকা’, ‘সাক্ষীদের তালিকা’, ‘দলিলের তালিকা’এবং ‘দস্তাবেজের তালিকা’ শিরোনামের সাথে অ্যানেক্স ‘I’য়ের মধ্যে ব্যাখ্যা করা হয়েছে. অভিযুক্তদের সাংকেতিক নাম অ্যানেক্স ‘II’য়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এই অভিযোগে প্রথমবার যে নাম উল্লেখ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণরূপেই রাখা আছে, বারংবার যখন একই নাম উল্লেখের প্রয়োজনীয়তা এসেছে তখন অন্য নামের থেকে আলাদা করতে ঠিক ততোটুকুই দেখানো হয়েছে যতটুকু করলেই তা অন্যদের থেকে আলাদা হবে। পূর্ণ চিহ্নিত করণের জন্য, যাই হোক, যতোবার একটি নাম ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিদের তালিকা’তে যুক্ত হয়েছে, অথবা যে নাম উল্লেখ্যিত ‘সাক্ষীদের তালিকা’তে যুক্ত হয়েছে, তালিকার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট তালিকায় ‘অভিযুক্ত’ বা ‘সাক্ষী’ হিসেবে সেই নাম ক্রমিক নং দিয়ে বিশেষায়িত হয়েছে। একইভাবে, যে স্থান প্রথমবার উল্লেখ করা হয়েছে তার বর্ণনা সম্পূর্ণরূপে বর্ণিত হয়েছে, কিন্তু যখনই সেই স্থানের উল্লেখের প্রয়োজনীয়তা এসেছে তখন অন্য নামের থেকে আলাদা করতে ঠিক ততোটুকুই বর্ণিত হয়েছে যতটুকু করলেই তা অন্য স্থান হতে আলাদা হবে।
৬। পূর্ণ চিহ্নিত করণের জন্য, যাই হোক, যতোবার একটি নাম ‘অভিযুক্ত ব্যক্তিদের তালিকা’তে যুক্ত হয়েছে, অথবা যে নাম উল্লেখ্যিত ‘সাক্ষীদের তালিকা’তে যুক্ত হয়েছে, তালিকার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট তালিকায় ‘অভিযুক্ত’ বা ‘সাক্ষী’ হিসেবে সেই নাম ক্রমিক নং দিয়ে বিশেষায়িত হয়েছে। একইভাবে, যে স্থান প্রথমবার উল্লেখ করা হয়েছে তার বর্ণনা সম্পূর্ণরূপে বর্ণিত হয়েছে, কিন্তু যখনই সেই স্থানের উল্লেখের প্রয়োজনীয়তা এসেছে তখন অন্য নামের থেকে আলাদা করতে ঠিক ততোটুকুই বর্ণিত হয়েছে যতটুকু করলেই তা অন্য স্থান হতে আলাদা হবে।
১৯৬৪ সালের সেপ্টেম্বরের ১৫ হতে ২১ তারিখের মধ্যে, শেখ মুজিবুর রহমা,অভিযুক্ত নং-১, করাচী পরিদর্শনে ছিলেন। তিনি পাকিস্থান নেভীর লেফট্যানেন্ট মুয়াজ্জাম হুসেইন (বর্তমানে লেফট্যানেন্ট কমান্ডার মুয়াজ্জাম হুসেইন), অভিযুক্ত নং-২, দ্বারা আয়োজিত মীটিংয়ে আমন্ত্রিত ছিলেন, যিনি তাঁর বাসভবন বাংলো নং- ডি/৭৭, কে.ডি.এ. প্রকল্প নং-১, করাচীতে অনুষ্ঠিত পূর্বের মীটিংয়েও ছিলেন যা ১৯৬৪ সালের শুরুতে ছিল। স্টুয়ার্ড মুজিবুর রেহমান, অভিযুক্ত নং-৩, প্রাক্তন লীডিং সীম্যান সুলতান-উদ্-দীন আহমদ, অভিযুক্ত নং-৪, লীডিং সীম্যান নূর মুহাম্মদ, অভিযুক্ত নং-৫ এবং লেফট্যানেন্ট মুজ্জামিল হুসেইন, সাক্ষী নং-১য়ের সাথে শর্তানুযায়ী শেখ মুজিবুর রহমান, অভিযুক্ত নং-১য়ের সাথে পূর্ব পাকিস্থান দখল করার জন্য বিপ্লবী সংগঠন গঠনের পরিকল্পনার সাথে যুক্ত থাকার শলাপরামর্শের সিদ্ধান্ত হয়। এই মীটিং জনাব কামাল-উদ্-দীন আহমদ, সাক্ষী নং-২ এর বাসভবন নং# ৩/৪৭, এম.এস.জি.পি. স্কুল শিক্ষকদের কো-অপারেটিভ সোসায়েটু (মালামা আবাদ নামে জনবিদিত), করাচীতে অনুষ্ঠিত হয় এবং এতে উপস্থিতঃ-
(i) শেখ মুজিবুর রহমান, অভিযুক্ত নং-১,
(ii) মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২,
(iii) স্টুয়ার্ড মুজিব, অভিযুক্ত নং-৩,
(iv) সুলতান, অভিযুক্ত নং-৪,
(v) নূর মুহাম্মদ, অভিযুক্ত নং-৫,
(vi) জনাব আহমদ ফজলুর রেহমান, সি.এস.পি., অভিযুক্ত নং-৬,
(vii) মুজাম্মিল, সাক্ষী নং-১,
মুয়াজ্জাম, সাক্ষী নং-২, বলেন যে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি সহনশীল নৌবাহিনীতে পূর্ব পাকিস্থানকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য একটি সামরিক বাহিনী গঠন করেছিলেন,এবং সেই পূর্ব
পাকিস্থানী সামরিক ও বিমান বাহিনীর ব্যক্তিদেরকেও সেই দলে যোগদান করানো হয়। তিনি ব্যাখ্যা করেন এই প্রকল্পের সাফল্য বিস্তারের জন্য পূর্ব পাকিস্থানের রাজনৈতিক নেতা ও বেসামরিক লোকদের সমর্থন এবং সহযোগীতার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি আরো ব্যাখ্যা করেন যে দলের জন্য আর্থিক তহবিলের প্রয়োজন হতে পারে। শেখ মুজিবুর রহমান, অভিযুক্ত নং-১, শুধু সম্মতই হননি, বরং বলেছেন যে তাঁর নিজস্ব চিন্তাভাবনাও একই রকম। তিনি তাঁর পূর্ণ সমর্থন ও অপরিহার্য তহবিল গঠনের অঙ্গীকারের প্রতিশ্রুতি দেন। এ.এফ. রহমান, অভিযুক্ত নং-৬ মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২য়ের সাথে সম্মত হওয়ার সময় বলেন যে সশস্ত্র বিপ্লবই হচ্ছে পাকিস্থানের দুই প্রদেশে বিদ্যমান অসমতার একমাত্র উত্তর, যদিও তিনি নিশ্চিত নন যে এইরকম কাজে ভারতের প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে। শেখ মুজিবুর রহমান, অভিযুক্ত নং-১ বলেন যে এটা তাঁর (শেখ মুজিবুর রহমান) চিন্তার বিষয়। তিনি আরো যোগ করেন যে, যাই হোক, তাঁরা আপাতত ধীরে অগ্রসর হবেন কেননা এই কাজের প্রয়োজন নাও হতে পারে যদি প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে বিরোধী পক্ষ জিতে যায়, যা তখন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
৭। শেখ মুজিবুর রহমান, অভিযুক্ত নং-১, প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের পর আবারো করাচী পরিদর্শন করেন এবং সেখানে ১৯৬৫ সালের ১৫ হতে ২১শে জানুয়ারী পর্যন্ত ছিলেন। এই দিনগুলোর মধ্যে যে কোন একদিন মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২য়ের বাসভবনে পূর্বোক্ত মীটিং অনুষ্ঠিত হয়, মীটিংয়ে উপস্থিতিঃ-
(i) শেখ মুজিবুর রহমান, অভিযুক্ত নং-১,
(ii) মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২,
(iii) নূর মুহাম্মদ, অভিযুক্ত নং- ৫,
(iv) এ.এফ. রহমান, অভিযুক্ত নং-৬,
(v) ফ্লাইট লেফট্যানেন্ট মাহফিজুল্লাহ্, অভিযুক্ত নং-৭,
(vi) লেফট্যানেন্ট মুজাম্মিল হুসেইন, সাক্ষী নং-১,
এবং আরো কতিপয় ব্যক্তি যাদেরকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।
শেখ মুজিবুর রহমান, অভিযুক্ত নং-১, বলেছেন যে পূর্ব পাকিস্থানের জনগণ সম্মানের সাথে বাঁচার একমাত্র পথ হচ্ছে পসচিম পাকিস্থান হতে আলাদা হয়ে যাওয়া। তিনি পূর্ণ সমর্থন এবং আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেন এবং মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২কে তাঁর প্রধান কার্যালয় পূর্বপাকিস্থানে স্থানান্তর ও বিপ্লবী দলের কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করতে আহ্বান জানান।
৮। জনাব মোহাম্মদ আমির হুসেইন মিয়াঁ, সাক্ষী নং-৩, যিনি করাচীতে কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অফিসে কর্মরত ছিলেন, তিনি স্টুয়ার্ড মুজিব, অভিযুক্ত নং-৩, সুলতান, অভিযুক্ত নং-৪ এবং প্রাক্তন কর্পোরাল আবুল বাশার মোহাম্মদ আব্দুস সামাদ, অভিযুক্ত নং-৮এর সাথে ঘনিষ্ট যোগাযোগে ছিলেন। ১৯৬৫ সালের জানুয়ারীর কোন এক সময়ে স্টুয়ার্ড মুজিব, অভিযুক্ত নং-৩ আমির হুসেইন, সাক্ষী নং-৩ এর সাথে মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২ এর পরিচয় করান। আমির হুসেইন, অভিযুক্ত নং-৩ এতে দারুণভাবে প্রভাবিত হন এবং দলের একজন সক্রিয় সদস্য হয়ে যান।
৯। ১৯৬৫ সালের জানুয়ারী এবং ১৯৬৫ সালের আগস্ট মাসের মধ্যে মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২ এর বাসভবনে অনেকবার সভা অনুষ্ঠিত হয় যাতে সাধারণত উপস্থিত থাকতোঃ-
(i) মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২,
(ii) স্টুয়ার্ড মুজিব, অভিযুক্ত নং-৩,
(iii) সুলতান, অভিযুক্ত নং-৪,
<2.62.312>
(iv) নূর মুহাম্মদ, অভিযুক্ত নং-৫,
(v) Hav. দলিল-উদ্-দীন, অভিযুক্ত নং-৯,
(vi) আমির হুসেইন, সাক্ষী নং-৩।
যারা সংগঠনটির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। এইসব মীটিংগুলোতে তাঁদের কাজ সম্পন্ন করার জন্য লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এবং পদ্ধতিগুলো গ্রহণ করা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল।
১০। পূর্ব পাকিস্থানে কার্যক্রম শুরু করার জন্য সক্রিয় কিছু সদস্যদের সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের ব্যবস্থা করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। সেই মোতাবেক, মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-৩এর তাগাদায় স্টুয়ার্ড মুজিব, অভিযুক্ত নং-৩ এবং সুলতান, অভিযুক্ত নং-৪ ছুটিতে ঢাকায় গেলেন। তাঁদেরকে স্থায়ীভাবে পূর্ব পাকিস্থানে স্থানান্তরের প্রয়াস চালানো হচ্ছিল। ১৯৬৫ সালের আগস্ট মাসে শেখ মুজিবুর রহমান, অভিযুক্ত নং-১ এর সঙ্গে স্টুয়ার্ড মুজিব, অভিযুক্ত নং-৩ এবং সুলতান অভিযুক্ত নং-৪ এর মাধ্যমে শলা পরামর্শের মধ্যে দলীয় মীটিং পরিচালনা করার জন্য মুয়াজ্জম, অভিযুক্ত নং-২ ঢাকাস্থ ৩২ নং ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় শেখ মুজিবুর রহমান, অভিযুক্ত নং-১ এর নিজস্ব বাসভবনে আয়োজন করে। মীটিংয়ে উপস্থিতি থাকার জন্য দলীয় সদস্যদের করাচী থেকে ঢাকায় যাতায়াতের খরচ মেটাতে সুলতান, অভিযুক্ত নং-৪ আমির হুসেইন, সাক্ষী নং-৩ এর ঠিকানা বরাবর বীমাকৃত খামের মধ্যে ১,৫০০ টাকা এবং ৫০০ টাকা টেলিগ্রাফিক মানি অর্ডার করে নূর মুহাম্মদ, অভিযুক্ত নং-৫ এর ঠিকানা বরাবরে মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২ এর কাছ পাঠায়। এই পরিমাণ অর্থ পাঠানো হয় এবং তা সঠিক সময়েই মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২ এর কাছে পৌঁছায়।
১১। ১৯৬৫ সালের ২৯শে আগস্ট তারিখ উপরোক্ত মীটিংয়ের জন্য নির্ধারণ করা হয়। এতে যোগদানের জন্য পি.আই.এ.য়ের ফ্লাইটে করে মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২ এবং আমির হুসেইন, সাক্ষী নং-৩ ঢাকার উদ্দেশ্যে করাচী ছাড়ে।
১২। উপরোক্ত মীটিংটি পূর্ব নির্ধারিত দিনে ও স্থানে দুপুর ৩টায় অনুষ্ঠিত হয়, এতে অংশগ্রহণ করেনঃ-
(i) শেখ মুজিবুর রহমান, অভিযুক্ত নং-১,
(ii) মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২
(iii) স্টুয়ার্ড মুজিব, অভিযুক্ত নং-৩
(iv) সুলতান, অভিযুক্ত নং-৪
(v) জনাব রুহুল কুদ্দুস, সি.এস.পি., অভিযুক্ত নং-১০ এবং
(vi) আমির হুসেইন, সাক্ষী নং-৩
মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২ অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন এবং তিনি দাবী করেন যে শেখ মুজিবুর রহমান, অভিযুক্ত নং-১ এর তত্ত্বাবধানে এবং আশীর্বাদে তিনি বিপুল সংখ্যক সামরিক বাহিনীতে কর্মরত ও বিদায়ী ব্যক্তিদের তালিকাবদ্ধ করেছেন যারা পূর্ব পাকিস্থানকে স্বাধীন রাষ্ট্র বানাতে কর্মসূচী গ্রহন করেছেন। অংশগ্রহণকারী সকলেই অগ্রগতি সম্পর্কে তাঁদের সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২ তহবিল, অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন। শেখ মুজিবুর রহমান, অভিযুক্ত নং-১ তাঁদেরকে ভারত হতে প্রয়োজনীয় সাহায্যের জন্য আশ্বস্ত করেন। শেখ মুজিবুর রহমান, অভিযুক্ত নং-১ আপাতত ১ লাখ রুপি প্রদানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন যা ২০০০ থেকে ৪০০০ রুপির কিস্তিতে স্টুয়ার্ড মুজিব, অভিযুক্ত নং-৩ ও সুলতান, অভিযুক্ত নং-৪ সংগ্রহ করবেন।
<2.62.313>
১৩। ১৯৬৫ সালের ১লা সেপ্টেম্বর স্টুয়ার্ড মুজিব, অভিযুক্ত নং-৩ শেখ মুজিবুর রহমান, অভিযুক্ত নং-১ এর ঢাকাস্থ ধানমন্ডির বাসভবন হতে ৭০০ টাকার মতো পান এবং তা আমির হুসেইন, সাক্ষী নং-৩ এর কাছে হস্তান্তর করেন।
১৪। ১৯৬৫ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর স্টুয়ার্ড মুজিব, অভিযুক্ত নং-৩ শেখ মুজিবুর রহমান, অভিযুক্ত নং-১য়ের ঢাকাস্থ ধানমন্ডির বাসভবনে ৪০০০ টাকার মতো অর্থ সংগ্রহ করেন এবং তা আমির হুসেইন, সাক্ষী নং-৩ এর কাছে হস্তান্তর করেন, যিনি তা থেকে ৩০০ টাকা স্টুয়ার্ড মুজিব, অভিযুক্ত নং-৩ ও সুলতান, অভিযুক্ত নং-৪ কে তাঁদের ব্যক্তিগত খরচে মেটাতে দিয়ে দেন এবং বাকি অর্থ মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২য়ের কাছে হস্তান্তর করার জন্য নিজের কাছে রেখে দেন।
১৫। ভারত-পাকিস্থান যুদ্ধের সময়, যেসব প্রতিরক্ষা কর্মীরা ছুটিতে বা অস্থায়ী দায়িত্ব পালনে পূর্ব পাকিস্থানে ছিলেন, তাঁরা পশ্চিম পাকিস্থানে ফিরে যেতে পারেন নি। তাঁদেরকে পূর্ব পাকিস্থানে দায়িত্ব পালনের জন্য পুনরায় ডাক দেওয়া হয়। সেই মোতাবেক ১৯৬৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে স্টুয়ার্ড মুজিব, অভিযুক্ত নং-৩ ও সুলতান, অভিযুক্ত নং-৪ চট্টগ্রামের নৌ ঘাঁটির সাথে যুক্ত ছিলেন। সেখানে যুক্ত থাকাকালীন তাঁরা ষড়যন্ত্রের সাথে সম্পর্কিত তাঁদের কার্যক্রম চালাতে থাকেন।
১৬। ১৯৬৫ সালের ডিসেম্বরে, এ.এফ. রহমান, অভিযুক্ত নং-৬য়ের বাসভবন করাচীস্থ ভিক্টোরিয়া রোডের ইলাকো হাউজের ২১ নং ফ্ল্যাটে দলটির মীটিং অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে উপস্থিতি ছিলেনঃ-
(i) মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২,
(ii) নূর মুহাম্মদ, অভিযুক্ত নং-৫,
(iii) এ.এফ. রহমান, অভিযুক্ত নং-৬,
(iv) সামাদ, অভিযুক্ত নং-৮ এবং
(v) আমির হুসেইন, সাক্ষী নং-৩।
অগ্রগতি সম্পর্কে সেখানে আলোচনা হয় এবং শেখ মুজিবুর রহমান, অভিযুক্ত নং-১ যে ভূমিকা পালন করেছেন তা প্রশংসিত হয়। এ.এফ. রহমান, অভিযুক্ত নং-৬ যুক্তরাজ্য হতে ট্রান্সিস্টরাইজড ট্রান্সমিটার ব্যবস্থা করার দায়িত্ব করেন। এটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে মুয়াজ্জম,অভিযুক্ত নং-২কে পূর্ব পাকিস্থানে স্থানান্তরের প্রচেষ্টা করতে হবে। এই প্রসঙ্গে জনাব কে.জি. আহমদ, সাক্ষী নং-৪ যিনি এ.এফ. রহমান,অভিযুক্ত নং-৬য়ের সাথে অথিতি হিসেবে সেখানে ছিলেন,তাঁকেও কাজে লাগানো হবে।
১৭। সেই একই মাসে (১৯৬৫ সালের ডিসেম্বরে), আরো একটি মীটিং মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২য়ের করাচীস্থ, কারসাজের অফিসার্স কোয়ার্টারের বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয় যেখানে ১৬ অনুচ্ছেদে নামোল্লেখ্যিত ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২ ব্যাখ্যা করেন যে, স্টুয়ার্ড মুজিব, অভিযুক্ত নং-৩ ও সুলতান, অভিযুক্ত নং-৪ পূর্ব পাকিস্থানে কাজ চালাচ্ছেন এবং সামাদ, অভিযুক্ত নং-৮ ও আমির হুসেইন, সাক্ষী নং-৩কে দলীয় কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে শীঘ্রই ঢাকায় পাঠানো হবে। মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২ সাবী করেন যে তিনি ৩০০০ স্বেচ্ছাসেবক যোগাড় করেছেন এবং যদি তাঁদেরকে প্রতিরক্ষা কার্যালয়ের কিছু সংখ্যক অফিসার দ্বারা স্বজ্জিত ও পরিচালিত হবে তবে অল্প সময়ের মধ্যেই ওরা পূর্ব পাকিস্থান হতে পশ্চিম পাকিস্থানী ব্যক্তিদের বিতাড়িত করতে পারবে। অনুচ্ছেদ ১৬তে উল্লেখ্যিত বিষয়গুলি নিয়েও মীটিংয়ে আলোচনা করা হয়।
<2.62.314>
১৮। সেই একই মাসে (১৯৬৫ সালের ডিসেম্বরে), আরো একটি মীটিং মাহফিজুল্লাহ, অভিযুক্ত নং-৭ দ্বারা করাচীস্থ কোরাঙ্গী ক্রীকে তাঁর ৩২৯/২ নং কোয়ার্টারে আহ্বান করা হয়, যেখানে উপস্থিতি ছিলেনঃ-
(i) সুলতান, অভিযুক্ত নং-৪,
(ii) মাহফিজুল্লাহ, অভিযুক্ত নং-৭,
(iii) ফিট. সার্জেন্ট মুহাম্মদ ফজলুল হক, অভিযুক্ত নং-১১,
(iv) ওয়ারেন্ট অফিসার মুশাররফ এইচ. শেখ, সাক্ষী নং-৫,
(v) সার্জেন্ট সামসুদ্দীন আহমদ, সাক্ষী নং-৬ এবং আরো কতিপয় যাদের চিহ্নিত করা যায়নি।
মাহফিজুল্লাহ, অভিযুক্ত নং-৭ এবং সুলতান, অভিযুক্ত নং-৪ বারংবার উল্লেখ করেন যে পূর্ব পাকিস্থানকে রক্ষা করার একমাত্র উপায় হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার হতে আলাদা করে ফেলা, যা সশস্ত্র বিপ্লব ঘটানো ছাড়া অর্জন করা সম্ভবপর নয়। মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২ দ্বারা অগ্রগতির নেতৃত্ব উল্লেখযোগ্য।
১৯। ১৯৬৬ সালের ২রা ফেব্রুয়ারীতে আমির হুসেইনে, সাক্ষী নং-৩য়ের করাচী হতে প্রস্থানের সময় মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২ তাঁকে তিনটি বড় ডায়েরী প্রদান করেন, যার কিছু পাতায় তিনি তাঁকে পরিচালনার জন্য নির্দেশাবলী ও দাপ্তরিক যোগাযোগের নথিগুলো লিখে রেখেছিলেন। মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২ তাঁকে জানান যে উল্লেখিত ডায়েরীতে লিখে রাখা নির্দেশাবলী নিজের নোটবুকে অনুলিপি করা আছে। এইটি হচ্ছে সেই সব ডায়েরীর একটি যেখানে সাংকেতিক নামগুলো এনেক্স ‘ii’তে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, যা পাওয়া যাবে। এছাড়াও শেখ মুজিবুর রহমান, অভিযুক্ত নং-১কে হস্তান্তর করতে তিনি একটি মানচিত্র এবং অস্ত্র ও গোলাবারুদের দুইটি তালিকা দেন, যা উনার চাহিদা মোতাবেক ছিল।
মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২ আমির হুসেইন, সাক্ষী নং-৩কে ট্রেজারার হতে বলেন এবং তাঁকে দলের জন্য তহবিল সংগ্রহ ও গ্রহণের কতৃত্ব দেন এবং গ্রহণকৃত অর্থ হতে পূর্ব পাকিস্থানের প্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিয়ে বাণিজ্যিক জাহাজে করে তাঁর (মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২) কাছে করাচীতে পাঠিয়ে দিতে নির্দেশ দেন।
২০। ঢাকায় পৌঁছানোর পর আমির হুসেইন, সাক্ষী নং-৩ চট্টগ্রামে চলে যান, যেখানে স্টুয়ার্ড মুজিব, অভিযুক্ত নং-৩ এবং সুলতান, অভিযুক্ত নং-৪ সে এলাকায় গণ-অভ্যুত্থ্যানের প্রচারণামূলক কাজের অগ্রগতি সাধনে ব্যস্ত ছিলেন। ১৯৬৬ সালের ৬ই ফেব্রুয়ারী তিনি মিশকা হোটেলে তাঁর রুমে একটি পার্টি মীটিং আহ্বান করেন, যেখানে উপস্থিত ছিলেনঃ-
(i) স্টুয়ার্ড মুজিব, অভিযুক্ত নং-৩,
(ii) সুলতান, অভিযুক্ত নং-৪,
(iii) জনাব ভূপতি ভূষন চৌধুরী (মানিক চৌধুরী নামে বহুল পরিচিত), অভিযুক্ত নং-১২,
(iv) জনাব বিধান কৃষ্ণ সেন, অভিযুক্ত নং-১৩,
(v) সুবেদার আব্দুর রাজ্জাক, ই.পি.আর., অভিযুক্ত নং-১৪,
(vi) ডাঃ সাঈদুর রহমান চৌধুরী, সাক্ষী নং-৭ এবং
(vii) প্রাক্তন লেফট্যানেন্ট কমান্ডার মুহাম্মদ শহীদুল হক (পি.এন.ভি.আর.), সাক্ষী নং-৮।
মানিক চৌধুরী, অভিযুক্ত নং-১২ এবং ডাঃ সাঈদুর রহমান, সাক্ষী নং-৭ আমির হুসেইন, সাক্ষী নং-৩কে বলেন যে, শেখ মুজিবুর রহমান, অভিযুক্ত নং-১ তাঁদেরকে
দলের প্রতি পরিপূর্ণ সমর্থন বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁরা এইটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে ওয়াকিবহাল আছেন। ষড়যন্ত্রের সহায়তায় মানিক চৌধুরী, অভিযুক্ত নং-১২ আমির হুসেইন, সাক্ষী নং-৩কে ৩০০০ টাকা অর্থ প্রদান করেন।
২১। ১৯৬৬ সালের ফেব্রুয়ারীতে পূর্ব পাকিস্থানে দলের বিন্যাসকে আরো সুসংহত করতে মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২ সামাদ, অভিযুক্ত নং-৮কে ঢাকায় পাঠান। চাকরী হতে তাঁর বিদায় ঘনিয়ে আসছিলো, তাই তাঁর জীবনধারণের ব্যবস্থা করাও জরুরি হয়ে পড়েছিল। সেই হিসাবে মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২ আমির হুসেইন, সাক্ষী নং-৩ কে সেভাবেই চিঠি লিখেন, যাতে সামাদ, অভিযুক্ত নং-৮য়ের জন্য যতদিন চাকরীর ব্যবস্থা করা না হয় ততোদিন পর্যন্ত প্রতি মাসে ৩০০ টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেন। সেই চিঠিতে যা ১৯৬৬ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারীতে লেখা, মুয়াজ্জাম, অভিযুক্ত নং-২ আরো বলেন যে, তিনি সবকিছু নিয়ে “পরশ” ( শেখ মুজিবুর রহমান, অভিযুক্ত নং-১এর সাংকেতিক নাম)এর সাথে সব কিছু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন এবং এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছুই নেই।
২২। একই মাসে সামাদ, অভিযুক্ত নং-৮ আরো চারজন নতুন সদস্য জোগাড় করেন, যাদের নামঃ-
(i) মুজিবুর রহমান, ক্লার্ক, ই.পি.আর.টি.সি., অভিযুক্ত নং-১৫,
(ii) প্রাক্তন ফ্লাইট-সার্জেন্ট মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, অভিযুক্ত নং-১৬,
(iii) প্রাক্তন নায়েক সুবেদার আশরাফ আলী খান, সাক্ষী নং-৯ এবং
(iv) প্রাক্তন ল্যান্স নায়েক এ.বি.এম. ইউসুফ, সাক্ষী নং-১০।
তাঁরা আমির হুসেইন, সাক্ষী নং-৩ দ্বারা উদ্বুদ্ধ ছিলেন।
২৩। ১৯৬৬ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারী এ নং অভিযুক্ত শেখ মুজিবুর রহমান চট্টগ্রাম পরিদর্শন করেন এবং লালদিঘীর ময়দানে একট জনসভার আয়োজন করেন। জনসভা শেষে তিনি চট্টগ্রামের এনায়েত বাজার, ১২ নং রফিক-উদ-দীন সিদ্দিকী নেনে ৭ নং সাক্ষী সাঈদুর রহমানের বাসভবনে দলের মীটিং আহ্বান করেন, যেখানে উপস্থিত ছিলেনঃ-
(i) ১ নং অভিযুক্ত শেখ মুজিবুর রহমান,
(ii) ৩ নং অভিযুক্ত স্টুয়ার্ড মুজিব,
(iii) ১২ নং অভিযুক্ত মানিক চৌধুরী এবং
(iv) ৭ নং সাক্ষী সাঈদ-উর-রহমান।
১নং অভিযুক্ত শেখ মুজিবুর রহমান ৭ নং সাক্ষী সাঈদ-উর-রহমানকে দলের মীটিং আয়োজন করার জন্য জায়গা দিতে বলেন।
২৪। সেই একই মাসে (ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৬) ১ নং অভিযুক্ত শেখ মুজিবুর রহমান দলের আর্থিক সহযোগীতা অর্জনের জন্য আরো একটি উৎসের ব্যবস্থা করে ফেলেছিলেন। পূর্বে ১০ নং অভিযুক্ত রুহুল কুদ্দুসের চাচাতো ভাই ১১ নং সাক্ষী জনাব মুহাম্মদ মহসীন হতে তহবিলের অর্থের জোগান পাচ্ছিলেন। ১ নং অভিযুক্ত শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর কাছে থেকে দলের জন্য অর্থ দিতে বলেছিলেন। ১ নং অভিযুক্ত শেখ মুজিবুর রহমানের বৈঠকখানে হতে যখন ১১ নং সাক্ষী মুহসীন বেরিয়ে আসছিলেন তখন তিনি ১ নং অভিযুক্ত শেখ মুজুবির রহমানের অনুরোধকৃত অর্থ “মুরাদ” (স্টুয়ার্ড মুজিবের সাংকেতিক নাম হচ্ছে মুরাদ)য়ের কাছে পাঠিয়ে দিতে বলেন। সেই মোতাবেক ২ থেকে তিন দিন পর ১১ নং সাক্ষী মুহসিন হতে ৩নং অভিযুক্ত স্টুয়ার্ড মুজিব দুই কিস্তিতে ৭০০ টাকা পেয়েছিলেন।
২৫. মার্চ, ১৯৬৬ সালে, ২ নং আসামি, মোয়াজ্জেমের নির্দেশে, ৮ নং আসামি সামাদকে, ৬ নং আসামি, এ.এফ. রহমান কর্তৃক তার স্ত্রীর মালিকানাধীন একটি পেট্রোল পাম্পের ম্যানেজার হিসেবে নিযুক্ত করেন, যা ঢাকার ভারতীয় ডেপুটি হাই কমিশনের বাসভবনের পাশেই অবস্থিত ছিল। এই পেট্রোল পাম্পের নাম হচ্ছে গ্রীন ভিউ পেট্রোল পাম্প। এই ব্যবস্থা ছিল ৬ নং আসামি, এ.এফ. রহমানের মাধ্যমে ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের সাথে গ্রুপের সদস্যদের যোগাযোগের জন্যে একটি কভার মাত্র। আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে, ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তা পেট্রোল নেয়ার জন্যেই পেট্রোল পাম্প পরিদর্শনে গিয়েছেন।
২৬. ৪ঠা মার্চ, ১৯৬৬ তারিখে, ২ নং আসামি, মোয়াজ্জেম; ৩ নং সাক্ষী, আমিরকে ঢাকার অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহনে ‘সেকন্ডমেন্ড’(অস্থায়ী ভিত্তিতে কোন কর্মচারীকে যখন অন্যত্র কোন নির্দিষ্ট কাজের জন্যে বদলি করা হয়) ত্বরান্বিত করার জন্যে, ৪ নং সাক্ষী, কে.জি-এর দ্বারস্থ হতে একটি চিঠি লেখেন। তিনি ৩ নম্বর সাক্ষী, আমির হুসেইনকেও ভারত থেকে যেসব অস্ত্র ও গোলাবারুদ আসার কথা সেগুলো রাখার জন্যে জায়গা ভাড়া করতে নির্দেশ প্রদান করেন।
২৭. একই মাসে ( মার্চ ১৯৬৬) –এর প্রথম দিকে ৩ নম্বর সাক্ষী, আমির হুসেইন মহাখালী, ঢাকায় দলের একত্র হওয়ার জন্যে একটি জরুরী বৈঠক ডাকেন, যেখানে অংশগ্রহণ করেনঃ-
আসামি নং ৮, সামাদ,
আসামি নং ১৫, মুজিব, ক্লার্ক,
আসামি নং ১৬, এম.এ রাজ্জাক,
আসামি নং ১৭, সার্জেন্ট জহুরুল হক,
সাক্ষী নং ৯, আশরাফ আলি এবং
সাক্ষী নং ১০, ইউসুফ।
এছাড়াও অন্যান্য নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তি যাদের নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ-
এল.এ.সি.এম.এ. নওয়াজ
এল.এ.সি.জেড.এ. চৌধুরী এবং
সার্জেন্ট মিয়া, পি.এ.এফ।
(তদন্তের স্বার্থে এসব ব্যক্তিবর্গের পরিচয় প্রকাশ করা হয় নি।)
তারা জোর দিয়েছিল এই ব্যপারে যে তাদের উদ্দেশ্য অর্জনের একমাত্র উপায় সশস্ত্র বিদ্রোহ। এই প্রতিষ্ঠানের জন্যে ভারত সরকার অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
২৮. ১ নং আসামি, শেখ মুজিবুর রহমান, ১২ই মার্চ, ১৯৬৬ তারিখে একটি ষড়যন্ত্রমূলক সভা করেন, যেটি ছিল শনিবারে, যা ২ নং আসামি, মোয়াজ্জেমের সুবিধা অনুযায়ী করা হয়, যিনি শুধুমাত্র সপ্তাহ শেষে, কোন ছুটি নেয়া ছাড়াই করাচী থেকে যাতে আসতে পারেন। সভাটি জনাব তাজ-উদ-দীন এর ৬১৭ নং বাড়ি, ১৮ নং রোড, ধানমন্ডি, ঢাকায় প্রায় সূর্যাস্তের সময় অনুষ্ঠিত হয়। জনাব তাজ-উদ-দীন, যিনি ১ নং আসামি শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক সহযোগী, তার প্রাঙ্গন এই মিটিংয়ের জন্যে ধার দেন কিন্তু তিনি নিজে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন না। ১ নং আসামি শেখ মুজিবুর রহমান, সভায় অংশগ্রহণকারীদের বেশিরভাগকে একটি বাস স্টপে একত্র করেন এবং একটি গাড়িতে উঠিয়ে পূর্বে উল্লেখিত বাড়িতে নিয়ে যান। এই সভায় অংশগ্রহণ করেনঃ –
<2.62.317>
১ নং আসামি, শেখ মুজিবুর রহমান,
২ নং আসামি, মোয়াজ্জেম
৩ নং আসামি, স্টুয়ার্ড মুজিব
১০ নং আসামি, রুহুল কুদ্দুস এবং
সাক্ষী নং ৩, আমির হুসেইন।
২ নং আসামি, মোয়াজ্জেম; আশা প্রকাশ করেন যে, সেই ডি’ ডে(আক্রমণের জন্যে নির্ধারিত দিন)-তে, পূর্ব পাকিস্তানের সকল জনগণ তাদের সমর্থন করবেন। সকল অংশগ্রহণকারী ষড়যন্ত্রের সদস্যদের জন্যে অস্ত্র প্রদান এবং ব্যবহারের জন্যে প্রশিক্ষনের সময় হয়েছে বলে ঐক্যমত্য পোষণ করেন। ভারতীয় কর্মকর্তাদের সাথে অস্ত্র চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্যে তাদের কিছু প্রতিনিধি ভারতে পাঠানোর ব্যপারেও বিবেচনা করা হয়।
২৯. কিছুদিন পরে, ৯ নং সাক্ষী, আশরাফ আলী; ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইনকে পূর্ব পাকিস্তানের একটি সেনানিবাসের লেআউটের একটি স্কেচ প্রদান করেন বলে ধারণা করা হয়।
৩০. ১৯শে মার্চ, ১৯৬৬ তারিখে, ২ নং আসামি মোয়াজ্জেম, ৩ নং সাক্ষী আমির হুসেইনকে জানান যে, ৬ নং আসামি, এ.এফ রহমান তাকে ২ নং আসামি, মোয়াজ্জেমকে ঢাকায় হস্তান্তরের জন্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে টেলিফোনে জানিয়েছেন। তিনি ৩ নং সাক্ষী আমির হুসেইনকেও জানান যে ৫ নং আসামি, নূর মুহাম্মদ, কিছুদিনের মধ্যেই ঢাকা যাবে এবং ওয়েস্ট উইংয়ে গ্রুপের কাজের ব্যপারে তাকে অবহিত করবে। ঐ একই পত্রে, তিনি গোপন ভাষায় আরও লিখেন যে, তিনি তার সার্ভেন্ট শ্যাফট(এখনও পাওয়া যায় নি) দিয়ে তাকে ছোট অস্ত্র পাঠাবেন এবং অস্ত্র কেনার জন্যে ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইনের উচিত আরও টাকা সংগ্রহ করা ।
৩১. প্রায় এক সপ্তাহ পরে, ২ নং আসামি, মোয়াজ্জেম, ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইনকে আরেকটি চিঠি লিখেন যে, তাকে ৬ নং আসামি এ.এফ রহমানের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করতে এবং একটি ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে তার কাছে এটা পাঠাতে। সেই অনুযায়ী, ৩ নং সাক্ষী আমির হুসেইন, ৬ নং আসামি এ এফ রহমানের কাছ থেকে নগদ ৫,৫০০ রুপি গ্রহণ করেন। তিনি ৩১শে মার্চ, ১৯৬৬ তারিখে একটি ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে, ২ নং আসামি মোয়াজ্জেমের নিকট ৫,০০০ রুপি প্রেরণ করেন এবং খরচের জন্যে ৫০০ রুপি নিজের কাছে রেখে দেন।
৩২. ৩রা এপ্রিল, ১৯৬৬ তারিখে, ৩ নং আসামি, স্টুয়ার্ড মুজিব এবং ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইন, ১ নং আসামি, শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডি, ঢাকার বাসভবনে যান এবং বলেন যে, দলের জন্যে ছোট অস্ত্র ও গোলাবারুদ কেনার জন্যে আরও তহবিল প্রয়োজন। ১ নং আসামি, শেখ মুজিবুর রহমান, ৩ নং আসামি স্টুয়ার্ড মুজিবকে ৪,০০০ রুপি নগদ প্রদান করেন, যিনি দলের জন্যে ১ নং আসামি, শেখ মুজিবুর রহমানের কাছ থেকে তহবিল সংগ্রহ করার জন্যে ২ নং আসামি, মোয়াজ্জেম দ্বারা মনোনীত করা হয়েছিল। ৩ নং আসামি, স্টুয়ার্ড মুজিব; ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইনের নিকট এই টাকা হস্তান্তর করেন।
৩৩. পরবর্তী দিন, ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইন; ২ নং আসামি, মোয়াজ্জেমের কাছ থেকে গোপন ভাষায়, তহবিল সংগ্রহের জন্যে আরও তৎপরতার নিমিত্তে একটি চিঠি পান। সেই অনুযায়ী, ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইন; ৩ নং আসামি, স্টুয়ার্ড মুজিবকে; ১০ নং আসামি, রুহুল কুদ্দুসের নিকট আরও তহবিলের জন্যে প্রেরণ করেন। ৩ নং আসামি, স্টুয়ার্ড মুজিব; ১০ নং আসামি, রুহুল কুদ্দুসের কাছ থেকে ২,০০০ রুপি সংগ্রহ করেন এবং এই অর্থ ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইনের নিকট প্রদান করেন। পরবর্তীতে, ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইন; ৬,০০০ রুপিসহ একটি বাণিজ্যিক জাহাজে করে ৩ নং আসামি, স্টুয়ার্ড মুজিবকে; ২ নং আসামি, মোয়াজ্জেমের নিকট দ্রুত প্রেরণ করেন।
<2.62.318>
৩৪. প্রায় একই সময়ে, ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইন; ১০৭-দিনা নাথ, সেন রোড, ঢাকার বাড়িটি দলের ব্যয়সাপেক্ষে ভাড়া নেন। এই বাড়িতে একটি টেলিফোন ছিল যার নাম্বার ছিল ৮২৪৫২।
৩৫. ৬ই এপ্রিল, ১৯৬৬ তারিখে; ২ নং আসামি, মোয়াজ্জেম; ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইনের নিকট পূর্বে তার কাছে পাঠানো ব্যাংক ড্রাফটের প্রাপ্তি স্বীকার করে একটি চিঠি লিখেন। ঐ চিঠিতে, গোপন ভাষায়, তিনি ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইনকে ষড়যন্ত্রের জন্যে আর্থিক এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে একটি বাজেট প্রস্তুত করতে উল্লেখ করেন। ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইন; অস্ত্র-শস্ত্রের টেকনিক্যাল ব্যপারে গভীর জ্ঞান না থাকায় , বাজেট প্রস্তুত না করার সিদ্ধান্ত নেন যতক্ষণ না ১ নং আসামি, শেখ মুজিবুর রহমান এই বাজেট দাবি করেন।
৩৬. এর কিছুদিন পরেই, ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইন; ২ নং আসামি, মোয়াজ্জেমের কাছ থেকে ৮ই এপ্রিল, ১৯৬৬ তারিখে লেখা আরেকটি চিঠি পান এই মর্মে যে, ২২শে এপ্রিল, ১৯৬৬ তারিখের দিকে পূর্ব পাকিস্তানে তার স্থানান্তর হবে এবং এটা যেন “তুষার”-কে(৬ নং আসামি, এ.এফ রহমানের কোড নেম) অবহিত করা হয়।
৩৭. একই মাসে (এপ্রিল, ১৯৬৬), ১২ নং আসামি, মানিক চৌধুরীকে; ১ নং আসামি, শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডি, ঢাকার বাসভবনে তলব করা হয়। তিনি ৪ নং আসামি, সুলতানকে সেখানে ইতিমধ্যে সেখানে উপস্থিত দেখতে পান। ১ নং আসামি, শেখ মুজিবুর রহমান; ১২ নং আসামি, মানিক চৌধুরীকে; ৪ নং আসামি, সুলতানকে অর্থ প্রদান করতে বলেন। তিন বা চার দিন পরে, ৪ নং আসামি, সুলতানকে; ১২ নং আসামি, মানিক চৌধুরী বাসভবন, ৪১-রামজয় মহাজন লেন, চট্টগ্রাম শহরে তলব করা হয় এবং ১২ নং আসামি, মানিক চৌধুরী; তাকে ষড়যন্ত্রের উদ্দেশ্যে ১,৫০০ রুপি প্রদান করেন।
৩৮. একই মাসে (এপ্রিল, ১৯৬৬) সালে, ১১ নং সাক্ষী, মহসিনকে; ১ নং আসামি, শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডি, ঢাকার বাসভবনে তলব করা হয়। ১ নং আসামি, শেখ মুজিবুর রহমান; ১১ নং সাক্ষী, মহসিনকে; আত্মবিশ্বাসের সাথে জানান যে, তিনি সশস্ত্র বাহিনীর বর্তমান এবং প্রাক্তন সদস্যদের নিয়ে একটি বিপ্লবী দল গঠন করেছেন, এবং এর কার্যক্রমে সহায়তার জন্যে তার কাছে আর্থিক সহায়তা প্রদানের অনুরোধ করেন।
৩৯. এপ্রিল, ১৯৬৬ সালের শেষদিকে অথবা মে, ১৯৬৬ সালের শুরুর দিকে, ২ নং আসামি, মোয়াজ্জেমের চট্টগ্রামে বদলির পরে; ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইনের সাথে দেখা করতে তার বাসভবন, ১০৭-দিনা নাথ সেন রোড, গেন্ডারিয়া, ঢাকায় দেখা করেন। তারা দলের পক্ষে অর্থ প্রাপ্তির এবং দল কর্তৃক খরচের বিস্তারিত হিসাব নিয়ে আলোচনা করেন। ২ নং আসামি, মোয়াজ্জেম; প্রতিষ্ঠানের নামে বিপুল খরচের কোন যথাযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হন। ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইন এবং ২ নং আসামি, মোয়াজ্জেমের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইন; ২ নং আসামি, মোয়াজ্জেমের নেতৃত্বের উপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন। একই সন্ধ্যায়, ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইন; দুইটি ক্যাশ বই এবং অ্যাকাউন্টস সম্পর্কিত অন্যান্য কাগজপত্রসহ নগদ ৮,০০০ রুপি; ২ নং আসামি, মোয়াজ্জেমের নিকট; রোড নং ২, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় ডাঃ খালেকের বাড়িতে হস্তান্তর করেন, যেখানে ২ নং আসামি, মোয়াজ্জেম; বাস করছিলেন। ঐ বাড়িটিকে ডাকা হত “আলেয়া”। ২ নং আসামি, মোয়াজ্জেম; ঐ সমুদয় অর্থ থেকে দিনা নাথ সেন রোডে তিনি যে বাসা ভাড়া করে থাকতেন তা পরিশোধের জন্যে ১,৫০০ রুপি, ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইনকে প্রদান করেন। ৩ নং সাক্ষী, আমির হুসেইন; তারপরে ষড়যন্ত্র থেকে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।
