দ্বিতীয় অধ্যায়
স্বাধীনতা যুদ্ধকালে প্রবাসী বাঙালীদের দ্বারা প্রকাশিত পত্র-পত্রিকা (বৃটেন)
[ইংরেজি পত্রিকা]
অনুবাদঃ জান্নাতুন নাহার তন্দ্রা
<৬, ১, ৫৬২>
ব্রিটেন
ইংরেজী সংবাদপত্র
শিরোনাম | সংবাদপত্র | তারিখ |
ঐক্যবদ্ধ হও নয়তো নিন্দা কুড়াও | বাংলাদেশ নিউজ লেটার, লন্ডন নম্বরঃ ৪ | ২৬ এপ্রিল, ১৯৭১ |
ইউনাইট অর বি ড্যামড (ঐক্যবদ্ধ হন অথবা ধ্বংস হয়ে যান)
‘ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তান’ এর সামরিক একনায়কতন্ত্র বাঙালীদের উপর একটি জাতীয় স্বাধীনতা সংগ্রাম চাপিয়ে দিয়েছে। একটি অপ্রস্তুত এবং নিরস্ত্র জাতি এখন তাদের মুক্তির জন্য লড়াই করছে। এবং এই যুদ্ধটি চলছে এমন দুইটি পক্ষের মধ্যে যাদের এক পক্ষের রয়েছে আধুনিক সেনাবাহিনী, যারা অতি অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত। ন্যাপাম বোমা থেকে স্যাব্রি জেট সবই এদের আছে। আরেক পক্ষের বুকে একটা দৃঢ় প্রত্যয় ছাড়া আর কিছুই নেই। এবং তাদের প্রত্যয়টি হলো নিজের মাতৃভূমিতে তারা কিছুতেই অন্যের দাস হয়ে থাকবে না।
জয় আমাদেরই হবার কথা। কারণ আমাদের মাটির বীর সন্তানেরা বিদেশী হানাদারের বিরুদ্ধে প্রচণ্ড লড়ছে। আমরা তাদেরকে আমাদের লোকবল দিয়ে আচ্ছন্ন করে ফেলবো। আমাদের সুড়ঙ্গ ও জলাধারের মধ্যে তাদেরকে ফাঁদে ফেলব। তারপর আমরা এক এক করে ওদেরকে পানিতে চোবাবো। আমরা ওদেরকে ধ্বংস করে দেবো এবং স্বাধীনতার জন্য আমাদের যে সহযোদ্ধারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের হত্যার উপযুক্ত বিচার করব। এই নৃশংস খুনিদের বিচার হবে না, এ কিছুতেই হতে পারে না।
কিন্তু এই বিজয়ের জন্য যা প্রয়োজন তা হলো আমাদেরকে আরও সংগঠিত হতে হবে। কোন লক্ষ্যের জন্য যে ঐক্য তা আমরা ইতোমধ্যে অর্জন করেছি। এখন বাস্তবায়নের জন্য যে ঐক্য তার জন্য আমাদের সংগ্রাম করতে হবে। প্রবাসী বাঙালীদের জন্য এটাই সময়, নিজেদের মধ্যে সব দল উপদল ভিত্তিক সকল সংকীর্ণতা এবং ঝগড়াঝাটি ভুলে, নিজের সকল প্রচেষ্টা ও সামর্থ্যকে একত্রিত করে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে দাঁড়ানো।
তাই অনুগ্রহ করে ! অনুগ্রহ করে ! অনুগ্রহ করে !
একত্রিত হন এবং কাজে নেমে পড়ুন।
এবং খুব তাড়াতাড়ি নেমে পড়ুন।