৪০. ১লা মে, ১৯৬৬ সালে; ২ নং আসামি, মোয়াজ্জেম; চট্টগ্রাম নৌ ঘাঁটিতে নিযুক্ত হন। তার নিয়োগের পরে দ্রুতই তিনি দলের একত্র হওয়ার জন্যে একটি বৈঠক ডাকেন।
এই মিটিং, ৭ নং সাক্ষী, সাঈদ-উর-রেহমানের “বাইরের ঘরে” অনুষ্ঠিত হয়, যিনি এটা দলের জন্যে মিটিংয়ের স্থান হিসেবে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছিলেন। এই “বাইরের ঘর”-টি ইনায়েতউল্লা হোসেন মার্কেট, চট্টগ্রামে অবস্থিত। এই মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেনঃ-
২ নং আসামি, মোয়াজ্জেম,
৩ নং আসামি, স্টুয়ার্ড মুজিব,
৪ নং আসামি, সুলতান,
১২ নং আসামি, মানিক চৌধুরী,
১৮ নং আসামি, জনাব মুহাম্মদ খুরশিদ, এবং
৭ নং সাক্ষী, সাঈদ-উর-রেহমান।
১২ নং আসামি, মানিক চৌধুরী, এবং ৭ নং সাক্ষী, সাঈদ-উর-রেহমানকে এই মিটিংয়ের কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল।
৪১. ৬ই মে, ১৯৬৬ সালে, ১ নং আসামি, শেখ মুজিবুর রহমান, এই ষড়যন্ত্রের সাথে সম্পর্কহীন, কিছু নির্দিষ্ট কার্যকলাপের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে পাকিস্তান প্রতিরক্ষা বিধির অধীনে গ্রেফতার হন। তিনি পাকিস্তান প্রতিরক্ষা বিধির নিয়মবিধি অনুযায়ী বন্দী অবস্থায় ছিলেন এবং এই ষড়যন্ত্রের সাথে তার যোগাযোগের কারনে তিনি গ্রেফতার হন এবং তাকে পুলিশী হেফাজতে নেয়া হয়। (পাকিস্তান প্রতিরক্ষা বিধির নিয়মবিধি অনুযায়ী বন্দী অবস্থায়, তাকে বিভিন্ন কেসে বিচারের মুখোমুখি করা হয়। )
৪২. পূর্বেই বর্ণিত ১ নং আসামি, শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রেফতারের পরে, তার রাজনৈতিক দল ২০ই মে, ১৯৬৬ সালে, তার বাসভবনে, একটি জরুরী সভার আহবান করে। ১২ নং আসামি, মানিক চৌধুরী, ঐ মিটিংয়ে অংশগ্রহণের জন্যে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় গিয়েছিলেন। মিটিংয়ে অংশগ্রহণের পূর্বে, করে। ১২ নং আসামি, মানিক চৌধুরী; ৭ নং সাক্ষী, সাঈদ-উর-রেহমানকে ঢাকার হাই কমিশনের অফিসে, পাকিস্তানে নিযুক্ত ভারতীয় ডেপুটি হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি, জনাব পি.এন ওঝার কাছে নিয়ে যান। জনাব পি.এন ওঝা, ৭ নং সাক্ষী, সাঈদ-উর-রেহমানের বিস্তারিত বিবরণ লিখে রাখেন এবং কিছুদিন পরে তার সাথে দেখা করতে বলেন। ৭ নং সাক্ষী, সাঈদ-উর-রেহমান; অফিস থেকে বাইরে চলে আসেন যখন কিছু সময়ের জন্যে, ১২ নং আসামি, মানিক চৌধুরী অফিসে রয়ে যান।
৪৩. ২০ এবং ২১শে মে, ১৯৬৬ তারিখের মধ্যবর্তী রাতে, ১২ নং আসামি, মানিক চৌধুরীকে এই ষড়যন্ত্রের সাথে সম্পর্কহীন, কিছু নির্দিষ্ট কার্যকলাপের সাথে সংযুক্ত থাকার অভিযোগে পাকিস্তান প্রতিরক্ষা বিধির অধীনে গ্রেফতার হন।
৪৪. একই মাসে (মে, ১৯৬৬), মানিক চৌধুরীর গ্রেপ্তারের পর, ১২ নং আসামি, মোয়াজ্জেম; ষড়যন্ত্রকারীদের নিয়ে পূর্বোক্ত “আউটার হাউসে” আরও দুটি সভা আহবান করেন, যেখানে অংশগ্রহণ করেনঃ
২ নং আসামি, মোয়াজ্জেম,
৩ নং আসামি, স্টুয়ার্ড মুজিব,
৪ নং আসামি, সুলতান,
১৮ নং আসামি, খুরশিদ, এবং
৭ নং সাক্ষী, সাঈদ-উর-রেহমান।
কাজগুলো বিভিন্ন সদস্যের মাঝে বিতরণ এবং তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। ঢাকা, কুমিল্লা, যশোর এবং চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট এবং চট্টগ্রাম নৌ-ঘাঁটির লে-আউট পর্যালোচনা করা হয়। আরও অর্থ ও অস্ত্র সংগ্রহের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়।
৪৫
একই মাসে (মে, ১৯৬৬) চট্রগ্রামে মিঃ এম এম রমিজ (সাক্ষী নং ১২), যিনি তখন পিআইএ’র চট্রগ্রাম জেলার ম্যানেজার ছিলেন মুয়াজ্জেম (অভিযুক্ত নং ২) এর সংস্পর্শে আসেন এবং চক্রান্তে যোগ দেন।
৪৬
এর পরেই রমিজ (সাক্ষী নং ১২) এর মাধ্যমে মিঃ কে এম শামসুর রহমান সিএসপি (আভিযুক্ত নং ১৯) চক্রান্তে যোগ দেন। তিনি তখন চট্রগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এর চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
৪৭
একই মাসে (মে, ১৯৬৬) আশরাফ আলী (সাক্ষী নং ৯) এবং সামাদ (অভিযুক্ত নং ৮) ১০০/৩, আজিমপুর, ঢাকা ঠিকানায় ‘আত্মা’ নামের একটি বাড়ি ভাড়া করেন দলের ব্যবহারের জন্য। তারপরেই উল্লেখিত দুই জন আমির হোসেনের (সাক্ষী নং ৩) বাড়ি থেকে নতুন বাড়িতে চলে যান। তার আগে তারা আমির হোসেন এর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
৪৮
১৯৬৬ সালের জুন মাসে মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) চট্রগ্রামের নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির নিজ বাসায় রমিজ (সাক্ষী নং ১২) কে একটি ডাইরি, একটি নোট বুক এবং একটি ফোল্ডার দেন এবং তাকে সেগুলো পড়তে বলেন। এই কাগজ পত্র সমুহে প্রস্তাবিত রাস্ট্রের ধরন এবং রুপরেখা সম্পর্কিত লেখা ছিল। সেখানে সমস্ত সম্পত্তি রাস্ট্রের অধিনে থাকার, কল কারখানা জাতীয়করণ করার এবং কুপন দ্বারা প্রচলিত মুদ্রা প্রতিস্থাপিত করার কথা বলা হয়। মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) তাকে নতুন রাস্ট্রের প্রস্তাবিত পতাকাও দেখান যা সবুজ এবং স্বর্ণ উজ্জল রঙ্গে শোভিত ছিল।
৪৯
একই মাসের শেষের দিকে (জুন, ১৯৬৬) মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) চট্রগ্রামের পাচলাইশে পিআইএ, বাড়ি নং ৬০ রমিজের বাড়িতে একটি সভা আহবান করেন। উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন
১। মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২)
২। স্টুয়ার্ড মুজিব (অভিযুক্ত নং ৩)
৩। খুরশিদ (অভিযুক্ত নং ১৮)
৪। রিসালদার সামসুল হক এ সি (অভিযুক্ত নং ২০)
৫। হাবিলদার আজিজুল হক এস এস জি (অভিযুক্ত নং ২১)
৬। রমিজ (সাক্ষী নং ১২)
এই সভার উদ্দেশ্য ছিল দলের সামনের সারির কর্মীদের সাথে রমিজের (সাক্ষী নং ১২) পরিচয় করিয়ে দেয়া। উপরে উল্লেখিত নামের ব্যক্তি সমুহ ছাড়াও এই সভায় আরো কিছু কর্মী যোগদান করেন কিন্তু তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয় নি।
৫০
একই মাসের শেষের দিকে (জুন, ১৯৬৬) মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) তার বাড়িতে (নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটি চট্রগ্রাম) একটি সভা আহবান করেন । উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন
১। মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২)
২। স্টুয়ার্ড মুজিব (অভিযুক্ত নং ৩)
৩। সুলতান (অভিযুক্ত নং ৪)
৪। সুবেদার রাজ্জাক (অভিযুক্ত নং ১৪)
৫। জহুরুল হক (অভিযুক্ত নং ১৭)
৬। খুরশিদ (অভিযুক্ত নং ১৮)
৭। রিসালদার সামসুল হক (অভিযুক্ত নং ২০)
৮। আশরাফ আলী (অভিযুক্ত নং ৯) এবং
৯। ইউসুফ (সাক্ষী নং ১০)
(আরো একজন এই সভায় উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায় যার নাম উল্লখ করা হয়েছে সারজেন্ট সাফি কিন্তু তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয় নি) মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) এই সভায় তার ডাইরি এবং একটি নোট বুক প্রদর্শন করেন যাতে প্রস্তাবিত স্বাধীন রাষ্ট্রের মুল রুপরেখা ছিল এবং সেই রাষ্ট্রের নাম বাংলাদেশ বলে উল্লেখ করা হয়। প্রস্তাবিত জাতীয় পতাকাও প্রদর্শন করা হয়।
৫১
১৯৬৬ সালের জুন/জুলাই এ মাহফিজুল্লাহ (অভিযুক্ত নং ৭) বিমান বাহিনীর চক্রান্তকারীদের নিয়ে একটি সভা করেন তার ২৫/৩ আবিসিনিয়া লেন, করাচির কোয়ার্টারে। যাতে উপস্থিত ছিলেনঃ
১। নুর মুহাম্মদ (অভিযুক্ত নং ৫)
২। মাহফিজুল্লাহ (অভিযুক্ত নং ৭)
৩। এস এ সি মাহফুজুল বারী (অভিযুক্ত নং ৭)
৪। মুসাররফ (সাক্ষী নং ৫)
৫। কর্পোরাল জামাল উদ্দিন আহমেদ (সাক্ষী নং ১৪) এবং
৬। কর্পোরাল সিরাজুল ইসলাম (সাক্ষী নং ১৫)
এই সভাতে আরো কিছু লোক অংশ গ্রহন করেছিল যদিও তাদের সনাক্ত করা সম্ভব হয় নি। এই সভাতে নুর মুহাম্মদ (অভিযুক্ত নং ৫) এর উপর অধিক গুরুত্বারোপ করা হয় যেহেতু তিনি নেভি থেকে এসেছিলেন। মাহফিযুল্লাহর (অভিযুক্ত নং ৭) অনুরোধে কর্পোরাল জামাল (সাক্ষী নং ১৪) যিনি সদ্য ঢাকা থেকে ঘুরে এসেছেন তিনি উপস্থিত সভাকে পূর্ব পাকিস্তানে চক্রান্তকারীদের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন এবং বলেন যে শেখ মুজিবুর রহমান (অভিযুক্ত নং ১) এবং এবং কিছু উচ্চ পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা জোর তৎপরতা চালাচ্ছে। মাহফিযুল্লাহ (অভিযুক্ত নং ৭) সিরাজকে (সাক্ষী নং ১৫) পূর্ব পাকিস্থান ত্যাগ করার পূর্ব মুহূর্তে ফাজলুল হক এবং পিএফএ’র সার্জেন্ট সামসুল হকের সাথে যোগাযোগ করে তাদের কে বাকিদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে বলেন।
৫২
১৯৬৬ সালের জুন/জুলাইয়ের কোন এক সময়ে মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) এবং রমিজ (সাক্ষী নং ১২) যাতে কুমিল্লা ভ্রমণ করতে পারে তার ব্যবস্থা করা হয়। সেই অনুসারে স্টুয়ার্ড মুজিব (অভিযুক্ত নং ৩) কে কুমিল্লা পাঠানো হয় মেজর সামসুল আলম এএমসি (অভিযুক্ত নং ২৪) কে জানানোর জন্য। মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) এবং রমিজ (সাক্ষী নং ১২) চট্টগ্রাম ত্যাগ করেন মুয়াজ্জিমের (অভিযুক্ত নং ২) HILLMAN IMP No. EBA-9591 এই নাম্বারে গাড়িতে করে। তারা কুমিল্লা শহরে সামসুল আলমের (অভিযুক্ত নং ২৪) বাড়িতে গিয়েছিলেন যেখানে তাদের সাথে যোগ দেন ক্যাপ্টেন মুহাম্মুদ আব্দুল মুতাল্লিব বালুচ রেজিমেন্ট, সামসুল আলম (অভিযুক্ত নং ২৪) কুমিল্লার জন্য সেক্টর কমান্ডার হিসাবে কাজ করার কথা, তিনি আক্রমণের সময় সামরিক বাহিনীর অস্ত্রাগার দখলে নেয়ার প্লান ব্যাখ্যা করেন এবং এর ফলে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর যুদ্ধ করার সক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেন। তার মতে অতর্কিত আক্রমন লোকবলের অভাব পুষিয়ে দিবে। তিনি সামসুল আলম কে (অভিযুক্ত নং ২৪) সাবেক ও বর্তমান সেনাদের সাথে যোগাযোগ বাড়াতে অনুরোধ করেন। মুতাল্লিব (অভিযুক্ত নং ২৫) জানান তিনি পূর্ব পালিস্তান রাইফেলসের সদস্যদের তালিকা করেছেন। পরে তারা পাচ জন একই গাড়িতে করে কুমিল্লা সেনানিবাসে ক্যাপ্টেন মুহাম্মদ শওকত আলী মিয়ান এওসি (অভিযুক্ত নং ২৬) এর বাড়িতে যান। সেখানে স্টুয়ার্ড মুজিব (অভিযুক্ত নং ৩) তাদের সাথে যোগ দেন। শওকত (অভিযুক্ত নং ২৬) মুয়াজ্জিম কে (অভিযুক্ত নং ২) কে জানান যে তিনি ক্যাপ্টেন আব্দুল আলিম ভুইয়ান এএসসি (সাক্ষী নং ১৩) এবং ক্যাপ্টেন খন্দকার নাজিম উল হুদা এএসসি (অভিযুক্ত নং ২৭) এর সাথে ঢাকা তে যোগাযোগ করেছিলেন এবং আরো জানান এই দুই অফিসার সংগঠন সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চান। মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) দ্রুতই ঢাকাতে একটি মিটিং আয়োজনের প্রতুশ্রুতি দেন।
৫৩
একই মাসে (জুন ১৯৬৬) সায়েদ উর রহমান (সাক্ষী নং ৭) মুয়াজ্জিমের (অভিযুক্ত নং ২) চিঠিতে উল্লেখিত চট্রগ্রামের বাসা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেই সময় মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) সায়েদ উর রহমানের (সাক্ষী নং ৭) কাছে প্রকাশ করেন যে মানিক চৌধুরী (অভিযুক্ত নং ১২) তার গ্রেফতারের আগে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে তিনি ঢাকায় ভারতের ডেপুটি হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি পি এন ওঝার কাছে অস্ত্রে একটি লিস্ট সরবরাহ করবেন যাতে ষড়যন্ত্রের জন্য অস্ত্র ক্রয় করা যায়। মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) সায়েদ উর রহমান (সাক্ষী নং ৭) কে জিজ্ঞেস করেন তিনি পি এন ওঝাকে চেনেন কিনা। সায়েদ উর রাহমান (সাক্ষী নং ৭) ইতিবাচক উত্তর দিলে মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) তাকে পি এন ওঝার কাছে অস্ত্রের লিস্ট পৌঁছে দেয়ার অনুরোধ করেন। সায়েদ উর রহমান (সাক্ষী নং ৭) তার উপর আরোপিত নজরদারির কথা উল্লেখ করে তার অক্ষমতার কথা জানান।
৫৪
তার কিছুদিন পড় এক সকালে পি এন ওঝা সায়েদ উর রহমানের (সাক্ষী নং ৭) চট্টগ্রামের বাসায় আসেন এবং অভিযোগ করেন যে তার অনুরোধ সত্তেও কেন তিনি ( সায়েদ উর রহমান সাক্ষী নং ৭) তার ঢাকার অফিসে কল করেন নি। সেই সময় সায়েদ উর রহমান (সাক্ষী নং ৭) পি এন ওঝা কে অস্ত্রের লিস্ট সম্পর্কে মুয়াজ্জিমের (অভিযুক্ত নং ২) বার্তা জানান যা মানিক চৌধুরীর (অভিযুক্ত নং ১২) পৌঁছে দেয়ার কথা ছিল।
৫৫
পরের দিন পি এন ওঝার নির্দেশ মত সায়েদ উর রহমান (সাক্ষী নং ৭) মুয়াজ্জিমের (অভিযুক্ত নং ২) এর কাছ থেকে উল্লেখিত লিস্ট সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম রেল ষ্টেশনে পি এন ওঝাকে পৌঁছে দেন। সেই সময় পি এন ওঝা সায়েদ উর রহমান (সাক্ষী নং ৭) কে একটি কোড ওয়ার্ড দেন ঢাকায় তার সাথে যোগাযোগের জন্য এবং বলেন মুয়াজ্জিমের (অভিযুক্ত নং ২) উচিৎ ঢাকায় পি এন ওঝার সাথে দেখা করা।
৫৬
কিছু দিন পড় মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) সায়েদ উর রহমানের (সাক্ষী নং ৭) মাধ্যমে ঢাকার ধানমন্ডিতে ভারতীয় ডেপুটি হাই কমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারির অফিসিয়াল বাস ভবনে পি এন ওঝার সাথে একটি মিটিং আয়োজন করেন। পি এন ওঝা মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) কে নিশ্চিত করেন যে তিনি অস্ত্রের তালিকা ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে পৌঁছে দিবেন তাদের অনুমোদনের জন্য। একই সাথে তিনি আপাতত ষড়যন্ত্রকারীদের আর্থিক সাহায্য দেয়ার অক্ষমতার কথা জানান।
৫৭
১৯৬৬ সালের আগস্টে শওকত (অভিযুক্ত নং ২৬) ঢাকায় আসেন এবং আলিমের (সাক্ষী নং ১৩) এর সাথে অর্ডিন্যান্স মেসে থাকেন। একই দিনে মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) একই মেসে আলিম (সাক্ষী নং ১৩) এবং শওকত (অভিযুক্ত নং ২৬) এর সাথে দেখা করেন। সেই সাক্ষাতে মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) ঘোষণা দেন যে তিনি পরের দিন সকালে ঢাকার মোহাম্মদপুর হাউজিং এস্টেট এ রমিজ (সাক্ষী নং ১২) এর বাসায় একটি মিটিং আহবান করেছেন। উক্ত মিটিং এ নিম্নে বর্ণিত ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবেন বলে উল্লেখ করেনঃ
১। মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২)
২। স্টুয়ার্ড মুজিব (অভিযুক্ত নং ৩)
৩। সুলতান (অভিযুক্ত নং ৪)
৪। নাজমুল হুদা (অভিযুক্ত নং ২৭)
৫। শওকত (অভিযুক্ত নং ২৬)
৬। আলিম (সাক্ষী নং ১৩)
মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) মিটিং এ উপস্থিত ষড়যন্ত্রকারীদের একটি ডাইরি এবং একটি নোট বুক দেখান যেখানে একশনের পুরো প্লান রয়েছে। মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) দাবি করেন তিনি ইতোমধ্যে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সাথে ষড়যন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র ও গোলাবারুদ ক্রয়ের জন্য যোগাযোগ করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে এই দলের সদস্যরা আরো কিছু আর্মি অফিসারকে দলে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন যারা যশোর ও রংপুরের লোকজনকে নেতৃত্ব দিতে পারবে। তিনি দাবি করেন এ এন এম নুরুজ্জামান ইবিআর (অভিযুক্ত নং ২৮) এবং তার নৌবাহিনী চট্টগ্রামের কাজ করার জন্য যথেষ্ট। মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) কুমিল্লায় মুতাল্লিব (অভিযুক্ত নং ২৫) এবং সামসুল আলমের (অভিযুক্ত নং ২৪) কাজের প্রশংসা করেন।
৫৮
একই মাসে (আগাস্ট ২৯৬৬) সামসুল হুদা (অভিযুক্ত নং ২৭) সামসুল আলম (অভিযুক্ত নং ২৪) আলিম (সাক্ষী নং ১৩) এবং শওকত (অভিযুক্ত নং ২৬) দাউদকান্দি রেস্ট হাউজে মিলিত হন। তারা অনুভব করেন যে ষড়যন্ত্রকারীদের নেতৃত্ব সিনিয়র কোন আর্মি অফিসারের হাতে থাকা উচিৎ। তারা সিদ্ধান্ত নেন ষড়যন্ত্র এর সংগঠকদের পরিচয় সম্পর্কে মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) প্রশ্ন করবেন।
৫৯
একই মাসে (আগাস্ট ১৯৬৬) মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) দলীয় ফান্ড থেকে রমিজ (সাক্ষী নং ১২) কে ৫০০০ টাকা দেন যাতে তিনি দলীয় কাজে ব্যবহারের জন্য একটি গাড়ি কিনতে পারেন।
৬০
১৯৬৬ সালের সেপ্টম্বর এর কোন এক সময় মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) রামিজের (সাক্ষী নং ১২) ঢাকার মোহাম্মদপুর হাউজিং এস্টেট এর ১২-৮/৮ নং বাসায় ষড়যন্ত্রকারীদের নিয়ে একটি মিটিং করেন। মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন
১। মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২)
২। স্টুয়ার্ড মুজিব (অভিযুক্ত নং ৩)
৩। সুলতান (অভিযুক্ত নং ৪)
৪। সামসুর রহমান (অভিযুক্ত নং ১৯)
৫। সামসুল আলম (অভিযুক্ত নং ২৪)
৬। মুতাল্লিব (অভিযুক্ত নং ২৫)
৭। নাজমুল হুদা (অভিযুক্ত নং ২৭)
৮। রমিজ (সাক্ষী নং ১২) এবং
৯। আলিম (সাক্ষী নং ১৩)
মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) ষড়যন্ত্রকারীদের জানান যে ভারতীয় কত্রিপক্ষ প্রয়োজনীয় অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছে। তিনি মুতাল্লিব (অভিযুক্ত নং ২৫) সাবেক সেনা সদস্যদের নানা গ্রুপে সংগঠিত করে নানা ধরনের অস্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষন দেয়ার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেন। মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) সেক্টর কমান্ডারদের আর্থিক প্রয়োজনীয়তা পূরণ করার দায়িত্ব নেন। সাজমুল হুদা (অভিযুক্ত নং ২৭) সামসুল আলম (অভিযুক্ত নং ২৪) এবং আলিম (সাক্ষী নং ১৩) ‘নেতৃত্ব কোন সিনিয়র আর্মি অফিসারের হাতে থাকা উচিৎ’ এমন প্রস্তাব করার মধ্য দিয়ে সভা বিঘ্নিত করেন। সামসুর রেহমান (অভিযুক্ত নং ১৯) এই ব্যাপারে কর্নেল এম এ জি ওসমানী (অবসর প্রাপ্ত) এর সাথে যোগাযোগ করার অঙ্গীকার করার মধ্য দিয়ে বিতর্কের অবসান ঘটান। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে ভারত এবং সমর্থনদানকারী ব্লকের স্বীকৃত পাওয়া যাবে এবং এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নতুন রাষ্ট্রের এলাকায় ভারতের অনুপ্রবেশ কে ঠেকিয়ে রাখবে।
মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) ঘোষণা দেন যে স্বাধীনতা নিশ্চিত করার পর মার্শাল ল জারি করা হবে এবং স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার পর সাধারণ নির্বাচন দেয়া হবে। রমিজ (সাক্ষী নং ১২) বলেন সশস্র বিদ্রোহের সময় পিআইএ এবং পিএএফ এর বিমান এবং রেডিও সেটের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করা হবে। এক জন ষড়যন্ত্রকারী মতামত দেন যে বিদ্রোহের সময় বন্ধী পশিম পাকিস্তানীদের বিনিময়ে পশ্চিম পাকিস্তানে আটকে পরা পূর্ব পাকিস্তানীদের মুক্ত করা হবে।
৬১
একই মাসে (সেপ্টেম্বার ১৯৬৬) দ্বিতিয় বার সায়েদ উর রহমান (সাক্ষী নং ৭) মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) এর সাথে পি এন ওঝার ধানমন্ডির বাড়িতে তাদের মধ্যে একটি মিটিঙের ব্যবস্থা করেন। পি এন ওঝা মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) কে জানান যে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ ষড়যন্ত্রকারীদের অস্ত্র দিতে সম্মত হয়েছে এবং তিনি মুয়াজ্জিমকে (অভিযুক্ত নং ২) জানাবেন কখন কোন অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করা হবে।
৬২
অক্টবর ১৯৬৬ সালে সামসুর রহমানের (অভিযুক্ত নং ১৯) অনুরোধে সিনিয়র আর্মি অফিসারদের প্রতিক্রিয়া দলের কাছে জানানোর জন্য মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) তার নোঙর নামক চট্টগ্রামের বাস ভবনে একটি মিটিং ডাকেন। উক্ত মিটিং এ কর্নেল এম এ জি ওসমানী (অবসরপ্রাপ্ত) উপস্থিত ছিলেন। আরো উপস্থিত ছিলেন
১। মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২)
২। সামসুর রহমান (অভিযুক্ত নং ১৯)
৩। রামিজ (সাক্ষী নং )
৬৩
মুয়াজ্জিম আলোচনায় (অভিযুক্ত নং ২) ষড়যন্ত্রের গুরুত্বপুর দিক গুলো তুলে ধরেন। তিনি আরো বলেন ভারতের সাথে একটি ‘ভদ্রলোকের চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয়েছে এবং তার ফলে স্বধীনতা ঘোষণা করলে ভারত পূর্ব পাকিস্তানের বর্তমান সীমানায় অনুপ্রবেশ করবে না এবং সমুদ্র ও আকাশ পথ বন্ধ করে দেয়ার মাধ্যমে ভারত বিদ্রোহে সমর্থন দিয়ে যাবে যাতে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে সাহায্য পৌছাতে না পারে। কর্নেল ওসমানী এই আলাপে তেমন মনযোগী ছিলেন না।
৬৩। অক্টোবর ১৯৬৬ সালে সায়েদ উর রহমান (সাক্ষী নং ৭) তৃতীয় বারের পি এন ওঝার ঢাকা ধান্মন্ডির বাড়িতে মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) এবং পি এন ওঝার মধ্যে মিটিঙের ব্যবস্থা করেন। পি এন ওঝা আফসোস করে বলেন ভারতে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের কারণে অস্ত্র সরবরাহের তারিখ নির্ধারণ করা সম্ভব হচ্ছে না। পি এন ওঝা অস্ত্রের জন্য সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে অনুরোধ করেন।
৬৪
একই মাসে (অক্টোবর ১৯৬৬) স্টুয়ার্ড মুজিব (অভিযুক্ত নং ৩) মহসিনের (সাক্ষী নং ১১) কাছে আর্থিক সাহায্য চান। মহসিন (সাক্ষী নং ১১) ২০০০ টাকা দেন। স্টুয়ার্ড মুজিব (অভিযুক্ত নং ৩) বলেন অস্ত্র ও গোলাবারুদ ক্রয়ের জন্য ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা প্রয়োজন। মহসিন (সাক্ষী নং ১১) এই কথায় ভয় পেয়ে স্টুয়ার্ড মুজিব (অভিযুক্ত নং ৩) কে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেন।
৬৫
২৩ শে জানুয়ারি ১৯৬৭ বা এর আশে পাশের সময়ে মানিক চৌধুরী (অভিযুক্ত নং ১২) আটকদশা থেকে মুক্তি লাভ করেন।
৬৬
ফেব্রুয়ারি ১৯৬৭ সালে মাহফুজুল্লাহ (অভিযুক্ত নং ৭) ঢাকা পৌঁছান এবং বিমান বাহিনীর একটি দলের সাথে ঢাকার আওলাদ হোসেন মার্কেটে এম এ রাজ্জাকের (অভিযুক্ত নং ১৬) দোকানে মিটিং এ মিলিত হন। মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন
১। মাহফুজুল্লাহ (অভিযুক্ত নং ৭)
২। এম এ রাজ্জাক (অভিযুক্ত নং ১৬)
৩। সার্জেন্ট সামসুল হক (অভিযুক্ত নং ২৩)
৪। সিরাজ (সাক্ষী নং ১৫)
আরো কিছু ব্যক্তি মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন কিন্তু তাদের পরিচয় ট্রেস করা যায় নি। এই মিটিং এ ষড়যন্ত্রের সাধারন লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে আলাপ করা হয়।
৬৭
১৯৬৭ সালের মার্চে মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) পূর্ব পাকিস্তান আভ্যন্তরিন নৌ কর্তৃপক্ষের দ্বিতিয় প্রধান ব্যক্তি ছিলেন এবং তাকে বরিশাল পোস্টিং দেয়া হয়েছিল।
৬৯
একই মাসে (মার্চ ১৯৬৭) মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) মানিক চৌধুরীর মাধ্যমে পি এন ওঝার সাথে তার চতুর্থ মিটিং এ মিলিত হন পি এন ওঝার ধানমন্ডির বাড়িতে। ১৯৬৭ সালের মার্চের ১০ তারিখে মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২), মানিক চৌধুরী (অভিযুক্ত নং ১২) এবং সায়েদ উর রহমান (সাক্ষী নং ৭) পি এন ওঝার সাথে দেখা করেন। তিনি তাদের জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত অস্ত্র সরবরাহের তারিখ ঠিক করা সম্ভবপর হচ্ছে না। পি এন অঝা তাদের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান এবং মিটিং শেষ এ তাদেরকে নগদ ৫০০০ টাকা দেন।
৭০
১৯৬৭ সালের ৩১শে মার্চ মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) মানিক চৌধুরী (অভিযুক্ত নং ১২) এবং সায়েদ উর রহমান (সাক্ষী নং ৭) পি এন ওঝার ঢাকার বাসায় পঞ্চমবারের মত পি এন ওঝার সাথে মিটিং এ মিলিত হন। উক্ত মিটিং এ পি এন ওঝা বলেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ অনুভব করছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করার পূর্বে ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিনিধি দলের সাথে ভারতীয় অফিসারদের একটা মিটিং জরুরী। পি এন ওঝা পাকিস্তানি সীমান্তের কাছাকাছি আগারতলা নামক স্থানকে মিটিং স্থান হিসাবে প্রস্তাব করেন। তিনি মুয়াজ্জিমকে (অভিযুক্ত নং ২) তিন জন প্রতিনিধির নাম প্রস্তাব করতে বলেন। সেই সময় পি এন ওঝা তাদেরকে ১০০০০ টাকা দেন।
৭১
একই মাসে (১৯৬৭ সালের মার্চ) মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) স্টুয়ার্ড মুজিব (অভিযুক্ত নং ৩) এবং রমিজ (সাক্ষী নং ১২) রমিজের ঢাকাস্থ মোহাম্মদপুর হাউজিং এস্টেট এ একত্রিত হন। মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) রমিজ (সাক্ষী নং ২) কে বলেন তার হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফান্ড রয়েছে এবং তারা পি এন ওঝার কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য পাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন তারা রুহুল কুদ্দুস (অভিযুক্ত নং ১০) এবং এ এফ রহমান (অভিযুক্ত নং ৬) এর কাছ থেকেও আর্থিক সাহায্য পেয়েছেন। স্টুয়ার্ড মুজিব (অভিযুক্ত নং ৩) এই তথ্য নিশ্চিত করেন। এই মিটিঙেই সিদ্ধান্ত হয় যে তারা একটি বাড়ি ভাড়া করবেন যেখানে মিটিং গুলো অনুষ্ঠিত হবে এবং সার্বক্ষণিক কর্মীরা বাস করবেন। আরো সিদ্ধান্ত হয় যে ষড়যন্ত্রকারীদের কার্যক্রমকে আড়ালে রাখতে একটি প্রদর্শনী মুলক ব্যবসা দাড় করানো হবে। রমিজ (সাক্ষী নং ১২) ব্যবসা দাড় করানোর জন্য তার বন্ধু আবু লুতফুল হুদার (সাক্ষী নং ১৬) নাম প্রস্তাব করেন।
৭২
একই মাসে (মার্চ ১৯৬৬) আর একটি মিটিং উল্লেখিত ফ্ল্যাটে অনুষ্ঠিত হয়। মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন
১। মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২)
২। স্টুয়ার্ড মুজিব (অভিযুক্ত নং ৩)
৩। সামাদ (অভিযুক্ত নং ৮)
৪। সামসুর রাহমান (অভিযুক্ত নং ১৯)
৫। মুতাল্লিব (অভিযুক্ত নং ২৫)
৬। রামিজ (সাক্ষী নং ১২) এবং
৭। লুতফুল হুদা (সাক্ষী নং ১৬)
এই মিটিং এ ট্রান্সমিটার সেট ক্রয় এবং অপারেটর দের প্রশিক্ষন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। আরো সিদ্ধান্ত হয় যে দলীয় কার্যক্রম আড়াল করার জন্য ব্যবসা দাড় করানোর জন্য রমিজকে (সাক্ষী নং ১২) প্রয়োজনীয় অর্থ দেয়া হবে আর এই কাজ তদারকি করার দায়িত্ব দেয়া হয় লুতফুল হুদাকে (সাক্ষী নং ১৬)
৭৩
কিছু দিন পড় (মার্চ ২৯৬৭) রামিজ (সাক্ষী নং ১২) মুয়াজ্জিমের কাছ থেকে ২৫০০০ টাকা পান স্টুয়ার্ড মুজিবের মাধ্যমে। উক্ত টাকা থেকে রামিজ (সাক্ষী নং ১২) নগদ ৫০০০ টাকা ব্যবসা দাড় করানোর জন্য লুতফুল হুদা (সাক্ষী নং ১৬) কে প্রদান করেন। বাকি ২০০০০ টাকা থেকে ষড়যন্ত্রকারীদের বিবিধ খরচ বাবদ রামিজ (সাক্ষী নং ১২) ১৮৬৮৯ টাকা খরচ করেন।
৭৪
১৯৬৭ সালের ১৪ ই মার্চ স্টুয়ার্ড মুজিব (অভিযুক্ত নং ৩) সড়যন্ত্রের কাজে নিজেকে পুরোপুরি উৎসর্গ করার উদ্দেশ্যে পাকিস্তান নৌবাহিনী থেকে ইস্তাফা দেন ।
৭৫
এর পক্ষকাল পরে একই মাসে (১৯৯৬৭ সালের মার্চ) সামসুর রহমান (অভিযুক্ত নং ১৯) ফারিদপুরের ডেপুটি কমিশনার মিঃ সিদ্দিকুর রহমানকে একটি চিঠি লিখেন যাতে তিনি সিদ্দিকুর রহমানকে অনুরোধ করেন তার বন্ধু মিঃ মুজিবুর রহমানকে সাহায্য করার জন্য। স্টুয়ার্ড মুজিব (অভিযুক্ত নং ৩) লুতফুল হুদা (সাক্ষী নং ১৬) কে সাথে নিয়ে ফরিদপুর যান চিঠিটি মিঃ সিদ্দিকুর রাহমানকে পৌঁছে দেয়ার জন্য।
৭৬
১৯৬৭ সালের এপ্রিলে ঢাকাস্থ গ্রিন স্ক্যায়ারের ১৩ নাম্বার বাসাটি দলের কাজে জন্য ভাড়া করা হয়। ১লা মে থেকে সেই বাসায় ব্যভার করা শুরু করা হয়। নিম্ন লিখিত সার্বক্ষণিক কর্মীরা সেখানে থাকা শুরু করেন।
১। স্টুয়ার্ড মুজিব (অভিযুক্ত নং ৩)
২। সামাদ (অভিযুক্ত নং ৮)
৩। দলিদুদ্দিন (অভিযুক্ত নং ৯)
৪। সাবেক সুবেদার জালাল উদ্দিন আহমেদ (সাক্ষী নং ১৭)
৫। মিঃ মুহাম্মদ গুলাম আহমেদ (সাক্ষী নং ১৮)
মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) তার HELLMAN car No. EBA— 9591 নম্বর গাড়িটি স্টুয়ার্ড মুজিবকে দেন দলের কাজে ব্যবহারের জন্য।
৭৭
১৯৬৭ সালের এপ্রিলের কোন এক সময়ে মাহফুজুল্লা (অভিযুক্ত নং ৭) করপরাল হাই একেএমএ (সাক্ষী নং ১৯) এর পিএএফ এর করাচির করাঙ্গি ক্রিকস্থ আবাসিক এলাকার কোয়ার্টার এ তার সাথে দেখা করেন।
মাহফুজুল্লাহ (অভিযুক্ত নং ৭) হাই (সাক্ষী নং ১৯) এর বাসায় একটি ডামি হ্যান্ড গ্রেনেড সাজানো দেখতে পান এবং সেটি সংগ্রহ করেন হাই এর কাছ থেকে।
৭৮
১৯৬৭ সালের মে মাসে করাচির ক্লেটন কোয়ার্টার এ সার্জেন্ট জালিলের (অভিযুক্ত নং ২৯) ১৪/৪-জি নাম্বারের বাড়িতে মাহফুজুল্লার (অভিযুক্ত নং ৭) আহবানে একটি মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মিটিঙ্গে উপস্থিত ছিলেন
১। মাহফুজুল্লা (অভিযুক্ত নং ৭)
২। বাড়ি (অভিযুক্ত নং ২২)
৩। সার্জেন্ট সামসুল হক (অভিযুক্ত নং ২৩)
৪। সার্জেন্ট আব্দুল জলিল (অভিযুক্ত নং ২৯)
৫। মুহাম্মদ মাহবুবুদ্দিন চৌধুরী (অভিযুক্ত নং ৩০)
৬।সামসুদ্দিন (সাক্ষী নং ৬)
৭। কর্পোরাল জামাল (সাক্ষী নং ১৪)
৮। সিরাজ (সাক্ষী নং ১৫)
সার্জেন্ট সামসুল হক (অভিযুক্ত নং ২৩) যিনি সাম্প্রতি পূর্ব পাকিস্থান থেকে ফিরেছেন এবং দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা সভায় উপস্থিত সকলকে বলেন যে মুয়াজ্জম (অভিযুক্ত নং ২) ষড়যন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে রাজি করিয়েছেন।
তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের বলেন যে ‘ডি’ দিনে পূর্ব পাকিস্থানের জনগন সম্পূর্ণ ভাবে সসশ্র বিদ্রোহ কে সমর্থন করবে। মিটিং এর শেষ পর্যায়ে মাহফুজুল্লাহ (অভিযুক্ত নং ৭) পকেট থেকে একটি ডামি হ্যান্ড গ্রেনেড বের করেন এবং কিভাবে সেটি ছুড়তে হয় তা দেখান। তিনি দলের সদস্যদের সেটা চর্চা করতে বলেন। সেই উদ্দ্যেশে তিনি হ্যান্ড গ্রেনেডটি জলিল (অভিযুক্ত নং ২৯) এর বাসায় রেখে যান। তিনি আরো বলেন তিনি হাল্কা অস্ত্রের ট্রেনিং শুরু করবেন সেটা হাতে পাওয়ার সাথে সাথেই।
৭৯
একই সময়ে (মে ১৯৬৭) মাহফুজুল্লাহ (অভিযুক্ত নং ৭) সিরাজ (সাক্ষী নং ১৫) এর কাছে স্বীকার করেন যে সামসুদ্দিন (সাক্ষী নং ৬) তাদের সংগঠনের সদস্য এবং এই বিমান বাহিনীর সদস্যরা লেঃ এম এম এম রাহমান (অভিযুক্ত নং ৩১) এর নেতৃত্বে পরিচালিত। মাহফুজুল্লাহ (অভিযুক্ত নং ৭) সামসুদ্দিন (সাক্ষী নং ৬) এবং মাহববুদ্দিন (অভিযুক্ত নং ৩০) কে কারাচির সারসেজে লেঃ রেহমান (অভিযুক্ত নং ৩১)এর বাস ভবনের মিটিং এ নিয়ে আসতে সিরাজ (সাক্ষী নং ১৫) কে নির্দেশ দেন।
৮০
একই মাসে (মে ১৯৬৭) উল্লেখিত তারিখে লেঃ রেহমানের বাসায় নিম্নে উল্লেখিত ব্যক্তি রা একত্রিত হন।
১। মাহফিজুল্লাহ (অভিযুক্ত নং ৭)
২। লেঃ রেহমান (অভিযুক্ত নং ৩১)
৩। মাহববুদ্দিন (অভিযুক্ত নং ৩০)
৪। সামসুদ্দিন (সাক্ষী নং ৬)
৫। সিরাজ (সাক্ষী নং ১৫)
এবং আরো কয়েকজন যাদের পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় নি।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে বারংবার বলার পর লেঃ রেহমান (অভিযুক্ত নং ৩১) অংশগ্রহণকারীদের অনুরোধ করেন বেশী বেশী করে সসশ্র বাহিনীতে কর্মরত বাঙ্গালিদের সংগঠনে অন্তর্ভুক্ত করতে। তিনি আরো অনুরোধ করেন কিভাবে উপযুক্ত কর্মীদের পূর্ব পাকিস্থানে পাঠিয়ে দেয়া যায় তার তার উপায় খুজে বের করতে।
৮১
১৯৬৭ সালের জুনের শেষের দিকের কোন এক সময় মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) জালাল (সাক্ষী নং ১৭) এবং সামাদ (অভিযুক্ত নং ৮) কে রিক্রুটমেন্ট এর জন্য পাঠান। সেই উদ্দ্যেশে উল্লেখিত ব্যক্তিরা কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খুলনা এবং যশোর ভ্রমণ করেন। তারা খুলনায় সাবেক সাবঃ এ কে এম তাজুল ইসলাম এর সাথে দেখা করেন এবং সেই এলাকার কাজের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করেন। তাজুল ইসলাম (অভিযুক্ত নং ৩২) তার নিজের করা রিক্রুট এর সাথে ষড়যন্ত্রকারীদের পরিচয় করিয়ে দেন।
৮২
১৯৬৭ সালের জুনের ২য় বা ৩য় সপ্তাহে পূর্বোক্ত দলের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি লেঃ রেহমান (অভিযুক্ত নং ৩১) তার তার বাসায় একটি মিটিং করেন। নিম্নোক্ত ষড়যন্ত্রকারীরা উক্ত মিটিং এ উপস্থিত ছিলেন।
১। মাহিজুল্লাহ (অভিযুক্ত নং ৭)
২। বাড়ি (অভিযুক্ত নং ২২)
৩।মাহববুদ্দিন (অভিযুক্ত নং ৩০)
৪। লেঃ রেহমান (অভিযুক্ত নং ৩১)
৫। সাঃ সামসুদ্দিন (সাক্ষী নং ১৫)
৬। সিরাজ (সাক্ষী নং ১৫)
এবং আরো কয়েক জন যাদেকে সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
লেঃ রেহমান (অভিযুক্ত নং ৩১) উপস্থিত সদস্যদের বলেন মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২) আর কোন রিক্রুট্মেন্ট করতে নিষেধ করেছেন। মাহববউদ্দিন (অভিযুক্ত নং ৩০) এবং বাড়ি (অভিযুক্ত নং ২২) এর পরামর্শে লেঃ রেহমান (অভিযুক্ত নং ৩১) সামসুদ্দিন কে নির্দেশ দেন ঢাকায় গিয়ে মুয়াজ্জিমের সাথে যোগাযগ করতে এবং তাকে জিজ্ঞেস করতে যে লেঃ রেহমানের উপস্থিতি ঢাকায় দরকার কি না। যদি দরকার হয় তাহলে সামসুদ্দিন ‘বাজলো গুরুতর অসুস্থ হাসপাতালে ভর্তি’ লিখে টেলিগ্রাম করবে। বাড়ি (অভিযুক্ত নং ২২) এবং মাহববুদ্দিন (অভিযুক্ত নং ৩০) এর অনুরোধে সিদ্ধান্ত হয় যে আপাতত সদ্যসরা শুধুমাত্র করাচির সদস্যদের জন্য চাদা তুলবেন।
৮৩
১৯৬৭ সালের জুনে মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২)১৩ গ্রিন স্কয়ার ঢাকাতে কয়েকটি মিটিং আহবান করেন যাতে অংশগ্রহণ করেন।
১। মুয়াজ্জিম (অভিযুক্ত নং ২)
২। স্টুয়ার্ড মুজিব (অভিযুক্ত নং ৩)
৩। সুলতান (অভিযুক্ত নং ৪)
৪। দলিলুদ্দিন (অভিযুক্ত নং ৯)
৫। রিসালদার সামসুল হক (অভিযুক্ত নং ২০)
৬।মিঃ এম আলী রেজা (অভিযুক্ত নং ৩৩)
৭। ক্যাপ্টেন খুরশিউদ্দিন আহমেদ এ এম সি (অভিযুক্ত নং ৩৪)
৮। রামিজ সাক্ষী নং ১২)
৯। জালাল উদ্দিন (সাক্ষী নং ১৯) এবং
১০। মিঃ আনোয়ার হুসাইন (সাক্ষী নং ২০)
<2.62.329-333>
৮৮) ১৪ জুলাই, ১৯৬৭ তারিখে তাঁরা ২ নং আসামি মোয়াজ্জেমকে পূর্বোক্ত মিটিং এর ফলাফল সম্পর্কে অবহিত করার জন্য বরিশাল যান।
৮৯) ঐ মাসেই আরও পরে, ২ নং আসামি মোয়াজ্জেম, ১২ নং আসামি মানিক চৌধুরী এবং ৭ নং সাক্ষী সাঈদ-উর-রহমান ঢাকার ধানমণ্ডিতে পি এন ওঝার বাড়িতে তাঁর সাথে ষষ্ঠবারের মত দেখা করেন। পি এন ওঝা ২ নং আসামি মোয়াজ্জেমের সাথে ভান করেন যে তিনি তখনও তাঁর সরকারের কাছ থেকে আগরতলা বৈঠকের ফলাফল পান নি। তিনি অবশ্য আড়ালে ১২ নং আসামি মানিক চৌধুরীকে জানান যে ভারতীয় কর্মকর্তারা [পূর্ব পাকিস্তানি] প্রতিনিধিদের পদমর্যাদা নিয়ে অসন্তুষ্ট।
৯০) একই মাসে ৪ নং আসামি সুলতান করাচি ভ্রমণ করেন। করাচিতে কর্মরত ষড়যন্ত্রকারীদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় করাচির ১৪/৪-জি মার্টিন কোয়ার্টাস্ এ ৩০ নং আসামি মাহবুবউদ্দীনের বাড়িতে। নিম্নলিখিত ব্যক্তিবর্গ এ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন:-
সুলতান, ৪ নং আসামি
মাহফিজউল্লাহ, ৭ নং আসামি
জহরুল হক, ১৭ নং আসামি
সার্জেন্ট শামসুল হক, ১২৩ নং আসামি
লেফটেন্যান্ট রেহমান, ৩১ নং আসামি
সিরাজ, ১৫ নং সাক্ষী
বৈঠকে আরও যাঁরা অংশগ্রহণ করেন তাঁদের নাম পাইলট অফিসার মির্জা, এস এম আলি এবং সিএইচ জয়নুল আবিদীন। শেষের দু’জনকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি; প্রথম জন হাসপাতালে থাকায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমোদন পাওয়া যায় নি।
৪ নং আসামি সুলতান বলেন, তিনি কিউবায় বিপ্লবের সাক্ষী এবং সশস্ত্র বিদ্রোহ করতে গিয়ে আত্মাহুতিতে তিনি প্রস্তুত [he was alive to the sacrifices warranted in staging an armed revolt]। তিনি [বিদ্রোহের] মূল কর্মীদের মধ্যে বিপ্লবী চেতনার অভাব লক্ষ্য করার হতাশা ব্যক্ত করেন। অংশগ্রহণকারীদেরকে এ লক্ষ্যে তাঁদের জীবন ত্যাগ করার শপথ নেয়ার অনুরোধ জানিয়ে তিনি তাঁর বক্তব্য শেষ করেন।
৯১) প্রায় ১৫ দিন পর, জুলাই/আগস্ট ১৯৬৭ এ, ৩১ নং আসামি লেফটেন্যান্ট রেহমান করাচির ১৪/৪-জি, মার্টিন কোয়ার্টাস্ এ ৩০ নং আসামি মাহবুবউদ্দীনের বাড়িতে আরেকটি বৈঠক আহ্বান করেন। নিম্নোক্ত ষড়যন্ত্রকারীরা বৈঠকে অংশ নেন:-
লেফটেন্যান্ট রেহমান, ৩১ নং আসামি
লেফটেন্যান্ট আবদুর রউফ, ৩৫ নং আসামি
জহরুল হক, ১১ নং আসামি
সুলতান, ৪ নং আসামি
মাহফিজউল্লাহ, ৭ নং আসামি
বারি, ২২ নং আসামি
সিরাজ, ১৫ নং আসামি
বৈঠকে আরও যারা অংশগ্রহণ করেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আরও যে দু’জন যাঁদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, যেমন, সিএইচ জয়নুল আবিদীন এবং এস এম আলি এবং আরও কয়েকজন যাঁদের নাম নিশ্চিত করা যায় নি, তবে এঁদের কারও বিস্তারিত পরিচয় জানা সম্ভব হয় নি।
ঐ বৈঠকে ৩১ নং আসামি লেফটেন্যান্ট রেহমান পূর্ব পাকিস্তানে ২ নং আসামি মোয়াজ্জেমের নেতৃত্বে সক্রিয় মূল সংগঠনের সাথে ঘনিষ্ট সহযোগিতা করার জন্য সদস্যদের নির্দেশ প্রদান করেন। লেফটেন্যান্ট আবদুর রউফ এরপর অংশগ্রহণকারীদেরকে শপথ পাঠ করান। একই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে,
১৫ নং সাক্ষী, সিরাজুল ইসলাম মৌরিপুর এলাকা থেকে অর্থসংগ্রহ এবং সদস্য নিবন্ধন করবেন,
৭ নং আসামি মাহফিজউল্লাহ Drigh সড়ক এলাকা থেকে অর্থ সংগ্রহ এবং সদস্য নিবন্ধন করবেন,
১৭ নং আসামি জহরুল হক কোরাঙ্গি এলাকা থেকে অর্থসংগ্রহ এবং সদস্য নিবন্ধন করবেন, এবং চাকলালা, পেশোয়ার, কোহাল এবং সারগোদা এলাকাসমূহেও একই উদ্দেশ্য ভ্রমণ করবেন।
৯২) ১৯৬৭ সালের আগস্ট মাসে, ১২ নং আসামি মানিক চৌধুরী এবং ৭ নং সাক্ষী সাঈদ-উর-রহমান ঢাকা যান এবং ৩ নং আসামি কার্যাধ্যক্ষ মুজিবের সাথে দেখা করেন। মুজিব তাঁদেরকে তাঁর এবং ৩৩ নং আসামি রেজার আগরতলায় যাওয়ার কথা জানান।
৯৩) ১৯৬৭ সালের আগস্ট মাসে, ৩৫ নং আসামি লেফটেন্যান্ট রউফ ক্লেটন কোয়ার্টার্সে ২৯ নং আসামি জলিলের বাড়িতে জরুরী বৈঠক আহ্বান করেন। নিম্নোক্ত ব্যক্তিরা তাতে অংশগ্রহণ করেন:-
মাহফিজউল্লাহ, ৭ নং আসামি
বারী, ২২ নং আসামি
জলিল, ২৯ নং আসামি
লেঃ রেহমান, ৩১ নং আসামি
লেঃ রউফ, ৩৫ নং আসামি
শামসুদ্দীন, ৬ নং সাক্ষী
সিরাজ, ১৫ নং সাক্ষী
আরও যে তিনজনের নাম দেয়া হয়েছে, তাঁরা হলেন, ক্যাপ্টেন আফতাব চৌধুরী, জয়নুল আবিদীন এবং সিদ্দীকুর রহমান; তাঁদের বিস্তারিত পরিচয় প্রমাণ করা যায় নি।
এ বৈঠকে ৩৫ নং আসামি লেঃ রউফ এবং ৩১ নং আসামি লেঃ রেহমানকে কিছুটা চিন্তিত দেখাচ্ছিল। তাঁরা নজরদারিতে আছেন বলে তাঁদের সন্দেহ হচ্ছিল। ৩৫ নং আসামি লেঃ রউফ নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা বন্ধ করতে অংশগ্রহণকারীদের নির্দেশ দেন। তিনি সদস্যদের আরও অনুরোধ জানান ছুটি নিয়ে পূর্ব পাকিস্তানে চলে যাবার। সে অনুসারে সদস্যরা ছুটি নিয়ে পূর্ব পাকিস্তানে নিজ নিজ শহরে চলে যাওয়া শুরু করেন।
৯৪) ২৩ নং আসামি সার্জেন্ট শামসুল হকের নির্দেশে, ১৯৬৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসের কোন এক সময়ে, ১৭ নং আসামি জহরুল হক চাকলালায় পাকিস্তান এয়ার ফোর্স দপ্তরে যান, এবং ২১ নং সাক্ষী সার্জেন্ট রজব হোসেনের সাথে দেখা করেন। ১৭ নং আসামি জহরুল হক সাক্ষী নং ২১, রজবকে জানান যে সশস্ত্র বিদ্রোহের মাধ্যমে পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা আদায়ের লক্ষ্যে একটি গোষ্ঠী গড়ে তোলা হয়েছে, এবং এ ষড়যন্ত্রে যোগ দেয়ার জন্য রজবকে তিনি আহ্বান জানান। ২১ নং সাক্ষী রজব অবশ্য এরুপ কর্মকাণ্ডের সাথে নিজেকে জড়িত করতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেন।
৯৫) ১৯৬৭ এর অক্টোবরে ৩৩ নং আসামি রেজা ১২ নং সাক্ষী রমিজের কাছ থেকে পিআইএ এর একটি ক্রেডিট টিকিট পান; এবং লাহোরে ও পেশোয়ারে গিয়ে ইতোমধ্যে লাহোরে বদলি হওয়া ১০ নং আসামি রুহুল কুদ্দুসকে, এবং পেশোয়ারে বদলি হওয়া ২৫ নং আসামি ক্যাপ্টেন মুতালিবকে তহবিল তছরুপের ব্যাপারে অবহিত করেন; ২ নং আসামি মোয়াজ্জেম যেটি করছেন বলে তাঁর মনে হচ্ছিল।
৯৬) ১৯৬৭ সালের নভেম্বরে, ঐচ্ছিক ছুটি নিয়ে ঢাকায় পৌঁছেন ১৫ নং সাক্ষী সিরাজ। এরই মধ্যে ৩০ নং আসামি মাহবুবউদ্দিন, ৩৫ নং আসামি লেঃ রউফ এবং ৩১ নং আসামি লেঃ রেহমান ছুটিতে ঢাকায় চলে এসেছিলেন।
৯৭) ১৯৬৭ সালের নভেম্বরে ২৪ নং সাক্ষী প্রাক্তন স্কোয়াড্রন লিডার মুয়াজ্জেম হোসেইন চৌধুরীর বাসভবনে নিম্নলিখিত ব্যক্তিরা বৈঠকে অংশ নেন:-
ফজলুল হক, ১১ নং আসামি
এম এ রাজ্জাক, ১৬ নং আসামি
কর্পোরাল জামাল, ১৪ নং সাক্ষী
জাকির আহমেদ, ২২ নং সাক্ষী
সার্জেন্ট এম আব্দুল হালীম, ২৩ নং সাক্ষী
চৌধুরী, ২৪ নং সাক্ষী
গ্রুপটিকে নতুন করে জাগিয়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা এ বৈঠকে অনুভূত হয়, কেননা ২ নং আসামি মোয়াজ্জেম এবং তাঁর অনুগ্রহভাজনদের স্বার্থপরতায় গোষ্ঠীটি অকেজো হয়ে পড়ছিল।
৯৮) ১৯৬৭ এর নভেম্বরে ২২ নং সাক্ষী জাকির উইং কমান্ডার, ২৫ নং সাক্ষী আশফাক মিয়ার কাছে এ মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন যে কিছু দিন পূর্বে ২৩ নং সাক্ষী হালীম তাঁকে ২৪ নং সাক্ষী চৌধুরীর আবাসস্থলে নিয়ে গিয়েছিলেন, যেখানে তিনি এঁদেরকে সমবেত অবস্থায় দেখতে পান:-
ফজলুল হক, ১১ নং আসামি
এম এ রাজ্জাক, ১৬ নং আসামি
চৌধুরী, ২৪ নং সাক্ষী
কর্পোরাল জামাল, ১৪ নং সাক্ষী
হালীম, ২৩ নং সাক্ষী
২২ নং সাক্ষী জাকির ২৫ নং সাক্ষী আশফাকের কাছে অভিযোগ করেন যে পূর্ব পাকিস্তানকে কেন্দ্র থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলার ব্যাপারে এ ব্যক্তিরা কথা বলছিলেন।
৯৯) ১৯৬৭ এর ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে শুক্রাবাদ, ঢাকায় ১৫ নং সাক্ষী সিরাজের বন্ধু জনৈক মালিকের বাসায় নিম্নোক্ত ব্যক্তিরা, এবং আরও কয়েকজন, যাদের খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয় নি, দেখা করেন:-
লেঃ রউফ, ৩৫ নং আসামি
মাহবুবউদ্দিন, ৩০ নং আসামি
সিরাজ, ১৫ নং সাক্ষী
গোষ্ঠীটির কার্যকলাপের কভার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য ঢাকায় একটি টেকনিক্যাল স্কুল চালু করার প্রস্তাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। ৩৫ নং আসামি লেঃ রউফ [গোষ্ঠীর] কার্যক্রম পুনরুজ্জীবিত করার ব্যাপারে ২ নং আসামি মোয়াজ্জেম এবং কর্নেল এম এ জি ওসমানীর সাথে যোগাযোগ করার দায়িত্ব নেন।
১০০) শীঘ্রই ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা শুরু হয় এবং এভাবেই তাঁদের কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘটে।
আসামিবৃন্দের বিরুদ্ধে আনীত পেশকৃত অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁদের বিচার করার জন্য প্রার্থনা করা হল।
পরিশিষ্ট I
(রেফারেন্স অনুচ্ছেদ ৫)
১) তদন্তের সময়ে পাকিস্তানের যেসব নাগরিকের নাম ও বিস্তারিত ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে পাওয়া গেছে তাঁদেরকে “অভিযুক্তদের লিস্ট” শিরোনামের অথবা “লিস্ট এ” শিরোনামের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
২) লিস্ট ‘এ’ তে সেসব ব্যক্তিদের নাম এবং বিস্তারিত বিবরণ দেয়া আছে যাঁদেরকে শপথ করানো হয়েছে ষড়যন্ত্রের বিশদ ব্যাপারে সাক্ষ্য প্রদান করার ব্যাপারে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের তালিকায় সেসব ব্যক্তিদের নাম এবং বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে, যাঁদেরকে তাঁদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ভিত্তিতে বিচারের সম্মুখীন করা হবে।
৩) যেসব ব্যক্তিরা বিচারে সাক্ষ্য দেবেন তাঁদের নাম এবং বিস্তারিত বিবরণ ক্রমানুসারে “সাক্ষী তালিকা” শিরোনামের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা রয়েছে। যে সব ব্যক্তিদের প্রতি ক্ষমা প্রদর্শন করা হয়েছে, তাঁদের নাম এবং বিস্তারিত “সাক্ষী তালিকা”তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
৪) সাক্ষ্যপ্রমাণ হিসেবে দাখিলকৃত দলিল এবং প্রবন্ধসমূহ যথাক্রমে “দলিলের তালিকা” এবং “প্রবন্ধের তালিকা” শিরোনামের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
৫) সম্পূরক তালিকাসমূহ প্রয়োজনবোধে পরবর্তীতে পেশ করা হবে।
<2.62.334>
সংযোজনী ২
(অনুচ্ছেদ ১৯ এর ৫)
ক্রমিক নং | সাংকেতিক নাম | সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জন্য |
১ | ২ | ৩ |
১ | আলো | লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মুয়াজ্জান হুসাইন অভিযুক্ত নং ২ |
২ | উলকা | মুহাম্মদ আমীর হোসেন মিয়া সাক্ষী নং ৩ |
৩ | তুহিন | কেটারিং লেফটেন্যান্ট মোজাম্মিল হোসেন সাক্ষী নং ১ |
৪ | কামাল | প্রাক্তন এল/এস সুলতান-উদ-দীন আহমেদ অভিযুক্ত নং ৪ |
৫ | মুরাদ | স্টেওয়ার্ড মুজিব-উর-রহমান অভিযুক্ত নং ৩ |
৬ | পরশ | শেখ মুজিব-উর-রহমান অভিযুক্ত নং ১ |
৭ | তুষার | এ. এফ. রহমান সি. এস. পি. অভিযুক্ত নং ৬ |
৮ | সবুজ | এল/এস নূর মুহাম্মদ অভিযুক্ত নং ৫ |
৯ | শেখর | রুহুল কুদ্দুস সি. এস. পি. অভিযুক্ত নং ১০ |
<2.62.335>
তালিকা এ (A)
(ব্যাক্তিবর্গ যাদেরকে ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোড ইউ/এস ৩৩৭ তে ক্ষমা করার প্রস্তাব করা হয়েছে)
(রেফারেন্স অনুচ্ছেদ ৫৩)
১। লেফটেন্যান্ট মুজাম্মেল হোসেন। এস/ও মৃত মৌলভী মেনহাঞ্জুদ্দীন মিয়া, আর/ও পশ্চিম ফুলকি, বাসাইল পুলিশ স্টেশন, ময়মনসিংহ জেলা।
২। প্রাক্তন কর্পোরাল মোহাম্মদ আমীর হোসেন মিয়া, এস/ও মৌলভী ফাজিল মোল্লা, আর/ও গ্রাম রুপবাবুরচার দারিকান্দি, জাঞ্জির পুলিশ স্টেশন, ফরিদপুর জেলা।
৩। সার্জেন্ট পাক/৫৪২৭২, সামসুদ্দীন আহমাদ, এস/ও মোহাম্মদ আফতাব উদ্দীন, আর/ও গ্রাম নিজকল্প, কোতোয়ালি পুলিশ স্টেশন, ময়মনসিংহ জেলা।
৪। ডঃ সাঈদ-উর-রহমান, এস/ও মৌলভী আবুল খায়ের চৌধুরী, আর/ও গ্রাম এনায়েত বাজার, কোতোয়ালি পুলিশ স্টেশন, চট্টগ্রাম জেলা।
৫। এফ/লেফটেন্যান্ট মির্জা মোহাম্মদ রমীজ, এস/ও এম এম সিরাজ, আর/ও গ্রাম ধানুন, রুপগঞ্জ পুলিশ স্টেশন, ঢাকা। বর্তমানে ৬০-পাঁচলাইশ, চট্টগ্রাম
৬। ক্যাপ্টেন পিএ/৬৬৩২, মোহাম্মদ আব্দুল আলীম ভূঁইয়া, এস/ও আল্বহাজ নিজাম উদ্দীন ভূঁইয়া, আর/ও গ্রাম পরমতলা, মুরাদনগর পুলিশ স্টেশন, কুমিল্লা।
৭। কর্পোরাল জামাল উদ্দীন আহমেদ, এস/ও বসির উদ্দীন, আর/ও গ্রাম বিরামপুর, সুজানগর পুলিশ স্টেশন, পাবনা।
৮। পাক কর্পোরাল সিরাজুল ইসলাম, এস/ও মৌলভী আমিন উদ্দীন, আর/ও গ্রাম শিলাই, বুড়িচাং পুলিশ স্টেশন, কুমিল্লা জেলা।
৯। জনাব মোহাম্মদ ঘুলাম আহমেদ, এস/ও আব্দুল জব্বার, আর/ও জাফারাবাদ গ্রাম, মাদারিপুর পুলিশ স্টেশন, ফরিদপুর জেলা।
১০। জনাব আবুল বাশার মোহাম্মদ ইউসুফ, এস/ও মুনশি মোহাম্মদ আলী হাওলাদার, দক্ষিণ মিথখালি গ্রাম, মাঠবাড়িয়া পুলিশ স্টেশন, বরিশাল জেলা।
১১। সার্জেন্ট মোহাম্মদ আব্দুল হালিম, এস/ও মৃত মুনশি আব্দুল আজিজ, আর/ও শোহিলপুর, চান্দিনা পুলিশ স্টেশন, কুমিল্লা জেলা।
<2.62.336>
অভিযুক্ত ব্যাক্তিবর্গের তালিকা
[ রেফারেন্স অনুচ্ছেদ ৫ এবং সংযোজনী ]
ক্রমিক নং নাম পিতার নাম ঠিকানা মন্তব্য | ||
১। জনাব শেখ মুজিবুর রহমান | মৌলভী শেকলি লুতফুর রহমান | (১) গ্রামঃ টুঙ্গীপাড়া, থানাঃ গোপালগঞ্জ, জেলাঃ ফরিদপুর (২) নং- ৬৭৭, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা, রাস্তা নং – ৩২, ঢাকা |
২। পি নং ৫৭৪, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মুয়াজ্জান হোসেন | মৈলভী মোফাজ্জল আলী | গ্রামঃ ধুনুরিতাল, পি এসঃ পিরোজপুর, জেলাঃ বরিশাল |
৩। ও নং ৬৬৫০৮, স্টেওয়ার্ড মুজিব-উর-রহমান | মুন্সী আব্দুল লতিফ | গ্রামঃ ঘাটমাঝি, পি এসঃ মাদারিপুর, জেলাঃ ফরিদপুর |
৪। প্রাক্তন এল/এস সুলতান-উদ-দীন আহমেদ | মৌলভী সামসুদ্দীন আহমেদ | গ্রামঃ উত্তরা খামার, পি এসঃকাপাসিয়া, জেলাঃ ঢাকা |
৫। ও নং ৬৪৬৭২, এল/এস, সি ডি আই নূর মুহাম্মদ | জনাব তমিজুদ্দীন আখন্দ | গ্রামঃ কুমার ভোগ, পি এসঃ লৌহজং, পোস্ট অফিসঃ লৌহজং তহসিলঃ হালিদিয়া, জেলাঃ ঢাকা |
৬। জনাব আওহমেদ ফজলুর রহমান, সি এস পি | জনাব ইমাজুদ্দীন আহমেদ | (১) গ্রামঃ কাচিশার, পি এসঃ দেবীদ্বার, জেলাঃ কুমিল্লা (২) নং-৭০৮, ধানমন্ডি, আবাসিক এলাকা, রাস্তা নং – ৩০, ঢাকা |
৭। পাক/৫১৩০৩, এফ/সার্জেন্ট মাহফিজুল্লাহ | হাজী মুহাম্মদ ইসমাইল | গ্রামঃ মুরাদপুর, পি এসঃ বেগমগঞ্জ, পোস্ট অফিসঃ নয়ালিয়াত,জেলাঃ নোয়াখালি |
<2.62.337-356>
অভিযুক্তদের নামের তালিকা
১. মি. শেখ মুজিবুর রহমান
পিতা-মৌলভী শেখলী লুতফুর রহমান
গ্রাম- টঙ্গীপাড়া, পি.এস-গোপালগন্জ জেলা -ফরিদপুর
৬৬৭নং ধানমন্ডি, আবাসিক এলাকা, রোড নং-৩২ ঢাকা।
২.পি.নং-৫৭৪,এল. টি. কমান্ডার মাউজ্জামান হোসেইন
পিতা-মৌলভী মোফাজ্জাল আলী
গ্রাম-ধুনুরীতল, পি এস- ফিরোজপুর, জেলা-বরিশাল।
৩.ও.নং ৬৬৫০৮, স্টিওয়ার্ড মুজিবুর রহমান
পিতা-মুন্সি আব্দুল লতিফ
গ্রাম- ঘাটমাঝি,পি এস -মাদারীপুর জেলা-ফরিদপুর।
৪.প্রাক্তন এল./এস. সুলতান উদ্দিন আহমেদ
পিতা-মৌলভী শামসুদ্দীন আহমেদ
গ্রাম-উত্তরা খামার,পি.এস.-কাপাসিয়া,জেলা-ঢাকা।
৫.ও.নং৬৪৬৭২ এল./এস. সি.ডি.আই. নুর মোহাম্মদ
পিতা-মি. তামিজ উদ্দিন আকন্দ
গ্রাম-কুমার বাগ,পি.এস-লোহাগঞ্জ, পো.অ.-লোহাগঞ্জ।তেহশীল হলিদিয়া, জেলা ঢাকা।
৬.মি. আহমেদ ফজলুর রহমান, সি. এস. পি.
পিতা-মি. ইমামুদ্দিন আহমেদ
(১)গ্রাম-কচিসার, পি.এস.-দাবিদাওয়ার,কুমিল্লা
(২)৭০৮নং ধানমন্ডি, আবাসিক এলাকা রোড নং-৩০, ঢাকা।
৭.পাক/৫১৩০১,এফ/এস. জি. টি. মাহফিজুল্লাহ্
পিতা-হাজী. মোহাম্মদ ইসমাঈল
গ্রাম-মধুপুর, পো.অ.-নয়াটিলা,পি.এস.-বেগমগঞ্জ, জেলা –নোয়াখালী.
৮.প্রাক্তন কর্পোরাল আব্দুল বশর মোহাম্মদ আবদুস সামাদ
পিতা-মি. ইন্তে আলী মৃধা
গ্রাম-মিল্তাখালী,পি.এস.-বরিশাল।
৯.প্রাক্তন -হাব. দালিলুদ্দিন
পিতা-আফিজুদ্দিন
গ্রাম এবং পোস্ট অফিস শ্যামপুর, পি.এস.-বাকেরগঞ্জ জেলা-বরিশাল।
১০.মি. রুহুল কুদ্দুস সি. এস. পি.
পিতা- মি. রইসুদ্দিন আহমেদ
(১) গ্রাম-পাঞ্চরিকি,পো.অ-কাকাডাঙ্গা,পি. এস.-সাতক্ষিরা, জেলা-খুলনা
(২)৬১৮ ক নং ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা, রোড নং-১৮ ঢাকা।
১১.পাক/৭২৮৭০, এফ/এস.জি.টি মোহাম্মদ ফজলুল হক
পিতা-মৌলভী সায়েদ আলী তালুকদার
গ্রাম এবং পো. অ.-সায়েস্তাবাদ, পি.এস-কোতয়ালী-,জেলা-বরিশাল।
১২.মি. ভূপতি ভুশান চৌধুরী আলাইস মানিক চৌধুরী
পিতা- মি. ধিরেন্দ্র লাল চৌধুরী
গ্রাম-হবিলাশদ্বীপ,পো.অ-বোয়ালখালী, পি.এস- পটিয়া,তেহশীল এবং ৪১ রামজয় মহাজন লেইন,চট্টগ্রাম, পি. এস. কোতোয়ালি।
১৩. মি. বিধান কৃষ্ণা সেন
পিতা-মি. রাজেন্দ্র নারায়ণ সেন
গ্রাম – সারোয়াতলা,পি. এস.-বেয়ালখালী,চট্টগ্রাম।
১৪. পি.জে.ও. -২০৬৮, সাব. আব্দুর রাজ্জাক
পিতা- মি. সিতু সরকার
(১) গ্রাম এবং পো. অ. দক্ষিণ বারোসারচির,পি. এস.- মোতলিবগঞ্জ,তেহ্. চাঁদপুর, জেলা কুমিল্লা
(২)এ./ পি. ছোটা গোবিন্দপুর, পি. এস- কোতোয়ালি, জেলা-যশোর।
১৫. প্রাক্তন – হাব./সি.এল. কে. মুজিবুর রহমাম, ই. পি. আর. টি.সি
পিতা- মি. আব্দুর রহমান
গ্রাম এবং পো. অ.- গোপালপুর, পি. এস. নবিনগঞ্জ জেলা-কুমিল্লা।
১৬.প্রাক্তন – এফ/এস. জি.টি। মোহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক
পিতা-মুন্সি আসকার আলী
গ্রাম-বান্দারামপুর, পো.অ.- দাউদকান্দি, পি.এস.- দাউদকান্দি জেলা- কুমিল্লা
১৭. পাক/৭২৩২৪, এস. জি. টি. জহুরুল হক
পিতা-মি. কাজী মুজিবুল হক
গ্রাম-সোনাপুর,পো অ-সোনাপুর, পি এস কোতোয়ালি, নোয়াখালী।
১৮. প্রাক্তন – এ. বি. মোহাম্মদ খুরশিদ
পিতা-মি. আব্দুল জব্বার।
গ্রাম-সাবের কুঠির, পো অ-ফরিদপুর, পি. এস.- কোতোয়ালি, ফরিদপুর।
১৯. মি. খান এম শামসুর রহমান সি. এস. পি
পিতা- ইমতেয়াজউদ্দিন খান
গ্রাম এবং পো. অ-লামুবাড়ী,পি. এস-মানিকগঞ্জ, তেহ্ মানিকগঞ্জ, ঢাকা।
২০. পি. জে. ও. -৭৬৮, আর. আই. এস. – এ. কে. এম. শামসুল হক এ. সি.
পিতা-আব্দুল সামাদa
গ্রাম – পুতাল পো.অ.- লামুবাড়ী, পি. এস. মানিকগঞ্জ, ঢাকা।
২১. ৩০৩১০১৮ হাব. আজিজুল হক এস. এস. জি.
পিতা- মি. সিরাজুল হক
গ্রাম-কাচিয়া, পো. অ. এবং পি. এস-বারানাদি, বরিশাল।
২২. পাক/৭৩০৪০, এস. এ. সি.মাহফুজুল বারি
পিতা-মাওলানা এ. কে. মোরনাজ্জাদ
গ্রাম-চারলক্ষী,পো. অ.- রামঘাটি হাট, পি. এস. রামাঘাটি, নোয়াখালী।
২৩. পাক/৭০৪১৫, এস. জি. টি. শামসুল হক
পিতা – হাজী সাদিক আলী
গ্রাম-ফেনী, নোয়াখালী।
২৪. পি. এস. এস.-১০০৫২০, মেজর শামসুল আলম,এ. এম. সি.
পিতা- মি. শামসুজ্জোহা
১৬ নং, খাজেদেওয়ান, ২য় লেইন, ঢাকা।।
২৫. পি. এস এস- ৬১০০, ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আব্দুল মোতালিব।
পিতা- মি. হাফিজুদ্দিন
গ্রাম – দারুণবাইরাতী, পি. এস. পার্বাঢালা,পি.ও.-শামগঞ্জ, তেহশীল নেত্রকোনা, মযমনসিংহ।
২৬. পি. টি. সি. -৫৭২৭, ক্যাপ্টেন এম. সৌকত আলী মিয়ান
পিতা-মুন্সী মুবারাক আলী
গ্রাম-চাকধা পো. অ.-লন্জিং, পি. এস-নারিয়া, ফরিদপুর
২৭. পি. এ.-৬৫৬১,ক্যাপ্টেন খন্দকার নাজমুন হুদা,এ. এস. সি.
পিতা-মৃত মি. খন্দকার মুয়াজ্জামান হোসাইন
গ্রাম-বরিশাল পশ্চিম বগুড়া রেড, বরিশাল।।
২৮. ক্যাপ্টেন এ. এন. এম. নুরুজ্জামান ই.বি.আর.
পিতা -মৌলভী আবু আহমেদ
গ্রাম এবং পো. অ সাঈদাবাদ পি.এস. রায়পুরা, ঢাকা।
২৯. পাক/৭০৭০৪. এসজিটি. আব্দুল জলিল
পিতা-মৌলভী আব্দুল কাদির
গ্রাম-সার্রাবাদ (হাজী বাড়ী). পো. অ. নারায়নপুর. ঢাকা।
৩০. মি. মোহাম্মদ মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী
পিতা-আলহ্বাজ মৌলভী আজিজুদ্দিন মোহাম্মদ চৌধুরী
গ্রাম-পিআইম পি.ও.চাইতান, সিলেট।
৩১. পি.নং ৯৫৮.১/এল. টি. এম. এম. এম. রহমান
পিতা-মি. মোল্লা মোহাম্মদ সুলাঈমান
গ্রাম- এবং পি. ও-মাকরাইল পি. এস. লোহাগড়া, যশোর।
৩২. প্রাক্তন সাব. এ. কে. এম. ফজলুল ইসলাম
পিতা-মৌলভী দালিলুদ্দিন আহমেদ
গ্রাম -শেরপুর পি. এস. বান্দারিয়া,বরিশাল
৩৩. মি. মোহাম্মদ আলী রেজা
পিতা-মৌলভী জহুর আলী আহমেদ
গ্রাম-লাহিনী
পো.অ- কুষ্টিয়া, পি.এস. কতোয়ালী, কুষ্টিয়া।
৩৪. পি. এস. এস.-২০০৪৭১. ক্যাপ্টেন খুরশিদউদ্দিন আহমেদ. এ. এম. সি.
পিতা-মৌলভী আব্দুল রহমান
গ্রাম এবং পো. অ.-বানসাই, পি. এস.-গাফ্ফারগঞ্জ,ময়মনসিংহ
৩৫. পি. নং-৯৪৪.১/ এল. টি.আব্দুর রউফ
পিতা-আলহ্বাজ আব্দুল লতিফ
পাকিস্তান হাউজ. পি. ও. এবং পি. এস.-ভৈরব,ময়মনসিংহ
” প্রত্যক্ষদর্শীদের নামের তালিকা।”
১.এলটি. মোজাম্মেল হোসাইন
পিতা- মৌলভী মিনহাজ উদ্দিন
গ্রাম-ফুলকলি, পশ্চিম পাকিস্তান – কতোয়ালী,ময়মনসিংহ।
মি. কামাল উদ্দিন আহমেদ
পিতা-মৃত লাই মিয়ান।
২৯/৩. কোয়াটার সারকুলার রোড,মগবাজার ঢাকা এবং গ্রাম রুহটিয়া, পি. এস. ফেনী নোয়াখালী।
৩. প্রাক্তন কর্পোরাল আমির হোসাইন মিয়ান
পিতা- মোহাম্মদ ফাজিল মোল্লাহ্
রুপবাবুর চর, দারিকান্দি, পো. অ-জানজিরা পি. এস. জানজিরা, ফরিদপুর।
৪. মি. কে. জি. আহমেদ
পিতা- মৃত মৌলভী আব্দুল কারিন
১৩৯. আর. কে. মিশন রোড ঢাকা এবং গ্রাম চিরোয়া. পি. এস. চৌদ্দগ্রাম, কুমিল্লা।
৫. ওয়ারেন্ট অফিসার মোশাররফ হোসেইন শেখ
পিতা-শেখ জালাল উদ্দিন আহমেদ
গ্রাম -পূর্ব নিজরা, পি. ও. বউটিলা,ফরিদপুর।
৬. পাক/৫৪২৭২. এস.জি. টি.সারাসউদ্দিন আহমেদ
পিতা- মি. মোহাম্মদ আফতাব উদ্দিন
গ্রাম -নিজকল্প. পি. ও. এবং পি. এস- ময়মনসিংহ, ময়মনসিংহ।
৭. ডঃ সাঈদ-উর-রহমান
পিতা – মৌলভী আবুল খায়ের চৌধুরী
১২. রাফীউদ্দিন সীদ্দিক বাই লেইন, এনায়েত বাজার, পি. এস. কতোয়ালী,চট্টগ্রাম।
৮. এল. টি. কমান্ডার শাহিদুল হক
পিতা-ডঃ খুরশিদ আলম
রোড নং ২৫, ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা, ঢাকা এবং গ্রাম বিটঘর, পি. এস
নবিনগর, কুমিল্লা
৯. নায়েব -সাব. এম. আশরাফ আলী খান
পিতা-মি. আমজাদ আলী খান
গ্রাম-কাউনিয়া,পি.এস- কতোয়ালী,বরিশাল।
১০. এ. বি. এম. ইউসুফ
পিতা-মুন্সি মোহাম্মদ আলী
গ্রাম – মিঠাখালী,পি. এস. মাঠবাড়ীয়া, বরিশাল।
১১. মি. মোহাম্মদ মোহসিন
পিতা-মৌলভী তাসিমুদ্দিন আহমেদ
৪৫৮নং রোড নং-১৯ ধানমন্ডি,আবাসিক এলাকা ঢাকা এবং গ্রাম পাঞ্চরোখী,ওি. এস. সাতক্ষীরা, খুলনা।
১২. এফ./এল.টি মির্জা মোহাম্মদ রামিজ
পিতা-মি. এম. এম. সিরাজ
৬০, পাচঁলাইশ, চট্টগ্রাম এবং গ্রাম-ধানো, পি. এস. রুপগঞ্জ,ঢাকা।
১৩. পি. এ. -৬৬৩২ ক্যাপ্টেন এম. আব্দুল ভূইয়ান
পিতা- আলহ্বাজ নুজমুদ্দিন ভূইয়ান
গ্রাম – পরমাতলা,পি. ও.-বৃন্দারামপুর, পি. এস.-মুরাদনগর, কুমিল্লা।
১৪. কর্পোরাল জামাল উদ্দিন আহমেদ
পিতা-মি. বশিরুদ্দিন
গ্রাম-বারামপুর, পি. এস.- সুজানগর,পাবনা।
১৫.পাক/৭২৭৯৫. কর্পোরাল সিরাজুল ইসলাম
পিতা- মুন্সী আমিনুদ্দিন
গ্রাম-শিলাই, পি. ও-শিলাই,বুড়িচং,কুমিল্লা।
১৬. মি. আবু শামস্ লুতফুল হুদা
পিতা- মি. মোহাম্মদ শামসুল হুদা
গ্রাম -হতোরিয়া,পি. ও.- হতোরিয়া,পি. এস.- গোসাইর হাট, ফরিদপুর।
১৭. প্রাক্তন সাব জালাল উদ্দিন আহমেদ
পিতা-মি. আব্দুল মুলালিব সিকদার
গ্রাম-আলাইপুর,খুলনা।
১৮. মি. মোহাম্মদ গোলাম আহমেদ
পিতা- মৌলভী আব্দুল জব্বার
গ্রাম-জাফরবাদ,পি. এস. এবং পি. ও. মাদারীপুর, ফরিদপুর।
১৯. কর্পোরাল হাই. এ. কে. এম. এ.
পিতা-মি. আনোয়াওল্লাহ্ ভূইয়ান
গ্রাম এবং পি. ও. পাথরগঞ্জ, নোয়াখালী।
২০. মি. আনোয়ার হোসেইন
পিতা- ডঃ রহিম বক্স
গ্রাম-পর পাঞ্চিল, পি. ও.-ভাটপায়রি পি. এস.-শেরাগঞ্জ, পাবনা
২১. এস. জি. টি. আব্দুল হালিম
পিতা- মি. মুন্সী আব্দুল আজিয়া
৩৭,আরামবাগ, মতিঝিল,রমনা,ঢাকা এবং গ্রাম -শহিলপুর, পি. ও. – লিয়তগঞ্জ,কুমিল্লা।
২২. ওয়ারেন্ট অফিসার জাকের আহমেদ
পিতা- মি. আব্দুল মজিদ মিয়া
নোয়াখালী উপজেলা,,বর্তমান ঠিকানা- জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার, ডিপার্টমেন্ট অব প্ল্যান্ট প্রটেকশন, গভরমেন্ট অব পাকিস্তান, ঢাকা, এয়ারপোর্ট ঢাকা।
২৩. এস. কিউ. এন. লিডার (রিটায়ার্ড) মেয়াজ্জাম হোসেন চৌধুরী
পিতা-মৌলবী মুজাফ্ফার হোসেন চৌধুরী
১১৭. তেজকুনিপাড়া, পি. এস. তেজগাঁওন, ঢাকা।
২৪. উইং কমান্ডার মি. আশফাক মিয়ান
পিতা- মি. মিয়ান আব্দুল মাজিদ
স্কেটারাম বিল্ডিং, বিপরীত ব্লক নং-১৩, সারগদা(পশ্চিম পাকিস্তান), বর্তমান ঠিকানা-ও. সি. মেইন্টেনেন্স উইং. এইচ্. কিউ. পূর্ব পাকিস্তান পি. এ. এফ. ঢাকা।
২৫. মি. আব্দুল হোসেইন
পিতা-মি. জামসেদ মিস্ত্রি
কামারগাওন,পি. এস. শ্রীনগর,ঢাকা।
২৬. মি.আলী আহমেদ
পিতা- মি. মোহাম্মদ ইয়াসিন মিয়ান
গ্রাম-মধুপুর,পি. এস. – রামগন্জ, নোয়াখালী।
২৭. মি. ইফতেখার আহমেদ
পিতা-মি. সাঈদ আহমেদ ম্যানেজার. মটোর কর্পোরেশন, পাকিস্তান লিঃ, লাবলেইন, চট্টগ্রাম।
২৮. চৌকিদার রেহমত আলী
পিতা- মৃত নাজিমুদ্দিন আকন্দ
সি. এস. ও. রেজিওনাল অফিস, ২৮. নয়া পল্টন, ঢাকা এবং গ্রাম-গোলমারি, পি. এস. দাউদকান্দি,কুমিল্লা।
২৯. এ. এস. আব্দুল লতিফ
পিতা-********
রমনা,পি. এস. ঢাকা
৩০. মি. আশরাফুদ্দিন আহমেদ
সার্বে অফিস, সি.এ.ও. রেজিওনাল ২৮, নয়া পল্টন,ঢাকা।
৩১. মি. এম. এ. করিম ভূমি সহঃসমন্বয়সাধনকারী,
সার্বে অফিসার সি. এস. ও. রেজিওনাল অফিস, ২৮ নয়া পল্টন, ঢাকা।
৩২. মি. এম. এ. মান্নাফ দে,সাপডিটি অব পুলিশ
স্পেশাল ব্রাঞ্চ ঢাকা।
৩৩. মোহাম্মদ আফজাল ভাষান,একাউন্টেন্ট
ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, লোকাল অফিস, জিন্নাহ এ্যাভিনিউ,ঢাকা।
৩৪. মোহাম্মদ আজহারুল ইসলাম,একাউন্টেন্ট
ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, লোকাল অফিস,জিন্নাহ্ এভিনিউ,ঢাকা।
৩৫.এ. হাশিম এস-এল
পুলিশ স্টেশন কোতোয়ালি, ঢাকা।
৩৬. মোনতাজউদ্দিন শিকদার
এসিস্টেন্ট ম্যানেজার, ঢাকা হোটেল, ঢাকা।
৩৭. মোহাম্মদ জাহির
পিতা-এল. শাহাবউদ্দিন
৭৯/১. লুৎফুর লেইন,পি. এস. কোতোয়ালি, ঢাকা।
৩৮. এস. এল. মুজিবুর রহমান
রমনা,পি. এস. ঢাকা।
৩৯. ওমান ফাতেহ্ খান
পিতা-এল. এ. রহুম খান
ম্যানেজার, হোটেল আরজু,ঢাকা।
৪০. আনোয়ারুল ইসলাম
পিতা-এল. টি. মোহাম্মদ ফারুক
১০৯. নাওয়াবপুর রোড,ঢাকা।
৪১.মোহাম্মদ হাসমত আলী এ. এস. এল
তেজগাওন,পি. এস. ঢাকা।
৪২. মোহাম্মদ আব্দুল বশর
পিতা-মোহাম্মদ বিক্লায়েত
সি.ও. আনোয়ারুদ্দিন খান, ম্যানেজার, আই. ডি. বি. পি. মতিঝিল, ঢাকা
৪৩. মি. আফতাব হোসেইন মুন্সী
পিতা-এল. জাহিরুদ্দিন
২২৫ ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা,ঢাকা।
৪৪. এস- আই রগু নন্দন শাহা
রমনা পি. এস. ঢাকা।
৪৫. আব্দুস সালাম
পিতা-আব্দুল গফুর
বারদামপুরা,পি. এস.-নাওয়াবগঞ্জ,ঢাকা।
এ./পি. ১০৬. নাখালপাড়া. পি.এস. রমনা, ঢাকা।
৪৬. মি. মোস্তাক আহমেদ
পিতা- মোহাম্মাদ হানিফ
২৯/১-ক,নিউ সার্কুলার রোড,রমনা ঢাকা।
৪৭. সেলামাত উল্লাহ্ মিয়া
পিতা-মোহাম্মাদ দিনাওয়াত উল্লাহ্ ভূইয়ান
৪৮৮,নয়াতলা,ঢাকা।
৪৮. মোহাম্মদ ওয়ালিওল্লাহ্
পিতা-এল. হাসান আলী
৩৩৫. নয়াতলা ঢাকা।
৪৯. এস.-আই. কে. এস.ইসলাম
পিতা – আব্দুল করিম
লালবাগ পি. এস. ঢাকা।
৫০. আব্দুল রশিদ
পিতা- মফিজ উদ্দিন আহমেদ
১- সেকেন্ড, মিরপুর ব্লক. পি. এস. তেজগাওন,ঢাকা।
৫১. মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম
পিতা- এম. এম. সায়েদ
গ্রিন ভিউ পেট্রোল পাম্প, সেন্ত্রালপুর,পি. এস.- চান্দিনা, কুমিল্লা।
৫২. আলী আশরাফ মালিক
পিতা- আব্দুল আব্দুর রহমান মিয়ান
হোটেল গ্রিন ঢাকা।
৫৩. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম
টেলিফোন অপারেটর অব হোটেল গ্রীন, ঢাকা।
৫৪. এস-আই. জালালউদ্দীন
রমনা পি. এস. ঢাকা।
৫৫. মি. বিশ্বেসর শিকদার
পিতা-মৃত নিকুঞ্জ বিহারী শিকদার
কাদুর খিল. পি. এস. বেয়ালখালী, চট্টগ্রাম, এ. /পি একট্
৫৬. মি. বি. পি. দেব
পিতা- খিতিশ চৌধুরী
আকিলপুর,পি. এস. সোনাগাজী,নোয়াখালী।
৫৭.এস.-আই.. মনিরুদ্দিন আহমেদ
কোতোয়ালি পি. এস. চট্টগ্রাম।
৫৮.হাজী আহমেদুর রেহমান চৌধুরী
পিতা-মৃত হাজী আব্দুর রেহমান চৌধুরী
৩নং, রেকাজুদ্দিন রোড,চট্টগ্রাম।
৫৯.মোহাম্মদ সালেহ্ আহমেদ
পিতা-মৃত আহমেদ হোসাইন মওয়া
আগ্রাবাদ ডি. এম. পি. এস. এ/পি. ম্যানেজার হোটেল মিশকা, চট্টগ্রাম।
৬০.এ. এস.-আই. এ. হোসাইন
পিতা- মৃত হোসাইন জান চৌধুরী
রমনা পি. এস. ঢাকা।
৬১. মি. গোলাম মোস্তাফা চৌধুরী
পিতা- মৃত রাশেদ মিয়া
বুলাই লোজ, পাবনা এ. /পি. হোটেল কাসিরিনা,ঢাকা।
৬২. মি. বাবু মিয়া
পিতা-আলহ্বাজ মোশারাফ হোসাইন
৫২, কাকরাইল, ঢাকা।
৬৩.মোকারম হোসাইন
চিফ একাউন্টেন্ট -জেনারেল অব ব্যাংকিং, এন. বি. পি. জিন্নাহ্ এভিনিউ, ঢাকা।
৬৪. জিল্লুর রহমান এ. সিসি. টি.
ইনচার্জ অব সেভিং ব্রাঞ্চ,এন. বি. পি. জিন্নাহ এভিনিউ, ঢাকা।
৬৫.ইউসুফ আহমেদ ই. পি. সি. এস.
সহকারী কমিশনার, রিলিফ এন্ড রেহাবিলিটেশন, ঢাকা।
৬৬. এ.বি. বদরুদ্দিন
পিতা -মৃত এ. হাসরাত
২৫/ই. স্টাফ কোয়াটারস, নিউ কলোনী,আইয়ুব গেইট, ঢাকা।
৬৭.আমজিদ আলী
পিতা-ওয়াজেদ আলী
৩৫. আজিমপুর পি. এস. লাইবাগ, ঢাকা।
৬৮. মোহাম্মদ লোকমান
পিতা- কালা খান
৪. গ্রীন রোড, লাইবাগ,ঢাকা
৬৯. মি. গোলাম মেহদি চৌধুরী
ডি. এস. পি. এইচ. ও., বাকেরগঞ্জ।
৭০. মি. এম. এ. মাবুদ
রেজিওনাল একাউন্টস অফিসার, আই. ডব্লিউ. টি. এ.।
৭১.সায়েদ মনতাজদ্দিন আহমেদ
এডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার, ই. পি., এল. ডব্লিউ. টি. এ.।
৭২. মি. নুরুল ইসলাম
পিতা- মৃত আব্দুর রেহমান
এল. ডব্লিউ. টি. এ., বরিশাল।
৭৩. মাকফারুদ্দিন আহমেদ
পিতা- মি. সুলতান মিয়া
গাগুরিয়া, পি. এস. মেহেদিগঞ্জ, বরিশাল।
৭৪. মি. এ. লতিফ
শেখপুর, পি. এস. বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী।
৭৫. মি. এম. ইউ. আহমেদ
পিতা-মোতাহের আলী খান
৯৯. পিল খানা রোড,২য় তলা,চীনা বিল্ডিং, ঢাকা।
৭৬. মি. হাবিবুর রহমান
সিঙ্গার কাটরি,পি. এস. কোতোয়ালী, বরিশাল।
৭৭. মোহাম্মদ আব্দুল বাশান
একাউন্টেন্ট, এন. বি. পি., জিন্নাহ্ এভিনিউ,ঢাকা।
৭৮. মোহাম্মদ ইউসুফ ইউনুস
একাউন্টেন্ট এন. বি. পি. জিন্নাহ এভিনিউ, ঢাকা।
৭৯. জিয়াউর রহমান
একাউন্টেন্ট, এন. বি. পি. (লোকাল অফিস, জিন্নাহ্ এভিনিউ,ঢাকা।
৮০. এস. আই. আলতাফ. হোসাইন
ফেনী পি. এস., নোয়াখালী।
৮১. মি. তাজুল ইসলাম
টেলিগ্রাপিস্ট অব ফেনী টেলিগ্রাফ অফিস।
৮২. মি. এ. কে. এম. সাহাবুদ্দিন
পিতা- আলহ্বাজ ফজলুল করিম
আজিজ ফাজিলপুর, পি. এস. ফেনী
৮৩. মোহাম্মদ নুর আহমেদ
পিতা-বাদশা মিয়া
চাক হাকদি, পি. এস. ফেনী, নেয়াখালী।
৮৪. নজির আহমেদ
পিতা-ইবাদুল্লাহ
কাজিপুর, পি. এস. ফেনী, নোয়াখালী।
৮৫. আব্দুল ওয়াহাব চৌকিদার
ফেনী রেস্ট হাউস।
৮৬. মোকতার আহমেদ, সহকারী একাউন্টেন্ট
পিতা-আব্দুল খালিক
মোটর কর্পোরেশন পাকিস্তান লিঃ, চট্টগ্রাম শাখা।
৮৭. নুরুদ্দিন
পিতা-মৃত আব্দুল লতিফ
অফিসার, হাবিব ব্যাংক, চট্টগ্রাম, লালদিঘী।
৮৮. মোমতাজ উদ্দিন
পিতা – মোহাম্মদ ফৌজদার খান
অফিসার, হাবিব ব্যাংক,চট্টগ্রাম, লালদীঘি।
৮৯. খোকন বড়ুয়া
পিতা-হৃদয় রয় বড়ুয়া
বয় অব হোটেল মিশকা, চট্টগ্রাম।
৯০. মি. এস. রশিদ আলী রিজবী
সেল্স সুপারভাইজার, পি. আই. এ. চট্টগ্রাম।
৯১. ফরিদ আহমেদ
পিতা-মৃত সিদ্দিক আহমেদ
কন্ট্রাক্টর।
৯২. সিদ্দিক আহমেদ শামসুল আলম
পিতা- মৃত সিদ্দিক আহমেদ
চাদঁগাও, পি. এস. পাচঁলাইশ,চট্টগ্রাম।
৯৩. মোহাম্মদ সুলাঈমান
পিতা- মুরাদ
ম্যানেজমেন্ট ম্যানেজার, হোটেল শাহাজাহান,চট্টগ্রাম।
৯৪. মি. শমেশ্বর নাহা
পিতা- মৃত ঈশ্বর চন্দ্র নাহা
রিশিপশনিস্ট, হোটেল শাহাজাহান,চট্টগ্রাম।
৯৫. মি. এম. রাজবি. এস. এ. এস.
একটিং ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার, পি. আই. এ., চট্টগ্রাম।
৯৬. মি. এম. রাজবি. এস. এ. এস
একটিং ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার, পি. আই. এ. চট্টগ্রাম।
৯৭. মি. রোশানুদ্দিন
সহকারী ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার, পি. আই. এ.
৯৮. মোকলেসুর রহমান
পিতা- হাজী আব্বাস আলী
জয়দেবপুর, পি. এস. লক্ষন, কুমিল্লা, এ. পি.১৩/খ, অভয় দাশ লেইন, ঢাকা।
৯৯. মোহাম্মদ ওয়ালী আহমেদ
পিতা – আহমেদ আজিজ
নেরাহরিপুর,পি. এস. লক্ষণ,কুমিল্লা।
১০০. মি. এ. কে. এম.মোশলেহ্উদ্দিন এস. আই.
এস. পি. এল. শাখা(স্পেশিয়াল টিম),ঢাকা।
১০১. মি. এম. এ. কুইয়ান
অফিসার ন্যাশনাল এন্ড গ্রীনলাইস ব্যাংক,মতিঝিল, ঢাকা।
১০২. এ. তাহিদ.
ন্যাশনাল এন্ড গ্রীডলাইস ব্যাংক, ঢাকা।
১০৩.মি. হাবিবুই রেহমান খান
জুনিয়ার অফিসার, এন. বি. পি. জিন্নাহ্ এভিনিউ, ঢাকা।
১০৪. এস-আইরিয়াজুল করিম
এস. পি. এল. ব্রাঞ্চ(স্পেশাল টিম), ঢাকা।
১০৫. জেট. বি. এম. বক্স
এক্সিকিউটিভ এসিস্টেন্ট,আই. ডব্লিউ. টি. এ.।
১০৬. এ. এ. খান আফ্রিদী
ইন্জিনিয়ার সাপডিটি., ঢাকা।
১০৭. এস-আই ওয়াজেদ আলী
লালবাগ, পি. এস. ঢাকা।
১০৮. খায়রুল হুদা
পিতা-মি. এন. হুদা এ
১১৩/এ. আর. এ. ধানমন্ডি, রোড নং-৫, ঢাকা।
১০৯. ডঃ কে. এ. খালেক
প্রফেসর, মেডিকেল কলেজ
১১০. এ. কে. ওয়াজেদুল হক
পিতা- সাদ্দত আলী খান
১৩. চিরেন স্কয়াী, ঢাকা।
১১১. কুদরত উল্লাহ্ ভূইয়ান
১৩, গ্রীন স্কয়ার, ঢাকা।
১১২. আব্দুল জব্বার হাওলাদার
পিতা- হাজী সাবারুদ্দিন হাওলাদার।
মাদারীপুর পি. এস. মাদারীপুর, ফরিদপুর।
১১৩. আনেয়ার হোসাইন
ম্যানেজার, এন. বি. পি. মাদারীপুর, পি. এস. মাদারীপুর, ফরিদপুর।
১১৪. মোহাম্মদ শফিউদ্দীন মিয়া
সাব একাউন্টেন্ট, এন. বি. পি. মাদারীপুর, ফরিদপুর।
১১৫. এস. আই. মোকাব্বার আলী
পি. এস. ডাবল মোরিং,চট্টগ্রাম।
১১৬. এস. এম. এ. তাহির
ম্যানেজার, ইর্স্টান মার্চেন্টাইল ব্যাংক, চট্টগ্রাম (আগ্রাবাদ শাখা)।
১১৭. আজহারুল হক
একাউন্টেন্ট, ইর্স্টান মার্চেন্টাইল ব্যাংক চট্টগ্রাম, আগ্রাবাদ শাখা।
১১৮. এ. বি. এম. আব্দুল খালেক
পিতা- আলহাজ্ব আব্দুল জব্বার পন্ডিত
চাতারপিয়ের,পি. এস-হাজীগঞ্জ,কুমিল্লা এবং সিনিয়র একাউন্টস অফিসার অব ডেপুটি কম্পট্রোলার পি. এন্ড টি. এন্ড টেলিগ্রাম অব ইস্ট পাকিস্তান।
১১৯. বি. কে. এস. রিসাত আলী
পিতা-এস. আলিয়া বক্স
এসিস্টেন্ট একাউন্টেন্ট পি এন্ড টি ডিপার্টমেন্ট।
১২০. মি. জহুর ইলাহী বেগ
ইন্সপেক্টর সিকিউরিটি স্পেশাল ব্রাঞ্চ, লাহোর।
১২১. আব্দুর রশির
পিতা- মোহাম্মদ ইমামুদ্দিন
সিনিয়র ক্লার্ক, এম. টি. সেকশন পি. আই. এ, ঢাকা
১২২. আব্দুল মান্নান
পিতা- কালা খান
টেকনিক্যাল ক্লার্ক, এম. টি. সেকশন, পি. আই. এ., ঢাকা।
১২৩. মি. আব্দুল মান্নান
এস. ডি. ই. বীথি কান্দি, সাব-ডিবিশন অব কন্সট্রাকশন ডিবিশন নং-৩,আর. এন্ড এইচ. কাজপুর,পি. এস. বায়েদ্দের বাজার,ঢাকা।
১২৪. মি. সিদ্দিকুর রহমান
এস. এ. ই. বিথী কান সাব -ডিবিশন, কাজপুর, পি. এস.-বায়েদ্দের বাজার,ঢাকা।
১২৫.মি. মোহাম্মদ আবুল হোসাইন
পিতা-মি. পাসিয়া আলী
উজানচর,পি. এস. গলুন্দা,ফরিদপুর।
১২৬. মুশিরুল ইসলাম
পিতা-হাজী মোহাম্মদ মেহের
উজানচর পি. এস. গলুন্দা,ফরিদপুর।
১২৭.
পিতা- মফিজউদ্দিন আহমেদ
গ্রাম এবং পি. এস.-শিবালয়া,ঢাকা।
১২৮. টি. ইডি আহমেদ
পিতা-মাজিরুদ্দিন আহমেদ
গ্রাম-নিহাতপুর,পি. এস. ঢাকা।
১২৯. মি. জামালুদ্দিন
এ. ডি. সি. রেজিওনাল সি. এস.৩, ২৮. নয়াপল্টন, ঢাকা।
১৩০. এইচ. এম. ইউরি
ডি.ওয়াই. এস. পি., এইচ. ও., খুলনা।
১৩১. এস কে
পিতা- মৃত এস. কে. আজিজুদ্দিন
১ নং,রায়পুরা রোড, খুলনা।
১৩২. হাফিজুদ্দিন মিয়া
পিতা-তেহেরুদ্দিন
গ্রাম – খানা পি. আজানয্,ঢাকা
১৩৩. এ. সি. কে.
পিতা-আব্দুল হাকিম
৩৭. সদরঘাট রোড, চট্টগ্রাম।
১৩৪. লাল দাশ
পিতা – শ্যাম চরণ দাশ
প্রবর্তকসংঘ হাই স্কুল, পাচঁলাইশ, চট্টগ্রাম।
১৩৫. মি. নুরুল ইসলাম
পিতা- মি. মফিজুদ্দিন আহমেদ
গ্রাম- রংপুর, পি. এস. চানদিয়ান, কুমিল্লা।
১৩৬. এ. কে. রয়
পিতা- জামানি মহান রয়
ক্লার্ক গ্রীণ ভিউ, ফিলিং এন্ড সার্বিং পাম্প, লালবাগ, ঢাকা।
১৩৭.মি. রেজা রব্বানী
পিতা -মি. হোসেনুদ্দিন
১৮, ল্যাবরেটরি রোড,লালবাগ,ঢাকা।
১৩৮. ডঃ এস. এম. আনোয়ারুল ইসলাম
পিতা- এস. এম. সায়েদুল
১৩৩, ইলিপেন্ট রোড,ঢাকা।
১৩৯. পাক/৪০৩৭৮ ইকবাল ওসমানি
প্রোবস্ট নং ২, প্রোবস্ট এন্ড সিকিউরিটি কোরাঙ্গি ক্রেক,করাচি।
১৪০. মোকিম ইউ. কিরমানি ফিল্ট. এল.টি.
ওর্ডারলি অফিসার, পাকিস্তান এয়ার ফোর্স স্টেশন,করাঙ্গি,ক্রেক,করাচি।
১৪১. মি. জাহিদ বশির আনশন. বি. ডি. মেম্বার
ইউনিট নং. ৪০৬,১৯/৫ ক্লিপটন কোয়াটারস,করাচি-৫।
১৪২. মি. মোহাম্মদ জাবির সিদ্দিক
পিতা -ওয়াজির হোসাইন
৫/১৬,তাজ মহল রোড,সি. ব্লক,মোহাম্মদপুর, ঢাকা।
১৪৩. কাজী মেসবাহ্ উদ্দীন
ডি. ওয়াই. চিফ ম্যানেজার,ইস্টার্ন ব্যাংকিং কর্পোরেশন, মতিঝিল বানিজ্যিক এলাকা,ঢাকা।
১৪৪. দুলাল খান
পিতা-সারোয়ার খান
ইলেকট্রিক সপ্ অব বাবুপুরা,ঢাকা।
১৪৫. আব্দুস সোবহান
পিতা-হিম্মাত আলী
৩৭/১২. এফ. ব্লক, মোহাম্মাদপুর কলোণী,ঢাকা
১৪৬. মি. আলী রেজা খান
পিতা- মনিরুদ্দিন খান
গ্রাম- নয়াসরি, পি. এস. নিকলি, ময়মনসিংহ
এ. পি. স্টাফ ফটোগ্রাফার, ই. পি ডব্লিউ এ পি ডি এ.।
১৪৭. নাজিরুদ্দিন
পিতা- ইরনরাত আলী
১৯৩. মতিঝিল, পি. এস. রমনা, ঢাকা।
১৪৮. মুকুল চন্দ দত্ত
পিতা-কাহিন্দ্র প্রসাদ দত্ত
আমলাপাড়া পি. এস. জামালগঞ্জ,ময়মনসিংহ
এ/পি,প্রপ. আর্টিস্ট এন্ড ফটোগ্রাফী,১৯৩ মতিঝিল রোড, ঢাকা।
১৪৯. মি. জয়নুল আবেদিন
পিতা- মুন্সি সাবের উদ্দিন
১০, আগামাছি লেইন,ঢাকা।
১৫০. মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম
পিতা-মফিজুদ্দিন আহমেদ
গ্রাম-রানীপুর, পি. এস. চাদঁপুর, কুমিল্লা
এ/পি. গ্রীণ ভিউ পেট্রোল পাম্প, লালবাগ, ঢাকা।
১৫১. মোহাম্মদ হানিফ
পিতা -রহিম বক্স মুন্সী
গ্রাম নয়া নন্দ, পি. এস. টঙ্গীবাড়ী,ঢাকা
এ. /পি. এসিস্ট. এম. বি. ডেপট. ডি. ওয়াই
কমিশনারস্ অফিস,ঢাকা।
১৫২. মি. এম. সিদ্দিক খান
পিতা- কে. বি. মাজর ওলি মোহাম্মদ খান
এস. জি. টি. এম. বি. সেকশন,ঢাকা।
১৫৩. এস. -আই. মনিরুদ্দিন আহমেদ
পি. এস. কতোয়ালী,চট্টগ্রাম।
১৫৪. মোহাম্মদ শফিকুর রহমান
পিতা- কাদের বক্স
গ্রাম-বারানতাই, এ. /পি. এসিস্টেন্ট এম. বি. ডিপার্টমেন্ট কালেক্টর, চট্টগ্রাম
১১৫. মি. আব্দুল কুদ্দস
পিতা- হাজী গুরামিয়া
গ্রাম- কোরালদাঙ্গা, পি. এস. বোয়ালখালী,চট্টগ্রাম
এ/পি. এসিস্ট-এম. বি. ডেপট্ কালেক্টর, চট্টগ্রাম।
১৫৬. এ. এস-আই. মামরুল হক
পি. এস. কোতোয়ালি, চট্টগ্রাম।
১৫৭. মি. এস. এম. হায়দার
পিতা-মি. হুসাইন
ম্যানেজার এম/এস. হাবিব ব্যাংক, লালদীঘি, চট্টগ্রাম।
১৫৮. মি. আতা হারিশ
পিতা- মি. ঈসমাঈল ইলারিশ
কাতালগঞ্জ আবাসিক এলাকা,চট্টগ্রাম
এ. /পি. সিনিয়র ডি. ওয়াই. কন্ট্রোলার অব ব্রাঞ্চেস অব হাবিব ব্যাংক।
১৫৯. মোহাম্মদ ইউসুফ
পিতা- নুর আহমেদ
গ্রাম – গোসাইল ধামপু,পি. এস. ডাবলমুরিং, চট্টগ্রাম।
১৬০. মোহাম্মদ ওয়াীউল্লাহ
পিতা- হাচান আলী
৫৪৩. নয়নতলা,পি. এস. তেজগাওন, ঢাকা।
১৬১. রহুল আমিন
পিতা -আব্দুস সালাম
ম্যানেজার দিনোফা হোটেল, ফেনী, নোয়াখালী।
১৬২. মি. মোহাম্মদ সিদ্দিক
পিতা-গোলাম মোহাম্মদ সিদ্দিক
১৬/১০ রানকিন স্ট্রিট, পি. এস. সুতাপুর,ঢাকা
২/২১, ব্লক ডি. তাজমহল রোড,ঢাকা।
১৬৩. মি. রেজা রব্বানী
পিতা-মি. হোসাইনুদ্দিন
৮১. ল্যাবরেটরি রোড,পি. এস. লালবাগ, ঢাকা।
১৬৪. দালিলুদ্দিন আহমেদ
পিতা – গগন আলী মাতবর
গ্রাম-আই. ১১ এ. পি. এস. গোরনদী,বাকেরগঞ্জ।
১৬৫.ইউ. কল. শের আলী বাজ
আই. এস. আই. ডাইরেক্টরেট ক্যাম্প, ঢাকা।
১৬৬.মি. এম. এম. সায়েদ
পিতা-এ. ওয়াহেদ
ম্যানেজার হোটেল গ্রীন,ঢাকা
১৬৭. মাখন লাল ঘোষ
পিতা-অভি মন্নয় ঘোষ
ক্যাশিয়ার, হোটেল আরজু, ঢাকা।
১৬৮. মি. সহরোওয়ার্দী
ইন্সপেক্টর অব পুলিশ, এস. বি. ই. পি., ঢাকা।
১৬৯.সুকুময় বিশ্বাস
পিতা-দ্বারকানাথ বিশ্বাস
মুহিরা,পি. এস. পটিয়া,চট্টগ্রাম
এ. /পি. ৪১, রামজয় মহাজন লেইন, কতোয়ালী, চট্টগ্রাম।
১৭০. বানতাম সি. এইচ. দত্ত
পিতা-মৃত পরেশ চন্দ্র দানা
হবিলাস দ্বীপ,পি. এস. পটিয়া,চট্টগ্রাম।
১৭১. মি. স্লুতজাহানুদ্দিন আহমেদ
সেকশন অফিসার, সি. ডি. এ. চট্টগ্রাম।
১৭২. মি. মনোরঞ্জন তালুকদার
চিফ ইন্জিনিয়ার,সি. ডি. এ., চট্টগ্রাম।
১৭৩. আব্দুল কাদের
পিতা – মোহাম্মাদ ইসহাক
৬৭. বটতলী রোড,পি. এস. কতোয়ালী, চট্টগ্রাম।
১৭৪. আলম খান
পিতা-লাল খান
রিয়াজউদ্দিন রোড. জে. এল/এল. সিঙ্গার মেশিন রিপেয়ারিং শিপ ,চট্টগ্রাম।
১৭৫. মাইকেল ধর
পিতা – ডি. সি. ধর
৩. মোহিম দাশ রোড, কোতোয়ালি, চট্টগ্রাম।
১৭৬. শাম্বু দাশ
পিতা- হরি প্রসন্ন দাশ
৩.মোহিম দাশ রোড কতোয়ালী,চট্টগ্রাম।
১৭৭.মি. আব্দুল ফাতির সিদ্দিক
এসিস্টেন্ট একাউন্ট অফিসার, টেলিফোন, রেভিনিউ, ঢাকা
১৭৮. মি. মোহাম্মদ আমিনুদ্দিন
সুপারভাইজর, টেলিফোন রেভিনিউ,ঢাকা।
১৭৯. মি. জি. এম. কাদরী
এ. ডি. সি.,ঢাকা।
১৮০. মি. এজাজ মোহাম্মদ খান
এডিশনাল ডিসট্রিক্ট মেজিস্ট্রট,রাওয়ালপিন্ডি, পশ্চিম পাকিস্তান।
১৮১. মি. এ. কিউ. চৌধূরী
মেজিস্ট্রেট (১ম শ্রেনী) ঢাকা।
১৮২. আফসান্সক্লিন আহমেদ
মেজিস্ট্রেট ১ম শ্রেনী ঢাকা।
১৮৩.মি. আব্দুল মাজিদ কোরাইশি
হ্যান্ডরাইটিং এক্সপার্ট, এ. ডি. ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো,রাওয়ালপিন্ডি,ওয়েস্ট পাকিস্তান।
১৮৪.মি. আব্দুল কাদের
ইন্সপেক্টর অব পুলিশ,এস-বি, ই. পি. (এইচ. ডব্লিউ এক্সপার্ট), ঢাকা।
১৮৫. এল. টি. কমান্ডার এ. বি. সায়েদ
নেভাল,হেডকোয়াটার, করাচি।
১৮৬. মি. এইচ. আর. মালিক সি. এস. পি.
সেক্রেটারি আর. ডব্লিউ. এন্ড আর. টি. ডিপার্টমেন্ট, গভরমেন্ট অব ইস্ট পাকিস্তান, ঢাকা
১৮৭. মি. ফজলুর রহমান
ইন্সপেক্টর অব পুলিশ, সি. আই. এ.(এস. বি. করাচি)
১৮৮. মি. এস. এম. মোক্তার আহমেদ
ইন্সপেক্টর অব পুলিশ এস. এইচ. ও., আর্টিলারি মিডিয়ম, পি. এস. করাচি
১৮৯. মোহাম্মদ জান সিদ্দিকি
স্টেট অফিসার, করাচি।
১৯০. মি. আবরার আহমেদ ডি ওয়াই. এস. পি. স্পেশাল ব্রাঞ্চ,লাহোর।
১৯১. মি. এ খালেক(২) পি. পি. পি. এম., পি. এস. পি.
স্পেশাল সাপডিটি. অব পুলিশ, স্পেশাক টিম,ঢাকা
পৃষ্ঠা ৩৫৬।
১৯২. মি. এ. মাজিদ. কিউ. পি. এম., পি. পি. এম.
স্পেশাল সাপডিটি. অব পুলিশ,এস. বি., ঢাকা
১৯৩. মি. এ. কে. এম. আবসানুল্লাহ্
ডি. ওয়াই. সাপডিটি. অব পুলিশ, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, এস. টি.,ঢাকা
১৯৪. মি. আব্দুস সামাদ তালুকদার, পি. এম. জে.
ইন্সপেক্টর অব পুলিশ, এস. বি. স্পেশাল টিম, ঢাকা
১৯৫.মি. জিয়াউল হক খান লদি
ইন্সপেক্টর অব পুলিশ, এস. বি. স্পেশাল টিম,ঢাকা
১৯৬. মি. সিরাজুল ইসলাম
ইন্সপেক্টর অব পুলিশ এস. বি., স্পেশাল টিম,ঢাকা
১৯৭. মি. মোহাম্মদ ইসরাঈল
ইন্সপেক্টর অব পুলিশ, এস. বি., স্পেশাল টিম, ঢাকা
১৯৮. মোহাম্মদ আব্দুস সাত্তার চৌধূরী
ইন্সপেক্টর অব পুলিশ এস. বি.,স্পেশাল টিম,ঢাকা
১৯৯. এল. টি. কমান্ডার সায়েদ ফজল রাব
এস. ও. এন. এ. নেভাল হেডকোয়াটার,করাচি
২০০. ওয়াইচার এফ. সি. মোহাম্মদ ঈসমাইল
সি/ও, সাপডিটি অব পুলিশ, স্পেশাল ব্রাঞ্চ,করাচি
<2.62.358-363>
দলিলপত্রের তালিকা
(রেফারেন্স অনুচ্ছেদ ৫ ও পরিশিষ্ট)
ক্রমিক নং | বর্ননা | কোর্টে উপস্থাপন | মন্তব্য |
০১ | ঢাকার সুলতান কর্তৃক ১৩ আগস্ট ১৯৬৫ তারিখে করাচীর মিয়া সাহেবের (মুহাম্মদ আমির হোসেন মিয়া) পাঠানো চিঠি | — | — |
০২ | ঢাকার সুলতান কর্তৃক করাচীর মিয়া সাবের কাছে পাঠানো তারিখবিহীন চিঠি | — | — |
০৩ | চট্টগ্রামের এম. রহমান কর্তৃক ২৯শে নভেম্বর ১৯৬৫ তারিখে করাচির হোসেন সাহেবের কাছে পাঠানো চিঠি | — | — |
০৪ | চট্টগ্রামের “এম” কর্তৃক সাক্ষরিত করাচীর হোসেন সাহেবের কাছে পাঠানো চিঠি (তারিখের অংশ ছিড়ে ফেলা) | — | — |
০৫ | করাচীর “আলো” কর্তৃক ঢাকার “উল্কার” নিকট ৯ ফেব্রুয়ারী ১৯৬৬ তারিখে পাঠানো চিঠি | — | — |
০৬ | করাচীর আলো (লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোয়াজ্জেম) কর্তৃক ২৫শে ফেব্রুয়ারী ১৯৬৬ তারিখে প্রেরিত ঢাকার উল্কার (আমীর হোসেন) নিকট প্রেরিত চিঠি | — | — |
০৭ | করাচীর থেকে আলো কর্তৃক ঢাকার আমির হোসেনের ঠিকানায় পাঠানো ১৪ ফেব্রুয়ারী ১৯৬৬ তারিখে পাঠানো টেলিগ্রামের একটি অনুলিপি | — | — |
০৮ | করাচীর “আলো” কর্তৃক ঢাকার মিয়া সাহবের নিকট ৪ মার্চ ১৯৬৬ তারিখে প্রেরিত চিঠি | — | — |
০৯ | করাচীর লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোয়াজ্জেম কর্তৃক ঢাকার আমির হোসেনের নিকট ১৯ মার্চ ১৯৬৬ তারিখে প্রেরিত চিঠি | — | — |
১০ | করাচীর মোয়াজ্জেম কর্তৃক ঢাকার আমির হোসেনের কাছে ১লা এপ্রিল ১৯৬৬ তারিখে প্রেরিত চিঠি | — | — |
১১ | করাচীর মোয়াজ্জেম কর্তৃক ঢাকার আমির হোসেনের কাছে ৬ই এপ্রিল ১৯৬৬ তারিখে প্রেরিত চিঠি | — | — |
১২ | করাচী থেকে মোয়াজ্জেম কর্তৃক আমির হোসেনের নিকট ৬ এপ্রিল ১৯৬৬ তারিখে প্রেরিত টেলিগ্রামের অনুলিপি | — | — |
১৩ | করাচীর মোয়াজ্জেম কর্তৃক ঢাকার আমির হোসেনের কাছে ৬ই এপ্রিল ১৯৬৬ তারিখে প্রেরিত চিঠি | — | — |
ক্রমিক নং | বর্ননা | কোর্টে উপস্থাপন | মন্তব্য |
১৪ | “Bangladesh”, “Betar Bani” ইত্যাদি সম্বলিত তারিখবিহীন এক টুকরো কাগজ | — | — |
১৫ | “Bengal Air Force”, “Bangla Sarkar” ইত্যাদি সম্বলিত এক টুকরো কাগজ | — | — |
১৬ | অস্ত্র ও গোলাবারুদ ইত্যাদির বর্ণনা সম্বলিত ৪ পাতা কাগজ | — | — |
১৭ | ভাঁজ করে তুলে রাখা পূর্ব পাকিস্তানের একটি প্রাদেশিক মানচিত্র | — | — |
১৮ | এম. রহমান কর্তৃক আমির হোসেনের কাছে তারিখবিহীন চিঠি | — | — |
১৯ | শপথ ও এতদসংক্রান্ত কিছু নোট (ডায়েরীর পাতায় লেখা) | — | — |
২০ | ছদ্মনাম সংক্রান্ত কিছু নোট | — | — |
২১ | আলী রাজা কর্তৃক লিখিত Burmah Eastern Diary for 1967 | — | — |
২২ | পেশোয়ারের Jan’s Hotel-এর ৪ নভেম্বর ১৯৬৭ তারিখের ৪ নম্বর বিল | — | — |
২৩ | পি. এ. এফ. কর্তৃক ইস্যুকৃত এ. বি. এম. এ. সামাদের ছাড়পত্র | — | — |
২৪ | এ. বি. এম. এ. সামাদের সার্ভিস ও পে বুক | — | — |
২৫ | এ. বি. এম. এ. সামাদের Rupali Diary of 1967 | — | — |
২৬ | এম. এম. রামীজের কর্তৃক ২৪ ফেব্রুয়ারী ১৯৬২ তারিখের আবেদনপত্র | — | — |
২৭ | ডি. সি., ত্রাণ ও পুনর্বাসন, ঢাকা অফিসের ইস্যু রেজিস্টার(২৫ জুন ১৯৬২) | — | — |
২৮ | ১৮ই নভেম্বর ১৯৬৫ তারিখের দৈনিক ইত্তেফাকের পেপার কাটিং | — | — |
২৯ | ঢাকা হোটেল রেজিস্টার(২রা ফেব্রুয়ারী ১৯৬৬) | — | — |
৩০ | আমির হোসেনের এর যোগদান প্রতিবেদন | — | — |
ক্রমিক নং | বর্ননা | কোর্টে উপস্থাপন | মন্তব্য |
৩১ | হোটেল মিকশা, চট্টগ্রামের হোটেল রেজিস্টার(৫ই ফেব্রুয়ারী, ১৯৬৬) | — | — |
৩২ | হোটেল গ্রীনের হোটেল রেজিস্টার(১৫ ই মার্চ ১৯৬৬ ও ২৪শে এপ্রিল ১৯৬৬) | — | — |
৩৩ | হোটেল শাহজাহান এর বিল বই (২৫শে মার্চ ১৯৬৬ ও ২৭শে মার্চ ১৯৬৬) | — | — |
৩৪ | আমির হোসেন কর্তৃক ৩১শে মার্চ ১৯৬৬ তারিখের ৫০০০ রূপীর ড্রাফট আবেদনপত্র | — | — |
৩৫ | ড্রাফট ইস্যু রেজিস্টার(৩১শে মার্চ ১৯৬৬) | — | — |
৩৬ | ৫০০০ রূপীর ড্রাফট (৩১শে মার্চ ১৯৬৬) | — | — |
৩৭ | গ্রীন ভিউ ফিলিং এন্ড সার্ভিসিং পেট্রোল পাম্প-এর বিক্রয় রেজিস্টার(১লা এপ্রিল ১৯৬৬) | — | — |
৩৮ | গ্রীন ভিউ পেট্রোল পাম্প স্টাফ রেজিস্টার(১লা এপ্রিল ১৯৬৬) | — | — |
৩৯ | নওয়াব আলী ড্রাইভারের ৩০ এপ্রিল ১৯৬৬ তারিখের চারিত্রিক সনদপত্র | — | — |
৪০ | একটি বাড়ী ভাড়া করার জন্য ২রা মে ১৯৬৬ তারিখের ভাড়ার চুক্তিপত্র | — | — |
৪১ | ১৯শে আগস্ট ১৯৬৬ তারিখের লেজার বই | — | — |
৪২ | সেভিংস হিসাবে ৪০০০ রূপী জমাদানের ১৯শে আগস্ট ১৯৬৬ তারিখের স্লীপ | — | — |
৪৩ | হাবীব ব্যাংকের ২৪শে আগস্ট ১৯৬৬ তারিখের ১১০০০ রূপীর চেক | — | — |
৪৪ | ৫০০০ রূপী পরিশোধের প্রভিশনাল রিসিপ্ট, ২৪শে আগস্ট ১৯৬৬ তারিখের | — | — |
৪৫ | সেইন্ট মুজিবুর রেহমানের ৩১শে আগস্ট ১৯৬৬ তারিখের সেবিংস হিসাব | — | — |
৪৬ | ১১০০০ রূপী পরিশোধের প্রভিশনাল রিসিপ্ট, ২রা সেপ্টেম্বর ১৯৬৬ তারিখের | — | — |
৪৭ | প্রভিশনাল রিসিপ্ট বই ও হাবীব ব্যাংকের ২৪শে আগস্ট ১৯৬৬ তারিখের চেক বাতিলকরন | — | — |
ক্রমিক নং | বর্ননা | কোর্টে উপস্থাপন | মন্তব্য |
৪৮ | ১০ই সেপ্টেম্বর ১৯৬৬ তারিখে সেইন্ট মুজিবুর রহমান কর্তৃক ৪৫০০ রূপী উত্তোলনের চেক | — | — |
৪৯ | চটগ্রামের মোটরযান রেজিস্টারের ১০ই সেপ্টেম্বর ১৯৬৬ তারিখের সার্টিফাইড অনুলিপি | — | — |
৫০ | ২০শে সেপ্টেম্বর ১৯৬৬ তারিখে সেইন্ট মুজিবুর রহমান কর্তৃক ৪৫০ রূপী উত্তোলনের চেক | ||
৫১ | জীপ ৯১৯৯ এর ব্লু বুক | — | — |
৫২ | গ্রীন ভিউ পেট্রোল পাম্পের বিল রেজিস্টার | — | — |
৫৩ | ফেরীতে বিভিন্ন তারিখের কার্গো ইনভয়েস বুক | — | — |
৫৪ | ফেরীতে বিভিন্ন তারিখের কার্গো ইনভয়েস বুক | — | — |
৫৫ | ঢাকা-দাউদকান্দি ফেরীঘাটের লগবুক | — | — |
৫৬ | মাদারীপুর পোস্ট অফিসের রিসিপ্ট রেজিস্টার | — | — |
৫৭ | লেফটেন্যান্ট মোয়াজ্জেম হোসেনের বিভিন্ন তারিখের ১২টি যাতায়াত ভাতার বিল | — | — |
৫৮ | কে এম এস রহমান, সি এস পি এর একটি চিঠির নেগেটিভ ফটোস্ট্যাট | — | — |
৫৯ | ৫০০০ রূপী জমাদানের স্লিপ, ৮ অক্টোবর ১৯৬৬ সালের | — | — |
৬০ | হিলম্যান কার নং ৯৫৯১ এর ব্লু বুক, ১৭ জানুয়ারী ১৯৬৭ সালের | — | — |
৬১ | জনাব এম এম রামীজের ব্যাক্তিগত ফাইল, ২৫ ফেব্রুয়ারী ১৯৬৭ তারিখের | — | — |
৬২ | লেফট্যান্যান্ট মোয়াজ্জেম এর আই ডব্লিউ টি এ ঢাকায় ১লা মার্চ ১৯৬৬ তারিখের যোগদান পত্রের মূলকপি | — | — |
৬৩ | কোন এক সময়ে ফ্রান্সগামী আর্ট ও ফটোগ্রাফীর বই (নেগেটিভ), ২৭শে মার্চ ১৯৬৭ তারিখের | — | — |
ক্রমিক নং | বর্ননা | কোর্টে উপস্থাপন | মন্তব্য |
৬৪ | এম. আর. রাব্বানী কর্তৃক আলি রেজার জন্য ইস্যুকৃত বাড়ী ভাড়ার বিল—মার্চ ১৯৬৭ থেকে আগস্ট ১৯৬৭ | — | — |
৬৫ | সেইন্ট মুজিবুর রহমানের জন্য ইস্যুকৃত ৩ এপ্রিল ১৯৬৭ তারিখের ডিজার্টার রুল | — | — |
৬৬ | কুদরাতুলকি এবং এম. রহমানের মধ্যে সাক্ষরিত ৪ এপ্রিল ১৯৬৭ তারিখের বাড়ী ভাড়ার চুক্তিপত্র | — | — |
৬৭ | ক্যাশমেমো বই, ১৪ই এপ্রিল ১৯৬৭ তারিখের | — | — |
৬৮ | পি. আই. এ. বিল, ২১শে এপ্রিল ১৯৬৭ তারিখের | — | — |
৬৯ | মুজিবুর রহমান কর্তৃক ৪ঠা মে ১৯৬৭ তারিখ সেভিংস হিসাব খোলার ফর্ম, হিসাব নং ১০৯৯৯ (৫১) | — | — |
৭০ | রিসালদার এ কে এম শামসুল হক এর ফিটনেস ও রেজিস্ট্রেশন প্রত্যয়ন পত্র, ৪ঠা মে ১৯৬৭ তারিখের | — | — |
৭১ | হোটেল ডেনোফা এর ১১ই জুলাই ১৯৬৭ তারিখের হোটেল রেজিস্টার | — | — |
৭২ | শোভাপুর ব্রিজ –এর টোল সংগ্রহের বই | — | — |
৭৩ | সহকারী কমিশনার, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্তৃক ১৯শে জুলাই ১৯৬৭ তারিখে ইস্যুকৃত কারন দর্শানো নোটিশ | — | — |
৭৪ | হিসাব খোলার ফর্ম, কারেন্ট একাউন্ট নং ৩২৫১, তারিখ ২৪ জুলাই ১৯৬৭ | — | — |
৭৫ | মানিক চৌধুরীর নামে ইস্যুকৃত বাড়ী ভাড়ার রশিদ, আগস্ট ১৯৬৭ থেকে ডীসেম্বর ১৯৬৭ | — | — |
৭৬ | কুর্শিদা বেগম ও আলি রেজার মধ্যে লীজের চুক্তিপত্র, ১ সেপ্টেম্বর ১৯৬৭ তারিখের | — | — |
৭৭ | সেইন্ট মুজিবুর রহমান কর্তৃক উত্তোলিত ৫০০ রূপীর বিয়ারার চেক | — | — |
৭৮ | মুজিবুর রহমানের নামে ইস্যুকৃত ৫০০ রূপীর চেকের কাউন্টারফয়েল | — | — |
ক্রমিক নং | বর্ননা | কোর্টে উপস্থাপন | মন্তব্য |
৭৯ | জান’স হোটেল, পেশোয়ার-এর ৪ নভেম্বর ১৯৬৭ তারিখের ভিজিটর রেজিস্টার | — | — |
৮০ | পি. আই. এ. এর যে ফ্লাইটে আলি রেজা নাম রয়েছে সেটর প্যাসেঞ্জার মেনিফেস্ট এর মুলকপি, তারিখ ৮ই নভেম্বর ১৯৬৭ | — | — |
৮১ | সি. এস. ও., ঢাকা এর নোটের পাতা যেখানে আমির হোসেনের উল্লেখ রয়েছে, তারিখ ১৭ নভেম্বর ১৯৬৭ | — | — |
৮২ | এম. রহমান কর্তৃক ৪৫ রূপি উত্তোলনের ১৮ নভেম্বর ১৯৬৭ এর চেক | — | — |
জিনিসপত্রের তালিকা
(রেফারেন্স অনুচ্ছেদ ৫ ও পরিশিষ্ট)
ক্রমিক নং | বর্ননা | কোর্টে উপস্থাপন | মন্তব্য |
১ | মস্কোভিচ কার যার নম্বর ই বি ছি ৭৯৭৬, পি. আই. এ. কার নং ২৬৬৮, পুর্ববর্তী নং কে এ ই ৩১৯৪ | — | — |
২ | একটি জিপ যার নং ৯১৩৯ | — | — |
৩ | একটি ফিয়েট কার ১১০/ডি (মডেল) যার নং ই বি এ ৯১০০ | — | — |
৪ | ফিল ম্যান ইম্প কার, নং ৯৫৯১ | — | — |
৫ | একটি টেলিফোন সেট যার নম্বর 6829/6 | — | — |
৬ | একটি হ্যান্ড গ্রেনেড | — | — |
৭ | একটি নীল কালারের রেক্সিনের হাতব্যাগ | — | — |
৮ | ছোট তালা | — | — |
৯ | উপর্যুক্ত তালার একটি চাবি | — | — |
১০ | একটি পলিথিন ব্যাগ | — | — |